প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর
azadi ka amrit mahotsav

বিহারের গয়ায় ১২,০০০ কোটি টাকার একগুচ্ছ উন্নয়নমূলক প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর

Posted On: 22 AUG 2025 1:52PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি,  ২২ অগাস্ট, ২০২৫

 

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ বিহারের গয়ায় ১২,০০০ কোটি টাকার একগুচ্ছ উন্নয়নমূলক প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। তিনি বলেন, গয়ার দ্রুত উন্নয়নে একযোগে কাজ করে চলেছে কেন্দ্র এবং বিহার সরকার। 


একদিনে একসঙ্গে এতগুলি প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাসের কথা উল্লেখ করে শ্রী মোদী জানান, এই প্রকল্পগুলি বিদ্যুৎ, স্বাস্থ্য পরিচর্যা এবং নগরোন্নয়ন সহ প্রধান প্রধান ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত। এর ফলে শিল্পের বিকাশের পাশাপাশি নতুন নতুন কর্মসংস্থানেরও সৃষ্টি হবে বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। বিগত ১১ বছর ধরে তাঁর সরকারে বিভিন্ন সাফল্যের কথা তুলে ধরে শ্রী মোদী বলেন, গোটা দেশে গরিবদের জন্য ৪ কোটি পাকা বাড়ি নির্মিত হয়েছে। এর মধ্যে শুধু বিহারেই ৩৮ লক্ষের বেশি বাড়ি তৈরি করা হয়েছে। তিনি জানান, গয়া জেলাতেই ২ লক্ষের বেশি পরিবার তাদের নিজেদের পাকা বাড়ি পেয়েছে। প্রত্যেক গরিব মানুষের হাতে পাকা বাড়ি তুলে না দেওয়া পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। 


শ্রী মোদী বলেন, অপারেশন সিঁদুর ভারতের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে এক নতুন দিক নির্দেশ করেছে। ভারতের মাটিতে জঙ্গি পাঠিয়ে কিংবা হামলা চালিয়ে কেউই রেহাই পাবে না বলে মন্তব্য করেন তিনি। শ্রী মোদী বলেন, বিহারের দ্রুত উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে কেন্দ্রের এনডিএ সরকার। ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতির অভিযোগ তুলে বিরোধীদের নিশানা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিরোধীদের বিভেদমূলক রাজনীতির জবাব দেবেন বিহারের মানুষ। বক্সারে আজ তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন শ্রী মোদী। অন্যদিকে ঔরাঙ্গাবাদে নবিনগর সুপার থার্মাল বিদ্যুৎ প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তিনি। 


শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে বিহার সরকারের স্বচ্ছতার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিহারের তরুণদের নিজেদের রাজ্যেই যাতে সবচেয়ে বেশি কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেওয়া যায়, সেই লক্ষ্যে কাজ করছে রাজ্য সরকার। এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বিকশিত ভারত রোজগার যোজনার কথাও উল্লেখ করেন তিনি। এই প্রকল্পে বেসরকারী ক্ষেত্রে চাকরিতে প্রথম যোগ দেওয়া কর্মীকে কেন্দ্রীয় সরকার ১৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। 


শ্রী মোদী বলেন, যে সব প্রকল্পের শিলান্যাস করা হয়েছে, সেগুলির কাজ দ্রুত শেষ করাই সরকারের প্রধান লক্ষ্য। গয়ায় রেল যোগাযোগের উন্নতির কথাও উল্লেখ করেন তিনি। দুর্নীতির ইস্যুতেও বিরোধীদের আক্রমণ করেন প্রধানমন্ত্রী। দেশকে পুরোপুরি দুর্নীতি মুক্ত করতে তাঁর সরকারের আনা সাম্প্রতিক বিলের কথাও উল্লেখ করেন তিনি। একজন মুখ্যমন্ত্রী বা মন্ত্রী কারগারে থেকেও কীভাবে ক্ষমতাভোগ করেন, সেই প্রশ্নও তোলেন শ্রী মোদী। এপ্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী এবং অন্যান্য মন্ত্রীদের আইনের আওতায় আনার কথাও জানান তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যদি কোনও সরকারি কর্মচারী ৪৮ ঘণ্টা জেলে থাকেন, তাঁর চাকরি চলে যায়। তা তিনি গাড়ির চালক, কেরানি কিংবা পিয়ন, যাই হোন না কেন। কিন্তু মন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী এমনকি প্রধানমন্ত্রীও জেল থেকে কীভাবে সরকার চালাতে পারেন? অতীতের দৃষ্টান্ত টেনে দিয়ে শ্রী মোদী বলেন, "কিছু দিন আগে আমরা দেখেছি, কী ভাবে জেলে বসে বসে ফাইলে সই করা হচ্ছিল। সরকারের নির্দেশিকা কী ভাবে জেল থেকে জারি করা হচ্ছিল। নেতারাই যদি এমন আচরণ করেন, তবে আমরা কীভাবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করব?"


 এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের বিলের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী কিংবা অন্য কোনও মন্ত্রী গ্রেফতার হলে, ৩০ দিনের মধ্যে তাঁদের জামিন দিতে হবে। তা না হলে তাঁদের পদ ছাড়তে হবে। এই বিলের বিরোধিতা করার জন্য বিরোধী দলগুলির কঠোর সমালোচনা করেন তিনি। শ্রী মোদী বলেন, বিরোধী দলগুলির কোনও কোনও নেতা জামিনে মুক্ত রয়েছেন। কারও কারও বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা চলছে। তাই কারাগারে গেলে তাঁদের রাজনৈতিক স্বপ্ন ধ্বংস হয়ে যাবে, এই আশঙ্কা থেকেই তাঁরা বিলের বিরোধিতা করছেন বলে মন্তব্য করেন শ্রী মোদী। 


দেশে এবং বিহারে অনুপ্রবেশকারীর সংখ্যা ক্রমশ বাড়তে থাকায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। এর ফলে বিহারের সীমান্ত এলাকায় জনসংখ্যার হিসেব দ্রুত বদলে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনুপ্রবেশকারীদের কোনওভাবেই বিহারের তরুণদের চাকরি কেড়ে নিতে দেওয়া হবে না। তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, প্রতিটি অনুপ্রবেশকারীকে দেশ থেকে বের করে দেওয়া হবে। এব্যাপারে সতর্ক থাকার জন্য বিহারের মানুষের কাছে আবেদন জানান তিনি। 


প্রধানমন্ত্রী আজ গয়া ও দিল্লির মধ্যে চলাচলকারী অমৃত ভারত এক্সপ্রেসের সূচনা করেন। বিহারে গঙ্গার ওপর ১.৮৬ কিলোমিটার দীর্ঘ ৬ লেনের সেতুর পাশাপাশি ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কে ৮.১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ সেতু প্রকল্পের উদ্বোধন করেন তিনি। 


অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিহারের রাজ্যপাল শ্রী আরিফ মহম্মদ খান, মুখ্যমন্ত্রী শ্রী নীতিশ কুমার, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শ্রী রাজীব রঞ্জন সিং, শ্রী জিতন রাম মাঞ্জি, শ্রী গিরিরাজ সিং, শ্রী চিরাগ পাসোয়ান প্রমুখ । 
    


SC/  MP /AG


(Release ID: 2159792)