প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর
আইসিসি আর এবং ইউপিআইডডি আয়োজিত ভারতীয় বস্ত্র শিল্পের ঐতিহ্যের ওপর আন্তর্জাতিক ওয়েবিনারে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ
प्रविष्टि तिथि:
03 OCT 2020 7:29PM by PIB Kolkata
নতুন দিল্লি, ৩রা অক্টোবর, ২০২০
নমস্কার !
বস্ত্র শিল্পের এই বার্তালাপে অংশগ্রহণ করতে পেরে আমি আনন্দিত। বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্রের থেকে অংশগ্রহণকারীরা এখানে যোগ দেওয়ায় আমি খুব খুশি। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর কালচারাল রিলেশানস এবং উত্তর প্রদেশ ইনস্টিটিউট অফ ডিজাইন, সকলকে এক জায়গায় আনার জন্য এই মহতি উদ্যোগ নিয়েছে। আপনারা খুব সুন্দর বিষয় নির্বাচন করেছেন – “বয়নের সম্পর্ক; বস্ত্র শিল্পের ঐতিহ্য”। বন্ধুগণ, বহু শতক ধরে বস্ত্র শিল্পের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ। বস্ত্র শিল্পের মধ্য দিয়ে আপনারা আমাদের ইতিহাস, আমাদের বৈচিত্র এবং বিপুল সম্ভাবনা দেখতে পান।
বন্ধুগণ, ভারতের বস্ত্র শিল্পের ঐতিহ্য খুব পুরোনো। চরকা কাটা, তাঁত বোনা এবং সুতোয় রং করার ঐতিহ্য আমাদের দেশে অত্যন্ত প্রাচীন । প্রাকৃতিকভাবে সুতোকে রঙ্গীন করার এক গৌরোবজ্জ্বল ইতিহাস ভারতের রয়েছে। রেশমের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। বন্ধুগণ, আমাদের বস্ত্র শিল্পের বৈচিত্রের মধ্যদিয়ে আমাদের সাংস্কৃতিক সমৃদ্ধি প্রকাশ পায়। আপনারা প্রতিটি রাজ্যে যান। প্রত্যেকটি গ্রাম ঘুরে দেখুন। বিভিন্ন সম্প্রদায়ের কাছে যান। দেখবেন তাদের বস্ত্র শিল্পের ঐতিহ্যে কিছু একটা নতুনত্ব খুঁজে পাবেন। অন্ধ্রপ্রদেশের কলমকরি, আবার অসমের গর্ব মুগাসিল্ক। কাশ্মীরে পশমিনা, আবার পঞ্জাবের সংস্কৃতিকে ফুলকারি গর্বিত করেছে। গুজরাট যদি পাটোলার জন্য বিখ্যাত হয়, বেনারস বিখ্যাত তার শাড়ির জন্য। মধ্যপ্রদেশের চান্দেরি, আবার ওডিশার রঙ্গিন সম্বলপুরি কাপড় রয়েছে। আমি তো মাত্র কয়েকটার নাম বললাম। আরো আরো প্রচুর রয়েছে। এই প্রসঙ্গে আমি আমাদের উপজাতি সম্প্রদায়ের সমৃদ্ধশালী বস্ত্র শিল্পের কথাও উল্লেখ করতে চাই। ভারতের সব রকমের বস্ত্র শিল্পের ঐতিহ্যে : রং আছে। ঔজ্জ্বল্য আছে। দৃষ্টি নান্দনিকতা আছে।
বন্ধুগণ, বস্ত্র শিল্প সব সময় সুযোগ নিয়ে এসেছে। দেশের অভ্যন্তরে বস্ত্র শিল্প সব থেকে বেশি কর্মসংস্থনের সৃষ্টি করে। আন্তর্জাতিক স্তরে সারা বিশ্বের সঙ্গে ব্যবসা - বাণিজ্য ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক গড়ে তুলতে বস্ত্র শিল্প সাহায্য করে। সার্বিকভাবে বিশ্বজুড়ে ভারতীয় বস্ত্র শিল্প অত্যন্ত সমাদৃত। এই শিল্প রীতি - নীতি, শিল্পকলা এবং বিভিন্ন সংস্কৃতির আলাদা আলাদা প্রযুক্তির ফলে সমৃদ্ধ হয়ে উঠেছে।
বন্ধুগণ, গান্ধীজীর সার্ধ শত জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। বস্ত্র শিল্পের সঙ্গে সামাজিক ক্ষমতায়নের নীতির সম্পর্কটি গান্ধীজী উপলদ্ধি করেছিলেন। আর তাই অত্যন্ত সাধারণ চরকা ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রতীক হয়ে উঠেছিল। এই চরকাই গোটা দেশকে এক বাঁধনে বেঁধেছিল।
বন্ধুগণ, আজ আমরা যখন বস্ত্র শিল্পের দিকে তাকাই তখন দেখতে পাই আত্মনির্ভর ভারত গড়ে তুলতে এই শিল্প অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। আমাদের সরকার মূলত যে বিষয়গুলির ওপর নজর দিচ্ছে সেগুলি হল: দক্ষতা বৃদ্ধি, আর্থিক সহায়তা এবং অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে এই ক্ষেত্রকে সাহায্যের উদ্যোগ। আমাদের তন্তুবায়রা যাতে বিশ্ব মানের সামগ্রী উৎপাদন করতে পারেন তার জন্য আমরা তাদের সাহায্য করছি। একারণে: আন্তর্জাতিক স্তরে সব থেকে ভালো পদ্ধতিগুলির বিষয়ে আমরা জানতে চাই। আমরা এটাও চাই যে আমাদের ভালো পদ্ধতিগুলি সম্পর্কে সারা পৃথিবী জানুক। আর তাই এই আলোচনায় ১১টি দেশের অংশগ্রহণ একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ। ভাবনার আদান - প্রদান এবং ভালো পদ্ধতিগুলি এই ওয়েবিনারে ভাগ করে নেওয়া হবে। এর ফলে সহযোগিতার নতুন পথ তৈরি হবে।
বন্ধুগণ, সারা বিশ্বজুড়ে বস্ত্র শিল্পে মহিলারাই বেশি কাজ করেন। আর তাই প্রাণবন্ত বস্ত্র শিল্প মহিলাদের ক্ষমতায়নে সাহায্য করবে। বন্ধুগণ, আমাদের ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জগুলি মোকাবিলা করার জন্য প্রস্তুত হতে হবে। আমাদের বস্ত্র শিল্পের ঐতিহ্য শক্তিশালী চিন্তা - ভাবনা এবং নীতির প্রতিফলন। এর মধ্যে রয়েছে : বৈচিত্র এবং গ্রহণ করার ক্ষমতা। আত্মনির্ভরতা। দক্ষতা ও উদ্ভাবন। আজকের দিনে এই নীতিগুলি অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে। আমি আশা করবো আজকের এই ওয়েবিনারের মতো অনুষ্ঠানগুলি ভবিষ্যতের নতুন নতুন ধারণার সৃষ্টি করতে সাহায্য করবে। আমি আশা করবো একটি প্রাণবন্ত বস্ত্র শিল্প গড়ে তুলতে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। আইসিসিআর, ইউপিআইডি এবং অংশগ্রহণকারী সকলকে এই উদ্যোগের জন্য শুভেচ্ছা জানাই।
আপনাদের অনেক অনেক ধন্যবাদ !
CG/CB/SFS
(रिलीज़ आईडी: 1661463)
आगंतुक पटल : 306
इस विज्ञप्ति को इन भाषाओं में पढ़ें:
English
,
Urdu
,
Marathi
,
हिन्दी
,
Manipuri
,
Assamese
,
Punjabi
,
Gujarati
,
Odia
,
Tamil
,
Telugu
,
Kannada
,
Malayalam