অর্থমন্ত্রক
azadi ka amrit mahotsav

পণ্য ও পরিষেবা করের মতো উল্লেখযোগ্য একটি সংস্কার কীভাবে দেশের উপকারে এসেছে ৭৯তম স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে তা তুলে ধরলেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী

Posted On: 15 AUG 2025 10:51AM by PIB Kolkata

নতুন দিল্লি, ১৫ অগাস্ট, ২০২৫


২০১৭ সালে রূপায়িত হওয়া পণ্য ও পরিষেবা করের মতো উল্লেখযোগ্য একটি সংস্কার কীভাবে দেশের উপকারে এসেছে ৭৯তম স্বাধীনতা দিবসে জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী তা তুলে ধরেছেন। 

প্রধানমন্ত্রী আগামী প্রজন্মের জিএসটি সংস্কারের গুরুত্বের উপর জোর দিয়েছেন, যা সাধারণ মানুষ, কৃষক, মধ্যবিত্ত এবং এমএসএমই-গুলিকে স্বস্তি দেবে। 

‘আত্মনির্ভর ভারত’ গঠনের লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় সরকার জিএসটি-তে উল্লেখযোগ্য সংস্কারের প্রস্তাব রেখেছে। তিনটি মূল ভিত্তির উপর এই সংস্কার আধারিত। এগুলি হল - 

১. কাঠামোগত সংস্কার
২. হারের বাস্তবগ্রাহ্যতা এবং
৩. জীবনযাপনের স্বাচ্ছন্দ্য 

জিএসটি পরিষদের গঠিত মন্ত্রীগোষ্ঠীর কাছে কেন্দ্রীয় সরকার তার সংস্কার প্রস্তাব পর্যালোচনার জন্য পাঠিয়ে দিয়েছে। 

আগামী প্রজন্মের সংস্কারের প্রধান ক্ষেত্রগুলির মধ্যে রয়েছে করের হার বাস্তবোচিত করা, এতে সমাজের সর্বস্তরের মানুষ বিশেষত সাধারণ মানুষ, মহিলা, ছাত্র-ছাত্রী, মধ্যবিত্ত শ্রেণী এবং কৃষকরা উপকৃত হবেন। 

এই সংস্কারগুলি শ্রেণীবিভাগজনিত বিবাদ কমাতে, নির্দিষ্ট কিছু ক্ষেত্রে কর হারের সংশোধনে, করের হারের সুস্থিতিতে এবং সহজে ব্যবসা করার পরিবেশ সৃষ্টিতে সহায়ক হবে। এর ফলে, প্রধান অর্থনৈতিক ক্ষেত্রগুলির শক্তি বৃদ্ধি পাবে, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বাড়বে এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রের পরিধির প্রসার ঘটবে। 

কেন্দ্রের প্রস্তাবিত সংস্কারের প্রধান ভিত্তিগুলি:

প্রথম ভিত্তি: কাঠামোগত সংস্কার -

ক) ইনভার্টেড কর কাঠামোর সংশোধন: কর কাঠামোর সংশোধন করে ইনপুট ও আউটপুট করের হারকে এমন জায়গায় আনতে হবে যাতে ইনপুট ট্যাক্স ক্রেডিটের বোঝা কমে। এতে অভ্যন্তরীণ মূল্য সংযোজনের সুবিধা হবে। 

খ) শ্রেণীবিভাগজনিত বিবাদের নিষ্পত্তি: শ্রেণীবিভাগজনিত বিবাদের নিষ্পত্তি হলে, কর কাঠামোর বৈষম্য কমবে, বিধিগত বাধ্যবাধকতার সরলীকরণ হবে এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রের মধ্যে সাম্য ও ধারাবাহিকতা নিশ্চিত হবে। 

গ) সুস্থিতি ও সম্ভাব্যতা: করের হার ও নীতি দীর্ঘকালীন মেয়াদে সুস্পষ্ট হলে শিল্পমহলের আস্থা বাড়বে এবং ব্যবসার পরিকল্পনা করা সম্ভব হবে। 

দ্বিতীয় ভিত্তি: বাস্তবোচিত হার -

ক) সাধারণ মানুষের প্রয়োজনীয় দ্রব্যের উপর করের হার কমানো: এতে বিভিন্ন দ্রব্য সামগ্রী সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যে আসবে, ব্যবহারের পরিমাণ বাড়বে, আরও বেশি মানুষ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের নাগাল পাবেন। 

খ) স্তরের সংখ্যা কমানো: মাত্র দুটি স্তর রেখে করের সরলীকরণ করা হবে – সাধারণ এবং বিশেষ। নির্বাচিত কিছু পণ্যের উপর বিশেষ হার ধার্য হবে। 

গ) ক্ষতিপূরণ সেস: ক্ষতিপূরণ সেস বিলুপ্ত হওয়ায় জিএসটি কাঠামোয় করের হার বাস্তবোচিত করার সুযোগ বাড়বে। 

তৃতীয় ভিত্তি: জীবনযাপনের সহজতা -

ক) নথিভুক্তিকরণ: অনায়াস, প্রযুক্তিচালিত এবং সময়নির্দিষ্ট, বিশেষত ছোট ব্যবসা এবং স্টার্টআপগুলির ক্ষেত্রে।

খ) রিটার্ন: প্রি-ফাইল্ড রিটার্নের রূপায়ণ করা হবে, এতে ব্যক্তি হস্তক্ষেপের সম্ভাবনা কমবে। 

গ) রিফান্ড: রপ্তানিকারক এবং ইনভার্টেড কাঠামোয় আছেন এমন ব্যবসায়ীদের জন্য রিফান্ডের প্রক্রিয়া দ্রুততর এবং স্বয়ংক্রিয় করা হবে। 

 

SC/SD/SKD


(Release ID: 2157058)