সংস্কৃতিমন্ত্রক
azadi ka amrit mahotsav

সংস্কৃতি মন্ত্রকের ২০২৫ সালতামামি

प्रविष्टि तिथि: 10 DEC 2025 2:21PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ১০ ডিসেম্বর, ২০২৫

 

২০২৫ সালে সংস্কৃতি মন্ত্রকের প্রধান প্রধান উদ্যোগ এবং সাফল্যের খতিয়ান :

তামিলনাড়ু এবং কাশীর মধ্যে সাংস্কৃতিক ও সভ্যতার বন্ধন উদযাপনের জন্য ১৫ থেকে ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ পর্যন্ত বারাণসীতে কাশী তামিল সঙ্গমম ৩.০ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ৮৬৯ জনেরও বেশি শিল্পী এবং ১৯০টি ধ্রুপদী গোষ্ঠীর নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশনার মাধ্যমে, কাশী তামিল সঙ্গমম ৩.০ প্রায় ২ লক্ষ দর্শনার্থীকে আকৃষ্ট করে। এই উদ্যোগ সাংস্কৃতিক বন্ধনকে শক্তিশালী করে। এর মাধ্যমে এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারতের চেতনার প্রচার করা হয়। 

সংস্কৃতি মন্ত্রক ৭ নভেম্বর ২০২৫ তারিখে নতুনদিল্লির ইন্দিরা গান্ধী ইন্ডোর স্টেডিয়ামে জাতীয় স্তোত্র "বন্দে মাতরম"-এর ১৫০ বর্ষ উদযাপনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। ৭ নভেম্বর ২০২৫ থেকে ৭ নভেম্বর ২০২৬ পর্যন্ত বর্ষব্যাপী দেশজুড়ে নানা কর্মসূচী পালন করা হবে। বন্দে মাতরম ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনকে অনুপ্রাণিত করেছে, জাতীয় গর্ব ও ঐক্যের চেতনাকে উদ্বুদ্ধ করেছে।  কালজয়ী এই রচনার ১৫০ বছর উদযাপন উপলক্ষ্যে মন্ত্রক https://vandemataram150.in/ ওয়েবসাইটে প্রচার শুরু করেছে। ১ কোটি ৬০ লক্ষের বেশী ভারতীয় ইতিমধ্যেই বন্দে মাতরম স্তোত্রটি স্বকন্ঠে রেকর্ড করেছেন।

তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডঃ এল মুরুগন সাংস্কৃতিক মন্ত্রকের উদ্যোগে জাতীয় স্তোত্রের ১৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানেও অংশ নেন।

এ বছরের সাধারণতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে সংস্কৃতি মন্ত্রক ‘জয়তি জয় মামাহ ভারতম’ – এই ভাবনায় তাদের ট্যাবলো উপস্থাপিত করে। ভারতের আদিবাসীদের গৌরবোজ্জ্বল ঐতিহ্যকে এর মাধ্যমে তুলে ধরা হয়। 

সংস্কৃতি মন্ত্রক প্রয়াগরাজে মহাকুম্ভ চলার সময় কলাগ্রাম স্থাপন করে। কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রী ১২ জানুয়ারি এর উদ্বোধন করেন। দেশের বিভিন্ন প্রান্তের শিল্পীরা ৪৫ দিন ধরে এখানে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। এর পাশাপাশি হস্তশিল্পীরাও তাঁদের তৈরি সামগ্রী নিয়ে হাজির হন এই কলাগ্রামে। ১৫ হাজারের বেশি শিল্পী এবং হস্তশিল্পী অনুষ্ঠানে যোগদান করেন। 

গৌড়ীয় মিশনের প্রতিষ্ঠাতা শ্রীল প্রভুপাদের ১৫০তম আবির্ভাব উপলক্ষে সারা বছর ধরে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। কলকাতার সায়েন্স সিটিতে ২৮ ফেব্রুয়ারি সমাপ্তি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপ-রাষ্ট্রপতি। এই উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে শ্রীল প্রভুপাদের জীবনদর্শন নিয়ে এক প্রদর্শনীরও আয়োজন করা হয়। 

তামিলনাড়ুর কাম্ভো রামায়ণের ঐতিহ্যকে জনপ্রিয় করে তুলতে মন্ত্রক শ্রীরঙ্গম মন্দিরে বিশেষ উৎসবের আয়োজন করে। ১৮ মার্চ এই উৎসবের উদ্বোধন করা হয়। এরপর, ৬ এপ্রিল রামনবমীর দিনে কাম্বান মেড়ুতে কাম্ভো রামায়ণের ফাইনাল অনুষ্ঠিত হয়। ২০টি মন্দিরে এর আগে এই রামায়ণ গানের বিশেষ ধারা উপস্থাপিত করা হয়েছে। 

৩১ মে মধ্যপ্রদেশ সরকারের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে সংস্কৃতি মন্ত্রক ভোপালের জাম্বুরি ময়দানে লোকমাতা অহল্যাবাঈ হোলকারের ৩০০তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করে। প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী এই উপলক্ষে স্মারক ডাকটিকিট ও মুদ্রা প্রকাশ করেন। আদিবাসী সঙ্গীত ও সংস্কৃতি সংরক্ষণের ক্ষেত্রে বিশেষ স্বীকৃতিস্বরূপ ডঃ জয়মাতী কাশ্যপকে প্রধানমন্ত্রী দেবী অহল্যাবাঈ পুরস্কারে ভূষিত করেন।

মন্ত্রক দিল্লি সরকারের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে নতুন দিল্লির ত্যাগরাজ স্টেডিয়ামে ২৫ জুন ‘সংবিধান হত্যা দিবস’ উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। ১৯৭৫ সালে এই দিনে দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়। এ বছর ছিল তার ৫০তম বার্ষিকী। আমাদের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে রক্ষার জন্য এবং সাংবিধানিক অধিকারকে লালিত করতে এই দিনটির গুরুত্ব এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়। 

সংস্কৃতি মন্ত্রক চোল সম্রাট রাজেন্দ্র চোলের জন্মদিন উপলক্ষে তামিলনাড়ুর গঙ্গাইকোন্ডা চোলপুরমে আদি থিরুভাথিরাই উৎসবের আয়োজন করে। জুলাই মাসের ২৩-২৭ তারিখ পর্যন্ত এই উৎসবের আয়োজন করা হয়। চোল সাম্রাজ্যের সমুদ্রপথে ব্যবসা-বাণিজ্যের হাজার বছরের পুরনো ইতিহাস এই অনুষ্ঠানে তুলে ধরা হয়। উৎসবের শেষ দিনে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী উপস্থিত ছিলেন।

নতুন দিল্লির সিরি ফোর্ট অডিটোরিয়ামে ৯ জুলাই ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের ১২৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বর্ষব্যাপী উদযাপনের সূচনা করা হয়। অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি ও পর্যটন মন্ত্রী প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের স্মরণে স্মারক ডাকটিকিট ও মুদ্রা প্রকাশিত হয়। 

উত্তরপ্রদেশের পিপরাওয়াতে ১৮৯৮ সালে ভগবান বুদ্ধের পবিত্র স্মৃতিচিহ্ন পাওয়া যায়। এই স্মৃতিচিহ্ন সোতবে-তে নিলামে তোলার প্রক্রিয়া শুরু হয়। কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রক এই নিলাম প্রক্রিয়া বন্ধের জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ শুরু করে। ১২৭ বছর পর এই পবিত্র স্মৃতিচিহ্ন ৩০ জুলাই ভারতে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়। 

ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্য রক্ষা কমিটির ৪৭তম বৈঠকে মারাঠা প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত স্থাপত্যকে ভারতের ঐতিহ্যশালী স্থানের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিদেশ মন্ত্রকের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে সংস্কৃতি মন্ত্রক এই সংস্থার সদস্য রাষ্ট্রগুলির কাছে তদ্বির করার পর এই সাফল্য অর্জিত হয়েছে। ভারতে এটি ৪৪তম স্থাপত্য যা এই তালিকার অন্তর্ভুক্ত হল। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ইউনেস্কোর ঐতিহ্যশালী স্থান রয়েছে অনেকগুলি। সেই দেশগুলির ক্রমতালিকায় ভারত ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে। 

১৫ আগস্ট ভারতের ৭৯তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপিত হয়েছে। এবারের মূল অনুষ্ঠানের প্রধান ভাবনা ছিল – ‘নয়া ভারত’। স্বাধীনতা সংগ্রামীদের অবদানকে স্মরণ করে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এই উপলক্ষে দেশজুড়ে ‘হর ঘর তিরঙ্গা’ কর্মসূচি পালন করা হয়। এই কর্মসূচির প্রথম পর্বে ২-৮ আগস্ট তিরঙ্গা রঙ্গোলি, ৯-১২ আগস্ট সেলফি বুথ গড়ে তোলা এবং তিরঙ্গা যাত্রার আয়োজন করা হয়। চূড়ান্ত পর্বে ১৩-১৫ আগস্ট বিভিন্ন স্মৃতিসৌধে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয় এবং তিনটি রং দিয়ে আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হয়। 

রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ ১ অক্টোবর তার শতবার্ষিকী উদযাপন করেছে। প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী এই উপলক্ষে ১০০ টাকার মুদ্রা প্রকাশ করেন। এই মুদ্রায় ভারতমাতার ছবি অঙ্কিত রয়েছে। এছাড়াও, তিনি একটি স্মারক ডাকটিকিট প্রকাশ করেন। ঐ ডাকটিকিটে ১৯৬৩ সালের সাধারণতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজের ছবি রয়েছে। এই কুচকাওয়াজে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের স্বেচ্ছাসেবকরা অংশ নিয়েছিলেন।

‘জ্ঞান ভারতম’ কর্মসূচির অঙ্গ হিসেবে সংস্কৃতি মন্ত্রক ভারতের পাণ্ডুলিপির ঐতিহ্যকে সংরক্ষণ করার উদ্যোগ নিয়েছে। বিভিন্ন পাণ্ডুলিপির ডিজিটালাইজেশনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়াও, নতুন দিল্লির বিজ্ঞান ভবনে ১১-১৩ সেপ্টেম্বর “রিক্লেমিং ইন্ডিয়াজ নলেজ লিগেসি থ্রু ম্যানুস্ক্রিপ্ট হেরিটেজ” – শীর্ষক এক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এই সম্মেলনে দেশ-বিদেশের ১,১০০ জন বিশেষজ্ঞ উপস্থিত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী ১২ সেপ্টেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে ‘জ্ঞান ভারতম’ ওয়েব পোর্টালের উদ্বোধন করেন। ২০৪৭ সালের মধ্যে উন্নত রাষ্ট্র গড়ে তোলার লক্ষ্যে বিকশিত ভারতের ভাবনায় ১৩ সেপ্টেম্বর দিল্লি ঘোষণাপত্র প্রকাশিত হয়। এর মধ্য দিয়ে পাণ্ডুলিপির ঐতিহ্যকে সংরক্ষণ করা এবং সেগুলিকে যথাযথভাবে প্রচার করার ক্ষেত্রে ভারতের অঙ্গীকার প্রতিফলিত হয়েছে।

১৭ সেপ্টেম্বর থেকে ২ অক্টোবর পর্যন্ত দেশজুড়ে সেবা পর্বের আয়োজন করা হয়। মন্ত্রক এর আওতায় ‘বিকশিত ভারত কি রং কলা কি সঙ্গ’ কর্মসূচির আয়োজন করে। এই কর্মসূচির মাধ্যমে দেশের ৭৫টি স্থানে বিভিন্ন কর্মশালার আয়োজন করা হয়। 

সংস্কৃতি মন্ত্রক ৩১ অক্টোবর রাষ্ট্রীয় একতা দিবসে সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের ১৫০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে একগুচ্ছ মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। প্রধানমন্ত্রী এই উপলক্ষে একটি স্মারক ডাকটিকিট ও মুদ্রা প্রকাশ করেন। মন্ত্রকের পশ্চিমাঞ্চলীয় সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ও সঙ্গীত নাটক অ্যাকাডেমি ‘লোহ পুরুষ নমস্তুভ্যাম’ – শীর্ষক একটি নৃত্যশৈলীর অনুষ্ঠান আয়োজন করে। এই অনুষ্ঠানে ৮০০-র বেশি শিল্পী অংশ নিয়েছিলেন। 

নতুন দিল্লির দ্বারকার যশোভূমিতে ১২ নভেম্বর ট্রাইবাল বিজনেস কনক্লেভের আয়োজন করা হয়। আদিবাসী বিষয়ক মন্ত্রক, শিল্পোৎসাহ ও অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য দপ্তর, শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রক এবং সংস্কৃতি মন্ত্রক যৌথভাবে ভগবান বিরসা মুন্ডার ১৫০তম জন্মদিবস উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। সংস্কৃতি মন্ত্রক ‘আদিবাসী ঐতিহ্য থেকে শিল্পোদ্যোগ : সুস্থায়ীভাবে শিল্পোদ্যোগকে উৎসাহিত করা’ শীর্ষক এক আলোচনাসভার আয়োজন করে। 

১৮ নভেম্বর কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রক দু’দিনের ‘প্রোজেক্ট মৌসম’ শীর্ষক এক জাতীয় কর্মশালার উদ্বোধন করেন। এই কর্মশালার মূল আলোচ্য বিষয় ছিল, ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে বিভিন্ন দ্বীপের মধ্যে সামুদ্রিক ব্যবসা-বাণিজ্য এবং সমুদ্রযাত্রা।

বৌদ্ধ ধর্মের ধাত্রীভূমি হিসেবে ভারত পরিচিত। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং ভারতের বৌদ্ধ সংস্কৃতির আদানপ্রদানের জন্য নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়। বিহারের বুদ্ধগয়ায় ২-১৩ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক ত্রিপিটক পাঠ উৎসবের আয়োজন করা হয়। এই উপলক্ষে জেঠিয়ান উপত্যকা থেকে রাজগীরের বেণুবনে পবিত্র বাঁশঝাড় পর্যন্ত ভগবান বুদ্ধের পদাঙ্ক অনুসরণ করে এক পদযাত্রার আয়োজন করা হয়। ১২ দিনের এই আধ্যাত্মিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রক, ইন্টারন্যাশনাল বুদ্ধিস্ট কনফেডারেশন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দ্য লাইট অফ বুদ্ধ ধর্ম ফাউন্ডেশন ইন্টারন্যাশনাল। 

নতুন দিল্লিতে ৮-১৩ ডিসেম্বর স্পর্শনাতীত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রক্ষার জন্য আন্তঃসরকারি কমিটির দ্বাদশ অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। ইউনেস্কোতে ভারতীয় প্রতিনিধিদলের স্থায়ী সদস্য এবং রাষ্ট্রদূত এই অধিবেশনের পৌরোহিত্য করেন।

 

SC/CB/DM..


(रिलीज़ आईडी: 2202318) आगंतुक पटल : 4
इस विज्ञप्ति को इन भाषाओं में पढ़ें: Tamil , English , Urdu , हिन्दी , Gujarati , Kannada , Malayalam