আদিবাসীবিষয়কমন্ত্রক

কোভিড – ১৯ এর ফলে উদ্ভুত পরিস্থিতিতে আদিবাসী সংগ্রহকারী এবং কারিগরদের জীবিকা ও নিরাপত্তা সুরক্ষিত করতে সরকারের গৃহীত উদ্যোগ

Posted On: 04 MAY 2020 1:45PM by PIB Kolkata

নতুন দিল্লি, ৪ মে, ২০২০

 



লকডাউনের ফলে আদিবাসী গোষ্ঠীভুক্ত কারিগররা যে সমস্যায় পড়েছেন, তার সমাধানের লক্ষ্যে সরকার, এই সব কারিগর এবং সংগ্রহকারীদের সাহায্য করার জন্য নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। আদিবাসী বিষয়ক মন্ত্রক, ছোটখাটো বনজ সম্পদের সহায়কমূল্য ইতিমধ্যেই বাড়িয়েছে। মন্ত্রকের অধীনস্থ সংস্থা ট্রাইফেড, ১০ লক্ষ আদিবাসী  কারিগরের পরিবারের সঙ্গে যুক্ত।  দেশজুড়ে লকডাউনের ফলে সমস্ত বাণিজ্যিক কাজকর্ম থেমে যাওয়ায় এই সব কারিগর অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছেন। তাঁদের উৎপাদিত পণ্য সামগ্রী বিক্রি হচ্ছে না। এর মধ্যে রয়েছে, বস্ত্রবয়ন শিল্পের নানা সামগ্রী, উপহার সামগ্রী, ধাতব অলঙ্কার, বন ধন প্রাকৃতিক সম্পদ, মাটির তৈরি সামগ্রী, বাঁশ ও বেতের তৈরি সামগ্রী ইত্যাদি। 


বেশিরভাগ আদিবাসী গোষ্ঠীভুক্ত কারিগর, এই সব জিনিস বিক্রির মাধ্যমে তাঁদের জীবিকা নির্বাহ করেন। লকডাউনের ফলে এগুলি বিক্রি না হওয়ায় তারা যে সমস্যায় পড়েছেন মন্ত্রক, সেগুলি কিনে নেবার জন্য ট্রাইফেডকে দায়িত্ব দিয়েছে। ট্রাইফেড, দেশজুড়ে এই সব কারিগরদের কাছ থেকে প্রায় ২৩ কোটি টাকার উৎপাদিত সামগ্রী সংগ্রহ করবে। এছাড়া এই সংস্থাটি বিভিন্ন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, শিল্প সংস্থা এবং বড় বড় কর্পোরেট হাউসের কাছে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই সব সামগ্রীর প্রদর্শন করবে। এর ফলে এগুলি দ্রুত বিক্রি হবার একটি সুযোগ তৈরি হবে। 


আদিবাসী কারিগরদের উৎপাদিত পণ্যের মধ্যে নানা উপহার সামগ্রী, বিভিন্ন সম্মেলনে ব্যবহৃত ফোল্ডার সহ নানা জিনিস, অফিসে সাজানো ডোকরা ও ছবি ছাড়াও মধু, সাবান, মশলাপাতি, চাল, জোয়ার, বাজরা, চা, কফির মতো বহু প্রাকৃতিক সম্পদ রয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, ইউনিসেফ ও স্বাস্থ্য এবং পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের পরামর্শ মেনে আদিবাসী কারিগররা মুখোস এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজারও তৈরি করেছেন। 


ট্রাইফেড, এই সব সামগ্রী সংগ্রহ করার সঙ্গে সঙ্গে আদিবাসী পরিবারগুলিকে শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে ৫ কেজি আটা, ২ কেজি ডাল, ৩ কেজি চাল, ৫০০ মিলিলিটার তেল, ১০০ গ্রাম হলুদ, ১০০ গ্রাম শুকনো লঙ্কাগুড়ো, ১০০ গ্রাম জিরে গুড়ো, ১০০ গ্রাম কালো সরষে, ১০০ গ্রাম তরকারির মশলা এবং ২ টি সাবান দিয়েছে। 


ট্রাইফেড, বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে এই সব কারিগর যাতে সহজ শর্তে ঋণ পান, তা নিয়ে আলোচনা করছে। এই সব দরিদ্র এবং প্রান্তিক সম্প্রদায়ের মানুষেরা কোভিড – ১৯ এর ফলে চূড়ান্ত সমস্যায় পড়েছেন। কারণ দেশের অনেক জায়গায় এই সময়ে সংগ্রহকারীরা বিভিন্ন বনজ সম্পদ সংগ্রহ করেন। তাঁদের নিরাপত্তার কথা ভেবে ট্রাইফেড, ১০ লক্ষ মাস্ক, সাবান, গ্লাভস এবং ২০ হাজার পিপিই কিট দিয়েছে যাতে তাঁরা এগুলি পরে তাঁদের কাজ করতে পারেন। 


ট্রাইফেড, ইউনিসেফের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে জাতীয় স্তরে ৯ এপ্রিল একটি ওয়েবিনারের আয়োজন করেছিল। যেখানে এই সব সংগ্রহকারীদের শারীরিক দূরত্ব, স্বাস্থ্য বিধি বজায় রাখার বিষয়ে ধারণা দেওয়া হয়। ট্রাইফেড, রাজ্যস্তরে ১৪ থেকে ১৭ এপ্রিল ওয়েবিনারের আয়োজন করে। যেখানে ইউনিসেফ, আঞ্চলিক ভাষায় এই জনগোষ্ঠীর মানুষদের ডিজিটাল পকেটবুক, অডিও মেসেজ সহ কোভিড – ১৯ এর বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানায়। কোভিড – ১৯ এর পরিস্থিতিতে ট্রাইফেড, বন ধন বিকাশ কেন্দ্রর সদস্যদের আদিবাসী  কারিগরদের থেকে পণ্য সামগ্রী সংগ্রহ করার সময় যথাযথ সুরক্ষা ব্যবস্থা বজায় রাখার ব্যাপারে পরামর্শ দিয়েছে। 

 

 


CG/CB/SFS



(Release ID: 1620969) Visitor Counter : 224