জাহাজচলাচলমন্ত্রক

দেশে কোভিড-১৯ পরিস্থিতি এবং লকডাউনের প্রেক্ষিতে সুষ্ঠুভাবে জাহাজ চলাচল অব্যাহত রাখতে জাহাজ পরিবহণ মন্ত্রক সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছে

Posted On: 07 APR 2020 12:45PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ০৭ এপ্রিল, ২০২০

 

 


কোভিড-১৯ এর প্রেক্ষিতে অভূতপূর্ব সঙ্কট মোকাবিলায় জাহাজ চলাচল এবং বন্দরের স্বাভাবিক কাজকর্ম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য জাহাজ পরিবহণ মন্ত্রক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে।


দেশের প্রধান বন্দরগুলিতে গত বছরের এপ্রিল থেকে এ বছরের মার্চ পর্যন্ত ৭০৪.৬৩ মিলিয়ন টন পণ্য চলাচল করেছে। কন্টেনার পরিবহণের পরিমানও এই সময়ে ১.০২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। গত মার্চ মাসে মোট পণ্য পরিবহনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬১ হাজার ১২০ টনে। দেশীয় বন্দরগুলিতে ২০১৯-২০’তে ২০ হাজার ৮৩৭টি জাহাজ বন্দরে নোঙর করেছে।


কোভিড-১৯ মোকাবিলায় জাহাজ পরিবহণ মন্ত্রক ও বন্দর কর্তৃপক্ষগুলি যাত্রীদের জন্য থার্মাল স্ক্রিনিং শুরু করেছে। গত ২৭শে জানুয়ারি থেকে ৪ঠা এপ্রিল পর্যন্ত ৪৬ হাজারেরও বেশি যাত্রীর থার্মাল স্ক্রিনিং করা হয়েছে। জাহাজ পরিবহণ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে গত ৩১শে মার্চ জারি করা এক নির্দেশে দেশের প্রধান বন্দর কর্তৃপক্ষগুলিকে বন্দর ব্যবহারকারীদের স্বার্থে জরিমানা, ড্যামারেজ, মাশুল ও ভাড়ায় ছাড় দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এই প্রেক্ষিতে বন্দর কর্তৃপক্ষগুলি বন্দর ব্যবহারকারীদের পণ্য ওঠা-নামা, মজুত করে রাখা, পণ্য খালাস করা প্রভৃতি খাতে শুল্ক আরোপ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। লকডাউন চলাকালীন সময়ে এই সুবিধা পাওয়া যাবে। এছাড়াও, মন্ত্রক সরকারি ও বেসরকারি অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে রূপায়িত প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধির একটি প্রস্তাবও অনুমোদন করেছে। এর ফলে, সংশ্লিষ্ট বন্দর কর্তৃপক্ষগুলি রূপায়িত প্রকল্পের কাজ শেষ করার জন্য সময়সীমা বাড়াতে পারবে।
বন্দর কর্তৃপক্ষের হাসপাতালগুলিতে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মীদের জন্য ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী সরবরাহ করা হয়েছে। কয়েকটি বন্দর হাসপাতালে কোভিড-১৯ চিকিৎসা তথা রোগীদের প্রবেশ ও প্রস্থানের ব্যবস্থা করা হয়েছে।


মন্ত্রকের বন্দর ও রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলি পিএম-কেয়ার্স তহবিলে ৫২ কোটি টাকারও বেশি দান করেছে। একইভাবে, বন্দর ও রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলির কর্মচারীরা তাঁদের বেতন থেকে পিএম-কেয়ার্স তহবিলে ৭ কোটি টাকারও বেশি দান করেছেন।

 

 


CG/BD/SB



(Release ID: 1611977) Visitor Counter : 161