অর্থমন্ত্রক

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ৭৪তম স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে আত্মনির্ভর ভারত অভিযানের গুরুত্বের কথা উল্লেখ করেছেন; কোভিড-১৯ এর প্রভাব থেকে বেরিয়ে আসতে জাতীয় পরিকাঠামো পাইপলাইন প্রকল্পগুলি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে

Posted On: 15 AUG 2020 3:36PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ১৫ অগাস্ট, ২০২০

 

 


প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ নতুন দিল্লিতে ভারতের ৭৪তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপন উপলক্ষে লালকেল্লার প্রাকার থেকে ত্রিবর্ণরঞ্জিত জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। জাতির উদ্দেশে ভাষণে কোভিড-১৯ মোকাবিলা থেকে আত্মনির্ভর ভারত অভিযানের অঙ্গ হিসাবে দেশীয় উৎপাদন ক্ষেত্রের বিকাশে গৃহীত পদক্ষেপগুলির কথা উল্লেখ করে  শ্রী মোদী বলেন, মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষের ওপর অগ্রাধিকার দিয়ে অর্থ-ব্যবস্থার পুনরুজ্জীবনে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।


প্রধানমন্ত্রী আত্মনির্ভর ভারত অভিযানের গুরুত্বের কথা পুনরায় উল্লেখ করে বর্তমান সঙ্কটের এই সময়ে দেশবাসীর চাহিদা পূরণে সবরকম সহায়তার আশ্বাস দেন। করোনা ভাইরাস মহামারীর মধ্যেই ১৩০ কোটিরও বেশি মানুষ আত্মনির্ভর হয়ে ওঠার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। “আত্মনির্ভর হয়ে ওঠা অত্যন্ত জরুরি। আমি আশাবাদী যে, ভারত এই স্বপ্ন পূরণে সক্ষম হবে। আমার সহ-নাগরিক ভারতীয়দের সক্ষমতা, আত্মবিশ্বাস ও সম্ভাবনার ওপর আমার পূর্ণ আস্থা রয়েছে। আমরা যখন কোনও কিছু করার সিদ্ধান্ত নিই, সেই উদ্দেশ্য পূরণ না হওয়া পর্যন্ত  হার ছেড়ে দেওয়ার কথা ভাবি না”, বলেও শ্রী মোদী অভিমত প্রকাশ করেন।


লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রী স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে পরিকাঠামো ক্ষেত্রে আরও অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা বলেন। তিনি বলেন, সরকার জাতীয় পরিকাঠামো পাইপলাইন প্রকল্পগুলিকে সবরকম সাহায্য দানের পাশাপাশি, পরিকাঠামো ক্ষেত্রের সার্বিক মানোন্নয়নে অগ্রাধিকার দিচ্ছে। তিনি জাতীয় পরিকাঠামো পাইপলাইন প্রকল্পে ১ ১০ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি বিনিয়োগের কথা ঘোষণা করেন। এজন্য ৭ হাজারেরও বেশি প্রকল্পকে ইতিমধ্যেই চিহ্নিত করা হয়েছে। কোভিড-১৯ এর প্রভাব থেকে মুক্ত করতে জাতীয় পরিকাঠামো পাইপলাইন প্রকল্পগুলি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। এই প্রকল্পগুলি দেশের কৃষক, যুবসম্প্রদায় ও শিল্পোদ্যোগীদের স্বার্থে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টির পথ সুগম করবে।


প্রধানমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন, এখন ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’র পাশাপাশি, ‘মেক ফর দ্য ওয়ার্ল্ড’ – এর লক্ষ্যে আমরা অগ্রসর হচ্ছি। লালকেল্লার প্রাকার থেকে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ভারতে সংস্কারমূলক উদ্যোগগুলি সারা বিশ্ব লক্ষ্য করেছে। এর ফল-স্বরূপ, প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণ সব রেকর্ড ভেঙ্গে দিয়েছে। এমনকি, কোভিড মহামারীর সময় ভারতে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণ ১৮ শতাংশ বেড়েছে।


কেউ ভেবেছিলেন যে, লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা দেশের দরিদ্র মানুষের জন ধন অ্যাকাউন্টে সরাসরি হস্তান্তরিত করা সম্ভব হবে? কেউ কি একথা কখনও ভেবেছিলেন যে, লক্ষ লক্ষ কৃষক শ্রেণীর স্বার্থে এপিএমসি আইনে বড় সংস্কার করা হবে? কিন্তু এই স্বপ্ন আজ ‘এক দেশ, এক রেশন কার্ড’, ‘এক দেশ, এক কর ব্যবস্থা’, দেউলিয়া ও ঋণ পরিশোধে অক্ষমতা বিধি এবং ব্যাঙ্কগুলির সংযুক্তিকরণের মাধ্যমে পূরণ হয়েছে বলে প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন।


প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৭ কোটি দরিদ্র পরিবারকে বিনামূল্যে রান্নার গ্যাস সিলিন্ডার, ৮০ কোটিরও বেশি মানুষকে নিখরচায় খাদ্যশস্য দেওয়া হয়েছে এবং প্রায় ৯০ হাজার কোটি টাকা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলিতে সরাসরি হস্তান্তরিত হয়েছে। গ্রামগুলিতে দরিদ্র মানুষের কর্মসংস্থানের জন্য গরিব কল্যাণ রোজগার অভিযান চালু হয়েছে।


এই প্রথমবার গৃহ ঋণের ক্ষেত্রে ইএমআই – এর অংশে ৬ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ছাড় পাওয়া যাচ্ছে। কেবল গত বছরই অসমাপ্ত হাজার হাজার গৃহ নির্মাণের কাজ সম্পূর্ণ করতে ২৫ হাজার কোটি টাকার তহবিল গঠন করা হয়েছে বলেও জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী জানান।


প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, দেশে ৪০ কোটি জন ধন অ্যাকাউন্টের মধ্যে প্রায় ২২ কোটি অ্যাকাউন্টধারীই হলেন মহিলা। করোনার সময়ে এপ্রিল-মে-জুন এই তিন মাসে জন ধন যোজনার মহিলাদের অ্যাকাউন্টে প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা হস্তান্তরিত করা হয়েছে। করোনার সময়ে আমরা লক্ষ্য করেছি ডিজিটাল ভারত অভিযানের ভূমিকা পালনের দিকটি।  কেবল গত মাসেই ভীম ইউপিআই অ্যাপের মাধ্যমে প্রায় ৩ লক্ষ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে বলেও প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন।

 

 


CG/BD/SB



(Release ID: 1646141) Visitor Counter : 137