নির্বাচনকমিশন

প্রথম চার পর্বে ভোটদানের হার ৬৬.৯৫ %

Posted On: 16 MAY 2024 1:28PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি,  ১৬ মে , ২০২৪

 

আশ্চর্য হবেন না যদি আপনি ক্রিকেট কিংবদন্তি নির্বাচন কমিশনের জাতীয় আদর্শ তারকা শচীন তেন্ডুলকরের ফোন পান। চলতি লোকসভা নির্বাচনে তিনি ভোটদাতাদের ভোট দিতে আবেদন করছেন। ভোটদানের হার বৃদ্ধির লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন চলতি নির্বাচনে ভোটদাতাদের আবেদন জানাতে এবং উৎসাহিত করতে নানা পন্থা নিয়েছে। এপর্যন্ত ২০২৪ –এর নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৬৬.৯৫ শতাংশ। চলতি সাধারণ নির্বাচনের চার পর্বে মোটামুটি ৪৫১ মিলিয়ন মানুষ ভোট দিয়েছেন।

প্রত্যেক যোগ্য ভোটদাতার কাছে পৌঁছতে নির্বাচন কমিশন নানা পন্থা নিয়েছে। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার শ্রী রাজীব কুমার এবং অন্য দুই নির্বাচন কমিশনার শ্রী জ্ঞানেশ কুমার
এবং শ্রী সুখবীর সিং সান্ধুর নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশন পঞ্চম, ষষ্ঠ এবং সপ্তম দফার ভোট যেসব রাজ্যে হবে সেখানকার ভোটদাতাদের সময়মতো ভোটার তথ্য সম্বলিত স্লিপ বিলি করার নির্দেশ দিয়েছে মুখ্য নির্বাচন আধিকারিকদের। 

মুখ্য নির্বাচন কমিশনার শ্রী রাজীব কুমার বলেছেন, ‘কমিশনের গভীর বিশ্বাস যে ভোটদাতাদের সচেতন করার জরুরি ভিত হল অংশীদারিত্ব এবং সহযোগিতা। এটা দেখে প্রকৃতই ভাল লাগছে যে কমিশনের অনুরোধে বিভিন্ন সংস্থা, প্রভাবশালী এবং নামী দামী ব্যক্তি যাদের গুরুত্বপূর্ণ  যোগাযোগ আছে তারা স্বেচ্ছায় আগ্রহ দেখাচ্ছে।’ তিনি আরও বলেছেন, ভোটদানের হার বেশি হলে ভারতীয় গণতন্ত্রের শক্তির বার্তা পৌঁছবে বিশ্বের কাছে। তিনি সকল ভোটারকে ভোটদানের আর্জি জানিয়েছেন। বলেছেন, ভোটের দিনটি ছুটির দিন নয়, এটা গর্বের দিন: গণতন্ত্রের উৎসবে শামিল হন। 


ভোটারদের সচেতন করতে নিম্নলিখিত বিভিন্ন উদ্যোগ এবং অভিযান চালাচ্ছে সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষ :  

১. ভারত সঞ্চার নিগম লিমিটেড, ভারতী এয়ারটেল লিমিটেড, জিও টেলিকমিউনিকেশন, ভোডাফোন-আইডিয়া লিমিটেড-এর মতো টেলিকম পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থাগুলি পুশ এসএমএস/ ফ্ল্যাশ এসএমএস, আউট বাউন্ড ডায়ালিং কল, আরসিএস মেসেজিং এবং হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ ও অ্যালার্টের মাধ্যমে প্রতিটি সংসদীয় কেন্দ্রের প্রত্যেক মোবাইল ব্যবহারকারীর কাছে পৌঁছে যাচ্ছে। ভোটের ২-৩ দিন আগে থেকে এবং ভোটের দিনও স্থানীয় ভাষায় ভোটদানের আবেদন করা হচ্ছে।
২. চলতি আইপিএল মরশুমে ভোটদাতাদের সচেতন করতে নির্বাচন কমিশন হাত মিলিয়েছে বিসিসিআই-এর সঙ্গে। ম্যাচ চলাকালীন বিভিন্ন স্টেডিয়ামে ভোটদাতাদের সচেতনতামূলক বার্তা দিতে গান বাজানো হচ্ছে। সবচেয়ে অভিনব ব্যাপারটি হল, বিভিন্ন আইপিএল ক্রিকেট খেলার মাঠগুলিতে ক্রিকেট কিংবদন্তি শচীন তেন্ডুলকরের শপথ গ্রহণ করানোর রেকর্ড বাজানো হচ্ছে। এছাড়া ক্রিকেটের ধারাবিবরণীর মাঝেও এই সংক্রান্ত বার্তা থাকছে। ১০ টি আইপিএল দলের ক্রিকেটাররা রেকর্ডে ভোটদানের আহ্বান জানাচ্ছেন সাধারণ মানুষের কাছে। 
৩. সকল ফেসবুক ব্যবহারীর কাছে ভোটের দিনে অ্যালার্ট পাঠানো হচ্ছে ভোটের দিনটি জানাতে এবং গণতন্ত্রের উৎসবে অংশ নিতে।
৪. ভোটের দিনে হোয়াটসঅ্যাপেও ব্যক্তিগতভাবে বার্তা পাঠাচ্ছে। গুগল ইন্ডিয়া ভোটের দিনে তাদের বহুল পরিচিত গুগল-ডুডলের মাধ্যমে বার্তা দিচ্ছে। ইউটিউব, গুগল পে এবং অন্যান্য গুগল প্ল্যাটফর্মে ব্যানার প্রদর্শিত হচ্ছে। 
৫. রিটেল অ্যাসেসিয়েশন অফ ইন্ডিয়া তাদের নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ভোটদাতাদের সচেতনতার কাজে যুক্ত হয়েছে।
৬. ডাকঘর এবং ব্যাঙ্কগুলির বিশাল নেটওয়ার্ককেও ব্যবহার করছে নির্বাচন কমিশন, যাতে গোটা দেশে সচেতনতার বার্তা ছড়িয়ে পড়তে পারে।
৭.  পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস মন্ত্রকের সহযোগিতায় সংসদীয় নির্বাচন অভিযানের লোগো “চুনাও কা পর্ব, দেশকা কা গর্ব” জোড়া হয়েছে আইআরসিটিসি পোর্টাল এবং টিকিটে। 
৮. সব রেল স্টেশনে ভোটার সচেতনতামূললক ঘোষণা করা হচ্ছে। সুপার ফাস্ট ট্রেনগুলির কামরায় লাগানো হচ্ছে লোগো।
৯.  পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস মন্ত্রকের সহযোগিতায় প্রায় ১৬ হাজার পেট্রোল পাম্পে হোর্ডিং লাগানো হচ্ছে। 
১০. অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রকের সহযোগিতায় প্রতিটি উড়ানে চলতি নির্বাচনে অংশ নেওয়ার আবেদন জানানো হচ্ছে। বিমানের আসনের পকেটে রাখা হচ্ছে ভোটার গাইড। এছাড়াও অনেক বিমানবন্দরেই ভোটদান নিয়ে বার্তা সম্বলিত বিজ্ঞাপন লাগানো হয়েছে। দিল্লি, মুম্বই, কলকাতা, বেঙ্গালুরু, হায়দ্রাবাদ, আহমেদাবাদ, লক্ষ্মৌ, পাটনা, চন্ডীগড়, পুনে এই ১০ টি বড় শহরে বিমানবন্দরে সেলফি পয়েন্ট রাখা হয়েছে। 
১১. দেশের প্রতিটি সিনেমা হলে এই সংক্রান্ত ফিল্ম প্রদর্শিত হচ্ছে। বিরতির সময় বাজানো হচ্ছে নির্বাচন কমিশনের গান ‘ম্যায় ভারত হুঁ, হাম ভারতকে মতদাতা হ্যায়’।
১২. সংসদ টিভি দেশের দুর্গম প্রান্তে বিভিন্ন প্রাকৃতিক প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে ভোটকেন্দ্র স্থাপন নিয়ে ছোট ছোট ছবি তৈরি করেছে।
১৩. আমুল, মাদার ডেয়ারি এবং অন্য দুগ্ধ সমবায়গুলি তাদের দুধের পাউচে “চুনাও কা পর্ব, দেশকা কা গর্ব” বার্তা ছাপানো শুরু করেছে। আমুল খবরের কাগজগুলিতে আমুল বালিকার মাধ্যমে অভিনব বার্তা দিচ্ছে।
১৪. দূরদর্শন রাষ্ট্রপতি, উপরাষ্ট্রপতি, দেশের প্রধান বিচারপতি সহ বিশিষ্ট সাংবিধানিক পদাধিকারীদের বার্তা প্রদর্শন করছে। এছাড়া অভিনব ভোট কেন্দ্রগুলিকে নিয়েও প্রচার করছে আঞ্চলিক কেন্দ্রগুলি।
১৫. মিউজিক অ্যাপ স্পোটিফাই ‘প্লে ইওর পার্ট’ অভিযান চালাচ্ছে।
১৬. বাইক অ্যাপ র‍্যাপিডো ভোট দিতে যাওয়ার সময় ভোটদাতাদের বিনামূল্যে নিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে।
১৭. পেমেন্টস অ্যাপ ফোন পে তাদের অ্যাপে সচেতনতার বার্তা দিচ্ছে। উৎসাহিত করছে ভোটদাতাদের।
১৮. গ্রোসারী অ্যাপ ব্লিনকিট নির্বাচনের জন্য তাদের লোগো পরিবর্তন করে ইনকিট করেছে। ট্যাগ লাইন রেখেছে ‘গো আউট এন্ড ভোট’।
১৯. বুক মাই শো-তে ‘আজ পিকচার নেহি, বিগার পিকচার দেখো’ শিরোনামে অভিযান চালাচ্ছে।
২০. মেক মাই ট্রিপ ‘মাই ভোটওলা ট্রিপ’ শিরোনামে যে অভিযান চালাচ্ছে তাতে ভোট দিতে গেলে নাগরিকদের ছাড়ের সুবিধা দেবার কথা ঘোষণা করেছে। 
২১. জোমাটো এবং সুইগির মতো সংস্থাগুলো তাদের প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে সচেতনতার বার্তা দিচ্ছে। 
২২. টাটা নিউ অ্যাপ তাদের হোম পেজে অ্যানিমেশনের মাধ্যমে ‘কাস্ট ইওর ভোট’ লেখা ব্যানার তুলে ধরেছে। 
২৩. উবর ইন্ডিয়া বিভিন্ন মাধ্যমে পৌঁছচ্ছে ভোটদাতাদের কাছে। ভোটদানের কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার সময় ছাড় দেওয়ার কথাও জানিয়েছে তারা।
২৪. আরবান কোম্পানি ভোটদাতাদের উৎসাহিত করতে ‘আই হ্যাভ ভোটেড’ ক্যাম্পেনের সূচনা করেছে। 
২৫. ট্রু কলার ভোটদাতাদের সচেতনতার বার্তা পাঠাচ্ছে। 
২৬. এছাড়াও আরও কিছু কিছু উদ্যোগ নিয়েছে বেশ কিছু সংস্থা। জনপ্রিয় ব্র্যান্ডগুলি দিচ্ছে ছাড়ের সুযোগ। ‘ভোট কি তৈয়ারি’, ‘এভরি সিঙ্গল ভোট কাউন্টস’ শিরোনামে জনপ্রিয় পণ্যের ব্র্যান্ডগুলি সচেতনতার বার্তা দিচ্ছে।  

 

PG/ AP /SG



(Release ID: 2020855) Visitor Counter : 38