প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর
ভারত সিঙ্গাপুর যৌথ বিবৃতি
Posted On:
04 SEP 2025 8:04PM by PIB Kolkata
নয়াদিল্লি, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী শ্রী লরেন্স ওং-এর ভারতে রাষ্ট্রীয় সফরকালে সর্বাঙ্গীণ কৌশলগত অংশীদারিত্বের পরিকল্পনা সংক্রান্ত যৌথ বিবৃতি।
প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর আমন্ত্রণে সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী শ্রী লরেন্স ওং ২-৪ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রীয় সফরে ভারতে এসেছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী ৪ সেপ্টেম্বর বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলাপ-আলোচনা করেন। এরপর দুই নেতা বিভিন্ন ক্ষেত্রে সমঝোতাপত্র স্বাক্ষর প্রত্যক্ষ করেছেন। শ্রী মোদীর আমন্ত্রণে এক ভোজসভায় যোগ দেন শ্রী ওং। সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি শ্রীমতী দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং রাজঘাটে মহাত্মা গান্ধীর প্রতি পুষ্পার্ঘ্য নিবেদন করেন। বিদেশ মন্ত্রী ডঃ এস জয়শঙ্করও শ্রী ওং-এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
ভারত ও সিঙ্গাপুরের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের এটি ৬০তম বার্ষিকী। পারস্পরিক আস্থা ও সম্মান এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার ওপর ভিত্তি করে দুই দেশের মধ্যে যে সৌহার্দ্যের সম্পর্ক গড়ে উঠেছে, তাকে দুই প্রধানমন্ত্রীই স্বীকৃতি দেন। তাঁরা দু’দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের মানোন্নয়নে সন্তোষ প্রকাশ করেন। প্রধানমন্ত্রীর ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরের সিঙ্গাপুর সফর, সিঙ্গাপুরের রাষ্ট্রপতি শ্রী থরমন শানমুগারত্নমের জানুয়ারি মাসে ভারত সফর এবং নতুন দিল্লিতে তৃতীয় ভারত-সিঙ্গাপুর মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক এই সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করেছে। রাজনীতি, অর্থনীতি, নিরাপত্তা, প্রযুক্তি, শিক্ষা এবং দুই দেশের জনসাধারণের মধ্যে যোগাযোগ এই সম্পর্ককে নিবিড় করে তুলেছে।
২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে প্রধানমন্ত্রীর সিঙ্গাপুর সফরের সময়ে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে সর্বাঙ্গীণ এক কৌশলগত অংশীদারিত্বে উন্নীত করা হয়। এই অংশীদারিত্ব দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের পরবর্তী পর্বের দিকনির্দেশ করে। এছাড়াও, আর্থিক সহযোগিতা, দক্ষতা বিকাশ, ডিজিটালাইজেশন, সুস্থায়ী উন্নয়ন, যোগাযোগ ব্যবস্থা, স্বাস্থ্য পরিষেবা ও ওষুধপত্র, দু’দেশের নাগরিকদের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময় এবং প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা ক্ষেত্রে সহযোগিতাকে শক্তিশালী করে তোলা হবে।
এই অংশীদারিত্বের বিস্তারিত পরিকল্পনা
অর্থনৈতিক সহযোগিতা : নতুন নতুন ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক সম্পর্কে আরও শক্তিশালী করে তোলা-
দুটি দেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য এবং বাজারের সুযোগ কাজে লাগানো হবে। একটি সর্বাঙ্গীণ অর্থনৈতিক সহযোগিতা সংক্রান্ত চুক্তি কার্যকর করার মধ্য দিয়ে দু’দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের কোন কোন ক্ষেত্রকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এই অর্থনৈতিক সহযোগিতা চুক্তির তৃতীয় পর্যালোচনা বৈঠক এবং আসিয়ান-ভারত ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে পণ্য সংক্রান্ত চুক্তির পর্যালোচনা করা হবে। ভারতের সেমি-কন্ডাক্টর শিল্পের সম্প্রসারণে সিঙ্গাপুর সহযোগিতা করবে। সিঙ্গাপুরের কোম্পানিগুলি একটি প্রাণবন্ত সেমি-কন্ডাক্টর সরবরাহ শৃঙ্খল গড়ে তুলতে ভারতকে সহযোগিতা করবে।
সুস্থায়ী এবং পরবর্তী প্রজন্মের সঙ্গে সাযুজ্য রেখে শিল্প পার্ক গড়ে তোলা হবে। এই শিল্প পার্ক বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী উৎপাদনের ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে এবং যৌথ অংশীদারিত্ব ও দু’দেশের সরকারের মধ্যে সহযোগিতা নিবিড় করে তুলবে। দুটি দেশের শেয়ার বাজারের মধ্যে যোগসূত্র গড়ে তোলা হবে। বাণিজ্য মহলের অংশীদারিত্বকে আরও শক্তিশালী করে তোলার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হবে।
ভারতের মহাকাশ সংক্রান্ত জাতীয় পরিকল্পনায় সিঙ্গাপুরকে যুক্ত করা হবে। দুই দেশের মহাকাশ শিল্পের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধি ছাড়াও পারস্পরিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ক্ষেত্রে গবেষণা ও উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করা হবে। এর মধ্যে রয়েছে, বিশ্ব পর্যবেক্ষণ ও কৃত্রিম উপগ্রহের মাধ্যমে উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলা।
আইনি বিবাদের নিষ্পত্তি ঘটাতে দু’দেশের বাণিজ্য মহল মিলিত হবে। এছাড়াও, ভারত ও সিঙ্গাপুরের বিভিন্ন দপ্তরের মন্ত্রীরা পারস্পরিক আলাপ-আলোচনা চালাবে।
দক্ষতা বিকাশ : দক্ষতা উন্নয়ন ও ক্ষমতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে অংশীদারিত্ব
তামিলনাড়ুর চেন্নাইয়ে একটি জাতীয় উৎকর্ষ কেন্দ্র যৌথভাবে গড়ে তোলা হবে। এই কেন্দ্রে দু’দেশের শিল্প মহলের মধ্যে যোগসূত্র গড়ে তোলার পাশাপাশি, প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যবস্থা থাকবে। দক্ষতা সংক্রান্ত শংসাপত্র বিতরণ করা ছাড়াও, উন্নতমানের উৎপাদন, বিমান চলাচল এবং বিভিন্ন সামগ্রী মেরামত ও পুনর্ব্যবহারযোগ্য করে তোলার মতো ক্ষেত্রে দক্ষতা বিকাশ করার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হবে।
উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে কারিগরি শিক্ষায় সহযোগিতা গড়ে তোলা হবে। কর্মীগোষ্ঠীর দক্ষতা বাড়াতে দু’দেশের বিশেষজ্ঞরা তাঁদের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেবেন। একটি যৌথ কর্মীগোষ্ঠী ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষক-শিক্ষিকা বিনিময় কর্মসূচির বাস্তবায়ন করবে। সিঙ্গাপুরের দক্ষ ব্যবস্থাপনাকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে দক্ষতা বিকাশ করা হবে। যেমন, সিঙ্গাপুর-আসাম নার্সিং ট্যালেন্ট স্কিলস কো-অপারেশন।
ডিজিটালাইজেশন : ডিজিটাল ও আর্থিক প্রযুক্তির ক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধি-
আর্থিক ক্ষেত্রে ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে দু’দেশের মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধি করা হবে। সাইবার নিরাপত্তা, শেয়ার বাজারের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধি করার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হবে। ডিজিটাল পদ্ধতিতে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। দু’দেশের মাঝারি ও ক্ষুদ্র শিল্প এবং স্টার্ট-আপ উদ্যোগগুলির মধ্যে অংশীদারিত্ব গড়ে তোলা হবে। ডিজিটাল প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে সুস্থায়ী আর্থিক উন্নতির লক্ষ্যে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার পর্যালোচনা করা হবে। কৃত্রিম মেধার ক্ষেত্রে সহযোগিতার কতটা প্রসার ঘটানো যায়, সেই বিষয়টি নিয়েও পর্যালোচনা করা হবে।
ইউপিআই-পে নাও ব্যবস্থার মধ্যে সমঝোতা গড়ে তোলা হবে। এর ফলে, নিরাপদ কাগজবিহীন পদ্ধতিতে ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে আর্থিক লেনদেনের সুবিধা হবে।
সুস্থায়ী উন্নয়ন : সুস্থায়ী উন্নয়ন ও পরিবেশ-বান্ধব ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য নতুন নতুন সুযোগের অনুসন্ধান-
পরিবেশ-বান্ধব হাইড্রোজেন জ্বালানি, অ্যামোনিয়া উৎপাদন সহ নতুন নতুন ক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য পর্যালোচনা করা হবে। শহরাঞ্চলে জলের ব্যবহার, অসামরিক কাজে পারমাণবিক শক্তিকে কাজে লাগানো ছাড়াও, বিভিন্ন ক্ষেত্রে কিভাবে সহযোগিতা বৃদ্ধি করা যায়, সেই বিষয়টির পর্যালোচনা করা হবে।
প্যারিস চুক্তির ৬.২ অনুচ্ছেদ অনুসারে, দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে উদ্ভূত বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করা হবে। আন্তর্জাতিক সৌর জোট এবং গ্লোবাল বায়ো-ফুয়েলস অ্যালায়েন্সের সদস্য সিঙ্গাপুর। সিঙ্গাপুরের সঙ্গে ভারতের পরিবেশ-বান্ধব ও সুস্থায়ী উন্নয়নের জন্য কি ধরনের উদ্যোগ নেওয়া যায়, সেই বিষয়গুলি নিয়ে পর্যালোচনা করা হবে। এছাড়াও, দুই দেশের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী রপ্তানির ক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধি করা হবে। এর মধ্য দিয়ে খাদ্য সুরক্ষার বিষয়টি শক্তিশালী হবে।
যোগাযোগ ব্যবস্থা : সমুদ্রপথে ও আকাশপথে যোগাযোগ ব্যবস্থার প্রসার ঘটানো-
ভারত-সিঙ্গাপুর গ্রিন অ্যান্ড ডিজিটাল শিপিং করিডর গড়ে তোলা হবে। এর মাধ্যমে সিঙ্গাপুর ও ভারতের বন্দরগুলির মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধি করা হবে। সমুদ্রযাত্রায় ব্যবহৃত পরিবেশ-বান্ধব জ্বালানি সরবরাহে একটি করিডর নির্মাণ করা হবে। দু’দেশের বিমান চলাচলের সঙ্গে যুক্ত কোম্পানিগুলির মধ্যে অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার মধ্য দিয়ে ভারতে ক্রমবর্ধমান উড়ান শিল্পে সহযোগিতা বৃদ্ধি করা হবে। দুই প্রধানমন্ত্রীই দুটি দেশের মধ্যে ভ্রমণের চাহিদা বৃদ্ধির বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়েছেন। দ্বিপাক্ষিক স্তরে বিমান পরিষেবা সংক্রান্ত চুক্তির প্রসার ঘটানোর বিষয় নিয়ে আলাপ-আলোচনা বৃদ্ধিতে তাঁরা উৎসাহ দিয়েছেন।
ভারতের বিভিন্ন বিমানবন্দরের মানোন্নয়ন ঘটানোর লক্ষ্যে সিঙ্গাপুরের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগানো হবে। বিমান পরিবহণে পরিবেশ-বান্ধব ও সুস্থায়ী জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধিতে দুটি দেশই অঙ্গীকারবদ্ধ।
স্বাস্থ্য পরিষেবা ও ওষুধ শিল্প : সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে সহযোগিতাকে শক্তিশালী করে তোলা-
স্বাস্থ্যক্ষেত্রে ও ওষুধ শিল্পে সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বেশ কয়েকটি সমঝোতাপত্র স্বাক্ষরিত হয়েছে। এর ফলে, মানবসম্পদ উন্নয়ন, স্বাস্থ্যক্ষেত্রে ডিজিটাল পরিষেবা, মা ও শিশুর স্বাস্থ্য ও পুষ্টির উপর নজরদারি সহ নানা ক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধি করা হবে।
স্বাস্থ্যক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য যৌথ কর্মীগোষ্ঠীর নিয়মিত বৈঠক হবে। নার্সিং ক্ষেত্রে দক্ষতা বিকাশের জন্য প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। সিঙ্গাপুরে এক্ষেত্রে আরও কর্মীর চাহিদা থাকায় সিঙ্গাপুর ও আসামের মধ্যে দক্ষতা সংক্রান্ত সহযোগিতার একটি সমঝোতাপত্র স্বাক্ষরিত হয়েছে। ডিজিটাল স্বাস্থ্য পরিষেবার ক্ষেত্রে গবেষণা ও উদ্ভাবনকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
দু’দেশের জনসাধারণের মধ্যে সাংস্কৃতিক আদানপ্রদান
দু’দেশের নাগরিকদের মধ্যে দীর্ঘদিনের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক যোগাযোগের মাধ্যমে সমুদ্রযাত্রার ঐতিহ্যের ক্ষেত্রে সহযোগিতার এক পরিবেশ গড়ে ওঠে। সিঙ্গাপুর-ভারত অংশীদারিত্ব সংক্রান্ত ফাউন্ডেশন ভারতের আইটিআই থেকে পাশ করা ছাত্রছাত্রীদের বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের সুযোগ করে দেবে। পাশাপাশি, ভারতীয় প্রতিষ্ঠানে সিঙ্গাপুরের ইন্টার্নরা কাজের সুযোগ পাবেন।
দু’দেশের সংসদীয় ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে বিনিময় কর্মসূচির বাস্তবায়ন ঘটানো হবে। ঊর্ধ্বতন আধিকারিকরা বিভিন্ন প্রশিক্ষণে যোগদানের সুযোগ পাবেন। দূতাবাস সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ের আলাপ-আলোচনার জন্য নিয়মিত বৈঠক করা হবে। এছাড়াও, চিন্তাবিদ, শিক্ষাবিদ ও গবেষকরা নিয়মিত মতবিনিময়ের সুযোগ যাতে পান, সেই পরিবেশ গড়ে তোলা হবে। পাশাপাশি, সাংস্কৃতিক আদানপ্রদানের জন্য শিল্পীরা একে অপরের দেশে যাবেন। বিভিন্ন প্রদর্শনীরও আয়োজন করা হবে।
প্রতিরক্ষা ও সুরক্ষা সংক্রান্ত সহযোগিতা : আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতাবস্থা বজায় রাখার ক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধি
প্রতিরক্ষা ও সুরক্ষা সংক্রান্ত সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য দু’দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রীদের মধ্যে নিয়মিত বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়াও, মন্ত্রকের আধিকারিকরা বিভিন্ন সংলাপে যোগদান করবেন। সেনাবাহিনী, নৌ-বাহিনী ও বিমানবাহিনীর যৌথ মহড়া চলবে।
কোয়ান্টাম কম্পিউটিং, কৃত্রিম মেধা, স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থাপনা এবং মানববিহীন যানবাহনের মতো প্রতিরক্ষার বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়ানো হবে। ইনফরমেশন ফিউশন সেন্টারগুলি সমুদ্রযাত্রার বিভিন্ন বিষয়ে সচেতনতা গড়ে তুলবে। মালাক্কা প্রণালীতে নজরদারি চালানোর জন্য ভারতের উৎসাহের প্রশংসা করেছে সিঙ্গাপুর।
জঙ্গীবাদ, সীমান্তের অন্য প্রান্তে সন্ত্রাসবাদের মতো সমস্যাগুলির মোকাবিলার ক্ষেত্রে দু’দেশই তাদের অঙ্গীকারের কথা জানিয়েছে। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আপোসহীন নীতি অনুসরণ করা হবে। বিভিন্ন জঙ্গীগোষ্ঠীকে যারা আর্থিক সহায়তা করে থাকে, তাদের বিরুদ্ধে এফএটিএফ সহ বিভিন্ন বহুপাক্ষিক মঞ্চে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্র দপ্তর এবং ভারতের বিদেশ দপ্তরের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নয়নের বিষয়ে নিয়মিত পর্যালোচনা বৈঠক করা হবে।
সর্বাঙ্গীণ এই কৌশলগত অংশীদারিত্বের অগ্রগতিকে নিয়মিত পর্যালোচনা করতে এবং তা বাস্তবায়নের জন্য দুই দেশের মন্ত্রী পর্যায়ের নিয়মিত বৈঠকের বিষয়ে উভয় প্রধানমন্ত্রী সহমত পোষণ করেছেন।
SC/CB/DM
(Release ID: 2164276)
Visitor Counter : 9
Read this release in:
English
,
Urdu
,
Marathi
,
हिन्दी
,
Manipuri
,
Assamese
,
Punjabi
,
Gujarati
,
Odia
,
Tamil
,
Telugu
,
Kannada
,
Malayalam