প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর
কৌশল দীক্ষান্ত সমারোহ অনুষ্ঠানে বিভিন্ন যুব-কেন্দ্রিক উদ্যোগের সূচনার পর প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের বঙ্গানুবাদ
Posted On:
04 OCT 2025 2:24PM by PIB Kolkata
নতুন দিল্লি, ৪ অক্টোবর ২০২৫
বিহারের জনপ্রিয় মুখ্যমন্ত্রী শ্রী নীতিশ কুমার; কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার আমার সহকর্মী জুয়াল ওরাম, রাজীব রঞ্জন, জয়ন্ত চৌধুরী, সুকান্ত মজুমদার; বিহারের উপ-মুখ্যমন্ত্রী সম্রাট চৌধুরী, বিজয় কুমার সিনহা; বিহার সরকারের মন্ত্রীগণ; সংসদে আমার সহকর্মী সঞ্জয় ঝা; অন্যান্য জনপ্রতিনিধি; এবং সারা দেশের আইটিআই প্রতিষ্ঠানের লক্ষ লক্ষ ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক; ভদ্রমহিলা ও ভদ্রমহোদয়গণ,
কয়েক বছর আগে, আমাদের সরকার আইটিআই শিক্ষার্থীদের জন্য বৃহৎ পরিসরে সমাবর্তন অনুষ্ঠানের একটি নতুন ঐতিহ্য শুরু করেছিল। আজ, আমরা আরেকবার এই ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতা প্রত্যক্ষ করছি। ভারতের প্রতিটি কোণ থেকে আগত সমস্ত তরুণ আইটিআই সহকর্মীদের আমি আমার শুভেচ্ছা জানাই!
বন্ধুগণ,
ভারত দক্ষতার উপর যে গুরুত্ব দেয় আজকের অনুষ্ঠান তার প্রতীক। আজ, সারা দেশের যুবক-যুবতীদের জন্য আরও দুটি প্রধান শিক্ষা এবং দক্ষতা উন্নয়ন প্রকল্প চালু করা হয়েছে।
বন্ধুগণ,
এই সমাবর্তনের পেছনের ভাবনা ছিল, শ্রমকে সম্মান জানানো। আমরা যদি শ্রমকে সম্মান না করি, যাঁরা তাঁদের দক্ষতা এবং সম্ভাবনা বিকাশের জন্য কাজ করছেন, তাঁদেরকে যদি জনজীবনে সম্মান না করা হয়, তাহলে তাঁরা সম্ভবত হীনমন্যতায় ভুগবেন। এটি একটি মানসিকতা পরিবর্তনের অভিযান। আমরা বলি "শ্রমেব জয়তে" এবং "শ্রমেব পূজ্যতে"। অতএব, একই অনুভূতি নিয়ে, সারা দেশের আইটিআই শিক্ষার্থীদেরও এই বিশ্বাস গড়ে তোলা উচিত যে তাঁরা এখানে এসেছেন, কারণ, তাঁদের আর কোথাও যাওয়ার নেই; এটি এমন নয়; এটি একটি অত্যন্ত উজ্জ্বল ভবিষ্যতের পথও। আর দক্ষতা জাতি গঠনে বিশাল ভূমিকা পালন করে। অতএব, আমি আমার সমস্ত আইটিআই সহকর্মীদের সমান সম্মানের সঙ্গে অভিনন্দন জানাই। আজ আরও দুটি বড় প্রকল্প চালু করা হয়েছে। ৬০,০০০ কোটি টাকার পিএম সেতু প্রকল্প আমাদের আইটিআইগুলিকে শিল্পের সঙ্গে সরাসরি এবং দৃঢ়ভাবে সংযুক্ত করবে। আজ, সারা দেশের নবোদয় বিদ্যালয় এবং একলব্য মডেল স্কুলগুলিতে ১,২০০টি দক্ষতা পরীক্ষাগারও উদ্বোধন করা হয়েছে!
বন্ধুগণ,
যখন এই কর্মসূচির রূপরেখা তৈরি করা হয়েছিল, তখন মূল পরিকল্পনা ছিল বিজ্ঞান ভবনে সমাবর্তন অনুষ্ঠান আয়োজন করা। কিন্তু, কথায় আছে না, সোনায় সোহাগা, ঠিক তেমনটিই হল। নীতীশ কুমারজির নেতৃত্বে, এই অনুষ্ঠানটিকে জাঁকজমক সহকারে উদযাপনের প্রস্তাব আসে, আর তাই আজ, দুটি অনুষ্ঠান মিলিয়ে একটিতে রূপান্তরিত হয়েছে। একটি ছিল ভারত সরকারের আইটিআই-এর জন্য কর্মসূচি, আর অন্যটি বিহারের জন্য অসংখ্য কর্মসূচি। আজ, এই মঞ্চ থেকে বিহারের যুবক-যুবতীদের জন্য অসংখ্য পরিকল্পনা এবং প্রকল্প উৎসর্গ করা হয়েছে। আজ বিহার পেয়েছে একটি নতুন দক্ষতা প্রশিক্ষণ বিশ্ববিদ্যালয়, অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে সম্প্রসারিত সুযোগ-সুবিধা, যুবদের জন্য একটি যুব কমিশন এবং হাজার হাজার যুবককে স্থায়ী সরকারি চাকরির জন্য নিয়োগপত্র; এই সবকটি পদক্ষেপই বিহারের যুবক- যুবতীদের জন্য একটি উন্নত ভবিষ্যতের নিশ্চয়তা দেয়।
বন্ধুগণ,
মাত্র কয়েকদিন আগে, আমি বিহারের মহিলাদের জন্য কর্মসংস্থান এবং স্বনির্ভরতা সম্পর্কিত একটি বড়সর কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছিলাম। লক্ষ লক্ষ মহিলা এতে অংশগ্রহণ করেছিলেন। আজ, এই মেগা কর্মসূচিটি বিহারের যুবকদের ক্ষমতায়নের জন্য। এটি দেখায় যে এনডিএ সরকার বিহারের যুব ও মহিলাদের কতটা অগ্রাধিকার দেয়।
বন্ধুগণ,
ভারত জ্ঞান এবং দক্ষতার দেশ। এই বৌদ্ধিক শক্তি আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি, আর আজ যখন এই দক্ষতা এবং জ্ঞানকে দেশের চাহিদার সঙ্গে, তার চাহিদা পূরণের সঙ্গে যুক্ত করা হচ্ছে, তখন তাঁদের শক্তি বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়ে যাচ্ছে। একবিংশ শতাব্দির দাবি হল, দেশের চাহিদার কথা মাথায় রেখে স্থানীয় প্রতিভা, স্থানীয় সম্পদ, স্থানীয় দক্ষতা এবং স্থানীয় জ্ঞানকে দ্রুত এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। আমাদের হাজার হাজার আইটিআই এতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আজ, এই আইটিআইগুলি আমাদের যুবসমাজকে প্রায় ১৭০টি কারবারে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। গত ১১ বছরে, ১ কোটি ৫০ লক্ষেরও বেশি যুবককে এই কারবারগুলিতে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে, তাঁদের বিভিন্ন ক্ষেত্রে দক্ষতা এবং প্রযুক্তিগত যোগ্যতার সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, এই যুবক-যুবতীদের তাঁদের স্থানীয় ভাষায় দক্ষতার শিক্ষা দেওয়া হয়েছে। এই বছর, ১০ লক্ষেরও বেশি শিক্ষার্থী অল ইন্ডিয়া ট্রেড টেস্টে অংশগ্রহণ করেছিল আজ আমার এই ৪৫ জনেরও বেশি সফল শিক্ষার্থীকে সম্মানিত করার সৌভাগ্য হয়েছে।
এটা আমার জন্য গর্বের মুহূর্ত; কারণ, গ্রামীণ ভারত এবং দূর-দূরান্ত থেকে আসা বিপুল সংখ্যক তরুণ-তরুণী এখানে এসেছেন। তাঁদের দেখে মনে হচ্ছে এখানে যেন একটি ক্ষুদ্র ভারত। তাঁদের মধ্যে আছেন আমাদের কন্যারা এবং আমাদের প্রতিবন্ধী বন্ধুরা। সকলেই তাঁদের কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে এই সাফল্য অর্জন করেছেন।
বন্ধুগণ,
আমাদের আইটিআইগুলি কেবল শিল্পশিক্ষার জন্য চমৎকার প্রতিষ্ঠান নয়, সেগুলি আজ স্বনির্ভর ভারতের একেকটি কর্মশালাও। অতএব, আমাদের লক্ষ্য তাদের সংখ্যা বৃদ্ধি এবং ক্রমাগত তাদের আপগ্রেড করা। ২০১৪ সাল পর্যন্ত, আমাদের দেশে প্রায় ১০,০০০টি আইটিআই ছিল, কিন্তু গত দশকে, প্রায় ৫,০০০ নতুন আইটিআই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এর অর্থ স্বাধীনতার পরে ১০,০০০ এবং মোদী ক্ষমতায় আসার পরে ৫,০০০। আজ শিল্পের জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা এবং ১০ বছর পর এর জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা বোঝার জন্য আইটিআই নেটওয়ার্ক প্রস্তুত করা হচ্ছে। অতএব, শিল্প এবং আইটিআইগুলির মধ্যে সমন্বয় বৃদ্ধি করা হচ্ছে। আজ, আমরা এই দিকে আরও একটি বড় পদক্ষেপ নিয়েছি। আজ, প্রধানমন্ত্রী সেতু যোজনা চালু করা হয়েছে। সারা দেশে আমাদের ১,০০০-এরও বেশি আইটিআই প্রতিষ্ঠান এর সুবিধা পাবে। প্রধানমন্ত্রী সেতু যোজনার মাধ্যমে, এই আইটিআই প্রতিষ্ঠানগুলিকে উন্নত করা হবে। নতুন যন্ত্রপাতি, আধুনিক সরঞ্জাম, শিল্প প্রশিক্ষণ বিশেষজ্ঞরা এখানে আসবেন এবং বর্তমান এবং ভবিষ্যতের চাহিদা পূরণের জন্য পাঠ্যক্রমকেও উন্নত করা হবে। এক অর্থে, প্রধানমন্ত্রী সেতু যোজনা ভারতের যুবসমাজকে বিশ্বব্যাপী দক্ষতার চাহিদার সঙ্গে সংযুক্ত করবে।
আমার তরুণ বন্ধুগণ,
আপনারা নিশ্চয়ই লক্ষ্য করেছেন যে, আজকাল আমরা অনেক দেশের সঙ্গে যে চুক্তিগুলি স্বাক্ষর করছি, তারা বলছেন যে, আমাদের আপনার দেশের দক্ষ জনশক্তির প্রয়োজন। এভাবে বিশ্বব্যাপী আমাদের যুবসমাজের জন্য নতুন সুযোগ তৈরি হচ্ছে।
বন্ধুগণ,
আজ, বিহারের হাজার হাজার যুবকও এই কর্মসূচির মাধ্যমে আমাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন। এই প্রজন্মের কোন ধারণা নেই যে আড়াই দশক আগে বিহারের শিক্ষা ব্যবস্থা কতটা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছিল। না স্কুলগুলিকে সততার সঙ্গে খোলা হয়েছিল, না যথাযথ নিয়োগ করা হয়েছিল। কোন অভিভাবক চান না যে তাঁদের সন্তান নিজের এলাকাতেই পড়াশোনা করুক এবং উন্নতি করুক? কিন্তু লক্ষ লক্ষ শিশুকে বিহার ছেড়ে বারাণসী, দিল্লি এবং মুম্বই যেতে বাধ্য করা হয়েছিল। এটিই ছিল তাঁদের পরিযায়ী চরিত্রের আসল সূচনা ও অন্তর্নিহিত কারণ।
বন্ধুগণ,
একটি গাছকে পুনরুজ্জীবিত করা, যার শিকড় পোকামাকড়ে আক্রান্ত-একটি মহান কৃতিত্ব। আরজেডির দুঃশাসন বিহারকে সেই একই গাছে পরিণত করেছিল। সৌভাগ্যবশত, বিহারের জনগণ নীতিশ কুমারকে সরকারের দায়িত্ব অর্পণ করেছিলেন এবং আমরা সকলেই সাক্ষী যে কীভাবে পুরো এনডিএ দল একসঙ্গে ভেঙে পড়া ব্যবস্থাগুলিকে আবার সঠিক পথে ফিরিয়ে এনেছিল। আজ, এই অনুষ্ঠানে, আমরা এর এক ঝলক দেখতে পাচ্ছি।
বন্ধুগণ,
আমি আনন্দিত যে আজকের দক্ষতা সমাবর্তনে, বিহার একটি নতুন দক্ষতা বিশ্ববিদ্যালয় পেয়েছে। নীতিশ কুমারের সরকার এই বিশ্ববিদ্যালয়টির নামকরণ করেছে ভারতরত্ন, জননেতা কর্পুরী ঠাকুরের নামে। এবং কর্পুরী ঠাকুরকে সোশ্যাল মিডিয়া ট্রোলাররা জননেতা করেনি; বিহারের জনগণ তাঁকে জননেতা বানিয়েছিল এবং এটি তাঁর জীবন পর্যবেক্ষণ করেই করা হয়েছিল। আমি বিহারের জনগণকে সতর্ক থাকতে বলতে চাই। 'জননেতা’ এই উপাধিটি কর্পুরী ঠাকুরের। আজকাল, মানুষ ‘জননেতা’ উপাধিটি চুরি করার চেষ্টা করছে। তাই, আমি বিহারের জনগণকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানাচ্ছি যাতে কেউ কর্পূরী ঠাকুরকে জনগণের দ্বারা প্রদত্ত এই সম্মান কেড়ে নিতে না পারে। ভারতরত্ন কর্পূরী ঠাকুর তাঁর সমগ্র জীবন সমাজের সেবা এবং শিক্ষা বিস্তারে উৎসর্গ করেছেন। তিনি সর্বদা জোর দিয়েছিলেন যে, সমাজের সবচেয়ে দুর্বলতম ব্যক্তিরাও যেন উন্নতি করে। তাঁর নামে নির্মিত এই স্কিল ইউনিভার্সিটি সেই স্বপ্নকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার একটি শক্তিশালী মাধ্যম হবে।
বন্ধুগণ,
বিহারের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকে আধুনিকীকরণের জন্য এনডিএ-র ডাবল-ইঞ্জিন সরকার নিরন্তর কাজ করে চলেছে। আইআইটি পাটনায় পরিকাঠামো সম্প্রসারণও শুরু হয়েছে। বিহারের অনেক বড় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আধুনিকীকরণের কাজ চলছে। এনআইটি পাটনার বিহতা ক্যাম্পাসও আমাদের প্রতিশ্রুতিবান শিক্ষার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। এছাড়াও, পাটনা বিশ্ববিদ্যালয়, ভূপেন্দ্র মণ্ডল বিশ্ববিদ্যালয়, জয়প্রকাশ বিশ্ববিদ্যালয়, ছাপরা এবং নালন্দা উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন শিক্ষাগত পরিকাঠামোর ভিত্তি স্থাপন করা হয়েছে।
বন্ধুগণ,
মানসম্পন্ন প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি, শ্রী নীতীশ কুমারের সরকার বিহারের যুবকদের জন্য শিক্ষার খরচও কমাচ্ছে। উচ্চশিক্ষার জন্য ফি নিয়ে শিক্ষার্থীদের যাতে কোনও অসুবিধা না হয় তাও নিশ্চিত করছে। বিহার সরকার স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে উচ্চশিক্ষা গ্রহণে শিক্ষার্থীদের সহায়তা করে আসছে। এবার আরেকটি বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে প্রাপ্ত শিক্ষা ঋণ সুদমুক্ত করা হয়েছে। এটি বিহার সরকারের সিদ্ধান্ত। এছাড়া, শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তিও ১,৮০০ থেকে বাড়িয়ে ৩,৬০০ করা হয়েছে।
আজ ভারত বিশ্বের অন্যতম তরুণ দেশ। আর বিহার হল সবচেয়ে বেশি যুব জনসংখ্যার রাজ্যগুলির মধ্যে একটি। তাই, যখন বিহারের যুবসমাজের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়, তখন স্বাভাবিকভাবেই দেশের শক্তি বৃদ্ধি পায়। এনডিএ সরকার বিহারের যুবসমাজের সম্ভাবনা আরও বাড়ানোর জন্য পূর্ণ প্রতিশ্রুতি নিয়ে কাজ করছে। আরজেডি-কংগ্রেস সরকারের তুলনায়, বিহারের শিক্ষা বাজেট অনেক গুণ বৃদ্ধি করা হয়েছে। আজ, বিহারের প্রায় প্রতিটি গ্রাম এবং জনপদে একটি করে স্কুল রয়েছে। ইঞ্জিনিয়ারিং এবং মেডিকেল কলেজের সংখ্যাও অনেক গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। সম্প্রতি, কেন্দ্রীয় সরকার বিহারের ১৯টি জেলার জন্য কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় অনুমোদন করেছে। একটা সময় ছিল যখন বিহারে আন্তর্জাতিক স্তরের ক্রীড়া পরিকাঠামোরও অভাব ছিল। আজ, বিহারে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক ক্রীড়া ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
বন্ধুগণ,
গত দুই দশকে, বিহার সরকার বিহারে ৫০ লক্ষ যুবকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছে। মাত্র কয়েক বছরে, বিহারের যুবকদের প্রায় ১০ লক্ষ স্থায়ী সরকারি চাকরি দেওয়া হয়েছে। শিক্ষা বিভাগের দিকে একবার তাকান - কীভাবে বড় আকারে শিক্ষক নিয়োগ হচ্ছে। গত দুই বছরেই বিহারে আড়াই লক্ষেরও বেশি শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে। এর ফলে তরুণদের কর্মসংস্থান হয়েছে এবং শিক্ষা ব্যবস্থার মানও উন্নত হয়েছে।
বন্ধুগণ,
বিহার সরকার গত দুই দশক ধরে বিহারে ৫০ লক্ষ যুবক-যুবতীকে কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিয়েছে। মাত্র গত কয়েক বছরে, বিহারের যুবক-যুবতীদের প্রায় ১০ লক্ষ স্থায়ী সরকারি চাকরির সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। শিক্ষা বিভাগের দিকে একবার তাকান, আর দেখুন কত বড় পরিসরে শিক্ষক নিয়োগ হচ্ছে। গত দুই বছরেই বিহারে আড়াই লক্ষেরও বেশি শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে। এর ফলে, তরুণদের চাকরির সুযোগ হয়েছে এবং শিক্ষা ব্যবস্থার মান উন্নত হয়েছে।
বন্ধুগণ,
বিহার সরকার এখন নতুন লক্ষ্য অর্জনের লক্ষ্যে কাজ করছে। রাজ্য সরকার গত ২০ বছরে দ্বিগুণ সংখ্যক কর্মসংস্থান তৈরি করেছে এবং শ্রী নীতিশ কুমারও তাঁর বক্তৃতায় আমাদের এই কথা জানিয়েছিলেন। লক্ষ্য হল- আগামী পাঁচ বছরে দ্বিগুণ কর্মসংস্থান তৈরি করা। প্রতিশ্রুতি হল বিহারের যুবক-যুবতীরা যাতে বিহারে চাকরি পান এবং বিহারের মধ্যেই কাজ করেন।
বন্ধুগণ,
এটি বিহারের যুবক-যুবতীদের জন্য দ্বিগুণ বোনাসের সময়। বর্তমানে দেশে জিএসটি সঞ্চয় উৎসব চলছে। কেউ আমাকে বলেছেন যে বাইক এবং স্কুটারের উপর জিএসটি হ্রাসে বিহারের যুবক-যুবতীরা খুব খুশি। অনেকেই এই ধনতেরাসে এগুলি কেনার পরিকল্পনাও করেছেন। বিহার এবং দেশের যুবসমাজকে তাঁদের প্রয়োজনীয় বেশিরভাগ জিনিসের ওপর জিএসটি হ্রাস করার জন্য আমি অভিনন্দন জানাই।
বন্ধুগণ,
যখন দক্ষতা বৃদ্ধি পায়, দেশ স্বনির্ভর হয়, রপ্তানি বৃদ্ধি পায়, তখন কর্মসংস্থানের সুযোগও বৃদ্ধি পায়। ২০১৪ সালের আগে, ভারতকে একটি ভঙ্গুর পাঁচটি অর্থনীতি হিসেবে বিবেচনা করা হত। এর অর্থ ছিল প্রবৃদ্ধি কম এবং কর্মসংস্থান ছিল খুবই কম। আজ, ভারত শীর্ষ তিন অর্থনীতিতে পরিণত হওয়ার দিকে এগিয়ে চলেছে। এর অর্থ হল উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে, এবং কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পাচ্ছে। উৎপাদন এবং রপ্তানিতে মোবাইল ফোন, বৈদ্যুতিন সামগ্রী, ষানবাহন এবং প্রতিরক্ষা খাতেও অভূতপূর্ব প্রবৃদ্ধি দেখা গেছে। বৃহৎ শিল্প থেকে শুরু করে আমাদের অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগ পর্যন্ত, অভূতপূর্ব কর্মসংস্থান তৈরি হয়েছে। এই সবকিছুই আমাদের যুবসমাজকে, বিশেষ করে আইটিআই-তে দক্ষদের, ব্যাপকভাবে উপকৃত করেছে। মুদ্রা প্রকল্প লক্ষ লক্ষ তরুণকে তাঁদের নিজস্ব ব্যবসা শুরু করতে সাহায্য করেছে। ভারত সরকার সম্প্রতি ১ লক্ষ কোটি টাকার প্রধানমন্ত্রী বিকাশ ভারত রোজগার যোজনা (প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়ন ভারত কর্মসংস্থান প্রকল্প) বাস্তবায়ন করেছে। এটি দেশের প্রায় ৩.৫ কোটি তরুণকে বেসরকারি ক্ষেত্রে কর্মসংস্থান খুঁজে পেতে সাহায্য করবে।
বন্ধুগণ,
এই সময়টি দেশের প্রত্যেক তরুণের জন্য সুযোগে পরিপূর্ণ। সবকিছুর বিকল্প থাকতে পারে, কিন্তু দক্ষতা, উদ্ভাবন এবং কঠোর পরিশ্রমের কোনও বিকল্প নেই। ভারতের সকল তরুণ-তরুণীর মধ্যে এই গুণাবলী রয়েছে। এই বিশ্বাস নিয়ে, সারা দেশের আইটিআই শিক্ষার্থীরা আমার সঙ্গে যোগ দিয়েছে এবং বিহার সরকার বিহারের যুবসমাজকে যে নতুন উপহার দিয়েছে তার জন্য আমি আপনাদের সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাই। আপনাদের সকলকে অনেক ধন্যবাদ।
SSS/SB/AS
(Release ID: 2175179)
Visitor Counter : 4