অর্থমন্ত্রক
সুশাসনের লক্ষ্যে ২০২৫-২৬-এর কেন্দ্রীয় বাজেটে প্রত্যক্ষ কর ব্যবস্থায় একগুচ্ছ সংস্কারের প্রস্তাব
प्रविष्टि तिथि:
01 FEB 2025 12:53PM by PIB Kolkata
নতুন দিল্লি, ১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
কেন্দ্রীয় অর্থ ও কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রী শ্রীমতী নির্মলা সীতারামন আজ সংসদে ২০২৫-২৬ সালের সাধারণ বাজেট পেশ করেছেন। দেশের নাগরিকদের কল্যাণ এবং অর্থনীতির জন্য সুশাসন অর্জনের লক্ষ্যে এবারের বাজেটে প্রত্যক্ষ কর ব্যবস্থায় একগুচ্ছ সংস্কারের প্রস্তাব করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষ করের প্রস্তাবের উদ্দেশ্যগুলি হল –
• মধ্যবিত্ত শ্রেণীর উপর বিশেষ নজর দিয়ে ব্যক্তিগত আয়করে সংস্কার – নতুন কর কাঠামোয় বার্ষিক ১২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ের উপর (অর্থাৎ মূলধনী লাভের মতো বিশেষ আয় ছাড়া অন্যান্য ক্ষেত্রে গড়ে মাসিক ১ লক্ষ টাকা আয়) কোন কর দিতে হবে না।বেতনভোগীরা ৭৫,০০০ টাকা স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশান পাওয়ায় তাঁদের ক্ষেত্রে বার্ষিক এই ঊর্ধ্বসীমা গিয়ে দাঁড়াবে ১২ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকায়।
• টিডিএস/ টিসিএস ব্যবস্থার সরলীকরণ – প্রবীণ নাগরিকদের ক্ষেত্রে সুদের উপর টিডিএস –এ কর ছাড়ের ঊর্ধ্বসীমা বর্তমানের ৫০,০০০ টাকা থেকে দ্বিগুণ বাড়িয়ে ১,০০,০০০ টাকা করার প্রস্তাব রয়েছে বাজেটে। একইভাবে, ভাড়ার উপর টিডিএস-এ কর ছাড়ের ঊর্ধ্বসীমা বার্ষিক ২,৪০,০০০ থেকে বাড়িয়ে ৬,০০,০০০ টাকা করার প্রস্তাব রয়েছে। এরফলে টিডিএস-এর আওতায় আসা লেনদেনের সংখ্যা কমবে, যেসব ক্ষুদ্র করদাতা সামান্য টাকা পান, তাঁরা উপকৃত হবেন। প্যান নেই, এমন ব্যক্তিদের ক্ষেত্রেই কেবলমাত্র বেশি হারে টিডিএস কাটার সংস্থান প্রযোজ্য হবে। এছাড়া রিজার্ভ ব্যাঙ্কের লিবারালাইজড রেমিট্যান্স স্কিমের (এল আর এস) আওতায় কর ছাড়ের ঊর্ধ্বসীমা ৭ লক্ষ থেকে বাড়িয়ে ১০ লক্ষ টাকা করার প্রস্তাব রাখা হয়েছে। স্টেটমেন্ট ফাইলের দিন পর্যন্ত টিসিএস প্রদানে দেরী হলে তা ফৌজদারি অপরাধের আওতামুক্ত করার প্রস্তাবও রয়েছে এবারের বাজেটে।
• স্বেচ্ছায় বিধি পালনকে উৎসাহদান – যেকোন নির্ধারণ বছরের জন্য আপডেট করা রিটার্ন দাখিলের সময়সীমা বর্তমানের দু বছর থেকে বাড়িয়ে চার বছর করা হয়েছে। ক্রিপ্টো-সম্পত্তি সংক্রান্ত লেনদেন নির্দিষ্ট বিবরণীতে দাখিল বাধ্যতামূলক করার জন্য আইন সংশোধনের প্রস্তাব করা হয়েছে। সেই অনুযায়ী ভার্চুয়াল ডিজিটাল সম্পত্তির সংজ্ঞা নিরুপণের কথাও বলা হয়েছে।
• বিধি পালনের বোঝা কমানো – ছোট দাতব্য প্রতিষ্ঠানগুলির বিধি পালনের বোঝা কমাতে তাদের নথিভুক্তির সময়সীমা ৫ বছর থেকে বাড়িয়ে ১০ বছর করার প্রস্তাব রাখা হয়েছে। এছাড়া, বিনা শর্তে নিজের ব্যবহারের দুটি বাড়ির বার্ষিক মূল্য শূন্য হিসাবে দাবি করার সংস্থানের প্রস্তাব করা হয়েছে এবারের বাজেটে। ৫০ লক্ষ টাকার বেশি মূল্যের কোন দ্রব্যের বিক্রয়ের ক্ষেত্রে কোন টিসিএস ধার্য না করার প্রস্তাবও রেখেছেন অর্থমন্ত্রী।
• সহজে ব্যবসার পরিবেশ : বিশ্বমানের সঙ্গে সাযুজ্য রেখে ট্রান্সফার প্রাইসিং-এর প্রক্রিয়া সংগঠিত করতে এবং বার্ষিক পরীক্ষার হাত থেকে অব্যাহতি দিতে আন্তর্জাতিক লেনদেনে তিন বছরের ব্লক পিরিয়ডের প্রস্তাব রাখা হয়েছে। মামলা-মোকদ্দমার সংখ্যা কমাতে এবং আন্তর্জাতিক করের ক্ষেত্রে নিশ্চয়তা আনতে নিরাপদ বন্দরের বিধিনিয়মের পরিধি আরও প্রসারিত করা হয়েছে। অনাবাসীদের সিকিউরিটি সংক্রান্ত লেনদেনের ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদী মূলধনী লাভের উপর করের হারে সামঞ্জস্য আনার প্রস্তাব রয়েছে এবারের বাজেটে।সার্বিক ঊর্ধ্বসীমার সাপেক্ষে ২০২৪ সালের ২৯ আগস্টের পরে জাতীয় সঞ্চয় প্রকল্প থেকে টাকা তোলাকে করের আওতামুক্ত করা এবং এন পি এস বাৎসল্য অ্যাকাউন্টেও একইরকম সুবিধা দেওয়ার প্রস্তাব বাজেটে আছে।
• কর্মসংস্থান এবং বিনিয়োগ :
ক) বৈদ্যুতিন উৎপাদন প্রকল্পে কর নিশ্চয়তা : বৈদ্যুতিন সামগ্রী উৎপাদনের কেন্দ্র স্থাপন বা পরিচালনায় নিয়োজিত আবাসিক কোম্পানীতে অনাবাসীরা পরিষেবা দিলে তাঁদের জন্য সম্ভাব্য করের সুবিধা দেওয়ার প্রস্তাব রয়েছে এবারের বাজেটে। এছাড়া নির্দিষ্ট বৈদ্যুতিন সামগ্রী উৎপাদন কেন্দ্রে উপাদান মজুতের ক্ষেত্রে অনাবাসীদের কর নিশ্চয়তা প্রদানের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বাজেটে।
খ) অন্তর্দেশীয় জলযানের জন্য টন ভিত্তিক কর প্রকল্প : বর্তমানের টন ভিত্তিক কর প্রকল্পের সুবিধা ভারতীয় জনযান আইন ২০২১-এর আওতায় নথিভুক্ত সব অন্তর্দেশীয় জলযান যাতে পায়, তা সুনিশ্চিত করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বাজেটে। এতে অভ্যন্তরীণ জলপথের প্রসার ঘটবে।
গ) স্টার্টআপগুলি গড়ে তোলার মেয়াদ বৃদ্ধি : ভারতীয় স্টার্টআপ পরিমণ্ডলের সহায়তায় এগুলি গড়ে তোলার মেয়াদ বাড়িয়ে ৫ বছর করা হয়েছে। এতে ০১.০৪.২০৩০-এর আগে যেসব স্টার্টআপ গড়ে উঠবে সেগুলি সুবিধা পাবে।
ঘ) আন্তর্জাতিক আর্থিক পরিষেবা কেন্দ্র : আন্তর্জাতিক আর্থিক পরিষেবা কেন্দ্রগুলিকে আরও আকর্ষণীয় ও উপযোগী করে তুলতে বাজেটে বিশ্বস্তরীয় কোম্পানিগুলির জাহাজ লিজ নেওয়া সংস্থা, বীমা কার্যালয় এবং আর্থিক কেন্দ্র গড়ে তোলার জন্য বিশেষ সুবিধার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এর জন্য শেষ তারিখ ৫ বছর বাড়িয়ে ৩১.০৩.২০৩০ করা হয়েছে।
ঙ) বিকল্প বিনিয়োগ তহবিল : প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর বিকল্প বিনিয়োগ তহবিল পরিকাঠামো ক্ষেত্রে এবং অন্য কোন উপযোগী ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হলে তার জন্য করের নিশ্চয়তা প্রদান করার প্রস্তাব বাজেটে রয়েছে।
চ) সভারেন ও পেনশন তহবিলের বিনিয়োগের তারিখ বৃদ্ধি : সভারেন ওয়েল ফান্ড এবং পেনশন ফান্ডের টাকা যাতে পরিকাঠামো ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করা যায়, সেজন্য এই দুটি তহবিলে বিনিয়োগের সময়সীমা আরও ৫ বছর বাড়িয়ে ৩১.০৩.২০৩০ করা হয়েছে।
এইসব প্রস্তাবের জেরে প্রত্যক্ষ কর খাতে সরকারের রাজস্ব প্রায় ১ লক্ষ কোটি টাকা কমবে বলে অর্থমন্ত্রী তাঁর বাজেট বক্তৃতায় জানিয়েছেন।
SC/SD/AS
(रिलीज़ आईडी: 2098727)
आगंतुक पटल : 122
इस विज्ञप्ति को इन भाषाओं में पढ़ें:
English
,
Urdu
,
हिन्दी
,
Nepali
,
Marathi
,
Assamese
,
Punjabi
,
Gujarati
,
Odia
,
Tamil
,
Telugu
,
Kannada
,
Malayalam