অর্থমন্ত্রক

এবারের বাজেট বৈশিষ্ট্য : এক নজরে

Posted On: 23 JUL 2024 1:17PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ২৩ জুলাই ২০২৪

 

২০২৪-২৫ অর্থ বছরের বাজেট প্রস্তাব আজ সংসদে পেশ করেন কেন্দ্রীয় অর্থ ও কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রী শ্রীমতী নির্মলা সীতারমন। ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের অনুমিত বাজেট হিসাব হল :

 

* ঋণ ছাড়া অন্যান্য খাতে মোট আয় ৩২.০৭ লক্ষ কোটি টাকা

* মোট ব্যয় ৪৮.২১ লক্ষ কোটি টাকা

* কর বাবদ নিট আয় ২৫.৮৩ লক্ষ কোটি টাকা

* আর্থিক ঘাটতি জিডিপি-র ৪.৯ শতাংশ

* আগামী বছরে ৪.৫ শতাংশ হারে ঘাটতি পূরণের লক্ষ্য

* মুদ্রাস্ফীতির হার স্থিতিশীল ও হ্রাসের দিকে, লক্ষ্য স্থির হয়েছে তা ৪ শতাংশে ধরে রাখার। খাদ্য ও জ্বালানি বাদে মুদ্রাস্ফীতির হার ৩.১ শতাংশে ধরে রাখার আশা

* কর্মসংস্থান; দক্ষতা বিকাশ ক্ষুদ্র, মাঝারি ও অণু শিল্প এবং মধ্যবিত্ত শ্রেণীকে এবারের বাজেট প্রস্তাবে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে

 

কর্মসংস্থান এবং দক্ষতা বিকাশের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর পাঁচটি কর্মসূচির এক প্যাকেজ :

 

* ৪ কোটি ১০ লক্ষ তরুণ ও যুবককে আগামী পাঁচ বছরে আরও সুদক্ষ করে তোলার প্রস্তাব। এছাড়াও, কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি ছাড়াও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধাও তাঁদের জন্য সম্প্রসারিত হবে।

 

* প্রথম কর্মসূচি : ইপিএফও-তে নথিভুক্ত রয়েছেন এ ধরনের যে সমস্ত তরুণ ও যুবক প্রথমবার কর্মে নিযুক্ত হচ্ছেন, তাঁদের ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত মাসিক বেতনের তিনটি কিস্তি দেওয়ার ব্যবস্থা।

 

* দ্বিতীয় কর্মসূচি : নির্মাণ ও উৎপাদন ক্ষেত্রে কর্মচারী ও কর্মদাতা - উভয়কেই বিশেষ সুবিধা দেওয়ার প্রস্তাব। কর্মসংস্থানের প্রথম চার বছরে ইপিএফও-তে জমা দেওয়া অর্থের ভিত্তিতে এই সুবিধা দেওয়ার ব্যবস্থা।

 

* তৃতীয় কর্মসূচি : কর্মদাতাদের ইপিএফও-তে দু’বছর ধরে জমা দেওয়া অর্থের ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত প্রতি মাসে সরকারের পক্ষ থেকে ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা।

 

* চতুর্থ কর্মসূচি : দক্ষতা বিকাশ কর্মসূচির জন্য বাজেট প্রস্তাব -

 

* পাঁচ বছর ধরে ২০ লক্ষ তরুণ ও যুবককে সুদক্ষ করে গড়ে তোলা হবে।

* ১ হাজার শিল্প প্রশিক্ষণ সংস্থাকে আরও উন্নত করে তোলার প্রস্তাব।

* পঞ্চম তথা নতুন কর্মসূচি : ৫০০টি শীর্ষ স্থানীয় সংস্থায় ইন্টার্নশিপের জন্য পাঁচ বছর ধরে ১ কোটি তরুণ ও যুবককে যুক্ত করা হবে।

 

বিকশিত ভারত গঠনের লক্ষ্যে বাজেটে ন’টি বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রকে অগ্রাধিকার দেওয়ার প্রস্তাব :

 

(১) উৎপাদনশীলতা ও নিরন্তর কৃষি ব্যবস্থা

 

(২) কর্মসংস্থান ও দক্ষতা বিকাশ

 

(৩) অন্তর্ভুক্তিমূলক মানবসম্পদ বিকাশ ও সামাজিক ন্যায়

 

(৪) নির্মাণ, উৎপাদন ও পরিষেবা

 

(৫) নগরোন্নয়ন

 

(৬) জ্বালানি নিরাপত্তা

 

(৭) পরিকাঠামো

 

(৮) উদ্ভাবন প্রচেষ্টা, গবেষণা ও উন্নয়ন

 

(৯) আগামী প্রজন্মের উপযোগী সংস্কার প্রচেষ্টা

 

প্রথম অগ্রাধিকারের ক্ষেত্র :

 

* কৃষি এবং কৃষি-নির্ভর অন্যান্য ক্ষেত্রগুলির জন্য ১.৫২ লক্ষ কোটি টাকার বরাদ্দ প্রস্তাব।

 

* উচ্চ ফলনশীল এবং যে কোন ধরনের জলবায়ু সহায়ক সহনশীল ৩২ ধরনের শস্য উৎপাদনের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ কৃষকদের অনুকূলে ব্যয়ের প্রস্তাব।

 

* সারা দেশের ১ কোটি কৃষককে প্রাকৃতিক কৃষি পদ্ধতির সঙ্গে যুক্ত করা হবে।

 

* প্রাকৃতিক কৃষি পদ্ধতির স্বার্থে জৈব উপকরণ ও সাজসরঞ্জাম যোগানের জন্য ১০ হাজারটি প্রয়োজন-ভিত্তিক রিসোর্স সেন্টার।

 

* ৩ বছর ধরে কৃষিক্ষেত্রের জন্য ডিজিটাল পাবলিক ইনফ্রাস্ট্রাকচার (ডিপিআই) বাস্তবায়িত করার প্রস্তাব।

 

দ্বিতীয় অগ্রাধিকারের ক্ষেত্র :

 

* প্রধানমন্ত্রীর প্যাকেজের অংশ হিসেবে কর্মসংস্থান-ভিত্তিক সুযোগ-সুবিধা সম্পর্কিত তিনটি কর্মসূচি রূপায়িত হবে। প্রথমটি হল, প্রথমবার যাঁরা কাজে নিযুক্ত হচ্ছেন; দ্বিতীয়টি হল, নির্মাণ ও উৎপাদন ক্ষেত্রে কর্মসংস্থানের প্রসার এবং তৃতীয়টি হল, কর্মীদের জন্য সহায়তাদানের ব্যবস্থা।

 

মহিলাদের আরও বেশি সংখ্যায় কাজে নিযুক্ত করার জন্য গড়ে তোলা হবে :

 

* হস্টেল ও ক্রেশ। শিল্প সংস্থাগুলির সঙ্গে সহযোগিতাক্রমে তা বাস্তবায়নের ব্যবস্থা।

 

* শুধুমাত্র মহিলাদের জন্য দক্ষতা বিকাশ কর্মসূচি।

 

* মহিলাদের স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির নিজস্ব উৎপাদন বাজারজাত করার জন্য বিশেষ প্রচেষ্টা।

 

* পাঁচ বছর ধরে ২০ লক্ষ তরুণ ও যুবককে প্রধানমন্ত্রীর দক্ষতা বিকাশ কর্মসূচির আওতায় নিয়ে আসা হবে।

 

* ৭.৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ সহায়তাদানের ব্যবস্থা। এজন্য আদর্শ দক্ষতা বিকাশ কর্মসূচিটিকে সংশোধন করার ব্যবস্থা।

 

* দেশের বিভিন্ন সংস্থায় তরুণ ও যুবকদের উচ্চতর শিক্ষার সুযোগ-সুবিধা প্রসারের লক্ষ্যে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আর্থিক সহায়তাদানের প্রস্তাব।

 

তৃতীয় অগ্রাধিকারের ক্ষেত্র :

 

* অমৃতসর-কলকাতা শিল্প করিডরের পাশাপাশি গয়াতে শিল্প তালুক গড়ে তোলার প্রস্তাব।

 

* ২৪০০ মেগাওয়াট নতুন বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্প গড়ে তোলার প্রস্তাব পিরপৈন্তিতে। এর জন্য ২১,৪০০ কোটি টাকা ব্যয়ের প্রস্তাব।

 

অন্ধ্রপ্রদেশ পুনর্গঠন আইন :

 

* চলতি আর্থিক বছরে বহুপাক্ষিক উন্নয়ন সংস্থাগুলির মাধ্যমে ১৫ হাজার কোটি টাকার বিশেষ আর্থিক সহায়তা।

 

* বিশাখাপত্তনম-চেন্নাই শিল্প করিডরের সঙ্গে কোপার্থিতে শিল্প তালুক গড়ে তোলার প্রস্তাব। এছাড়াও, হায়দরাবাদ-বেঙ্গালুরু শিল্প করিডর বরাবর ওরভাকালেও একটি শিল্প তালুক গড়ে তোলা হবে।

 

নারীশক্তি পরিচালিত উন্নয়ন

 

* নারী ও কন্যা সন্তানদের কল্যাণে ৩ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি অর্থ বরাদ্দ।

 

প্রধানমন্ত্রী জনজাতীয় উন্নত গ্রাম অভিযান

 

* আদিবাসী প্রধান গ্রামগুলিতে আদিবাসী পরিবারগুলির আর্থ-সামাজিক বিকাশের লক্ষ্যে কর্মসূচি রূপায়ণের প্রস্তাব। এছাড়াও, উন্নয়নের প্রয়োজন ও সম্ভাবনা রয়েছে এই ধরনের ৬৩ হাজার গ্রামকে উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় নিয়ে আসা হবে। ফলে, আর্থ-সামাজিক দিক থেকে উপকৃত হবেন ৫ কোটি আদিবাসী মানুষ।

 

দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ব্যাঙ্ক ব্যবস্থার সম্প্রসারণ

 

* ইন্ডিয়া পোস্ট পেমেন্ট ব্যাঙ্ক-এর ১০০টি শাখা খোলা হবে উত্তর-পূর্ব ভারতে

 

চতুর্থ অগ্রাধিকারের ক্ষেত্র :

 

* নির্মাণ, উৎপাদন ও পরিষেবা ক্ষেত্রে যন্ত্রপাতি ও সাজসরঞ্জাম সংগ্রহের জন্য ক্ষুদ্র, মাঝারি ও অণু শিল্প সংস্থাগুলিকে মেয়াদি ঋণদানের ব্যবস্থা।

 

* এই ধরনের শিল্প সংস্থাগুলির কঠিন সময়ে ব্যাঙ্ক ঋণ যাতে কোনভাবেই ব্যাহত না হয়, তা নিশ্চিত করতে নতুন ব্যবস্থা গড়ে তোলার প্রস্তাব।

 

* তরুণদের জন্য ‘মুদ্রা’ ঋণের পরিমাণ বর্তমানের ১০ লক্ষ থেকে ২০ লক্ষ টাকায় উন্নীত করা হবে। তবে, যাঁরা আগে নেওয়া ঋণগুলি পরিশোধ করে দিয়েছেন, শুধুমাত্র তাঁরাই এই বিশেষ সুযোগ পাবেন।

 

* সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বে ই-কমার্স রপ্তানি হাব গড়ে তোলা হবে ক্ষুদ্র, মাঝারি ও অণু শিল্প সংস্থাগুলির জন্য। সেইসঙ্গে, প্রথাগত শিল্পী ও কারিগররা যাঁরা তাঁদের শিল্পোৎপাদন আন্তর্জাতিক বাজারে বিপণনের সুযোগ পান, সেই ব্যবস্থাও নিশ্চিত করার প্রস্তাব।

 

* ক্রিটিক্যাল মিনারেল মিশন গঠন করা হবে গুরুত্বপূর্ণ খনিজ পদার্থগুলিকে পুনর্ব্যবহারযোগ্য করে তোলার জন্য।

 

* ঋণদান; ই-কমার্স; শিক্ষা; স্বাস্থ্য; আইন ও বিচার; শিল্প পরিবহন; ক্ষুদ্র, মাঝারি ও অণু শিল্প এবং শহরাঞ্চলের প্রশাসনের কাজের সুবিধার জন্য ডিজিটাল পাবলিক ইনফ্রাস্ট্রাকচার অর্থাৎ ডিপিআই বাস্তবায়িত করার প্রস্তাব।

 

পঞ্চম অগ্রাধিকারের ক্ষেত্র :

 

* ৩০ লক্ষের বেশি জনসংখ্যা রয়েছে, এ ধরনের ১৪টি বড় বড় শহরে পরিবহণ-কেন্দ্রিক উন্নয়ন পরিকল্পনা রচনা এবং তা বাস্তবায়নের জন্য কৌশলসূত্র বের করার প্রস্তাব।

 

* ‘প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা’র আওতায় শহরাঞ্চলে ২.২ লক্ষ কোটি টাকার কেন্দ্রীয় সহায়তা সহ ১০ লক্ষ কোটি টাকা বিনিয়োগের প্রস্তাব। শহরাঞ্চলের ১ কোটি দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত শ্রেণীর পরিবারের বাসস্থানের চাহিদা মেটাতে এই বিশেষ ব্যবস্থা।

 

* আগামী পাঁচ বছরে দেশের নির্দিষ্ট কয়েকটি শহরে ১০০টির মতো সাপ্তাহিক হাট বা স্ট্রিট ফুড হাব-কে আরও উন্নত করে তোলার নতুন কর্মসূচি।

 

ষষ্ঠ অগ্রাধিকারের ক্ষেত্র :

 

* কর্মসংস্থান, বৃদ্ধি ও অগ্রগতি এবং নিরন্তর পরিবেশ সুরক্ষার সঙ্গে ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য জ্বালানি ক্ষেত্রের রূপান্তর প্রচেষ্টা সম্পর্কিত নীতির খসড়া রচনার প্রস্তাব।

 

* বিদ্যুতের মজুত ও যোগান সম্পর্কিত নীতিও তৈরি করা হবে।

 

* পরমাণু জ্বালানি সম্পর্কিত গবেষণা ও উন্নয়ন প্রচেষ্টা চালানো হবে বেসরকারি ক্ষেত্রের সহযোগিতায়।

 

* এনটিপিসি এবং ভেল-এর মধ্যে সহযোগিতার মাধ্যমে ৮০০ মেগাওয়াট শক্তিসম্পন্ন বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র গড়ে তোলার প্রস্তাব। এজন্য ব্যবহার করা হবে এইউএসসি প্রযুক্তি।

 

সপ্তম অগ্রাধিকারের ক্ষেত্র ;

 

* পরিকাঠামো ক্ষেত্রের প্রসার ও উন্নয়নের লক্ষ্যে মূলধনী ব্যয় বাবদ ১১,১১,১১১ কোটি টাকা (জিডিপি-র ৩.৪ শতাংশ) ব্যয়ের প্রস্তাব।

 

* পরিকাঠামো ক্ষেত্রে বিনিয়োগের জন্য রাজ্যগুলিকে সাহায্য করতে সুদমুক্ত দীর্ঘমেয়াদি ঋণদানের ব্যবস্থা ১.৫ লক্ষ কোটি টাকা আর্থিক প্যাকেজের ব্যবস্থা।

 

* প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার চতুর্থ পর্যায়ের সূচনা করা হবে। এর আওতায় ২৫ হাজার গ্রামে সকল জলহাওয়ার উপযোগী সড়ক সংযোগ গড়ে তোলার প্রস্তাব।

 

* কোশি-মেচি আন্তঃরাজ্য সংযোগ সহ বিহারের বিভিন্ন সেচ ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি রূপায়ণে ১১,৫০০ কোটি টাকার আর্থিক সহায়তা।

 

* আসাম, হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড এবং সিকিমকে বন্যা নিয়ন্ত্রণ, ভূমিধ্বস মোকাবিলা এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট কর্মসূচি রূপায়ণে কেন্দ্রীয় সহায়তাদানের প্রস্তাব।

 

* বিষ্ণুপদ মন্দির করিডর, মহাবোধি মন্দির করিডর এবং রাজগিড়ের সুসংবদ্ধ উন্নয়নের প্রস্তাব।

 

* ওড়িশার বিভিন্ন মন্দির, স্মৃতিস্তম্ভ, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ, কারুশিল্প, প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের বিকাশ এবং সৈকত উন্নয়নে সহায়তাদানের প্রস্তাব।

 

অষ্টম অগ্রাধিকারের ক্ষেত্র :

 

* প্রাথমিক গবেষণা প্রচেষ্টার জন্য জাতীয় অনুসন্ধান গবেষণা তহবিলকে কাজে লাগানো হবে।

 

* বাণিজ্যিক পর্যায়ে বেসরকারি ক্ষেত্রে গবেষণা ও উদ্ভাবন প্রচেষ্টার জন্য ১ লক্ষ কোটি টাকার তহবিল।

 

* আগামী ১০ বছরে মহাকাশ অর্থনীতির প্রসার ও সম্প্রসারণের লক্ষ্যে ১ হাজার কোটি টাকার মূলধনী তহবিল গঠনের প্রস্তাব।

 

নবম অগ্রাধিকারের ক্ষেত্র :

 

* দেশের সর্বত্র সকল ধরনের জমির জন্য ইউনিট ল্যান্ড পার্সেল আইডেন্টিফিকেশন নম্বর (আলপিন) অথবা ভূ-আধার চালু করা হবে।

 

* জমির বর্তমান মালিকানার ভিত্তিতে মানচিত্র রচনার প্রস্তাব।

 

* জমি রেজিস্ট্রি সংক্রান্ত বিশেষ ব্যবস্থা।

 

* কৃষকদের নাম নথিভুক্তির বিষয়টিকেও এর সঙ্গে যুক্ত করা হবে।

 

* জিআইএস-এর সাহায্যে শহরাঞ্চলের জমিজমার রেকর্ড পুরোপুরি ডিজিটাল করে তোলার ব্যবস্থা।

 

* ‘ওয়ান স্টপ’ সমাধান প্রচেষ্টা হিসেবে অন্যান্য পোর্টালগুলির সঙ্গে যুক্ত করা হবে ই-শ্রম পোর্টালটিকেও।

 

* দ্রুত পরিবর্তনশীল শ্রম বাজারের স্বার্থে মুক্ত আর্কিটেকচার ডেটাবেস তৈরির প্রস্তাব। তাতে দক্ষতা বিকাশ সম্পর্কিত চাহিদা এবং কাজের সুযোগের বিষয়গুলিকেও যুক্ত করা হবে।

 

* চাকুরি পেতে যাঁরা ইচ্ছুক, তাঁদের সঙ্গে সম্ভাব্য কর্মদাতা এবং দক্ষতা বিকাশ সম্পর্কিত সংস্থাগুলির মধ্যে সরাসরি যোগাযোগ করিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা।

 

* নাবালকদের জন্য ‘এনপিএস বাৎসল্য’ চালু করার প্রস্তাব। এর আওতায় পিতা-মাতা এবং অভিভাবকরা তাঁদের সন্তানদের জন্য কিস্তিতে টাকা জমা রাখার সুযোগ পাবেন।

 

পরোক্ষ কর :

 

পণ্য ও পরিষেবা কর (জিএসটি) -

 

* জিএসটি-র সাফল্য অনুসরণে কর কাঠামোকে আরও সরল ও বাস্তবসম্মত করে তোলা হবে। জিএসটি-র আওতার বাইরে রয়েছে, এমন ক্ষেত্রগুলিকেও জিএসটি-র আওতায় নিয়ে আসার জন্য এই বিশেষ প্রস্তাব।

 

* ক্যান্সার চিকিৎসার তিনটি ওষুধ - TrastuzumabDeruxtecan, Osimertinib এবং Durvalumab-কে পুরোপুরি আমদানি শুল্ক মুক্ত করে তোলার ব্যবস্থা।

 

* ফেজড ম্যানুফ্যাকচারিং প্রোগ্রাম-এর আওতায় এক্স-রে মেশিনে ব্যবহার্য এক্স-রে টিউব এবং ফ্ল্যাট প্যানেল ডিটেক্টর-এর ক্ষেত্রে আমদানি শুল্ক হারের পরিবর্তন ঘটানো হবে।

 

* মোবাইল ফোন, মোবাইল প্রিন্টেড সার্কিট বোর্ড অ্যাসেম্বলি (পিসিবিএ) এবং মোবাইল চার্জারের ওপর ধার্য শুল্কের হার কমিয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে।

 

* সোনা ও রুপোর ক্ষেত্রে আমদানি শুল্ক কমিয়ে আনা হবে ৬ শতাংশ। প্ল্যাটিনামের ক্ষেত্রে এই হার কমানো হবে ৬.৪ শতাংশে।

 

* ফেরো নিকেল এবং ব্লিস্টার কপারের ওপর আমদানি শুল্ক তুলে নেওয়া হবে।

 

* ফেরাস স্ক্র্যাপ এবং নিকেল ক্যাথোডের ওপর থেকেও আমদানি শুল্ক তুলে নেওয়া হবে।

 

* তামার স্ক্র্যাপের ওপর ধার্য হবে অপেক্ষাকৃত কম আমদানি শুল্ক। এর হার হবে ২.৫ শতাংশ।

 

* কয়েকটি শর্ত পূরণ সাপেক্ষে রেজিস্টার উৎপাদনের জন্য ব্যবহার্য অক্সিজেনমুক্ত তামার ওপরও আমদানি শুল্ক পুরোপুরি ছাড় দেওয়া হবে।

 

* পিভিসি ফ্লেক্স ব্যানারের ওপর ধার্য আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে করা হবে ২৫ শতাংশ।

 

* দূরসঞ্চারের কাজে ব্যবহার্য সাজসরঞ্জামের ক্ষেত্রে আমদানি শুল্কের হার বর্তমানের ১০ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি করে ১৫ শতাংশ করা হবে।

 

* সৌর সেল ও প্যানেল উৎপাদনের কাজে মূলধনী মালপত্রকে আমদানি শুল্ক মুক্ত বলে ঘোষণা করা হয়েছে।

 

* সামুদ্রিক উৎপাদনে আমদানি শুল্কের হার কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে।

 

* মাছের খাদ্যোৎপাদনে ব্যবহৃত উপকরণকেও আমদানি শুল্ক থেকে ছাড় দেওয়া হয়েছে।

 

প্রত্যক্ষ কর :

 

* কর ব্যবস্থার সরলীকরণের জন্য প্রয়াস ও প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। সরকারি উন্নয়ন ও কল্যাণ কর্মসূচি খাতে তহবিল গঠনের জন্য রাজস্বের মাত্রা বৃদ্ধি করা হবে। ২০২৪ সালে দুই-তৃতীয়াংশেরও বেশি করদাতা সরল কর ব্যবস্থার সুযোগ গ্রহণ করেছেন।

 

* চ্যারিটি খাতে দুটি কর ছাড়ের ব্যবস্থাকে কমিয়ে একটিতে রূপান্তরিত করা হবে।

 

* বেশ কিছু অর্থ প্রদানের ক্ষেত্রে ৫ শতাংশ হারে টিডিএস-কে ২ শতাংশ হারে টিডিএস ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত করা হবে।

 

* মিউচুয়াল ফান্ড এবং ইউটিআই-এর প্রকল্পগুলির ইউনিট রিপারচেজের ক্ষেত্রে ২০ শতাংশ হারে টিডিএস ধার্য করার ব্যবস্থা তুলে নেওয়া হল।

 

* ই-কমার্স অপারেটরদের ক্ষেত্রে টিডিএস হার ১ থেকে ০.১ শতাংশে হ্রাস করা হল।

 

* কয়েকটি আর্থিক সম্পদের ওপর স্বল্পমেয়াদি লাভ বা লভ্যাংশের ওপর ২০ শতাংশ কর ধার্য করা হবে।

 

* অন্যদিকে, যে কোন ধরনের আর্থিক বা অন্যান্য সহায়সম্পদের ওপর দীর্ঘমেয়াদি লাভ বা লভ্যাংশের ক্ষেত্রে ১২.৫ শতাংশ হারে কর ধার্য করা হবে।

 

* কয়েকটি আর্থিক সম্পদের ওপর অর্জিত মূলধনী আয়ের ওপর ছাড়ের মাত্রা বছর প্রতি ১.২৫ লক্ষ টাকা করা হল।

 

* বিকল্প নতুন কর ব্যবস্থায় ব্যক্তিগত আয়করের ক্ষেত্রে কয়েকটি পরিবর্তন :

 

* বেতনভোগী কর্মচারীদের ক্ষেত্রে স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন ৫০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে করা হয়েছে ৭৫ হাজার টাকা।

 

* পারিবারিক পেনশনের আওতায় যাঁরা পেনশনের সুবিধা ভোগ করেন, তাঁদের ক্ষেত্রে এই ছাড় ১৫ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে করা হয়েছে ২৫ হাজার টাকা।

 

* সংশোধিত কর কাঠামো হল :

 

 

 

০-৩ লক্ষ টাকা

শূন্য

৩-৭ লক্ষ টাকা

৫ শতাংশ

৭-১০ লক্ষ টাকা

১০ শতাংশ

১০-১২ লক্ষ টাকা

১৫ শতাংশ

১২-১৫ লক্ষ টাকা

২০ শতাংশ

১৫ লক্ষ টাকার ঊর্ধ্বে

৩০ শতাংশ

 

 

PG/SKD/DM



(Release ID: 2035965) Visitor Counter : 23