প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর

বিহারে পেট্রোলিয়াম সংক্রান্ত তিনটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প ১৩ই সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী জাতীর উদ্দেশে উৎসর্গ করবেন

Posted On: 11 SEP 2020 6:31PM by PIB Kolkata

নতুন দিল্লি, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২০

 

 

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ১৩ই সেপ্টেম্বর বিহারের তিনটি পেট্রোলিয়াম সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে জাতীর উদ্দেশে উৎসর্গ করবেন। এই প্রকল্পগুলির মধ্যে রয়েছে পারাদ্বীপ-হলদিয়া-দুর্গাপুর পাইপলাইন প্রকল্পের বর্ধিত অংশের দুর্গাপুর-বাঁকা শাখা এবং দুটি এলপিজি বটলিং প্ল্যান্ট। এই প্রকল্পগুলি পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস মন্ত্রকের রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সংস্থা౼ ইন্ডিয়ান অয়েল এবং এইচপিসিএল রূপায়িত করেছে।

 


বিহারের মুখ্যমন্ত্রী এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন। 


দুর্গাপুর-বাঁকা শাখার পাইপলাইন প্রকল্পঃ-


ইন্ডিয়ান অয়েল ৯৩ কিলোমিটার দীর্ঘ দুর্গাপুর-বাঁকা পাইপলাইন শাখা তৈরি করেছে। এটি পারাদ্বীপ-হলদিয়া-দুর্গাপুর পাইপলাইনের বর্ধিত প্রকল্প। প্রধানমন্ত্রী ২০১৯ সালের ১৭ই ফেব্রুয়ারি এই প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন। ৬৭৯ কিলোমিটার দীর্ঘ পারাদ্বীপ-হলদিয়া-দুর্গাপুর এলপিজি পাইপলাইনের বর্ধিত অংশ দুর্গাপুর-বাঁকা শাখা বিহারের বাঁকায় নতুন এলপিজি বটলিং প্ল্যান্টের সঙ্গে যুক্ত হবে। ১৪ ইঞ্চি ব্যাস যুক্ত এই পাইপলাইন পশ্চিমবঙ্গে ৬০ কিলোমিটার, ঝাড়খণ্ডে ৯৮ কিলোমিটার এবং বিহারে ৩৫ কিলোমিটার দীর্ঘ। বর্তমানে পারাদ্বীপ তৈল শোধনাগার, হলদিয়া তৈল শোধনাগার এবং আইপিপিএল হলদিয়া থেকে পাইপলাইনের মধ্যে  এলপিজি গ্যাস পাঠানো যায়। এই পুরো প্রকল্পের কাজ শেষ হলে পারাদ্বীপ ইমপোর্ট টার্মিনাল এবং বারাউনি তৈল শোধনাগারে এলপিজি ঢোকানো সম্ভব হবে।


দুর্গাপুর-বাঁকা শাখার পাইপলাইন বসানোর সময় বেশ কিছু প্রাকৃতিক এবং মানুষের তৈরি বাধা অতিক্রম করতে হয়েছে। ১৩টি নদী এবং ১৫৪টি জায়গায় সেতুর মাধ্যমে এই পাইপলাইন গেছে। এছাড়াও ৫টি জাতীয় মহাসড়ক এবং ৩টি রেললাইনের নীচ দিয়ে পাইপলাইন বসানো হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য অজয় নদের তলায় ১,০৭৭ মিটার দীর্ঘ এলাকায় পাইপলাইন বসাতে হয়েছে। এই পাইপলাইন বসানোর কাজ এমনভাবে করা হয়ে যাতে বাধাহীনভাবে নদীর জল প্রবাহিত হতে পারে।


বিহারের বাঁকায় এলপিজি বটলিং প্ল্যান্ট 


বিহারে আত্মনির্ভরতা বাড়াতে ইন্ডিয়ান অয়েলের বাঁকা-র এলপিজি বটলিং প্ল্যান্ট সাহায্য করবে। এর মাধ্যমে রাজ্যে অতিরিক্ত এলপিজি-র চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হবে। এই বটলিং প্ল্যান্টটি তৈরি করতে খরচ হয়েছে ১৩১ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকা। এর ফলে  বিহারের ভাগলপুর, বাঁকা, জামুই, আরারিয়া, কিষাণগঞ্জ এবং কাটিহার জেলা, ঝাড়খণ্ডের গোড্ডা, দেওঘর, দুমকা, সাহেবগঞ্জ এবং পাকুর জেলার এল পি জি গ্যাসের  চাহিদা মেটানো সম্ভব হবে। এই প্ল্যান্টে ১,৪০০ মেট্রিকটন এলপিজি সঞ্চয় করা যাবে। দৈনিক ৪০,০০০ সিলিন্ডারে গ্যাস ভরা সম্ভব হবে। প্রকল্পটির মাধ্যমে  প্রত্যক্ষ এবং পরক্ষোভাবে প্রচুর কর্ম সংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে।


বিহারের চম্পারণের হরসিধিতে এলপিজি প্ল্যান্টঃ- 


পূর্ব চম্পারণ জেলায় ১৩৬ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে হরসিধিতে এইচপিসিএল ১২০ টিএমটিপিএ বটলিং প্ল্যান্ট তৈরি করেছে। ২৯ একর জমির উপর এই কারখানাটির ২০১৮ সালের ১০ই এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শীলান্যাস করেছিলেন। বিহারের পূর্ব চম্পারণ, পশ্চিম চম্পারণ, মুজাফফরপুর, সিউয়ান, গোপালগঞ্জ এবং সীতামাঢ়ি জেলায় এলপিজি গ্যাসের চাহিদা এই বটলিং প্ল্যান্টের থেকে মেটানো হবে।


পুরো অনুষ্ঠানটি ডিডি নিউজের মাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচাহিত হবে।

 



CG/CB/SKD



(Release ID: 1653506) Visitor Counter : 126