রাষ্ট্রপতিরসচিবালয়
azadi ka amrit mahotsav

শিক্ষকদের জাতীয় পুরস্কার প্রদান করলেন রাষ্ট্রপতি

Posted On: 05 SEP 2025 2:20PM by PIB Kolkata

নতুন দিল্লি, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

 


রাষ্ট্রপতি শ্রীমতী দ্রৌপদী মুর্মু আজ শিক্ষক দিবসে (৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫) নতুন দিল্লিতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সারা দেশের শিক্ষকদের জাতীয় পুরস্কার প্রদান করেন।

সমাবেশে রাষ্ট্রপতি বলেন, খাদ্য, পোশাক ও বাসস্থানের মতো শিক্ষাও একজন ব্যক্তির মর্যাদা ও নিরাপত্তার জন্য অপরিহার্য। সংবেদনশীল শিক্ষকরা শিশুদের মধ্যে মর্যাদা ও নিরাপত্তার বোধ জাগিয়ে তোলার জন্য কাজ করেন। নিজের শিক্ষক জীবনের স্মৃতিচারণ করে রাষ্ট্রপতি সেই পর্বকে তাঁর জীবনের এক অত্যন্ত অর্থপূর্ণ সময় বলে বর্ণনা করেন।

রাষ্ট্রপতি বলেন, শিক্ষা একজন ব্যক্তিকে সক্ষম করে তোলে। দরিদ্রতম প্রেক্ষাপটে থাকা  শিশুরাও শিক্ষার শক্তি দিয়ে অগ্রগতির আকাশ স্পর্শ করতে পারে। শিশুদের এই ডানা মেলার শক্তি যোগাতে স্নেহময় ও নিষ্ঠাবান শিক্ষকরা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। শিক্ষকদের জন্য সবচেয়ে বড় পুরস্কার হল, তাঁদের ছাত্রছাত্রীরা তাঁদের সারা জীবন মনে রাখেন।  শিক্ষকরা পরিবার, সমাজ ও দেশের জন্য প্রশংসনীয় অবদান রাখেন।

রাষ্ট্রপতি বলেন, শিক্ষার্থীদের চরিত্র গড়ে তোলাই একজন শিক্ষকের প্রাথমিক কর্তব্য। যেসব ছাত্র-ছাত্রী কেবল প্রতিযোগিতা, পুঁথিগত বিদ্যা ও স্বার্থপরতায় আচ্ছন্ন, তাদের থেকে মূল্যবোধসম্পন্ন,  সংবেদনশীল, দায়িত্বশীল ও  নিষ্ঠাবান  শিক্ষার্থীরা অনেক ভালো বলে তিনি মন্তব্য করেন।  তিনি বলেন, একজন ভালো শিক্ষকের আবেগ ও বুদ্ধি উভয়ই থাকে। আবেগ এবং বুদ্ধির সমন্বয়ও শিক্ষার্থীদের প্রভাবিত করে।

রাষ্ট্রপতি বলেন, স্মার্ট ব্ল্যাকবোর্ড, স্মার্ট শ্রেণিকক্ষ এবং অন্যান্য আধুনিক সুযোগ-সুবিধার নিজস্ব গুরুত্ব রয়েছে। কিন্তু সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল স্মার্ট শিক্ষক। যাঁরা ছাত্রছাত্রীদের বিকাশের প্রয়োজনীয়তা বোঝেন, তাঁরাই হলেন স্মার্ট শিক্ষক। এই ধরণের শিক্ষকরা স্নেহ ও সংবেদনশীলতার সঙ্গে শিক্ষার প্রক্রিয়াকে আকর্ষণীয় ও কার্যকর করে তোলেন। তাঁদের ছাত্রছাত্রীরা সমাজ ও দেশের চাহিদা পূরণে সক্ষম হয়ে ওঠে।

রাষ্ট্রপতি বলেন, মেয়েদের শিক্ষাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে। মেয়েদের শিক্ষায় বিনিয়োগ করে আমরা আমাদের পরিবার, সমাজ ও জাতি গঠনে অমূল্য বিনিয়োগ করি। তিনি বলেন, মেয়েদের সর্বোত্তম শিক্ষা প্রদানই হল মহিলা-নেতৃত্বাধীন উন্নয়নকে উৎসাহ দেওয়ার সবচেয়ে কার্যকর উপায়। তিনি উল্লেখ করেন যে, ২০২০-র জাতীয় শিক্ষানীতিতে কস্তুরবা গান্ধী বালিকা বিদ্যালয়গুলির সম্প্রসারণ এবং অনগ্রসর শ্রেণীর মেয়েদের জন্য বিশেষ শিক্ষার সুযোগ-সুবিধা প্রদানের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। কিন্তু শিক্ষা সংক্রান্ত যে কোনও উদ্যোগের সাফল্য মূলত শিক্ষকদের উপর নির্ভর করে। তিনি শিক্ষকদের বলেন, মেয়েদের শিক্ষায় তাঁরা যত বেশি অবদান রাখবেন, শিক্ষক হিসেবে তাঁদের জীবন তত বেশি অর্থপূর্ণ হবে। তিনি তুলনামূলকভাবে পিছিয়ে থাকা বা অনগ্রসর প্রেক্ষাপট থেকে আসা মেয়েরা সহ সমস্ত শিক্ষার্থীর প্রতি বিশেষ মনোযোগ দেওয়ার জন্য শিক্ষকদের প্রতি আহ্বান জানান।

রাষ্ট্রপতি বলেন, জাতীয় শিক্ষানীতির লক্ষ্য হল ভারতকে বিশ্ব জ্ঞানের মহাশক্তি হিসাবে গড়ে তোলা। এর জন্য আমাদের শিক্ষকদের অবশ্যই বিশ্বের সেরা শিক্ষক হিসেবে স্বীকৃতি অর্জন করতে  হবে। বিদ্যালয় স্তরের শিক্ষা, উচ্চশিক্ষা এবং দক্ষতা প্রশিক্ষণ – তিনটি ক্ষেত্রেই আমাদের প্রতিষ্ঠান এবং শিক্ষকদের সক্রিয় অবদান রাখতে হবে।  আমাদের শিক্ষকরা তাঁদের গুরুত্বপূর্ণ অবদানের মাধ্যমে ভারতকে বিশ্ব জ্ঞানের মহাশক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করবেন বলে রাষ্ট্রপতি দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

রাষ্ট্রপতির সম্পূর্ণ ভাষণটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন - 
https://static.pib.gov.in/WriteReadData/specificdocs/documents/2025/sep/doc202595629201.pdf


SC/SD/SKD


(Release ID: 2164279) Visitor Counter : 2