প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর
azadi ka amrit mahotsav

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী গুজরাটের দাহোদে ২৪,০০০ কোটি টাকা মূল্যের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের শিলান্যাস ও উদ্বোধন করেছেন

Posted On: 26 MAY 2025 2:42PM by PIB Kolkata

  নয়াদিল্লি,  ২৬ মে, ২০২৫

 

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ গুজরাটের দাহোদে ২৪,০০০ কোটি টাকার বেশি মূল্যের একাধিক উন্নয়ন প্রকল্পের শিলান্যাস, উদ্বোধন এবং জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করলেন। সমাবেশে ভাষণে তিনি বলেন, ২৬ মে দিনটির একটি বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে কারণ ২০১৪ সালে এই দিনেই তিনি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। দেশের দায়িত্ব তাঁর ওপর অর্পণ করেছেন যে গুজরাটের মানুষ তাদের অটুট সমর্থন এবং আশীর্বাদকে স্বীকৃতি জানান তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই আস্থা এবং উৎসাহ দিনরাত দেশের সেবাকাজে ইন্ধন জুগিয়েছে। গত কয়েক বছরে ভারত যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা অভূতপূর্ব এবং অভাবনীয়। দশকের পর দশকের বাধা অতিক্রম করে প্রতিটি ক্ষেত্রেই এগিয়ে চলেছে। তিনি আরও বলেন, “আজ দেশ হতাশা এবং অন্ধকার থেকে বেরিয়ে আত্মবিশ্বাস এবং আশাবাদের নতুন যুগে প্রবেশ করেছে”। 

শ্রী মোদী বলেন, “১৪০ কোটি ভারতীয় বিকশিত ভারত গঠনে ঐক্যবদ্ধ”। তিনি জোর দিয়েছেন ভারতের প্রয়োজনীয় জিনিস নিজেই তৈরি করার গুরুত্বের ওপর। জানিয়েছেন আত্মনির্ভরতা সময়ের ডাক। তিনি বলেন যে, বিশ্ব উৎপাদন ক্ষেত্রে ভারত দ্রুত এগিয়ে চলেছে। ঘরোয়া উৎপাদন এবং রপ্তানি নিয়মিত বেড়ে চলেছে। ভারত এখন নানা ধরনের পণ্য রপ্তানি করছে যারমধ্যে রয়েছে স্মার্টফোন, গাড়ি, খেলনা, প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম এনং ওষুধ। তিনি আরও জানান, ভারত যে শুধুমাত্র রেল এবং মেট্রো প্রযুক্তি তৈরি করছে তা নয় বিশ্বে রপ্তানিও করছে। এই অগ্রগতির একটি চরম উদাহরণ হিসেবে দাহোদকে তুলে ধরেছেন তিনি যেখানে কয়েক হাজার কোটি টাকার গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের উদ্বোধন ও সূচনা হল। দাহোদের ইলেকট্রিক লোকোমোটিভ কারখানাকে একটি উল্লেখযোগ্য সাফল্য হিসেবে তুলে ধরেন। তিনবছর আগে এর শিলান্যাস হওয়ার কথা তিনি স্মরণ করান এবং গর্বের সঙ্গে জানান, প্রথম বৈদ্যুতিক ইঞ্জিনটি এখন সফলভাবে তৈরি করা গেছে। গুজরাট এবং সমগ্র দেশের গর্বের মুহূর্ত হিসেবে ইঞ্জিনের যাত্রার সূচনা করেন তিনি। এছাড়া তিনি ঘোষণা করেন গুজরাট রেল নেটওয়ার্কের ১০০ শতাংশ বৈদ্যুতিকরণ কাজ হয়ে গেছে যেটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক। এরজন্য গুজরাটের মানুষকে অভিনন্দন জানান তিনি। 

দাহোদের সঙ্গে দীর্ঘদিনের সম্পর্ক এবং এই অঞ্চলের সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন স্মৃতির উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি বহু দশক ধরেই দাহোদে আসছেন। প্রথমদিকে তিনি প্রায়ই সাইকেলে নতুন নতুন এলাকা খুঁজে নিতেন। তিনি জানান, এইসব অভিজ্ঞতাই তাঁকে দাহোদের সমস্যা ও সম্ভাবনা খুঁজতে সাহায্য করেছে। মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরেও তিনি এই অঞ্চলে একাধিকবার এসেছেন এবং এই বিষয়গুলির মোকাবিলায় পদক্ষেপ নিয়েছেন। তিনি বলেন, দাহোদে প্রতিটি উন্নয়নমূলক উদ্যোগ তাঁকে পরম সন্তুষ্টি দেয় এবং আজকের দিনটিও তার কাছে খুবই অর্থপূর্ণ দিন। 

গত ১০-১১ বছরে ভারতের রেলক্ষেত্রে দ্রুত উন্নয়নকে তুলে ধরে শ্রী মোদী মেট্রো পরিষেবার প্রসার, সেমি হাইস্পিড ট্রেনের সূচনা এবং দেশজুড়ে যোগাযোগ ব্যবস্থায় রূপান্তর ঘটানোর ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, বর্তমানে বন্দে ভারত প্রায় ৭০টি রুটে চলাচল করছে। ভারতের পরিবহণ নেটওয়ার্ককে আরও শক্তিশালী করছে। তিনি আমেদাবাদ ও ভেরাবলের মধ্যে একটি নতুন বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চালু হওয়ার কথা ঘোষণা করেন। শ্রী মোদী আরও জানান, ভারতে আধুনিক ট্রেনের সংখ্যা বাড়ছে দেশের প্রযুক্তিতে উন্নতির জন্য। তিনি বলেন, কামরা এবং ইঞ্জিন এখন দেশেই তৈরি হচ্ছে। আমদানির ওপর নির্ভরতা কমেছে।“ভারত এখন রেলের সরঞ্জাম রপ্তানিতে সামনের সারিতে”। তিনি জানান, ভারত মেট্রো কামরা অস্ট্রেলিয়াকে এবং ট্রেনের কামরা ইংল্যান্ড, সৌদি আরব এবং ফ্রান্সে রপ্তানি করছে। তিনি আরও বলেন, মেক্সিকো, স্পেন, জার্মানি এবং ইতালি ভারত থেকে রেল সংক্রান্ত উপকরণ আমদানিও করছে। তিনি আরও জানান, ভারতের যাত্রীবাহী কামরা মোজামবিক ও শ্রীলঙ্কায় ব্যবহার করা হচ্ছে এবং মেড ইন ইন্ডিয়া ইঞ্জিন একাধিক দেশে রপ্তানি করা হচ্ছে। তিনি বলেন, এটাই প্রমাণ যে, মেক ইন ইন্ডিয়া উদ্যোগের নিরন্তর প্রসার ঘটছে। জাতির গর্ব বাড়ছে। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “শক্তিশালী রেলওয়ে নেটওয়ার্ক সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করে এবং শিল্প ও কৃষির অগ্রগতি ঘটায়”। ভারতের একাধিক অঞ্চলে গত এক দশকে প্রথম রেল সংযোগ ঘটেছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, গুজরাটের অনেক জায়গায় আগে ছোট ও মন্থর ট্রেন ছিল কিন্তু এখন অনেকগুলি ন্যারোগেজ রেলপথের গেজ পরিবর্তন হয়েছে। দাহোদ এবং বালসাদের মধ্যে নতুন এক্সপ্রেস ট্রেন যা উপজাতি অঞ্চলের প্রভূত উপকার করবে সেটি সহ একাধিক রেলরুটের উদ্বোধনের ঘোষণা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কারখানায় যুবাদের জন্য অনেক কাজের সুযোগ তৈরি হয়। তিনি বলেন, দাহোদের রেল কারখানায় ৯,০০০ অশ্বশক্তির ইঞ্জিন তৈরি করা হবে যাতে ভারতের ট্রেনের শক্তি এবং ক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়বে। দাহোদে নির্মিত প্রতিটি ইঞ্জিন দাহোদের পরিচয় বহন করবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগামী দিনে শয়ে শয়ে ইঞ্জিন তৈরি হবে। স্থানীয় যুব সমাজের জন্য যথেষ্ট কর্মসংস্থান হবে। তিনি জানান, এই কারখানা ছোট ছোট উপকরণ ও উপাদান নির্মাতা শিল্পগুলিকে সাহায্য করবে। আশপাশের এলাকায় অর্থনৈতিক বৃদ্ধি ঘটবে। তিনি বলেন, কর্মসংস্থানের সুযোগ কারখানা ছাড়িয়ে উপকার করবে কৃষক, পশুপালক, দোকানদার এবং শ্রমিকদের। নিশ্চিত করবে সার্বিক অর্থনীতির উন্নতির। 

শ্রী মোদী বলেন, গুজরাট একাধিক ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি ঘটিয়েছে- শিক্ষা, আইটি, সেমি কন্ডাক্টর এবং পর্যটনে। তিনি বলেন, এই রাজ্য বিভিন্ন শিল্পে নেতা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে। তিনি বলেন, কয়েক হাজার কোটি টাকা লগ্নি করে গুজরাটে একটি বড় সেমি কন্ডাক্টর কারখানা গড়া হচ্ছে। যারফলে বিশ্বে সেমি কন্ডাক্টর শিল্পে ভারত নিজের স্থান আরও পাকাপোক্ত করবে। তিনি বলেন, এই উদ্যোগগুলি গুজরাটের লক্ষ লক্ষ যুবার জন্য নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করছে। রাজ্যের অর্থনৈতিক বৃদ্ধি ও উন্নয়নে অবদান রাখছে। 

দাহোদ, ভদোদরা, গোধরা, কালোল ও হালোল একসঙ্গে মিলিতভাবে গুজরাটে উচ্চ প্রযুক্তির ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ম্যানুফ্যাকচারিং করিডর তৈরি করেছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভদোদরা দ্রুত বিমান উৎপাদন করতে চলেছে। একমাস আগেই এখানে এয়ারবাস যন্ত্রাংশ যুক্ত করার কারখানার উদ্বোধন হয়। তিনি বলেন, ভারতের প্রথম গতিশক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ভদোদরাতেই। তিনি জানান, শাভলিতে ইতিমধ্যেই একটি বড় রেলগাড়ি তৈরির কারখানা আছে। দাহোদ ভারতের অত্যন্ত শক্তিশালী ৯০০০ অশ্বশক্তির ইঞ্জিন তৈরি করবে যা দেশের জন্য একটি গর্বের মুহূর্ত হয়ে থাকবে। প্রধানমন্ত্রী জানান যে, গোধরা, কালোল এবং হালোলে উৎপাদন কারখানা, ছোট শিল্প, এমএসএমই-র উল্লেখযোগ্য উপস্থিতি আছে। যা গুজরাটের শিল্পে অগ্রগতি ঘটিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর ভাবনায় গুজরাটের এই অঞ্চল ভবিষ্যতে বাইসাইকেল এবং মোটর সাইকেল থেকে রেলইঞ্জিন এবং বিমান সবই উৎপাদন করার জন্য পরিচিত হবে। একথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এমন উচ্চ প্রযুক্তির ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ম্যানুফ্যাকচারিং সারাবিশ্বেই খুব বিরল যা শিল্পশক্তি হিসেবে গুজরাটের স্থানকে আরও সুদৃঢ় করবে।

শ্রী মোদী বলেন, “উন্নত ভারত গড়তে আদিবাসী অঞ্চলের উন্নয়ন জরুরি”। তিনি জানান, জনজাতির উন্নতি করতে গত ১১ বছরে অভূতপূর্ব প্রয়াস নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, গুজরাটের আদিবাসী অঞ্চলে তাঁর দীর্ঘদিনের কাজের অভিজ্ঞতা জাতীয় স্তরের উদ্যোগে কাজে লেগেছে। শ্রী মোদী মনে করান যে একটা সময় ছিল যথন গুজরাটের জনজাতি শিশুরা বিজ্ঞান পড়তে সমস্যার সম্মুখীন হতো। তিনি বলেন, বর্তমানে সমগ্র জনজাতি অঞ্চল ভালোমানের শিক্ষা পাচ্ছে, ভালো কলেজ, আইটিআই, মেডিকেল কলেজ এবং দুটি আদিবাসীদের জন্য নির্দিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় এই জনজাতির জন্য কাজ করছে। শ্রী মোদী বলেন, একলব্য মডেল স্কুল গত ১১ বছরে আরও শক্তিশালী হয়েছে। আদিবাসী ছাত্রদের আরও ভালো শিক্ষার সুযোগ নিশ্চিত করেছে। শ্রী মোদী বলেন, দাহোদেই অনেকগুলো একলব্য মডেল স্কুল আছে যাতে জনজাতির শিক্ষা আরও সহায়তা লাভ করছে। 

সারাদেশে জনজাতির উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য প্রয়াস নেওয়া হচ্ছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীন ভারতের ইতিহাসে প্রথম আদিবাসী গ্রামগুলির উন্নতি করতে একটি প্রধান কর্মসূচী নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ‘ধরতি আবা জনজাতি গ্রাম উৎকর্ষ অভিযান’ একটি ঐতিহাসিক উদ্যোগ। এরজন্য কেন্দ্রীয় সরকার আনুমানিক ৮০,০০০ টাকা লগ্নি করছে। তিনি জানান, এই কর্মসূচিতে গুজরাট সহ সারাদেশের ৬০,০০০-এর বেশি গ্রামে উন্নয়নের কাজ চলছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এইসব গ্রামগুলিতে বিদ্যুৎ, জল, রাস্তা, স্কুল এবং হাসপাতালের ব্যবস্থা করা হয়েছে জীবন-যাত্রার মানোন্নয়নে। তিনি বলেন, জনজাতি পরিবারগুলির জন্য পাকাবাড়ি তৈরি করা হচ্ছে যাতে জনজাতির মানুষ ভালোভাবে বসবাস করতে পারেন। 

শ্রী মোদী অতি প্রান্তিক জনজাতি সমাজের উন্নয়নে তার দায়বদ্ধতার ওপর জোর দেন। বলেন, তাঁর সরকার অগ্রাধিকার দিয়েছে তাদের যারা দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত ছিল। তিনি বলেন, এই প্রথম সরকার পিএম জনমান যোজনার সূচনা করেছে। বিশেষ করে দশকের পর দশক ধরে প্রয়োজনীয় সুবিধাগুলি থেকে বঞ্চিত পিছিয়ে পড়া জনজাতি গোষ্ঠীকে সাহায্য করতে। শ্রী মোদী বলেন, এই কর্মসূচীতে জনজাতি অধ্যুষিত গ্রামগুলিতে নতুন পরিকাঠামো এবং সুবিধার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হচ্ছে যাতে এই সমাজ আর্থ-সামাজিকভাবে অন্তর্ভুক্ত হতে পারে। 

সিকল সেল অ্যানিমিয়া থেকে জনজাতি সমাজকে মুক্ত করার জাতীয় মিশনের সূচনার কথা বলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই উদ্যোগে ইতিমধ্যেই কয়েক লক্ষ জনজাতি সমাজের মানুষ পরীক্ষা করিয়েছেন। তিনি বলেন, পিছিয়ে পড়া অঞ্চলের উন্নতিতে গতি আনতে সরকার দৃঢ়সংকল্প। তিনি বলেন, আগে ১০০টির বেশি জেলাকে অনগ্রসর বলে চিহ্নিত করা হয়েছিল যাদের মধ্যে বেশিরভাগই জনজাতি অধ্যুষিত অঞ্চল। তিনি জানান, দাহোদ ছিল তেমনই একটি জেলা কিন্তু এটি আজ প্রত্যাশাযুক্ত জেলা হিসেবে এগিয়ে চলেছে। আধুনিক পরিকাঠামো এবং স্মার্ট সুবিধার মাধ্যমে রূপান্তরিত হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, দক্ষিণ দাহোদে প্রবল জলসংকট ছিল কিন্তু এখন কয়েকশো কিলোমিটার দীর্ঘ পাইপ বসানো হয়েছে। নিশ্চিত করা হয়েছে যাতে নর্মদার জল প্রতিটি বাড়িতে পৌঁছয়। তিনি বলেন, গত কয়েক বছরে উমরগাম থেকে অম্বাজি পর্যন্ত ১১ লক্ষ একর জমি সেচের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ফলে জনজাতি সমাজের কাছে কৃষিকাজ সহজ হয়েছে। 

দেশ এবং সশস্ত্র বাহিনীকে সম্মান জানাতে ভদোদরায় হাজার হাজার মহিলার উপস্থিতিকে স্বীকৃতি জানিয়ে ভারতের মহিলাদের অটুট সমর্থনের জন্য গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, দাহোদ আত্মত্যাগ ও নিষ্ঠার ভূমি। মহর্ষি দধীচি দুধিমতি নদীর ধারে প্রাণ বিসর্জন দিয়েছিলেন চরাচরকে রক্ষা করতে। শ্রী মোদী বলেন, এই অঞ্চল স্বাধীনতা সংগ্রামী তাঁতিয়া টোপিকে তাঁর স্বাধীনতার সময়ে বাঁচিয়েছিল। মনগড় ধাম, গোবিন্দ গুরু এবং কয়েকশো জনজাতির যোদ্ধাদের আত্মত্যাগের প্রতীক। ভারতের সংস্কৃতি অন্যায়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়াকে মূল্য দেয়। প্রশ্ন তোলে জম্মু ও কাশ্মীরের সন্ত্রাসবাদী হামলার পর দেশ চুপ করে থাকবে কিনা তা নিয়ে। একথা জানিয়ে শ্রী মোদী বলেন, “অপারেশন সিঁদুর শুধু একটি সামরিক অভিযান নয়, এটি ভারতের মূল্যবোধ এবং আবেগের প্রতিফলন”। তিনি বলেন, জঙ্গিরা বুঝতে পারেনি সন্তানের সামনে পিতাকে নৃশংসভাবে খুন করার কি ফল হতে পারে। তিনি জানান, ওই ছবি এখনও দেশের হৃদয়ে ক্রোধের সৃষ্টি করছে। ১৪০ কোটি ভারতীয় সন্ত্রাসবাদ সমস্যার সম্মুখীন। শ্রী মোদী ঘোষণা করেন যে, দেশের নেতা হিসেবে তিনি তাঁর দায়িত্ব পালন করেছেন। পুরো স্বাধীনতা দিয়েছেন ভারতের সশস্ত্র বাহিনীকে যারা এমন অভিযান চালিয়েছেন যা কয়েক দশকে দেখা যায়নি। তিনি বলেন, সীমান্তের ওপারে ৯টি বড় জঙ্গি ঘাঁটি চিহ্নিত করে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে ২২ মিনিটে। পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী প্রতিঘাত করতে গিয়েছিল কিন্তু তাদের হারিয়ে দিয়েছে ভারতীয় বাহিনী। শ্রী মোদী ভারতের সশস্ত্র বাহিনীর শৌর্যের প্রতি তাঁর গভীর শ্রদ্ধা আরও একবার প্রকাশ করেন। তাদের সাহস ও নিষ্ঠার প্রতি প্রণাম জানান দাহোদের পবিত্র ভূমি থেকে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশভাগের পর একটি দেশ ভারতের প্রতি বিদ্বেষে মন দিয়েছে এবং ক্ষতি করার চেষ্টা করছে। তিনি আরও বলেন, “অন্যদিকে ভারত দারিদ্র দূরীকরণ, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি এবং উন্নয়ন ঘটাতে দায়বদ্ধ”। প্রধানমন্ত্রী বলেন, উন্নত ভারত তখনই গড়া যেতে পারে যখন সশস্ত্র বাহিনী এবং অর্থনীতি দুটিই শক্তিশালী হবে। সরকার এই লক্ষ্যেই নিরন্তর কাজ করে চলেছে জাতীয় নিরাপত্তা এবং অর্থনৈতিক বৃদ্ধি যাতে হাতে হাত ধরে এগিয়ে চলে তা নিশ্চিত করছে।

দাহোদের প্রভূত সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকের অনুষ্ঠান তার ক্ষমতার মাত্র একটি ঝলক। শ্রী মোদী পূর্ণ আস্থার সঙ্গে বলেন যে, দাহোদের কঠোর পরিশ্রমী মানুষ নতুন উন্নত সুযোগ-সুবিধার সদ্ব্যবহার করে দেশের অন্যতম সবচেয়ে উন্নত জেলা হিসেবে দাহোদকে প্রতিষ্ঠিত করবে। সবশেষে তিনি দাহোদের মানুষকে অভিনন্দন জানান। তাদের নিষ্ঠা এবং অগ্রগতির প্রতি তাঁর আস্থা পুনরায় প্রকাশ করেন। 

গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী ভূপেন্দ্র ভাই প্যাটেল, কেন্দ্রীয় রেল, তথ্য ও সম্প্রচার, ইলেকট্রনিক্স ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী, শ্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অন্য বিশিষ্ট জনেদের পাশাপাশি। 

 

SC/ AP /AG


(Release ID: 2131399)