তথ্যওসম্প্রচারমন্ত্রক

কমিউনিটি রেডিওয় প্রতি ঘন্টায় বিজ্ঞাপন সম্প্রচারের সময়সীমা বাড়িয়ে ১২ মিনিট করার জন্য আলোচনা চলছে : শ্রী প্রকাশ জাভড়েকর

प्रविष्टि तिथि: 22 MAY 2020 7:44PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লী, ২২ মে, ২০২০

 

 


    কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী শ্রী প্রকাশ জাভড়েকর বলেছেন যে, টিভি চ্যানেলের সঙ্গ সামঞ্জস্য  আনতে তিনি কমিউনিটি রেডিওগুলিতে বিজ্ঞাপন সম্প্রচারের সময়সীমা বা এয়ার টাইম ৭ মিনিট থেকে বাড়িয়ে ১২ মিনিট করতে আগ্রহী। একযোগে সম্প্রচারের অনন্য উদ্যোগের অঙ্গ হিসেবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এদিন সমস্ত কমিউনিটি রেডিও স্টেশনগুলির শ্রোতাদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখেন। এই সম্প্রচার সন্ধ্যে ৭টা এবং সাড়ে ৭টায় দুটি সমান স্লটে করা হয়।

    শ্রী জাভড়েকর বলেন, কমিউনিটি রেডিও স্টেশন স্থাপনের জন্য মন্ত্রক ৭৫ শতাংশ ব্যয়ভার বহন করবে। এতে কমিউনিটি রেডিওগুলির ব্যয় বহনের ভার কমবে। প্রতিদিনের কাজকর্মের ব্যয় স্টেশনগুলি বহন করবে। মন্ত্রী উল্লেখ করেন যে, বর্তমানে কমিউনিটি রেডিও স্টেশনগুলিতে বিজ্ঞাপনের জন্য প্রতি ঘন্টায় ৭ মিনিট সম্প্রচারিত সময় এবং টিভি চ্যানেলের জন্য ১২ মিনিট সময়সীমার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন যে, মন্ত্রক সমস্ত রেডিও স্টেশনগুলিতে সমান সময় দেওয়ার জন্য আগ্রহী, যাতে তাদের অর্থের ঘাটতি না পড়ে এবং কমিউনিটি রেডিও স্টেশনগুলিতে স্থানীয় বিজ্ঞাপনগুলি আরও বেশি প্রচারিত হতে পারে।

    উদ্বোধনী ভাষণে মন্ত্রী বলেন, কমিউনিটি রেডিও হল নিজেই একটি কমিউনিটি বা সম্প্রদায়ের মতো। ‘পরিবর্তনের কান্ডারী’ হিসেবে তাদেরকে অবিহিত করে তিনি বলেন যে, স্টেশনগুলি প্রতিদিন কয়েক লক্ষ মানুষের কাছে পৌঁছে যায়। এই কারণে মন্ত্রক খুব শীঘ্রই এই ধরণের স্টেশনগুলির সংখ্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

    করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে মানুষকে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, অন্যান্য রোগ থেকে আমরা যেমন নিজেদেরকে দূরে সরিয়ে নিয়ে এসেছি, আগামীদিনে এটিকেও এড়িয়ে চলবো। আমরা স্বাভাবিকভাবে জীবন যাপন করলেও একটি নতুন স্বভাব আমাদের জীবনের সঙ্গে সংযুক্ত করবো, যার চারটি ধাপ রয়েছে। সেগুলি হল- যতটা সম্ভব ঘরে থাকা, ঘন ঘন হাত ধোয়া, প্রকাশ্যে মুখের ঢাকা ব্যবহার করা এবং সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা।

    সামাজিক দূরত্ব ও অর্থনৈতিক কার্যকলাপের সমস্যার মধ্যে দ্বিধা-দ্বন্দ্বের কথা বলতে গিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ‘জান ভি জাহান ভী’ মন্ত্রটি পুনরায় উল্লেখ করেন এবং বলেন যে, কনটেইনমেন্ট অঞ্চলগুলিতে নিষেধাজ্ঞাগুলি অব্যাহত থাকলেও গ্রিন জোনগুলিতে অর্থনৈতিক কাজকর্ম শুরু হয়েছে।

    কমিউনিটি রেডিওগুলিতে সংবাদ সম্প্রচারের জন্য দীর্ঘ দিনের যে দাবি রয়েছে তার প্রতি লক্ষ্য রাখা হচ্ছে বলেও মন্ত্রী জানান। তিনি আশ্বস্ত করেন যে, এফএম চ্যানেলগুলিতে যেমনভাবে সংবাদ সম্প্রচারিত হয় ঠিক সেইভাবে কমিউনিটি রেডিওগুলিতে সংবাদ সম্প্রচারের অনুমতি দেওয়ার কথা বিবেচনা করবেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, ভুয়ো খবর সম্প্রচারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কিছু স্টেশন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এই ভুয়ো খবর প্রচার হওয়া রুখতে স্থানীয় উৎসগুলিকে কাজে লাগানোর বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন তিনি। শ্রী জাভড়েকর সাধারণ মানুষের কাছে সত্যনিষ্ঠ খবর পৌঁছে দেওয়ার জন্য  স্টেশনগুলিকে অল ইন্ডিয়া রেডিওর খবর ভাগ করে নেওয়ার আহ্বান জানান। তিনি আরও বলেন, মন্ত্রক পিআইবি-র অধীনে একটি ফ্যাক্ট চেক সেল তৈরি করেছে। কমিউনিটি রেডিও ফ্যাক্ট চেক সেলের ভূমিকার পরিপূরক হতে পারে।

কেন্দ্রীয় অর্থ ও কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রীর  সম্প্রতি উন্মোচিত 'আত্মনির্ভর ভারত প্যাকেজ' সম্পর্কে বলতে গিয়ে শ্রী জাভড়েকর জানান , এটি একটি বিস্তৃত প্যাকেজ, যার মধ্যে কৃষি, শিল্প সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের সংস্কার রয়েছে  এবং এই প্যাকেজটির লক্ষ্যই হল আমদানি হ্রাস করে রপ্তানী বৃদ্ধি করা। তিনি আরও বলেন, প্যাকেজটি সকলেই ভালোভাবে গ্রহণ করেছে। সাধারণ মানুষ এতে খুশিও হয়েছেন।

    প্রেক্ষাপট

কমিউনিটি রেডিও হল পাবলিক রেডিও (অল ইন্ডিয়া রেডিও) এবং বেসরকারী রেডিও সম্প্রচার (এফএম)-এর সঙ্গে রেডিও সম্প্রচারের তৃতীয় স্তম্ভ। এই কমিউনিটি রেডিও হল একটি কম শক্তির এফএম রেডিও স্টেশন যা স্থানীয় সমস্যার উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে সম্প্রদায়ের মালিকানাধীন থেকে এবং সম্প্রদায়ের সুবিধার জন্য ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার ব্যাসার্ধে পরিচালিত হয়।

২০০২ সালে কমিউনিটি রেডিওগুলির জন্য প্রথম নীতি সূচিত হওয়ার পরে ভারতে কমিউনিটি রেডিও যাত্রা শুরু করে। এই নীতিতে কেবলমাত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে কমিউনিটি রেডিও স্থাপনের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। ২০০৬ সালে এই নীতিতে আরও বেশি সম্প্রসারণ আনা হয়। বেসরকারী সংস্থা, অলাভজনক সংস্থা, কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের মতো সংগঠনগুলিকে ভারতে কমিউনিটি রেডিও স্থাপনের অনুমতি দেওয়া হয়। বর্তমানে দেশে ২৯০টি কমিউনিটি রেডিও স্টেশন রয়েছে। এই কমিউনিটি রেডিও স্টেশনগুলি দেশে প্রায় ৯ কোটি মানুষকে যুক্ত করেছে যেখানে অন্যান্য গণ মাধ্যমের উপস্থিতি খুবই সীমিতি। স্থানীয় ভাষা এবং উপভাষায় এখানে সম্প্রচার হয়, তাই স্থানীয় সম্প্রদায়ের উপরই এর বেশি প্রভাব পড়ে।

দেশে বর্তমানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কমিউনিটি রেডিওর সংখ্যা ১৩০টি। বেসরকারী রেডিওর সংখ্যা ১৪৩টি। কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্র পরিচালিত কমিউনিটি রেডিওর সংখ্যা ১৭টি। 

কমিউনিটি রেডিওকে সাহায্য করার জন্য সরকারের একটি বিদ্যমান ২৫ কোটি টাকার প্রকল্প রয়েছে, যার নাম ‘ভারতে কমিউনিটি রেডিও আন্দোলনকে সমর্থন’। চলতি বছরে এই প্রকল্পের জন্য ৪.৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে।

 

 


CG/SS/NS


(रिलीज़ आईडी: 1626318) आगंतुक पटल : 572
इस विज्ञप्ति को इन भाषाओं में पढ़ें: English , Urdu , Marathi , हिन्दी , Manipuri , Assamese , Punjabi , Gujarati , Odia , Tamil , Tamil , Telugu , Kannada , Malayalam