প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর
ইথিওপিয়ায় সংসদের যৌথ অধিবেশনে ভাষণ প্রধানমন্ত্রীর
प्रविष्टि तिथि:
17 DEC 2025 3:08PM by PIB Kolkata
নয়াদিল্লি, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২৫
ইথিওপিয়ার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী,
সংসদের উভয় কক্ষের সম্মানীয় অধ্যক্ষগণ,
মাননীয় সদস্যগণ
এবং
আমার প্রিয় ইথিওপিয়ার ভাই ও বোনেরা,
আপনাদের কাছে আসতে পারা আমার কাছে এক বড় মুহূর্ত। এখানে আমি নিজের ঘরের সঙ্গে একাত্মতাবোধ করছি। ইথিওপিয়া সিংহের দেশ। আমার নিজের রাজ্য গুজরাটও সিংহের বিচরণ ভূমি।
গণতন্ত্রের এই মন্দিরে আসতে পেরে আমি সম্মানিত বোধ করছি। ১৪০ কোটি ভারতবাসীর হয়ে আমি আপনাদের কাছে বন্ধুত্বের, সৌভ্রাতৃত্বের শুভেচ্ছা নিয়ে এসেছি।
तेना इस्तील्लीन
सलाम
সম্মানিত সদস্যবৃন্দ,
এই বিশালকায় ভবনে আপনাদের আইন তৈরি হয়। এখানে মানুষের ইচ্ছাই রাষ্ট্রের ইচ্ছা হয়ে ওঠে। রাষ্ট্র এবং মানুষের ইচ্ছা যখন মিলেমিশে এক হয়ে যায়, তখন অগ্রগতির চাকা সামনের দিকে ঘুরতে থাকে।
গতকাল আমাকে এখানকার সর্বোচ্চ সম্মান ‘নিশান অফ ইথিওপিয়া’ প্রদান করেছেন আমার প্রিয় বন্ধু প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ। ভারতের মানুষের হয়ে আমি এই সম্মান গ্রহণ করেছি।
आम सग्नालो
মাননীয় সদস্যবৃন্দ,
মানব ইতিহাসে অন্যতম প্রাচীন সভ্যতা হ’ল – ইথিওপিয়া। এখানকার পাহাড়-পর্বত, উপত্যকা এবং মানুষের হৃদয় ইতিহাসের পাতায় জীবন্ত হয়ে ওঠে। পুরনো ও নতুনের সংমিশ্রণ... প্রাচীন জ্ঞান ও আধুনিক আকাঙ্ক্ষার মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা... এটাই ইথিওপিয়ার প্রকৃত শক্তি। আমাদের সভ্যতাও প্রাচীন এবং আমরা দৃঢ় বিশ্বাস নিয়ে ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে চলেছি।
আমরা ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস, সবকা প্রয়াস’ – এর ডাক দিয়েছি। ভারতের জাতীয় গান ‘বন্দে মাতরম’ এবং ইথিওপিয়ার জাতীয় সঙ্গীতে দেশ’কে মায়ের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে। এই সঙ্গীত আমাদের ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং মাতৃভূমিকে রক্ষার জন্য প্রেরণা জোগায়।
মাননীয় সদস্যবৃন্দ,
ভারতে আমরা বলি, ‘বসুধৈব কুটুম্বকম’ অর্থাৎ ‘গোটা বিশ্ব এক পরিবার’। এটি রাজনীতি, দেশের সীমান্তের বিভেদ দূর করে আমাদের এক হতে শেখায়। ভারত ও ইথিওপিয়ার জলবায়ুও প্রায় একই ধরনের।
প্রায় ২ হাজার বছর আগে আমাদের পূর্ব পুরুষরা দুই দেশের মধ্যে যোগসূত্র গড়ে তুলেছিলেন। আধুনিককালে আমাদের সম্পর্ক এক নতুন যুগে প্রবেশ করেছে। ১৯৪১ সালে ইথিওপিয়ার স্বাধীনতার জন্য ভারতীয় সৈন্যরা লড়াই করেছিলেন। এর কিছুকাল পরেই ভারত স্বাধীন হয় এবং দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক তৈরি হয়। যদিও এখানে ভারতীয় দূতাবাস স্থাপনের বহু আগে থেকেই দুই দেশের মানুষ একসঙ্গে নতুন অধ্যায় লিখতে শুরু করেছিলেন।
হাজার হাজার ভারতীয় শিক্ষক ইথিওপিয়ায় এসেছিলেন, তাঁরা এখানকার শিশুদের শিক্ষা দিতে থাকেন। তাঁরা ইথিওপিয়ার বিদ্যালয় এবং মানুষের মনে জায়গা করে নেন। একইভাবে, ইথিওপিয়ার পড়ুয়ারাও জ্ঞান ও বন্ধুত্বের খোঁজে ভারতে পাড়ি দিয়েছিলেন। তাঁরা ছাত্র হিসেবে ভারতে গিয়েছিলেন এবং আধুনিক ইথিওপিয়ার স্থপতি হিসেবে দেশে ফিরে আসেন। আমি জানতে পেরেছি যে,
মাননীয় স্পিকার সহ তাঁদের কেউ কেউ এখন এই সংসদে হাজির রয়েছেন। দুই দেশের মানুষের মধ্যে বন্ধন গড়ে তোলার ক্ষেত্রেও তাঁরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছেন।
মাননীয় সদস্যবৃন্দ,
আজ ইথিওপিয়ায় বিদেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে এগিয়ে রয়েছে ভারতীয় সংস্থাগুলি। বস্ত্র, উৎপাদন, কৃষি, স্বাস্থ্য এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভারতীয় সংস্থাগুলি এখানে ৫ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি বিনিয়োগ করেছে। সেইসঙ্গে, স্থানীয়ভাবে ৭৫ হাজারেরও বেশি কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। আমরা ঠিক করেছি যে, আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে কৌশলগত অংশীদারিত্বের পর্যায়ে নিয়ে যাব। প্রযুক্তি, উদ্ভাবন, খননকার্য এবং পরিবেশ-বান্ধব শক্তির ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতাকে এগিয়ে নিয়ে যাব।
মাননীয় সদস্যবৃন্দ,
উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে পরস্পরের কাছে আমাদের অনেক কিছু শিখতে হবে। দুই দেশের মেরুদন্ড হ’ল – কৃষি। এর মাধ্যমে আমাদের দেশের মানুষ, আমাদের কৃষকরা বেঁচে থাকেন। ভারতে আমরা ডিজিটাল গণ পরিকাঠামো তৈরি করেছি। এটি মানুষের জীবনযাত্রা বদলে দিয়েছে। আজ প্রতিটি ভারতীয় নাগরিক লেনদেনের ক্ষেত্রে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারেন। বিশ্বের ডিজিটাল লেনদেনের অর্ধেকেরও বেশি হয়ে থাকে ভারতে।
ডিজিটাল ইথিওপিয়া ২০২৫ গড়ার ক্ষেত্রেও আমরা আমাদের প্রযুক্তি বিনিময় করতে প্রস্তুত। ভারতের ওষুধ ক্ষেত্র বিশ্বে বিশেষভাবে পরিচিত। কোভিড অতিমারীর সময়ে আমরা ১৫০টিরও বেশি দেশে ওষুধ ও টিকা পাঠিয়েছি। ইথিওপিয়াতেও আমরা ৪০ লক্ষেরও বেশি টিকার ডোজ পাঠিয়েছিলাম। আমি খুশি যে, স্বাস্থ্য পরিচর্যার ক্ষেত্রে আমাদের সহযোগিতা বাড়ছে। এই সহযোগিতাকে আমরা আরও মজবুত করতে চাই।
মাননীয় সদস্যবৃন্দ,
আঞ্চলিক শান্তি, সুরক্ষা এবং যোগাযোগের ক্ষেত্রে আমরা পরস্পরের অংশীদার। এ বছরের গোড়ার দিকে স্বাক্ষরিত প্রতিরক্ষা সহযোগিতা চুক্তি এই পারস্পরিক সুরক্ষার ক্ষেত্রে আমাদের অঙ্গীকারকে আরও মজবুত করেছে। এই চুক্তিতে সাইবার সুরক্ষা, প্রতিরক্ষা শিল্প, যৌথ গবেষণা এবং সক্ষমতা নির্মাণের উপর জোর দেওয়া হয়েছে।
প্রকৃতপক্ষে, অখন্ডতা এবং পারস্পরিক সহযোগিতাই আমাদের শক্তি। গ্লোবাল সাউথ -এর দেশ হিসেবে, প্রাচীন সভ্যতা হিসেবে, পরস্পরের বন্ধু হিসেবে ভারত ও ইথিওপিয়া পরস্পরের পাশে দাঁড়িয়েছে। গ্লোবাল সাউথ তার নিজের ভাগ্য নিজেই তৈরি করছে। আমরা এমন এক বিশ্ব গড়তে চাই, যেখানে গ্লোবাল সাউথ কারোর বিরুদ্ধে নয়, প্রত্যেকের জন্য কাজ করবে। এমন এক বিশ্ব গড়তে চায়, যেখানে উন্নয়নের পাশাপাশি প্রযুক্তি সহজলভ্য হবে, পরস্পরের সার্বভৌমত্বকে সম্মান করা হবে। সেই কারণে, ভারত গ্লোবাল ডেভেলপমেন্ট কম্প্যাক্ট গড়ার উপর জোর দিয়েছে।
মাননীয় সদস্যগণ,
আমার চা প্রীতি সম্পর্কে সকলেই জানেন। ইথিওপিয়ায় এসে কফির নাম উল্লেখ না করা অসম্ভব। এটি আপনাদের বিশ্বকে বড় উপহার। ইথিওপিয়ায় কফি অনুষ্ঠানে মানুষ একসঙ্গে বসেন, সময়ের গতি শ্লথ হয়ে আসে এবং বন্ধুত্ব গাঢ় হয়। ভারতেও কথা বলা, পারস্পরিক ভাব বিনিময়ের সময়ে এক কাপ চা অপরিহার্য। ইথিওপিয়ায় যেমন কফি, ভারতে তেমনই চা, আমাদের বন্ধুত্ব আরও মজবুত হয়ে ওঠে।
আমি এক গভীর কৃতজ্ঞতার অনুভূতি নিয়ে আপনাদের সামনে, ভাই ও বোনেদের সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছি। ভবিষ্যৎ ডাক দিচ্ছে এবং ভারত ও ইথিওপিয়া জবাব দিতে প্রস্তুত। বন্ধু হিসেবে আমরা সফল হব।
এই সংসদে বক্তব্য পেশের সুযোগ দেওয়ার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ, আপনাদের বন্ধুত্বকে ধন্যবাদ, আপনাদের বিশ্বাসকে ধন্যবাদ।
तब्बारकु
देना हुन्नु
आम सग्नालो
ধন্যবাদ।
SC/MP/SB
(रिलीज़ आईडी: 2205446)
आगंतुक पटल : 7