অসামরিকবিমানপরিবহণমন্ত্রক

লাইফলাইন (এউ ডি এ এন) উড়ান বিমান পরিষেবার মাধ্যমে জোরহাট, লেঙপুই, ডিমাপুর, ইম্ফল সহ উত্তর পূর্ব ভারতের বিভিন্ন অংশে চিকিৎসা সরঞ্জাম সরবরাহ করা হচ্ছে


অসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রক প্রতিদিন চিন্তন এবং মন্থন বৈঠক করে আগাম পরিকল্পনা এবং কর্মসূচী পর্যালোচনা করছে

১৫২টি লাইফলাইন উড়ান বিমান পরিষেবার মাধ্যমে সারা ভারতে ২০০ টনের বেশি চিকিৎসা সরঞ্জাম সরবরাহ করা হয়েছে

Posted On: 07 APR 2020 5:03PM by PIB Kolkata

নতুন দিল্লি, ৭ এপ্রিল, ২০২০

 

 

 

কোভিড-১৯ সংক্রমণ প্রতিরোধের লড়াইতে,দেশের প্রতিটি অংশে চাহিদা অনুযায়ী চিকিৎসা সামগ্রী পৌঁছে দিতে লাইফলাইন উড়ান পরিষেবা সব রকম প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এ ক্ষেত্রে অসামরিক বিমান চলাচলের যাবতীয় পরিকাঠামো ব্যবহার করা হচ্ছে। অসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রক এ জন্য অগ্রিম পরিকল্পনা করতে অন লাইন বৈঠকের মাধ্যমে যুদ্ধ কালীন তৎপরতায় কাজ করে চলেছে।


অসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রক,প্রতিদিন সকাল ৮ টায় কর্মপরিকল্পনা ঠিক করতে এবং গত দিনের কাজের অগ্রগতি খতিয়ে দেখতে চিন্তন বৈঠক করছে। আবার বিকাল ৩টায় মন্থন বৈঠক করে সারা দিনের কাজের পর্যালোচনা করে, কাজের কোথাও কোনো পরিবর্তনের প্রয়োজন আছে কিনা সেটা খতিয়ে দেখছে। এই বৈঠক গুলিতে আগাম পরিকল্পনার পাশাপাশি প্রয়োজন এবং বিলি ব্যবস্থাপনা ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।


অসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রকের অধীনে লাইফলাইন উড়ান বিমান পরিষেবার মাধ্যমে আজ পর্যন্ত ১৫২ টি পণ্যবাহী বিমান চলাচল করেছে। মূলত দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে এবং বিশেষ করে পাহাড়ি অঞ্চলে চিকিৎসা সরঞ্জাম সরবরাহ করতে এই বিমান পরিষেবাকে কাজে লাগানো হচ্ছে। এই লকডাউন পরিস্থিতিতে এয়ার ইন্ডিয়া, এল্যায়েন্স এয়ার, ভারতীয় বিমান বাহিনী এবং অসরকারি বিমান সংস্থা গুলির সাহায্যে আজ পর্যন্ত ২০০ টন চিকিৎসা সরঞ্জাম পাঠানো সম্ভব হয়েছে।


৬ই এপ্রিল ২০২০, পর্য্যন্ত লাইফলাইন উড়ান পরিষেবার মাধ্যমে আই সি এম আর - এর কিট, এইচ এল এল -এর নির্ধারিত কাজ এবং অন্যান্য অত্যাবশ্যক পণ্য পরিবহন করা হছে মূলত উত্তর পূর্ব ভারতের বিভিন্ন অংশে, মধ্য ও পূর্ব ভারতের রাজ্য গুলিতে। এর বিস্তারিত বিবরণ নিচে দেওয়া হলো:-

**লাইফলাইন ১ (আই এ এফ) দিল্লি-রাঁচি-পাটনা-রায়পুর-জোরহাট-লেঙ্পুই-ইম্ফল-ডিমাপুর-গুয়াহাটি বিমান পরিবহন করেছে, গুয়াহাটির জন্য ৫০ কিলো গ্রাম আই সি এম আর কিট, অসমের জন্য ৮০০ কিলোগ্রাম রেড ক্রশ সামগ্রী সহ অন্যান্য সামগ্রী, মেঘালয়ের জন্য ৬৭২ কিলোগ্রাম, মণিপুর, নাগাল্যান্ড এর জন্য সামগ্রী, আই সি এম আর সামগ্রী ডিব্রুগড় ও মিজোরামের জন্য ৩০০ কিলোগ্রাম, রাঁচির জন্য ৫০০ কিলোগ্রাম এবং পাটনার জন্য ৫০০ কিলোগ্রাম আই সো এম আর কিট।

 


**লাইফলাইন ২ এল্যায়েন্স এয়ার(এ টি আর) দিল্লী-বারানসী-রায়পুর-হায়দ্রাবাদ-দিল্লী বিমান পরিবহন করেছে, বারানসীর জন্য ৫০ কিলোগ্রাম, রায়পুরের জন্য ৫০ কিলোগ্রাম, হায়দরাবাদের জন্য ৫০ কিলোগ্রাম, বিজয়ওয়াধার জন্য ৫০ কিলোগ্রাম আই সি এম আর কিট এবং তার সঙ্গে হায়দ্রাবাদের জন্য অন্যান্য সামগ্রী ১৬০০ কিলোগ্রাম।
 


**লাইফলাইন ৩ এয়ার ইন্ডিয়া(এ ৩২০) মুম্বাই-ব্যাঙ্গালোর-চেন্নাই-মুম্বাই বিমান পরিবহন করেছে ব্যাঙ্গালোরের জন্য বস্ত্র মন্ত্রকের বেশ কিছু সামগ্রী এবং এইচ এল এল-এর সামগ্রী।চেন্নাইয়ের জন্য এইচ এল এল-এর সামগ্রী।



**লাইফলাইন ৪ স্পাইস জেট এস জি(৭০৬১) দিল্লী-চেন্নাই বিমানে চেন্নাই এর জন্য আই সি এম আর-এর কিট সরবরাহ করা হয়েছে।
 


** লাইফলাইন ৫ এ আই চার্টার (এ ৩২০) দিল্লী-দেরাদুন বিমানে দেরাদুনের জন্য আই সি এম আর কিট পাঠানো হয়েছে।



প্রতিদিনের বিমান চলাচলের খতিয়ান নিচে দেওয়া হলো:-

(১) ২৬,০৩,২০২০ এয়ার ইন্ডিয়ার ২টি, স্পাইস জেটের ২টি। মোট ৪টি।
(২) ২৭,০৩,২০২০ এয়ার ইন্ডিয়ার ৪টি, এল্যায়েন্স ৯টি, ভারতীয় বিমান বাহিনীর ১টি। মোট ১৪ টি ।
(৩) ২৮,০৩,২০২০ এয়ার ইন্ডিয়ার ৪ টি, এল্যায়েন্সের ৮টি, ইন্ডিগোর ৬টি। মোট ১৮টি।
(৪) ২৯,০৩,২০২০ এয়ার ইন্ডিয়ার ৪টি, এল্যায়েন্স এয়ারের ১০টি, বিমান বাহিনীর ৬টি। মোট ২০ টি।
(৫) ৩০,০৩,২০২০ এয়ার ইন্ডিয়ার ৪টি, ভারতীয় বিমান বাহিনীর ৩টি। মোট ৭টি।
(৬) ৩১,০৩,২০২০ এয়ার ইন্ডিয়ার ৯টি, এল্যায়েন্স এয়ারের ২টি, বিমান বাহিনীর ১টি। মোট ১২টি।
(৭) ০১,০৪,২০২০ এয়ার ইন্ডিয়ার ৩টি, এল্যায়েন্সের ৩টি, ভারতীয় বিমান বাহিনীর ৪টি। মোট ১০টি।
(৮) ০২,০৪,২০২০ এয়ার ইন্ডিয়ার ৪টি, এল্যায়েন্সের ৫টি, ভারতীয় বিমান বাহিনীর ৩টি। মোট ১২টি।
(৯) ০৩,০৪,২০২০ এয়ার ইন্ডিয়ার ৮ টি, ভারতীয় বিমান বাহিনীর ২টি। মোট ১০টি।
(১০) ০৪,০৪,২০২০ এয়ার ইন্ডিয়ার ৪টি, এল্যায়েন্সের ৩টি, ভারতীয় বিমান বাহিনীর 2টি। মোট ৯টি।
(১১) ০৫,০৪,২০২০ ভারতীয় বিমান বাহিনীর ১৬টি।
(১২) ০৬,০৪,২০২০ এয়ার ইন্ডিয়ার ৩টি, এল্যায়েন্সের ৪টি, ভারতীয় বিমান বাহিনীর ১৩টি। মোট ২০টি বিমান চলাচল করেছ।
সেক্ষেত্রে এয়ার ইন্ডিয়ার মোট বিমান সংখ্যা ৪৯, এল্যায়েন্স এয়ারের মোট উড়ান সংখ্যা ৪৪, ভারতীয় বিমান বাহিনীর মোট বিমান ৫১, ইন্ডিগোর ৬ এবং স্পাইস জেটের ২টি। মোট ১৫২ টি উড়ান।

 


এয়ার ইন্ডিয়া এবং ভারতীয় বিমান বাহিনী একযোগে কাজ করেছে লাদাখ, কার্গিল, ডিমাপুর, ইম্ফল, গুয়াহাটি, চেন্নাই, আহমেদাবাদ, পাটনা, জোরহাট, লেঙ্পুই, মহীশূর, হায়দ্রাবাদ, রাঁচি, জম্মু, শ্রীনগর, চণ্ডীগড় এবং পোর্ট ব্লেয়ার জন্য।


উড়ান ক্ষেত্রগুলি ছিল : গুয়াহাটি, ডিব্রুগড়, আগরতলা, আইজল, ডিমাপুর, ইম্ফল, জোরহাট, লেঙ্পুই, মহীশূর, কযেম্বাতুর, ত্রিবান্দাম, ভুবনেশ্বর, রায়পুর, রাঁচী, শ্রীনগর, পোর্ট ব্লেয়ার, পাটনা, কোচিন, বিজয়ওয়াড়া, আহমেদাবাদ, জম্মু, কার্গিল, লাদাখ, চণ্ডীগড় এবং গোয়া।



বিমান গুলি মোট ১,৩২,০২৯ কিলোমিটার পাড়ি দিয়েছে।
০৬,০৪,২০২০ তে পণ্য বহন করেছে ১৫.৫৪ টন।
০৬,০৪,২০২০ পর্যন্ত মোট পণ্য বহন করেছে ২০০.২০ টন।


আন্তর্জাতিক:-
দিল্লী এবং সাংহাইয়ের মধ্যে একটি এয়ার ব্রিজ স্থাপন করা হয়েছে। প্রথমে গত ৪ ঠা এপ্রিল, এয়ার ইন্ডিয়ার পণ্যবাহী বিমানে চীন থেকে ২১ টন চিকিৎসা সরঞ্জাম নিয়ে আসা হয়েছে। হংকংয়েও অপর একটি বিমান পাঠানো হয়েছে। পরবর্তীকালে প্রয়োজনে চীন থেকে চিকিৎসা সামগ্রী আনতে এয়ার ইন্ডিয়ার পণ্যবাহী বিমান চলাচল করবে।


অসরকারি বিমান সংস্থা:
অন্তর্দেশীয় পণ্যবাহী বিমান সংস্থা;ব্লু ডার্ট, স্পাইস জেট এবং ইন্ডিগো বানিজ্যিক ভাবে পণ্য পরিবহণ করছে। স্পাইস জেট গত ২৪শে মার্চ থেকে ৬ই এপ্রিল২০২০ পর্যন্ত ১৮৯ টি বিমানে, ২,৫৮,২১০ কিলোমিটার আকাশ পথ পাড়ি দিয়ে ১৫৩০,১৩ টন পণ্য পরিবহন করেছে। এর মধ্যে রয়েছে ৫৩ টি আন্তর্জাতিক পণ্য বিমান। ২৫শে মার্চ থেকে ৬ই এপ্রিল ২০২০ পর্যন্ত ব্লু ডার্ট ৫৮ টি পণ্যবাহী বিমানে ৫৫,১১৪ কিলোমিটার আকাশ পথে ৮৬২,২ টন পণ্য সরবরাহ করেছে। ইন্ডিগো বিমান সংস্থা ৩রা ও ৪ঠা এপ্রিল ২০২০তে ৮টি বিমানে ৬১০৩ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে ৩,১৪ টন পণ্য সরবরাহ করেছে।

 

 


CG/PPM


(Release ID: 1612098) Visitor Counter : 263