প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর
প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী রাজস্থানের বাঁশওয়ারায় ১,২২,১০০ কোটির বেশি মূল্যের উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করেছেন
Posted On:
25 SEP 2025 4:40PM by PIB Kolkata
নতুন দিল্লি, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী রাজস্থানের বাঁশওয়ারায় ১,২২,১০০ কোটির বেশি মূল্যের উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করেছেন। নবরাত্রির চতুর্থ দিনে বাঁশওয়ারায় মা ত্রিপুরা সুন্দরীর পবিত্র ভূমিতে সফর করার সুযোগ পেয়েছেন বলে প্রধানমন্ত্রী জানান। তিনি জানান, তাঁর সুযোগ হয়েছে কান্ঠাল এবং ভগদের গঙ্গা হিসেবে মহিমান্বিত মা মহিকে দেখবার। প্রধানমন্ত্রী বলেন, মহিরজল ভারতের জনজাতি সম্প্রদায়ের দৃঢ়তা এবং লড়াইয়ের প্রতীক। তিনি মহাযোগী গোবিন্দ গুরুজির প্রেরণাদায়ী নেতৃত্বের কথা তুলে ধরেন, যার উত্তরাধিকার অনুরণিত হচ্ছে মহির পবিত্র জলের সঙ্গে, সেই মহান কাহিনীকে ধারণ করে। শ্রী মোদী শ্রদ্ধার্ঘ্য জানান মা ত্রিপুরা সুন্দরী এবং মা মহিকে, এই ভক্তি এবং শৌর্যের ভূমি থেকে। তিনি শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করেন মহারানা প্রতাপ এবং রাজা বাঁনসিয়া ভীলের প্রতি।
শ্রী মোদী বলেন, নবরাত্রির সময় দেশ শক্তির ৯টি রূপের অর্চনা করে এবং আজকের বাঁশওয়ারার প্রধান অনুষ্ঠানটি নিবেদিত করা হয়েছে উর্জা শক্তি – শক্তি উৎপাদনে। তিনি বলেন, ভারতের বিদ্যুৎ ক্ষেত্রে একটি নতুন অধ্যায় লেখা হচ্ছে রাজস্থানের ভূমি থেকে। প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেন রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, অন্ধ্রপ্রদেশ, কর্ণাটক এবং মহারাষ্ট্র জুড়ে ৯০ হাজার কোটি টাকার বেশি মূল্যের বিদ্যুৎ প্রকল্পের উদ্বোধনের কথা। তিনি জোর দেন এই ধরনের বৃহৎ আকারের প্রকল্পের সূচনা একসঙ্গে হওয়ার অর্থ বিদ্যুৎ ক্ষেত্রে ভারতের দূরন্ত গতিতে অগ্রগতি। দেশের প্রতিটি অঞ্চল সক্রিয় ভাবে অবদান রাখছে, সব রাজ্য পাচ্ছে অগ্রাধিকার। রাজস্থানে স্বচ্ছ বিদ্যুৎ প্রকল্প এবং পরিবহণ লাইনের শিলান্যাস হয়েছে। শ্রী মোদী সৌরশক্তি প্রকল্পেরও উদ্বোধন করেছেন এবং ঘোষণা করেছেন বাঁশওয়ারায় রাজস্থান অ্যাটোমিক পাওয়ার প্রকল্পের সূচনার কথা। তিনি বিশেষ ভাবে বলেন যে, সৌরবিদ্যুৎ থেকে পরমাণু শক্তি ভারত বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতায় নতুন উচ্চতায় পৌঁছোচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী মন্তব্য করেন, “আজকের প্রযুক্তি ও শিল্পের যুগে উন্নয়ন চালিত হয় বিদ্যুতের শক্তিতে, বিদ্যুৎ আনে আলো, গতি, অগ্রগতি, সংযোগ এবং বিশ্বের সুবিধা।” তিনি পূর্বতন সরকারগুলির সমালোচনা করেন বিদ্যুতের গুরুত্বকে অবহেলা করার জন্য। শ্রী মোদী জানান, যখন তাঁর সরকার ২০১৪-য় ক্ষমতায় এসেছিল, ২.৫ কোটি পরিবার ছিল বিদ্যুৎহীন। এমনকি, স্বাধীনতার ৭০ বছর পরেও ১৮ হাজার গ্রাম একটি বিদ্যুতের খুঁটিও দেখেনি। তিনি বিশেষ ভাবে বলেন যে, বড় বড় শহরগুলিতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকতো না এবং গ্রামগুলিতে ৪-৫ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকলেই ভাবা হতো যথেষ্ট। বিদ্যুতের অনুপস্থিতিতে কলকারখানায় কাজ হতো না, নতুন শিল্প স্থাপন হতো না। রাজস্থানের মতো রাজ্যগুলির পাশাপাশি সমগ্র দেশই এর ফলে প্রভাবিত হতো। তিনি জানান যে, ২০১৪-য় তাঁর সরকার সংকল্প নিয়েছিল এই পরিস্থিতি পাল্টাতে হবে। তিনি জানান, প্রত্যেক গ্রামে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। ২.৫ কোটি পরিবার বিনামূল্যে বিদ্যুৎ সংযোগ পেয়েছে। যেখানে বিদ্যুতের লাইন পৌঁছেছে সেখানে বিদ্যুৎও পৌঁছেছে – জীবনকে করেছে সহজ এবং নতুন শিল্প গড়ে উঠতে সাহায্য করেছে।
প্রধানমন্ত্রী জানান, কোন দেশকে যদি একবিংশ শতাব্দীতে দ্রুত উন্নয়ন করতে হয় তাকে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়াতেই হবে। তিনি জোর দিয়ে বলেন যে, বেশির ভাগ সফল দেশই সেই সব দেশ যারা স্বচ্ছ শক্তিতে সামনের সারিতে। শ্রী মোদী বিশেষ ভাবে বলেন, “আমাদের সরকার ক্লিন এনার্জি মিশনকে জন আন্দোলনে রূপান্তরিত করছে।” পিএম সূর্যঘর মুফত বিজলি যোজনার সূচনার ঘোষণা করেন, যার অধীনে সৌর প্যানেল শহরে এবং গ্রামাঞ্চলে ছাদে বসানো হচ্ছে। কৃষকদের সুলভে বিদ্যুৎ পাওয়া নিশ্চিত করতে পিএম কুসুম কর্মসূচি কৃষি ক্ষেত্রে সৌরপাম্প বসানোয় সাহায্য করছে। প্রধানমন্ত্রী জানান, একাধিক সৌর প্রকল্পের আজ উদ্বোধন হয়েছে রাজ্যজুড়ে, লক্ষ লক্ষ কৃষক সরাসরি উপকৃত হবেন। তিনি পুনরায় জানান যে, পিএম সূর্যঘর কর্মসূচি বাড়িতে বাড়িতে বিনামূল্যে বিদ্যুৎ দিচ্ছে। পাশাপাশি পিএম কর্মসূচি কৃষি ক্ষেত্রে বিনামূল্যে বিদ্যুৎ নিশ্চিত করেছে। শ্রী মোদী পিএম কর্মসূচির সুবিধা প্রাপকদের সঙ্গে তাঁর আলাপচারিতার কথা উল্লেখ করেন, যাঁরা তাঁকে বলেছে যে, সৌরচালিত বিনামূল্যের বিদ্যুৎ তাঁদের জীবনে বড় আশীর্বাদ হয়ে এসেছে।
শ্রী মোদী বলেন, “ভারত উন্নত দেশ হতে দ্রুত গতিতে কাজ করছে, যেখানে রাজস্থান সেই যাত্রাপথে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিচ্ছে।” তিনি রাজস্থানের মানুষের জন্য ৩০ হাজার কোটি টাকা মূল্যের অতিরিক্ত কয়েকটি প্রকল্পের সূচনার ঘোষণা করেন। যার লক্ষ্য জল, বিদ্যুৎ এবং স্বাস্থ্য পরিষেবার সুবিধার উন্নতি করা। প্রধানমন্ত্রী একটি বন্দে ভারত পরিষেবা সহ তিনটি নতুন ট্রেনের যাত্রার সূচনা করেন। তিনি বলেন, দেশজুড়ে নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করা হচ্ছে, যাতে রাজস্থানের ১৫ হাজার যুবা আজ সরকারি চাকরির নিয়োগপত্র পেয়েছেন। শ্রী মোদী সেই সব তরুণদের তাঁর শুভেচ্ছা জানান। যেহেতু তাঁরা তাঁদের জীবনের নতুন অধ্যায়ে প্রবেশ করলেন। প্রধানমন্ত্রী রাজস্থানের মানুষকে অভিনন্দন জানান এই সব উন্নয়ন উদ্যোগের সূচনার জন্য।
সন্তোষপ্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাজস্থানে তাঁদের সরকার পুরোপুরি নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করছে রাজ্যের উন্নয়নে। পূর্বতন সরকারগুলি রাজস্থানকে যে ভাবে ক্ষতবিক্ষত করেছে, তাঁদের কুপ্রশাসন এবং অপশাসনের মাধ্যমে তা এখন বর্তমান প্রশাসন সারিয়ে তুলছে। শ্রী মোদী অভিযোগ করেন, বিরোধী শাসনে রাজস্থান প্রশ্নপত্র ফাঁসের কেন্দ্র হয়ে গেছিল এবং জল জীবন মিশন নিয়ে অনেক দুর্নীতি হয়েছিল। তিনি বলেন, মহিলাদের বিরুদ্ধে নির্যাতনের ঘটনা বেড়ে গেছিল। কারণ, নির্যাতনকারীদের সুরক্ষা দেওয়া হতো। তিনি বিশেষ ভাবে উল্লেখ করেন যে, বিরোধীদের আমলে বাঁশওয়ারা, দুঙ্গারপুর এবং প্রতাপগড়ের মতো এলাকায় অপরাধ এবং বেআইনি মদের কারবারে রমরমা হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী বলেন, যখন মানুষ তাঁদের একবার সুযোগ দিয়েছেন, আইন শৃঙ্খলা শক্তিশালী হয়েছে, উন্নয়নের গতি বেড়েছে। তিনি বলেছেন যে, বড় বড় প্রকল্পগুলি এখন রূপায়িত হচ্ছে রাজস্থানজুড়ে, হাইওয়ে এবং এক্সপ্রেসওয়ের নেটওয়ার্ক বেড়ে চলেছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁদের সরকার রাজস্থানকে এগিয়ে নিয়ে চলেছে, বিশেষ করে দক্ষিণ রাজস্থানকে, উন্নয়নের ফাস্ট ট্র্যাকে।
আজ পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায়ের জন্মদিন, যিনি দেশকে দিয়েছেন অন্ত্যোদয়ের নীতি, সমাজের শেষ স্তরে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষের উত্থান - জানিয়ে শ্রী মোদী বলেন, এই দর্শন এখন সরকারের আদর্শ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি জানান, তাঁর প্রশাসন কাজ করছে দরিদ্র, দলিত, অনগ্রসর শ্রেণী এবং জনজাতি মানুষের কল্যাণের জন্য গভীর সেবার মনোভাব নিয়ে।
জনজাতি সমাজকে নিরন্তর অবহেলা করার জন্য বিরোধীদের সমালোচনা করে তিনি বলেন, তাঁরা তাঁদের প্রয়োজনের কথা বুঝতে ব্যর্থ হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁদের সরকার জনজাতির কল্যাণকে অগ্রাধিকার দিয়েছে একটি মন্ত্রক গড়ে। প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীজির আমলে প্রথমবার একটি জনজাতি বিষয়ক আলাদা মন্ত্রক গড়ে তোলা হয়। প্রধানমন্ত্রী জানান, বিরোধীদের শাসনের সময় ভাবাই যেত না এত বড় বড় প্রকল্প জনজাতি অঞ্চলে পৌঁছোচ্ছে। তিনি জানান, তাঁদের সরকারের আমলে এই উন্নয়ন বাস্তব হয়ে উঠছে। তিনি মধ্যপ্রদেশের ধারে পিএম মিত্র পার্কের মতো একটি বড় প্রকল্পের সূচনার কথা ঘোষণা করেন, যেটি জনজাতির কৃষকদের গুরুত্বপূর্ণ উপকার করবে।
তাঁর দলের প্রয়াসের মাধ্যমে গরীব জনজাতি পরিবারের কন্যা শ্রীমতী দ্রৌপদী মুর্মু ভারতের রাষ্ট্রপতি হয়েছেন জানিয়ে শ্রী মোদী বলেন, রাষ্ট্রপতি নিজেই প্রান্তিক জনজাতি সম্প্রদায়ের বিষয়টি তুলেছেন। যার থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে পিএম জনমন যোজনার সূচনা হয়েছে। এই উদ্যোগের অধীনে বিশেষ অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে জনজাতি সমাজের সবচেয়ে বেশি বঞ্চিত শ্রেণীকে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ধাত্রী আবা জনজাতীয় গ্রাম উৎকর্ষ অভিযানের মাধ্যমে জনজাতি গ্রামগুলি আধুনিক হচ্ছে। ৫ কোটির বেশি জনজাতির মানুষ উপকার পাচ্ছেন। তিনি আরও বলেন যে, ১০০-র বেশি একলব্য মডেল আবাসিক বিদ্যালয় সারা দেশে তৈরি করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী জানান, সরকার বনবাসী এবং তপসিলি উপজাতিদের অরণ্যের অধিকার স্বীকার করে নিয়েছে।
শ্রী মোদী বলেন, “ভারতের জনজাতি সম্প্রদায় সুস্থায়ী ভাবে হাজার হাজার বছর ধরে বনজ সম্পদ ব্যবহার করছে।” এই সব সম্পদের ব্যবহার নিশ্চিত করার অর্থ তাঁদের অগ্রগতি। তাই সরকার বনধন যোজনার সূচনা করেছে। তিনি জানান, বন থেকে উৎপাদিত পণ্যের জন্য ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বাড়ানো হয়েছে এবং জনজাতিদের পণ্য বাজারে নিয়ে যাওয়ার সুবিধা দেওয়া হয়েছে। ফলে, ভারত সারা দেশে বনজাত পণ্যের রেকর্ড পরিমাণ বৃদ্ধি লক্ষ্য করছে।
জনজাতি সম্প্রদায় যাতে মর্যাদার সঙ্গে বাঁচতে পারে তা নিশ্চিত করাই সরকারের দায়বদ্ধতা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁদের বিশ্বাস, আত্মমর্যাদা এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রক্ষা করাই পবিত্র সংকল্প। তিনি জোর দিয়ে বলেন, যখন সাধারণ নাগরিকের জীবন সহজ হয়ে যায় তখন তাঁরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজে নেতৃত্ব দেয়। তিনি ১১ বছর আগের ঘটনার কথা উল্লেখ করেন, যেখানে বিরোধীদের আমলে নাগরিকদের অত্যাচার করা হতো, লুঠ করা হতো। তিনি জানান, ওই সময়ে কর এবং মুদ্রাস্ফীতি রেকর্ড উচ্চতায় উঠেছিল। প্রধানমন্ত্রী বলেন, যখন মানুষ তাঁদের সরকারকে আশীর্বাদ করেছে, তখন বিরোধীদের এই অপচেষ্টা বন্ধ হয়ে গেছে।
শ্রী মোদী বলেন যে, ২০১৭-য় জিএসটি সূচনা হওয়ায় দেশ জটিল কর এবং শুল্কের জাল থেকে মুক্ত হয়। তিনি বলেন যে, এবছর নবরাত্রির প্রথম দিনে একটি বড় জিএসটি সংস্কার চালু হয়েছে, যাকে দেশজুড়ে জিএসটি-র সাশ্রয় উৎসব বলে পালন করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী জানান, বেশিরভাগ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য সস্তা হয়ে গেছে। সভায় উপস্থিত মহিলাদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, রান্নাঘরের খরচ উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। ফলে, দেশজুড়ে মা এবং বোনেরা সরাসরি সুরাহা পাচ্ছেন।
২০১৪-র আগে সাবান, শ্যাম্পু, টুথপেস্ট এবং টুথপাউডারের প্রতিদিনের ১০০ টাকা খরচ প্রকৃত পক্ষে ১৩১ টাকায় দাঁড়াতো বিরোধী সরকারের উচ্চ হারে কর ব্যবস্থার জন্য জানিয়ে শ্রী মোদী বলেন, প্রতি ১০০ টাকা কেনার ওপর বিরোধীরা ৩১ টাকা কর চাপাতো। ২০১৭-য় জিএসটি রূপায়ণের পর থেকে ওই ১০০ টাকার জিনিসেরই দাম দাঁড়ায় ১১৮ টাকা। অর্থাৎ তাঁদের সরকারের আমলে ১৩টাকা সাশ্রয় হয়। ২২ সেপ্টেম্বর জিএসটি সংস্কার চালু হওয়ায় ওই খরচ কমে দাঁড়িয়েছে ১০৫ টাকায়। ফলে, পূর্বেকার তুলনায় ২৬ টাকা সাশ্রয় হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী জানান, মা এবং বোনেরা নিখুঁতভাবে ঘর-সংসারের বাজেট সামলান এবং নতুন করের আমলে পরিবারগুলি এখন প্রতিমাসে কয়েকশো টাকা করে বাঁচাতে পারছেন।
প্রত্যেকের জন্য জুতো প্রয়োজনীয় জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পূর্বতন সরকারের আমলে ৫০০ টাকার জুতোর খরচ পড়তো ৫৭৫ টাকা করের বোঝা হিসেবে। জিএসটি রূপায়ণ হওয়ায় এই কর কমে দাঁড়িয়েছে ১৫ টাকা। সাম্প্রতিক জিএসটি সংস্কারের ফলে ওই একই জুতোর এখন ৫০ টাকা দাম কম পড়ছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগে ৫০০ টাকার বেশি দামের জুতোর ওপর আরও বেশি হারে কর বসতো। তিনি জানান, তাঁদের সরকার আড়াই হাজার টাকা পর্যন্ত দামের জুতোতে কর উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে দিয়েছে। ফলে, সাধারণ মানুষের কাছেও তা সুলভ হয়ে উঠেছে।
শ্রী মোদী আরও জানান, প্রত্যেক পরিবারে একটি স্কুটার অথবা মোটর সাইকেল কেনা খুব সাধারণ আশা। কিন্তু বিরোধীদের সময় এটা ছিল ধরাছোঁয়ার বাইরে। তিনি জানান, বিরোধীদের আমলে ৬০ হাজার টাকার মোটরসাইকেলের ওপর ১৯ হাজার টাকা কর বসতো। ২০১৭-য় জিএসটি চালুর পর এই কর কমে আড়াই হাজার টাকা হয়েছে। আর ২২ সেপ্টেম্বর পুনর্বিবেচিত হারে ওই একই মোটরসাইকেলে কর বসেছে মাত্র ১০ হাজার টাকা। ফলে, ২০১৪-র তুলনায় সরাসরি লাভ হচ্ছে ৯ হাজার টাকা।
প্রধানমন্ত্রী জানান, পূর্বতন সরকারের আমলে বাড়ি তৈরি ভীষণ খরচ সাপেক্ষ ছিল। ৩০০ টাকার সিমেন্টের থলেতে ৯০ টাকার বেশি কর দিতে হতো। ২০১৭-য় জিএসটি চালুর পর এই কর কমে মোটামুটি ১০ টাকা। সাম্প্রতিক জিএসটি সংস্কারের ফলে ওই একই সিমেন্টের থলিতে এখন মাত্র ৫০ টাকা কর হিসেবে দিতে হয়। ফলে, ২০১৪-র তুলনায় সরাসরি ৪০ টাকা সাশ্রয় হচ্ছে। শ্রী মোদী বলেন, পূর্বতন সরকারে আমলে অতিরিক্ত কর ছিল, কিন্তু তাঁদের সরকার সাধারণ মানুষের জন্য সাশ্রয়ের যুগ এনে দিয়েছেন।
জিএসটি সাশ্রয় উৎসবের ওপর জোর দিয়ে শ্রী মোদী বলেন, আমাদের ভুললে চলবে না যে আমাদের লক্ষ্য আত্মনির্ভর ভারত। তিনি আরও বলেন, স্বদেশীর মন্ত্র ভুললে চলবে না। শ্রী মোদী বলেন, আমাদের সকলকে স্বদেশী বিক্রয় করতে হবে, স্বদেশী ক্রয় করতে হবে। তিনি নাগরিকদের গর্বের সঙ্গে বলতে উৎসাহ দেন “এটাই স্বদেশী।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, যখন মানুষ স্বদেশী জিনিস কেনেন, তখন অর্থ দেশের মধ্যে থাকে। পৌঁছোয় স্থানীয় শিল্পী, কর্মী, ব্যবসায়ীদের কাছে। এই টাকা দেশের উন্নয়নে সরাসরি কাজে লাগে, বাইরে না চলে গিয়ে। নতুন সড়ক, রাস্তা গড়তে সাহায্য খরে। তিনি প্রত্যেককে আহ্বান জানান স্বদেশীকে জাতীয় গর্বের প্রতীক করে তুলতে। প্রধানমন্ত্রী নাগরিকদের কাছে শুধুমাত্র স্বদেশী জিনিস কেনার জন্য শপথ নেওয়ার আবেদন রাখেন উৎসবের মরশুমে। তিনি আরও একবার অভিনন্দন জানান উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান নির্ভর প্রকল্পগুলি সূচনার জন্য।
রাজস্থানের রাজ্যপাল শ্রী হরিভাও কিষাণরাও বাগারে, রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী ভজনলাল শর্মা, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শ্রী প্রহ্লাদ যোশী এবং অন্যরা উপস্থিত ছিলেন অনুষ্ঠানে।
SC/AP/AS
(Release ID: 2171523)
Visitor Counter : 12
Read this release in:
Malayalam
,
English
,
Urdu
,
Marathi
,
Hindi
,
Manipuri
,
Assamese
,
Punjabi
,
Gujarati
,
Tamil
,
Telugu
,
Kannada