মানবসম্পদবিকাশমন্ত্রক

কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী শ্রী রমেশ পোখরিয়াল নিশাঙ্ক সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ‘কোভিড-১৯-এর সময় নিরাপদ অনলাইন শিক্ষা’ বিষয়ে তথ্য সম্বলিত একটি পুস্তিকার সূচনা করেছেন

Posted On: 05 JUN 2020 3:51PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ৫ জুন, ২০২০

 

 


কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী শ্রী রমেশ পোখরিয়াল নিশাঙ্ক অনলাইনে নিরাপদে থাকার বিষয়ে শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকদের সচেতনতা বৃদ্ধিতে আজ ‘কোভিড-১৯-এর সময় নিরাপদ অনলাইন শিক্ষা’ বিষয়ে তথ্য সম্বলিত একটি পুস্তিকার সূচনা করেছেন। জাতীয় শিক্ষামূলক গবেষণা ও প্রশিক্ষণ পর্ষদ এবং নতুন দিল্লির ইউনেস্কোর কার্যালয় এই পুস্তিকাটি তৈরি করেছে। শিশু, তরুণদের অনলাইনে সুরক্ষিত থাকার ক্ষেত্রে এই পুস্তিকাটি বিশেষ সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। অভিভাবক এবং শিক্ষকরা, তাঁদের সন্তান ও ছাত্র ছাত্রীদের নিরাপদে ইন্টারনেট ব্যবহার শেখাতে সহায়তা করবে এই পুস্তিকাটি।

পুস্তিকাটি উদ্বোধনের পর শ্রী পোখরিয়াল বলেন, কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে অনলাইন এবং দূর-শিক্ষার গুরুত্ব বৃদ্ধি পেয়েছে। অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে শিশু এবং শিক্ষকরা একে অপরের সঙ্গে সংযুক্ত থাকতে পারছেন এবং শিক্ষার আদান-প্রদান চলছে।ছেলেমেয়্দের এবং শিক্ষকদের নিরাপদ ও সুরক্ষিত অনলাইন পরিবেশ সুনিশ্চিত করতে কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। নিরাপদে অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করতে দিতে চায় সরকার। কেন্দ্রীয় সরকার এবং জাতীয় শিক্ষামূলক গবেষণা ও প্রশিক্ষণ পর্ষদ (এনসিইআরটি) সাইবার অপরাধীদের হাত থেকে বাঁচতে একাধিক উদ্যোগ নিয়েছে। সাইবার অপরাধের শিকার সকলকেই অভিযোগ দায়ের করার জন্য বলা হয়েছে। সরকার তাঁদের সকলকেই সহায়তা দেবে। এনসিইআরটি এবং ইউনেস্কো-র যৌথভাবে তৈরি এই পুস্তিকাটি শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের সচেতনতা বাড়ানোর পাশাপাশি, সাইবার হুমকির  হাত থেকে রক্ষা করতে সময়োপযোগী ব্যবস্থা গ্রহণে সুনিশ্চিত করবে বলেও তিনি জানান।

কোভিড-১৯ মহামারীর বিস্তার রোধে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে গত ২০শে মার্চ থেকে দেশ জুড়ে বিদ্যালয়, বিশ্ববিদ্যালয়, প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এবং অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি বন্ধ রাখা হয়েছে। এতে প্রায় ৯০ শতাংশেরও বেশি শিক্ষা ব্যবস্থায় অপ্রত্যাশিতভাবে প্রভাব পড়েছে। কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক এবং রাজ্যের শিক্ষা দপ্তরগুলি এই পরিস্থিতিতে বিভিন্ন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে অনলাইন প্রশিক্ষণের বিষয়েই বেশি উৎসাহ দেখিয়েছে। এতে অনেক সময় কিশোর বয়সী ছাত্রছাত্রীদের সাইবার হুমকির শিকার হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।

ভারতে ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী ৭ কোটিরও বেশি শিশু পরিবারের সদস্যদের ইন্টারনেট ব্যবহার করে থাকে যা দেশের ৫০ কোটি ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর প্রায় ১৪ শতাংশ। ভারতের ইন্টারনেট এবং মোবাইল অ্যাসোসিয়েশনের তথ্য অনুযায়ী, দেশের দুই-তৃতীয়াংশ ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর বয়স ১২ থেকে ২৯ বছরের মধ্যে। লকডাউনের সময় ক্রমশই ইন্টারনেটের ব্যবহার যেমন বেড়েছে, তেমনই সাইবার হুমকির শিকার হওয়ার আশঙ্কাও থেকে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে অনলাইন শিক্ষায় ছাত্রছাত্রী বা শিশুরা যাতে নিরাপদে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারে সেদিকে লক্ষ্য রেখেই এনসিইআরটি এবং ইউনেস্কো এই পুস্তিকাটি তৈরি করেছে।

ইউনেস্কো-র নতুন দিল্লির দায়িত্বে থাকা  অধিকর্তা  মিঃ এরিক ফাল্ট বলেছেন, ইউনেস্কো সকল শিশুদের নিরাপদ এবং স্বাস্থ্যক্ষেত্রে উৎসাহদানকারী শিক্ষামূলক পরিবেশ প্রদানের জন্য বদ্ধপরিকর। তাই, শিশুদের গুণমানসম্মত শিক্ষা ব্যবস্থা প্রদানের জন্য ওয়েবসাইট, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম, সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলিকে সাইবার হুমকিকারীদের শিকার থেকে মুক্ত রাখা জরুরি। এই তথ্যমূলক পুস্তিকাটি এক্ষেত্রে শিক্ষক এবং শিশুদের যথাযথ সাহায্য করবে।

এনসিইআরটি-র অধিকর্তা অধ্যাপক ঋষিকেশ সেনাপতি বলেছেন, অনলাইনে সুরক্ষা এবং সাইবার হুমকির শিকার প্রতিরোধের মতো বিষয়গুলি না দেখলে আগামীদিনে শিক্ষা ব্যবস্থায় বিনিয়োগ অকৃতকার্য হয়ে পড়বে। নিরাপত্তাবিহীন শিক্ষার পরিবেশ শিক্ষার মানকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। তাই, এই ক্ষেত্রটির নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা অত্যন্ত প্রয়োজন। এনসিআরটি  সাইবার হুমকিকারীদের শিকারের হাত থেকে যুব সম্প্রদায়কে রক্ষা করতে এবং স্বাস্থ্যকর শিক্ষা ব্যবস্থা প্রচারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

 

 


CG/SS/DM



(Release ID: 1629767) Visitor Counter : 237