প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর
রিও ডি জেনেইরো ঘোষণা-আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং সুস্থিতিশীল সরকারের লক্ষ্যে গ্লোবাল সাউথের সহযোগিতাকে মজবুত করার ডাক
Posted On:
07 JUL 2025 6:00AM by PIB Kolkata
নয়াদিল্লি, ০৭ জুলাই, ২০২৫
ব্রাজিলের রিও ডি জেনেইরোতে ৬ ও ৭ জুলাই আমরা ব্রিকস্ গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির নেতৃবৃন্দ মিলিত হয়েছিলাম। এবারের বৈঠকের বিষয়বস্তু ছিল- “আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং সুস্থিতিশীল সরকারের লক্ষ্যে গ্লোবাল সাউথের সহযোগিতাকে শক্তিশালী করা”।
পারস্পরিক সম্মান ও বোঝাপড়া, সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র, সহযোগিতা ও সহমতের প্রতি আমাদের অঙ্গীকার ফের ব্যক্ত করছি। ব্রিকস্-এর ১৭ বছরের যাত্রাপথে রাজনৈতিক ও সুরক্ষা, আর্থিক, সাংস্কৃতিক এবং মানুষে মানুষে যোগাযোগ গড়ে তোলার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।
ব্রিকস্-এর সদস্য হিসেবে আমরা ইন্দোনেশিয়াকে স্বাগত জানাই। সেইসঙ্গে অংশীদার দেশ হিসেবে বেলারুস, বলিভিয়া, কাজাকস্তান, কিউবা, নাইজেরিয়া, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, উগান্ডা এবং উজবেকিস্তানকে স্বাগত জানাচ্ছি।
বহুমাত্রিকতার শক্তিশালীকরণ এবং আন্তর্জাতিক প্রশাসনিক ব্যবস্থার সংস্কার
আরও সঠিক, কার্যকর, দক্ষ, প্রতিনিধিত্বমূলক, বৈধ, গণতান্ত্রিক এবং দায়বদ্ধ আন্তর্জাতিক ও বহুমাত্রিক ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ। এক্ষেত্রে সম্মেলনে আমরা দুটি বিষয় সংযোজন করেছি। এগুলি হল, আন্তর্জাতিক ডিজিটাল চুক্তি এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ঘোষণা। বর্তমান আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে আরও উন্নত ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে রাষ্ট্রসংঘের সনদ মেনে আন্তর্জাতিক শান্তি ও সুরক্ষা সুনিশ্চিত করতে হবে। মানবাধিকার রক্ষা এবং মৌলিক স্বাধীনতার পাশাপাশি পারস্পরিক সম্মান, অখণ্ডতা ও সমতার ভিত্তিতে সহযোগিতা বৃদ্ধি করতে হবে। রাষ্ট্রসংঘের কার্যনির্বাহী প্রধান এবং উচ্চ পদগুলিতে নিয়োগ ও বাছাইয়ের ক্ষেত্রে আরও স্বচ্ছ্ব এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক নীতি গ্রহণ এবং রাষ্ট্রসংঘের সনদের ধারা ১০১ মেনে চলার ওপর আমরা জোর দিচ্ছি।
নিরাপত্তা পরিষদ সহ রাষ্ট্রসংঘের সর্বাত্মক সংস্কারের পক্ষে আমরা। সেইসঙ্গে আমরা চাই, একে আরও গণতান্ত্রিক, প্রতিনিধিত্বমূলক, কার্যকর এবং দক্ষ করে তোলা হোক। নিরাপত্তা পরিষদে উন্নয়নশীল দেশগুলির প্রতিনিধিত্ব এমনভাবে বাড়ানো হোক, যাতে বর্তমান আন্তর্জাতিক পরিস্থিতিতে এটি যথার্থ ভূমিকা পালন করতে পারে। সেইসঙ্গে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ব্রিকস্ গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলি সহ আফ্রিকা, এশিয়া ও লাতিন আমেরিকার দেশগুলির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হিসেবে চিন ও রাশিয়া রাষ্ট্রসংঘ ও নিরাপত্তা পরিষদে ভারত এবং ব্রাজিলের বৃহত্তর ভূমিকা পালনের ব্যাপারে তাদের সমর্থন ব্যক্ত করেছে।
আমরা একমত যে, বর্তমান বহুমাত্রিক বিশ্ব ব্যবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে উন্নয়নশীল দেশগুলি যাতে তাদের পারস্পরিক মত বিনিময় ও আলাপ-আলোচনাকে আরও জোরদার করতে পারে, সেই লক্ষ্যে পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত। বিশ্ব জুড়ে ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা বৃদ্ধি, দ্রুত আর্থিক অবনমন এবং প্রযুক্তিগত পরিবর্তন সহ আন্তর্জাতিক চ্যালেঞ্জের মোকাবিলায় গ্লোবাল সাউথ-এর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
বর্তমান অনিশ্চিত ও অস্থির পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডারকে (আইএমএফ) অবশ্যই সমৃদ্ধ করতে হবে। পাশাপাশি বিশ্ব ব্যাঙ্ককেও আরও উন্নত, বৃহত্তর এবং কার্যকর আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। লাগামহীনভাবে বাণিজ্যিক বিধিনিষেধ আরোপের ফলে বিশ্ববাণিজ্য মার খাবে এবং আন্তর্জাতিক সরবরাহ শৃঙ্খল ব্যবস্থা ভেঙে পড়বে। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক আর্থিক ও বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে অনিশ্চয়তা তৈরি হবে। আমরা নিয়ম ভিত্তিক, খোলামেলা, স্বচ্ছ, অবাধ, বৈষম্যহীন, সহমত ভিত্তিক বহুমাত্রিক বাণিজ্যিক ব্যবস্থার পক্ষে, যার কেন্দ্রে থাকবে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা। আন্তর্জাতিক নিয়ম লঙ্ঘন করে একতরফাভাবে দমনমূলক পদক্ষেপ গ্রহণের আমরা বিরোধী। পাশাপাশি, আর্থিক অবরোধ সহ বিভিন্ন ধরনের বিধিনিষেধ মানুষের অধিকারের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ও সংহতির মাধ্যমে আমরা বিশ্বের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে অঙ্গীকারবদ্ধ। এক্ষেত্রে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। বর্তমান এবং ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জের মোকাবিলায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বলিষ্ঠ ও পর্যাপ্ত তহবিল গড়ে তোলা দরকার। এরফলে, স্বাস্থ্য পরিষেবায় অসাম্য দূর হবে এবং সকলের জন্য ওষুধ ও টিকা সুনিশ্চিত করা যাবে।
আরও সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ গড়ার ক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই)-র উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রয়েছে। সেই লক্ষ্য অর্জনে এআই-এর উপযোগী একটি বিশ্ব ব্যবস্থা গড়ে তোলা উচিত, যা সব দেশের প্রয়োজনীয়তা মেটাবে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উপযোগিতার কথা মাথায় রেখে উন্নত দেশগুলির জন্য সক্ষমতা নির্মাণ সহ সার্বভৌম আইন তৈরি করতে হবে।
শান্তি, সুরক্ষা এবং আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতাকে তুলে ধরা
বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন অংশে চলতে থাকা সংঘাত এবং মেরুকরণ নিয়ে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। এর ফলে, সামরিক ক্ষেত্রে ব্যয় বহুগুণ বেড়ে যাবে। অন্যদিকে, উন্নয়নশীল দেশগুলি পর্যাপ্ত অর্থ প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হবে। ধারাবাহিক উন্নয়ন, ক্ষুধা ও দারিদ্র দূরীকরণ এবং জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে পদক্ষেপ সহ গুরুতর বিভিন্ন আন্তর্জাতিক বিষয়ে বহুমাত্রিক দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করা প্রয়োজন।
বিশ্ব জুড়ে মেরুকরণ ও অবিশ্বাসের এই পরিবেশে আমরা আন্তর্জাতিক শান্তি ও সুরক্ষাকে জোরদার করার পক্ষে। এইসব চ্যালেঞ্জের মোকাবিলার জন্য আমরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে আবেদন জানাচ্ছি। সেইসঙ্গে, মূল কারণ চিহ্নিতকরণের মাধ্যমে সংঘাত কমাতে রাজনৈতিক-কূটনৈতিক পদক্ষেপ গ্রহণের আর্জি জানাচ্ছি। পারস্পরিক আলোচনা, শলাপরামর্শ এবং কূটনীতির মাধ্যমে সমস্ত আঅন্তর্জাতিক সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধান খুঁজতে আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ। আমরা সমস্ত আন্তর্জাতিক মানবিক নিয়ম লঙ্ঘন, নাগরিকদের ওপর উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হামলার তীব্র নিন্দা করছি। আমরা ১৩ জুন ২০২৫-এ ইরানের ওপর সামরিক হামলার নিন্দা করছি এবং মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছি। পরমাণু রক্ষাকবচ, সুরক্ষা ও নিরাপত্তাকে সবসময় অগ্রাধিকার দিতে হবে। এব্যাপারে হস্তক্ষেপের জন্য রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের কাছে আর্জি জানাচ্ছি। মধ্যপ্রাচ্য এবং উত্তর আফ্রিকার অস্থিরতা নিয়েও আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। সেইসঙ্গে ফিলিস্তিন ভূখণ্ড এবং গাজায় ইজরায়েলের ক্রমাগত হামলা নিয়েও আমরা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি। এই ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক আইন এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন মেনে চলার আবেদন জানাচ্ছি। আমরা সমস্তধরনের হিংসার নিন্দা করছি।
আমরা মনে করি, গাজা ভূখণ্ড হল অধিকৃত প্যালেস্তাইন অঞ্চলের অবিচ্ছেদ্য অংশ। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে, শান্তিপূর্ণ উপায়ে ইজরায়েল – প্যালেস্তাইন সংঘর্ষের দীর্ঘস্থায়ী সমাধান মিলতে পারে। আমরা রাষ্ট্রসঙ্ঘে প্যালেস্তাইনের পূর্ণ সদস্যপদের দাবি জানাচ্ছি। সেইসঙ্গে লেবাননে যুদ্ধবিরতিকে স্বাগত জানায়। যুদ্ধবিরতি এবং লেবাননের সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা লঙ্ঘনের নিন্দা করছি। লেবানন সরকারের সঙ্গে স্বাক্ষরিত চুক্তি মেনে চলার জন্য ইজরায়েলের কাছে আবেদন জানাচ্ছি।
সিরিয়ার সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা, ঐক্য ও আঞ্চলিক অখণ্ডতার প্রতি আমাদের অঙ্গীকার ফের ব্যক্ত করছি। সিরিয়ার উপর থেকে একতরফাভাবে নিষেধাজ্ঞার প্রত্যাহারকে স্বাগত জানাই। আমাদের আশা, এর ফলে, সিরিয়ার অর্থনীতির পুনরুজ্জীবন ঘটবে এবং সেদেশের পুনর্নির্মাণের পথ প্রশস্ত হবে। “আফ্রিকার সমস্যার সমাধান আফ্রিকাই করবে” – এই নীতিকে আমরা সমর্থন করি। আমরা মনে করি, সংঘর্ষ থামাতে আফ্রিকান ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। আফ্রিকা দেশগুলির সাফল্য এবং দীর্ঘস্থায়ী শান্তি ও ধারাবাহিক উন্নয়ন প্রয়াসের আমরা প্রশংসা করছি।
সুদানের পরিস্থিতি নিয়ে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। সেখানে অবিলম্বে নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতির দাবি জানাই এবং শান্তিপূর্ণ সমাধানের আর্জি জানাচ্ছি। হাইতির নিরাপত্তা ও আর্থিক পরিস্থিতির ক্রমাবনতিতে আমরা উৎকণ্ঠিত। হাইতির বহুমুখী সমস্যার সমাধানে রাষ্ট্রসঙ্ঘের ভূমিকার প্রতি আমাদের সমর্থন রয়েছে।
আমরা যেকোনও ধরনের সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের পুরোপুরি বিরোধী। ২২ এপ্রিল, জম্মু-কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদী হামলার কঠোর নিন্দা করছি। ওই হামলায় ২৬ জন নিহত হয়েছিলেন। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, ধর্ম, নাগরিকত্ব, সভ্যতা কিংবা কোনও গোষ্ঠীর সঙ্গে সন্ত্রাসবাদকে যুক্ত করা ঠিক নয় এবং যারা সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত ও সমর্থন করে, তাদের অবশ্যই দেশের ও আন্তর্জাতিক মেনে শাস্তি দিতে হবে। সন্ত্রাসবাদের প্রশ্নে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ এবং দ্বিমুখী অবস্থান প্রত্যাখ্যান করার আবেদন জানাচ্ছি। আন্তর্জাতিক আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই এবং দুর্নীতি প্রতিরোধে ব্রিকসের মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধির উপর জোর দিচ্ছি। এক্ষেত্রে ব্রিকস দুর্নীতিদমন কর্মীগোষ্ঠীর উদ্যোগকে স্বাগত জানাই।
পরমাণু বোমা ব্যবহারের ক্রমবর্ধমান বিপদ নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের পাশাপাশি পরমাণু অস্ত্রমুক্ত অঞ্চল গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে বলে আমরা মনে করছি। শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে মহাকাশ বিজ্ঞানের সাফল্য ও প্রযুক্তিকে ব্যবহারের প্রয়োজন রয়েছে। মহাকাশে অস্ত্রের প্রতিযোগিতার আমরা পুরোপুরি বিরোধী। আন্তর্জাতিক সুরক্ষা সুনিশ্চিত করতে এক্ষেত্রে আলাপ আলোচনাই একমাত্র পথ। এক্ষেত্রে বাস্তবসম্মত এবং আস্থাবর্ধক পদক্ষেপ গ্রহণের উপর আমরা জোর দিচ্ছি।
ডিজিটাল বিভাজন দূর করতে আমরা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির (আইসিটি) সম্ভাবনার মধ্যে যোগসূত্র গড়ে তোলার উপর জোর দিচ্ছি। খোলামেলা, সুরক্ষিত, সুস্থায়ী, সহজলভ্য এবং শান্তিপূর্ণ আইসিটি-র পরিবেশ গড়ে তুলতে আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ। আইসিটি-র ব্যবহারের ক্ষেত্রে সুরক্ষা সংক্রান্ত অভিন্ন বোঝাপড়া গড়ে তুলতে রাষ্ট্রসঙ্ঘের ভূমিকা রয়েছ। এক্ষেত্রে আমরা সর্বাত্মক, ভারসাম্যমূলক, বস্তুনিষ্ঠ দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণের আবেদন জানাচ্ছি। রাষ্ট্রসঙ্ঘের অধিবেশনে সাইবার অপরাধের বিরুদ্ধে গৃহীত পদক্ষেপের প্রশংসা করছি। এরফলে, সাইবার অপরাধের মোকাবিলা প্রতিরোধে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ক্ষেত্রে আইনি কাঠামো গড়ে তোলা সম্ভব হবে। এক্ষেত্রে, ব্রিকস কর্মীগোষ্ঠীর মাধ্যমে কম্পিউটার এমার্জেন্সি রেসপন্স টিম (সিইআরটি)-এর মধ্যে নীতির আদানপ্রদান এবং যৌথ গবেষণা ও উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। আমরা শিক্ষাগত সহযোগিতাকে মজবুত করা এবং বিভিন্ন কর্মসূচি সংক্রান্ত তথ্য বিনিময়ের গুরুত্বের উপর জোর দিচ্ছি।
আন্তর্জাতিক আর্থিক ও বাণিজ্যিক সহযোগিতাকে মজবুত করা
আমরা ‘ব্রিকস আর্থিক অংশীদারিত্বের জন্য কৌশল ২০২৫’-এর সাফল্যকে স্বাগত জানায়। আমরা ‘ব্রিকস আর্থিক অংশীদারিত্বের জন্য কৌশল ২০৩০’-এর সাফল্যের অপেক্ষায় রয়েছি। এর লক্ষ্যের মধ্যে রয়েছে, বহুপাক্ষিক বাণিজ্যিক ব্যবস্থা, ডিজিটাল অর্থনীতি, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য, আর্থিক সহযোগিতা ও বাণিজ্য এবং সুস্থায়ী উন্নয়ন।
আমরা ব্রিকস বাণিজ্য ও সুস্থায়ী উন্নয়ন কাঠামোকে স্বাগত জানাচ্ছি। আমরা পিপিপি এবং পরিকাঠামো ক্ষেত্রে ব্রিকস টাস্ক ফোর্সের আলোচনাকেও স্বাগত জানাচ্ছি। শিক্ষাবিদ, নীতি নির্ধারক এবং প্রথমসারির গবেষকদের মধ্যে সমন্বয় বাড়াতে ব্রিকস থিঙ্ক নেটওয়ার্ক ফর ফাইনান্স (বিটিটিএনএফ)-এর উদ্যোগ প্রশংসনীয়। নতুন বিনিয়োগ প্ল্যাটফর্ম (এনআইপি) গড়ার ভাবনা নিয়ে ২০২৫-এর প্রথম সেমিস্টারে গঠনমূলক আলোচনা হয়েছে এবং ব্রাজিলের সভাপতিত্বে উল্লেখযোগ্য সাফল্য মিলেছে।
ব্রিকস বহুস্তরীয় গ্যারান্টিজ (বিএমজি) উদ্যোগ নিয়ে আমরা কথাবার্তা শুরু করেছি। সেখানে পরিকাঠামো এবং ধারাবাহিক উন্নয়নে বেসরকারি লগ্নির উপর জোর দেওয়া হয়েছে। আমরা আমাদের অর্থমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের গভর্নরদের ব্রিকস আন্তঃসীমান্ত পেমেন্ট উদ্যোগ নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যেতে বলেছি। এক্ষেত্রে সম্ভাব্য পথ চিহ্নিত করার ব্যাপারে ব্রিকস পেমেন্ট টাস্ক ফোর্স (বিপিটিএফ) উল্লেখযোগ্য সাফল্য পেয়েছে। এক্ষেত্রে দ্রুত, সাশ্রয়ী, অধিকতর সহজলভ্য, দক্ষ, স্বচ্ছ এবং আন্তঃসীমান্ত লেনদেনের উপর জোর দেওয়া হয়েছে।
তথ্য-সুরক্ষা ও অর্থপ্রযুক্তির ক্ষেত্রে ব্রিকস ব়্যাপিড ইনফরমেশন সিকিউরিটি চ্যানেল (বিআরআইসিএস)-এর মাধ্যমে পারস্পরিক সহযোগিতা অব্যাহত রয়েছে। সংশোধিত চুক্তি এবং নিয়মবিধির প্রস্তাব সহ শর্তাধীন সঞ্চয় ব্যবস্থা (সিআরএ)-র ক্ষেত্রে যে অগ্রগতি ঘটেছে, তাকে স্বাগত জানাই। উন্নয়নশীল দেশগুলির প্রয়োজনীয়তার দিকে বিশেষভাবে নজর রেখে আমরা সুস্থায়ী সরবরাহ শৃঙ্খল সুনিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর। অতি ক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র এবং মাঝারি শিল্পোদ্যোগের (এমএসএমই) উন্নয়ন ও বিকাশে বেসরকারি ক্ষেত্রে সক্রিয় অংশগ্রহণের ব্যাপারে আমরা উদ্যোগ নিয়েছি। আমরা সুস্থায়ী এবং গতিশীল বিশ্ব বাণিজ্য পরিমণ্ডল গড়ে তুলতে চাই। আর্থিক ও বাণিজ্যিক সহযোগিতা, সুস্থায়ী উন্নয়নকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া, শিল্পনীতি এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক অগ্রগতিকে তুলে ধরার ক্ষেত্রে আমরা সরকারের কৌশলগত ভূমিকার প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করি। পারস্পরিক স্বার্থ, চ্যালেঞ্জ এবং শিল্পক্ষেত্রে সম্ভাবনা খতিয়ে দেখার ব্যাপারে নতুন শিল্প বিপ্লবে অংশীদারিত্বকে আমরা একটি দিকনির্দেশকারী প্ল্যাটফর্ম হিসেবে মনে করি। এক্ষেত্রে ইন্টেলিজেন্ট ম্যানুফ্যাকচারিং, ডিজিটাল পরিবর্তন সংক্রান্ত কর্মীগোষ্ঠী এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগ কর্মীগোষ্ঠীর কাজের শর্তাবলীর অনুমোদনকে স্বাগত জানাই। ব্রিকস শিল্প দক্ষতা অর্জনের লক্ষ্যে চিন সেন্টার স্থাপন এক প্রশংসনীয় উদ্যোগ। ব্রাসিলিয়ায় নবম ব্রিকস শিল্প মন্ত্রীদের বৈঠকের পাশাপাশি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সংক্রান্ত উচ্চস্তরীয় ফোরামের বৈঠকও অনুষ্ঠিত হয়।
ডিজিটাল রূপান্তর, সেইসঙ্গে সামাজিক ও আর্থিক অগ্রগতির ক্ষেত্রে ডিজিটাল সংযুক্তি একান্ত আবশ্যক। ব্রিকস দেশগুলির মধ্যে সহযোগিতার ক্ষেত্রকে মজবুত করতে সুস্থায়ী, নিরাপদ, অন্তর্ভুক্তিমূলক ডিজিটাল গণ পরিকাঠামোর ব্যাপক ভূমিকা রয়েছে। মহাকাশ ক্ষেত্রে ব্রিকস সদস্যদের মধ্যে সহযোগিতা বাড়াতে আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে, কোনো অবস্থাতেই রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব ক্ষুণ্ণ করে মহাকাশে টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলা উচিত নয় এবং উপগ্রহের পরিষেবা শুধুমাত্র নিজেদের ভূখণ্ডের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখা উচিত। মহাকাশে বর্তমান সহযোগিতাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে তথ্য এবং বিশেষজ্ঞ বিনিময়কে শক্তিশালী করা প্রয়োজন। আমরা নীতিগতভাবে ব্রিকস স্পেস কাউন্সিল গড়ার ব্যাপারে একমত হয়েছি।
আমরা মনে করি, আন্তর্জাতিক আর্থিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে প্রধান মঞ্চ হিসেবে জি২০-র গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকার সভাপতিত্বে নভেম্বরে জোহানেসবার্গে জি২০ নেতৃবৃন্দের সফল বৈঠকের দিকে আমরা তাকিয়ে রয়েছি। উদ্ভাবন-চালিত উন্নয়নে আধুনিক জীবনে ডেটার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক অগ্রগতি, পণ্য ও পরিষেবার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যকে উৎসাহদান, বিদেশী বিনিয়োগের পথ প্রশস্ত করতে ই-কমার্সের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। ই-কমার্সের ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতা আরও বাড়াতে আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। ব্রিকস দেশগুলির মধ্যে শিল্প ও বাণিজ্য সহযোগিতা এবং উৎপাদন ক্ষেত্রের সুযোগ সুবিধা বাড়াতে একটি বিশেষ ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে। এক্ষেত্রে বিশেষ আর্থিক অঞ্চলের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।
আমরা মনে করি, বিশ্বে খাদ্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে প্রধান ভূমিকা রয়েছে ব্রিকস দেশগুলির। ক্ষুদ্র কৃষকদের সহায়তা, ন্যায্য মূল্য এবং সুস্থায়ী কৃষি শৃঙ্খল গড়ে তোলার ব্যাপারে পারস্পরিক সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। খাদ্যশস্যের চরম ঘাটতি দেখা দিলে, ব্রিকস সদস্য দেশগুলি পরস্পরের পাশে ধাকতে অঙ্গীকারবদ্ধ। প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনের মাধ্যমে ক্ষুধার অবসান এবং সমস্ত ধরনের অপুষ্টি ও দারিদ্র নির্মূল করতে কৃষি ও মৎস্য ক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধি করতে হবে।
একুশ শতকের উপযোগী করে একটি স্থিতিশীল, দক্ষ এবং আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক আন্তর্জাতিক কর ব্যবস্থা গড়ে তুলতে আমরা পারস্পরিক সহযোগিতা অব্যাহত রাখবো। আমাদের লক্ষ্য হল কর কর্তৃপক্ষগুলির মধ্যে আন্তর্জাতিক সমন্বয়কে আরও মজবুত করা।
জলবায়ু পরিবর্তনের মোকাবিলা এবং সুস্থায়ী, সুন্দর ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া
জলবায়ু পরিবর্তনের মতো চ্যালেঞ্জের মোকাবিলায় আমরা বহুস্তরীয় ব্যবস্থা গড়ে তুলতে বদ্ধপরিকর। প্যারিস চুক্তির প্রতি দায়বদ্ধ থেকে আমরা একযোগে লক্ষ্যপূরণে অবিচল থাকবো। জলবায়ু পরিবর্তনের মোকাবিলায় আমরা আন্তর্জাতিক তৎপরতাকে আরও শক্তিশালী করার আহ্বান জানাচ্ছি। এর গুরুত্বের কথা বিবেচনা করে আমরা ব্রিকস ক্লাইমেট লিডারশিপ এজেন্ডাকে সমর্থন জানিয়েছি। আমরা মনে করি, উন্নয়নশীল দেশগুলিতে জলবায়ু পরিবর্তনের মোকাবিলা করতে হলে, অর্থের যোগান জরুরি। সেক্ষেত্রে আরও সুস্থায়ী আন্তর্জাতিক অর্থব্যবস্থা গড়ে তোলা প্রয়োজন।
আমরা মনে করি, সামাজিক ও আর্থিক বিকাশ, জাতীয় সুরক্ষা এবং সমস্ত দেশের কল্যাণের ভিত্তি হল শক্তি সুরক্ষা। বিভিন্ন উৎস থেকে বিদ্যুতের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ বজায় রাখতে আন্তঃসীমান্ত পরিকাঠামো সহ সামগ্রিক বিদ্যুৎ পরিকাঠামো গড়ে তোলা প্রয়োজন। শূন্য এবং কম নিঃসরণের প্রযুক্তি, শক্তি সুরক্ষা ও সুস্থায়ী শক্তি সরবরাহ শৃঙ্খলের ক্ষেত্রে বিরল ধাতুর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
প্লাস্টিক দূষণের মোকাবিলায় ব্রিকস দেশগুলি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। সামুদ্রিক পরিবেশ রক্ষা সহ প্লাস্টিক দূষণের ক্ষেত্রে কার্যকর ও ভারসাম্যমূলক আন্তর্জাতিক আইনি বাধ্যবাধকতা তৈরি করা প্রয়োজন। আমরা মনে করি, গ্লোবাল এনভায়রনমেন্ট ফেসিলিটি (জিইএফ)-র সংস্কার প্রয়োজন। ১৪ মে, ২০২৫-এ ব্রিকস পরিবহণ মন্ত্রীদের দ্বিতীয় বৈঠকে পরিবহণের ক্ষেত্রে সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতার উপর জোর দেওয়া হয়েছে। পণ্য পরিবহণের ক্ষেত্রে এই নীতি মেনে চলা হবে। আমরা শহরাঞ্চলে গণ পরিবহণ ব্যবস্থার উন্নয়নের উপর গুরুত্ব দিচ্ছি।
মানবিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উন্নয়নে অংশীদারিত্ব
জনসংখ্যার ক্ষেত্রে ব্রিকস দেশগুলি পারস্পরিক সহযোগিতা মজবুত করতে অঙ্গীকারবদ্ধ। মানবাধিকার এবং মৌলিক স্বাধীনতা রক্ষায় সমস্ত দেশের পারস্পরিক সহযোগিতা ও সমন্বয় জরুরি। জাতিগত বৈষম্য, ধর্মভিত্তিক অসহিষ্ণুতা ও বৈষম্য গোটা বিশ্বে বেড়ে চলেছে, বাড়ছে বিদ্বেষ, মিথ্যা ও ভুল তথ্য পরিবেশন। আমরা শিক্ষা, বাণিজ্য, সিদ্ধান্তগ্রহণ সহ সমস্ত ক্ষেত্রে মহিলাদের অধিকার ও নেতৃ্ত্বকে এগিয়ে নিয়ে যেতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।
১৭ জুন, ২০২৫-এ ব্রিকস স্বাস্থ্য মন্ত্রীদের পঞ্চদশ বৈঠকে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে সাফল্য নিয়ে আলোচনা হয়েছে। টিকা গবেষণা কেন্দ্র, যক্ষ্মা গবেষণা নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা এবং স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগের উদ্যোগকে আমরা স্বাগত জানাই। আমরা মনে করি, সর্বজনীন স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিচর্যার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
শিক্ষা, বিজ্ঞান, সংস্কৃতি, যোগাযোগ এবং তথ্য ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করতে আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ। আমরা মনে করি, ব্রিকস দেশগুলির সমৃদ্ধ ক্রীড়া ঐতিহ্য রয়েছে এবং এক্ষেত্রে পরস্পরকে সাহায্য করা, স্থানীয় ও দেশীয় ক্রীড়াকে তুলে ধরার ব্যাপারে মতৈক্য হয়েছে। পাশাপাশি কর্মসংস্থান সৃষ্টির ক্ষেত্রেও ব্রিকস দেশগুলি প্রশংসনীয় ভূমিকা নিয়েছে। আমাদের দেশগুলিতে যুব নীতিকে শক্তিশালী করার প্রয়োজন রয়েছে। এক্ষেত্রে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরে তহবিল কাঠামো গড়ে তোলা প্রয়োজন।
দেশের সুস্থায়ী অগ্রগতির ক্ষেত্রে মহিলাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। এক্ষেত্রে প্রশংসনীয় কাজ করে চলেছে মহিলা বাণিজ্য জোট (ডব্লুবিএ)। শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে বিভিন্ন বাধা দূর করতে তাদের সুপারিশ গ্রহণ করা হচ্ছে। মহিলা পরিচালিত উন্নয়নের ক্ষেত্রে ডব্লুবিএ-র উদ্যোগ প্রশংসনীয়। ব্রিকস-এর সদস্য পদ সম্প্রসারণ প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে নির্ধারিত নিয়মনীতি অনুসরণ করা হয়ে থাকে। সেই নীতি মেনে সদস্য দেশের সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে।
ব্রাজিলের সভাপতিত্বে ব্রিকস প্রশংসনীয় কাজ করেছে। রিও ডি জেনেইরোতে ১৭ তম ব্রিকস শীর্ষ বৈঠকের আয়োজনের জন্য সরকার এবং ব্রাজিলের মানুষকে কৃতজ্ঞতা জানায়। ২০২৬-এ ভারতের সভাপতিত্বে ব্রিকস শীর্ষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে এবং ভারতের প্রতি আমাদের পূর্ণ সমর্থন থাকবে।
SC/MP/SKD
(Release ID: 2143014)
Read this release in:
Malayalam
,
English
,
Urdu
,
Marathi
,
Hindi
,
Manipuri
,
Assamese
,
Punjabi
,
Gujarati
,
Tamil
,
Kannada