প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর
আইটিইউ – ওয়ার্ল্ড টেলিকমিউনিকেশন স্ট্যান্ডার্ডাইজেশন অ্যাসেম্বলি ২০২৪-এ প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের বঙ্গানুবাদ
Posted On:
15 OCT 2024 1:39PM by PIB Kolkata
নয়াদিল্লি, ১৫ অক্টোবর , ২০২৪
কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় আমার সহকর্মী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াজি, চন্দ্রশেখরজি, আইটিইউ-এর মহাসচিব, বিভিন্ন দেশের মন্ত্রীরা, ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের মন্ত্রীরা, শিল্পনেতারা, টেলিকম বিশেষজ্ঞরা, স্টার্টআপ-এর তরুণ উদ্যোগীরা, দেশ-বিদেশের বিশিষ্ট অতিথিরা, ভদ্রমহিলা ও ভদ্রমহোদয়গণ,
ইন্ডিয়া মোবাইল কংগ্রেসে আপনাদের সবাইকে আন্তরিক স্বাগত জানাই। বিশেষভাবে স্বাগত জানাই ইন্টারন্যাশনাল টেলিকম ইউনিয়ন – আইটিইউ-এর সহকর্মীদের। আপনারা এই প্রথম ওয়ার্ল্ড টেলিকমিউনিকেশন স্ট্যান্ডার্ডাইজেশন অ্যাসেম্বলি আয়োজনের জন্য ভারতকে বেছে নিয়েছেন। এজন্য আমি আপনাদের কাছে কৃতজ্ঞ।
বন্ধুরা,
টেলিকম এবং এসংক্রান্ত প্রযুক্তির ক্ষেত্রে ভারত আজ বিশ্বের সবথেকে ঘটনাবহুল দেশগুলির মধ্যে একটি। ভারতে ১২০ কোটি মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী রয়েছেন। এখানে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৯৫ কোটি। ভারতে বিশ্বের ডিজিটাল লেনদেনের ৪০ শতাংশ সংঘটিত হয়। ভারত শেষতম প্রান্তে পরিষেবা প্রদানের জন্য ডিজিটাল সংযোগ সাধনকে এক কার্যকর হাতিয়ার করে তুলেছে। এমন একটি দেশে বিশ্বজনীন টেলি যোগাযোগ মান এবং তার ভবিষ্যত নিয়ে আলোচনা হলে তা বিশ্বের পক্ষেও লাভজনক হবে। আমি আপনাদের সবাইকে আমার শুভেচ্ছা জানাই।
বন্ধুরা,
ওয়ার্ল্ড টেলিকমিউনিকেশন স্ট্যান্ডার্ডাইজেশন অ্যাসেম্বলি এবং ইন্ডিয়া মোবাইল কংগ্রেস যে একসঙ্গে আয়োজিত হচ্ছে, তা বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। ওয়ার্ল্ড টেলিকমিউনিকেশন স্ট্যান্ডার্ডাইজেশন অ্যাসেম্বলির লক্ষ্য হল, বিশ্বজনীন মান নিয়ে কাজ করা। অন্যদিকে, ইন্ডিয়া মোবাইল কংগ্রেস পরিষেবা প্রদানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা প্রদান করে। তাই, আজকের অনুষ্ঠানে মান ও পরিষেবা প্রদান একই প্ল্যাটফর্মে এসে দাঁড়িয়েছে। ভারত এখন উন্নতমানের পরিষেবা প্রদানের ওপর বিশেষ জোর দিচ্ছে। আমাদের মানোন্নয়নের চেষ্টা চালানো হচ্ছে। এই প্রসঙ্গে ওয়ার্ল্ড টেলিকমিউনিকেশন স্ট্যান্ডার্ডাইজেশন অ্যাসেম্বলির অভিজ্ঞতা ভারতকে নতুন উৎসাহ জোগাবে।
বন্ধুরা,
ওয়ার্ল্ড টেলিকমিউনিকেশন স্ট্যান্ডার্ডাইজেশন অ্যাসেম্বলি সর্বসম্মতির মাধ্যমে বিশ্বের ক্ষমতায়নের কথা বলে। অন্যদিকে, ইন্ডিয়া মোবাইল কংগ্রেস সংযোগ সাধনের মাধ্যমে বিশ্বের ক্ষমতায়ন চায়। এই অনুষ্ঠানে সর্বসম্মতি এবং সংযোগ একই মঞ্চে এসেছে। সংঘর্ষদীর্ণ বিশ্বে এই দুটির প্রয়োজন যে কতটা, তা আপনারা নিশ্চয় বুঝতে পারছেন। হাজার হাজার বছর ধরে ভারতের শাশ্বত বার্তা হল, “বসুধৈব কুটুম্বকম”। অর্থাৎ সারা বিশ্ব এক পরিবার। আমরা যখন জি-২০-এর নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ পেয়েছিলাম তখন আমরা বলেছিলাম, “এক বিশ্ব, এক পরিবার, এক ভবিষ্যত”। দ্বন্দ্বের নিষ্পত্তি করে বিশ্বকে এক সূত্রে বাঁধতে ভারত অঙ্গীকারবদ্ধ। সুপ্রাচীন সিল্ক পথ থেকে আজকের প্রযুক্তি রুট, ভারতের লক্ষ্য সবসময় একই থেকেছে। বিশ্বকে সংযুক্ত করা এবং প্রগতির নতুন নতুন পথের উন্মোচন ঘটানো। এই প্রেক্ষাপটে ওয়ার্ল্ড টেলিকমিউনিকেশন স্ট্যান্ডার্ডাইজেশন অ্যাসেম্বলি এবং ইন্ডিয়া মোবাইল কংগ্রেসের অংশীদারিত্ব এক প্রেরণাদায়ক চমৎকার বার্তা দেয়। স্থানীয় ও বিশ্বজনীন শক্তি যখন একত্রিত হয় তখন তার সুফল ভোগ করে কোনও একটি দেশ নয়, সমগ্র বিশ্ব। আর এটাই আমাদের লক্ষ্য।
বন্ধুরা,
একবিংশ শতাব্দীতে ভারতের মোবাইল ও টেলিকম যাত্রা সারা বিশ্বের কাছেই আগ্রহ ও অধ্যয়নের বিষয়। বিশ্বজুড়ে মোবাইল ও টেলিকমকে সুবিধাভোগের যন্ত্র হিসেবে দেখা হয়। কিন্তু ভারতের মডেলটা আলাদা। ভারতে আমরা টেলিকমকে শুধু সংযোগ সাধনের নয়, সাম্য ও সুযোগের মাধ্যম হিসেবেও দেখি। এই মাধ্যম, গ্রাম ও শহর এবং ধনী ও দরিদ্র্যের ফারাক ঘোচাতে সহায়ক হয়। আমার মনে আছে, ১০ বছর আগে আমি যখন দেশে ডিজিটাল ইন্ডিয়ার ভাবনার কথা জানিয়েছিলাম, তখন বলেছিলাম, আমাদের বিচ্ছিন্নভাবে কাজ করলে চলবে না, সামগ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে কাজ করতে হবে। ডিজিটাল ইন্ডিয়ার জন্য আমরা চারটি ভিত্তি স্থির করেছিলাম। প্রথমত, যন্ত্রের খরচ কম হতে হবে। দ্বিতীয়ত, দেশের প্রতিটি প্রান্তে ডিজিটাল সংযোগ পৌঁছে দিতে হবে। তৃতীয়ত, ডেটা সবার নাগালের মধ্যে নিয়ে যেতে হবে। চতুর্থত, আমাদের লক্ষ্য হবে, “ডিজিটাল প্রথম”। আমরা একইসঙ্গে চারটি ভিত্তি নিয়ে কাজ করতে থাকি এবং আপনারা এখন তার ফল দেখতে পাচ্ছেন।
বন্ধুরা,
ভারতে তৈরি করা না গেলে ফোনের দাম নাগালের মধ্যে আনা সম্ভব ছিল না। ২০১৪ সালে দেশে মাত্র দুটি মোবাইল নির্মাণ কেন্দ্র ছিল। আর আজ এই সংখ্যা ২০০-রও বেশি। আগে আমরা বেশিরভাগ ফোনই আমদানি করতাম, কিন্তু এখন ভারতে ছগুণ বেশি ফোন তৈরি হয়। আমরা এখন মোবাইল রপ্তানিকারক হিসাবে স্বীকৃতি পেয়েছি। তবে আমরা এখানেই থেমে যাইনি। এখন চিপ থেকে শুরু করে তৈরি পণ্য – আমরা পুরোটাই তৈরি করছি, বিশ্বকে সম্পূর্ণ মেড ইন ইন্ডিয়া ফোন দেওয়ার লক্ষ্যে কাজ চলছে। দেশে সেমিকন্ডাক্টর পরিমণ্ডল গড়ে তোলার জন্য ব্যাপক বিনিয়োগ করা হচ্ছে।
বন্ধুরা,
দেশের প্রতিটি বাড়ি যাতে সংযুক্ত হয়, আমরা সেই লক্ষ্যে কাজ করেছি। দেশজুড়ে আমরা মোবাইল টাওয়ারের শক্তিশালী নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছি। আদিবাসী অধ্যুষিত অঞ্চল, পাহাড়ি এলাকা, সীমান্ত এলাকায় খুব অল্প সময়ের মধ্যে হাজার হাজার মোবাইল টাওয়ার বসানো হয়েছে। রেলস্টেশন ও অন্যান্য প্রকাশ্য স্থানে আমরা ওয়াইফাই সুবিধার ব্যবস্থা করেছি। আমরা সমুদ্রের তলা দিয়ে কেবলের মাধ্যমে আন্দামান নিকোবর ও লাক্ষাদ্বীপের মতো দ্বীপগুলিকে সংযুক্ত করেছি। মাত্র ১০ বছরে ভারত যে পরিমাণ অপটিক্যাল ফাইবার বসিয়েছে তার দৈর্ঘ্য পৃথিবী ও চাঁদের মধ্যে দূরত্বের আটগুণের সমান। ভারতের গতির একটা উদাহরণ আপনাদের দিই। দুবছর আগে মোবাইল কংগ্রেসে আমরা ফাইভ-জির সূচনা করেছিলাম। আজ ভারতের প্রায় প্রতিটি জেলাই ফাইভ-জি নেটওয়ার্কে যুক্ত। ভারত আজ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ফাইভ-জি বাজারে পরিণত হয়েছে। সিক্স-জি প্রযুক্তি নিয়েও আমরা কাজ শুরু করে দিয়েছি।
বন্ধুরা,
ভারতে টেলিকম ক্ষেত্রে যে সংস্কার ও উদ্ভাবন হয়েছে তা অকল্পনীয় এবং অভূতপূর্ব। এরফলে ডেটার খরচ একেবারে নীচে নেমে এসেছে। আজ ভারতে ইন্টারনেট ডেটার খরচ প্রতি জিবিতে ১২ পয়সার কাছাকাছি। বিশ্বের বহু দেশে এই খরচ ভারতের থেকে ১০-২০ গুণ বেশি। প্রত্যেক ভারতীয় মাসে গড়ে ৩০ জিবি ডেটা ব্যবহার করেন।
বন্ধুরা,
এইসব প্রয়াস এক নতুন মাত্রা পেল আমাদের চতুর্থ ভিত্তির দৌলতে – ডিজিটাল প্রথম। ভারত ডিজিটাল প্রযুক্তির গণতান্ত্রিকীকরণ ঘটিয়েছে। আমরা ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছি। এইসব প্ল্যাটফর্মে বিভিন্ন উদ্ভাবন লক্ষ লক্ষ নতুন সুযোগ সৃষ্টি করেছে। জ্যাম ত্রিধারা (জনধন, আধার ও মোবাইল) বহু উদ্ভাবনের উৎস হয়ে উঠেছে। ইউনিফায়েড পেমেন্টস ইন্টারফেস – ইউপিআই অসংখ্য নতুন কোম্পানির সঙ্গে সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিয়েছে। বর্তমানে ওএনডিসি (ওপেন নেটওয়ার্ক ফর ডিজিটাল কমার্স)-এর কথাও বলতে হয়। এটি ডিজিটাল বাণিজ্যের ক্ষেত্রে নতুন বিপ্লব আনতে চলেছে। করোনা অতিমারির সময়ে আমরা দেখেছি এইসব ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলি আমাদের কতটা কাজে লেগেছে – এর মাধ্যমে আমরা টাকা পাঠিয়েছি, কর্মচারীদের নির্দেশিকা দিয়েছি, টিকাকরণ প্রক্রিয়া পরিচালনা করেছি, টিকাকরণের ডিজিটাল শংসাপত্র দিয়েছি। সমস্ত কিছুই অত্যন্ত মসৃণভাবে হয়েছে। আজ ভারতে এমন ডিজিটাল পরিকাঠামো রয়েছে, যার সাহায্য নিয়ে বিশ্বজুড়ে জনকল্যাণমূলক প্রকল্পগুলিকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া যায়। সেজন্যই জি-২০-এর সভাপতিত্বের সময় ভারত ডিজিটাল জন পরিকাঠামোর ওপর জোর দিয়েছিল। আমি আজ আবারও বলছি, ইউপিআই নিয়ে তার অভিজ্ঞতা ও জ্ঞান ভারত সবার সঙ্গে ভাগ করে নিতে প্রস্তুত।
বন্ধুরা,
ওয়ার্ল্ড টেলিকমিউনিকেশন স্ট্যান্ডার্ডাইজেশন অ্যাসেম্বলিতে মহিলাদের প্রয়াস নিয়ে আলোচনা হবে। এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এক বিষয়। ভারত মহিলা নেতৃত্বাধীন উন্নয়নকে অত্যন্ত গুরু্তব দিয়ে কাজ করছে। জি-২০-এর সভাপতিত্বের সময়ে আমরা এব্যাপারে আমাদের অঙ্গীকারের কথা বলেছি। ভারত প্রযুক্তি ক্ষেত্রকে অন্তর্ভুক্তিমূলক করে তুলতে চায়। প্রযুক্তি প্ল্যাটফর্মগুলির মাধ্যমে মহিলাদের ক্ষমতায়ন ভারতের উদ্দেশ্যে। আপনারা দেখেছেন, আমাদের মহাকাশ অভিযানগুলিতে মহিলা বিজ্ঞানীরা কতটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। আমাদের স্টার্টআপগুলিতে মহিলা উদ্যোক্তার সংখ্যা ক্রমাগত বেড়ে চলেছে। আজ বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, ইঞ্জিনিয়ারিং ও গণিত শিক্ষায় ৪০ শতাংশেরও বেশি মেয়েরা রয়েছে। ভারত প্রযুক্তি ক্ষেত্রে নেতৃত্বদানে মহিলাদের জন্য একের পর এক সুযোগ তৈরি করছে। আপনারা নিশ্চয় সরকারের নমো ড্রোন দিদি কর্মসূচী সম্পর্কে শুনেছেন। এই কর্মসূচির মাধ্যমে কৃষিক্ষেত্রে ড্রোনের ব্যবহারকে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। এর নেতৃত্ব দেবেন গ্রামীণ মহিলারা। ডিজিটাল ব্যাঙ্কিং ও ডিজিটাল পেমেন্টকে উৎসাহ ডিতে আমরা ব্যাঙ্কসখী কর্মসূচি শুরু করেছি। অর্থাৎ মহিলারাই ডিজিটাল সচেতনতার প্রয়াসে নেতৃত্ব দিচ্ছে। আমাদের প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিষেবা, প্রসব এবং শিশু পরিচর্যার ক্ষেত্রে আশা ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। তারা এখন ট্যাবলেট ও অ্যাপ ব্যবহার করছেন। আমরা মহিলা উদ্যোক্তাদের জন্য অনলাইন বিপণন প্ল্যাটফর্ম, মহিলা ই-হাট চালু করেছি। আজ ভারতের গ্রামীণ মহিলারাও প্রযুক্তি ব্যবহার করছেন, যা আগে অকল্পনীয় ছিল। আমরা এই প্রয়াসকে ভবিষ্যতে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবো। ভারতের প্রতিটি মেয়ে প্রযুক্তি নেত্রী হয়ে উঠবে, আমি এই স্বপ্ন দেখি।
বন্ধুরা,
ভারতের জি-২০ সভাপতিত্বের সময় আমরা একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বিশ্বের সামনে রেখেছিলাম। আজ আবার তা বলতে চাই। সেটা হল, ডিজিটাল প্রযুক্তির জন্য বিশ্বজনীন কাঠামো ও নির্দেশিকা প্রণয়ন। প্রযুক্তি ক্ষেত্রে কী করা উচিত এবং কী নয়, সেবিষয়ে বিশ্বজনীন একটি নির্দেশিকা থাকা দরকার। আজকের দিনে সমস্ত ডিজিটাল মাধ্যম ও অ্যাপ্লিকেশন ভৌগোলিক সীমানা নির্বিশেষে কাজ করে। কোনও একটি দেশের পক্ষে তার নাগরিকদের সাইবার অপরাধ থেকে রক্ষা করা সম্ভব নয়। তাই আমাদের একসঙ্গে কাজ করা দরকার। বিশ্বজনীন প্রতিষ্ঠানগুলিকে এই দায়িত্ব নিতে হবে। আমাদের অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি আমরা যেমন বিমান পরিবহণ ক্ষেত্রে বিশ্বজনীন একটি নীতি-নির্দেশিকা প্রণয়ন করেছি ঠিক সেরকমই ডিজিটাল ক্ষেত্রেও হওয়া দরকার। আমি বিষয়টি নিয়ে ভাবার জন্য অ্যাসেম্বলির প্রতিটি সদস্যকে অনুরোধ জানাই। ভারতের ডেটা সুরক্ষা আইন এবং জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা কৌশল সুরক্ষিত ডিজিটাল পরিমণ্ডল নিয়ে আমাদের অঙ্গীকারকে তুলে ধরে। আমি অ্যাসেম্বলির সদস্যদের অন্তর্ভুক্তিমূলক, সুরক্ষিত এবং যেকোনও ভবিষ্যত চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করার সামর্থ্যসম্পন্ন মান নির্ধারণ করতে অনুরোধ জানাই। এআই এবং ডেটা গোপনীয়তা রক্ষা নিয়েও আপনাদের বিশ্বজনীন মান স্থির করা উচিত।
বন্ধুরা,
প্রযুক্তিকে আমরা ক্রমাগত মানবকেন্দ্রিক করে তোলার চেষ্টা চালিয়েছি। এই বিপ্লব যাতে দায়িত্বশীল ও সুস্থিত হয়, তার সুনিশ্চিত করার দায়িত্ব আমাদের সকলের। আজ আমরা যে মান স্থির করবো, তা আমাদের ভবিষ্যতের দিশা নির্দেশ করবে, তাই সুরক্ষা, মর্যাদা ও সাম্যের নীতি আমাদের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা উচিত। কোনও দেশ, কোনও অঞ্চল এবং কোনও সম্প্রদায় যাতে এই ডিজিটাল যুগে পিছিয়ে পড়ে না থাকে, তা আমাদের সুনিশ্চিতও করতে হবে। আমাদের ভবিষ্যতকে প্রযুক্তি ও নৈতিকতার দিক থেকে মজবুত করে তুলতে হবে। উদ্ভাবন ও অন্তর্ভুক্তি থাকবে এর কেন্দ্রে।
বন্ধুরা,
আমি এই সম্মেলনের সর্বতো সাফল্য কামনা করি। আপনাদের সবাইকে শুভেচ্ছা জানাই। আপনাদের অজস্র ধন্যবাদ।
PG/ SD/AG
(Release ID: 2067124)
Visitor Counter : 45
Read this release in:
English
,
Malayalam
,
Urdu
,
Hindi
,
Assamese
,
Manipuri
,
Punjabi
,
Gujarati
,
Odia
,
Tamil
,
Telugu
,
Kannada