অর্থমন্ত্রক

২০২৪-২৫ অন্তবর্তী বাজেটে কৃষিক্ষেত্রে মূল্য সংযোজন এবং কৃষকদের আয় বৃদ্ধির প্রশ্নে জোরালো প্রতিশ্রুতি

ফসল পরবর্তী অধ্যায়ে প্রাথমিক এবং দ্বিতীয় স্তরে প্রক্রিয়াকরণ এবং বিপণন ব্যবস্থার ঘোষণা করা হয়েছে বেসরকারি এবং সরকারি বিনিয়োগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে

১১.৮ কোটি কৃষককে কিষাণ সম্মান যোজনার আওতায় সরাসরি আর্থিক সহায়তা

পিএম ফসল বিমা যোজনার আওতায় ৪ কোটি কৃষকের জন্য সুরক্ষা

তৈল বীজের ক্ষেত্রে আত্মনির্ভরতার জন্য গড়ে তোলা হবে কৌশল কাঠামো

সব ধরনের কৃষি-জলবায়ু অঞ্চলে বিভিন্ন শস্যে ন্যানো ডিএপি প্রয়োগ

Posted On: 01 FEB 2024 12:49PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি,  ০১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

 

কৃষকদের কল্যাণ এবং গ্রামীণ চাহিদা বৃদ্ধির বিষয়টি সংসদে আজ কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনের পেশ করা ২০২৪-২৫ অন্তর্বতী বাজেটের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। কৃষকের ‘অন্নদাতা’ বলে উল্লেখ করে শ্রীমতী সীতারমন জানান যে, অন্নদাতাদের উৎপাদিত পণ্যের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নির্দিষ্ট সময়ের ভিত্তিতে যথাযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করা হয়েছে। অর্থমন্ত্রী জানান যে প্রতি বছর পিএম কিষাণ সম্মান যোজনার আওতায় প্রান্তিক ও ক্ষুদ্র কৃষক সহ ১১.৮ কোটি কৃষিজীবিকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। পিএম ফসল বীমা যোজনার আওতায় ৪ কোটি কৃষক সুরক্ষার সুবিধা পাচ্ছেন। অর্থমন্ত্রী আরও বলেন যে, দেশ এবং বিশ্বের এই ‘অন্নদাতা’-দের সহায়তায় আরও অনেক কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। ৮০ কোটি মানুষের কাছে বিনামূল্যে রেশন পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। 

অন্তবর্তী বাজেট ২০২৪-২৫এ কৃষি ক্ষেত্রে মূল্য সংযোজন এবং কৃষকদের আয় বৃদ্ধির বিষয়টি বিশেষভাবে অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত। ফসল পরবর্তী অধ্যায়ে একত্রীকরণ, আধুনিক মজুত ব্যবস্থা, দক্ষ সরবরাহ শৃঙ্খল, প্রাথমিক এবং দ্বিতীয় পর্যায়ের প্রক্রিয়াকরণ ও বিপণনের ব্যবস্থাকে আরও সুচারুভাবে সাজিয়ে বেসরকারি এবং সরকারি লগ্নি বাড়ানোর বিষয়ে প্রতিশ্রুতি দেন অর্থমন্ত্রী। 

বাজেট ভাষণে অর্থমন্ত্রী বলেন, কৃষিক্ষেত্রে অন্তর্বতীমূলক এবং সুষম বিকাশের প্রভূত সম্ভাবনা রয়েছে। সরকারের কৃষক-কেন্দ্রিক নানান নীতি, আয় সহায়তা, ফসলের দাম এবং বিমার ব্যবস্থা, স্টার্টআপের মাধ্যমে প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনার প্রসার এই ক্ষেত্রে অনুঘটকের কাজ করেছে। 

প্রধানমন্ত্রী ফর্মালাইজেশন অফ মাইক্রো ফুড প্রসেসিং এন্টারপ্রাইজেস যোজনা ২.৪ লক্ষ স্বনির্ভর গোষ্ঠীর কাছে বিশেষভাবে সহায়ক হয়ে উঠেছে এবং ৬০ হাজার মানুষের কাছে ঋণের সুবিধা পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়েছে। ফসল পরবর্তী অধ্যায়ে অপচয় হ্রাস, উৎপাদনশীলতা এবং আয় বৃদ্ধির ক্ষেত্রে এইসব উদ্যোগকে সহায়তা করছে আরও বেশ কয়েকটি প্রকল্প। শ্রীমতী সীতারমন উল্লেখ করেন যে প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্পদ যোজনায় ৩৮ লক্ষ কৃষিজীবী উপকৃত হয়েছেন এবং ১০ লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। বৈদ্যুতিন জাতীয় কৃষি বাজার ১,৩৬১টি মান্ডিকে সংযুক্ত করেছে এবং ১.৮ কোটি কৃষিজীবির কাছে প্রয়োজনীয় পরিষেবা পৌঁছে দিয়ে ৩ লক্ষ কোটি টাকার বাণিজ্যিক লেনদেন সম্ভব করে তুলেছে। 

সরকারের এইসব কর্মসূচির কল্যাণে গ্রামের মানুষের প্রকৃত আয় বৃদ্ধি হয়েছে এবং বিকাশের পালে হাওয়া লাগছে বলে অর্থমন্ত্রী মন্তব্য করেন। 

আত্মনির্ভর তৈলবীজ অভিযান 

এই অন্তর্বতী বাজেটে তৈলবীজ ক্ষেত্রে আত্মনির্ভরতার প্রশ্নে একটি কৌশলগত কাঠামো গড়ে তোলার কথা বলেছেন অর্থমন্ত্রী। এর আওতায় আসবে সরষে, সয়াবিন, সূর্যমুখী ইত্যাদি। তৈলবীজ ক্ষেত্রে গবেষণা, অধিকতর উৎপাদনশীল বীজ, আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি, বিপণনের সুযোগ-সুবিধা, সরকারি ক্রয় এবং শস্যবীমার প্রসঙ্গ তুলে ধরনের অর্থমন্ত্রী। 

ন্যানো ডিএপি

অর্থমন্ত্রী জানান, ন্যানো ইউরিয়ার সফল প্রয়োগের পর এবার সব কৃষি-জলবায়ু অঞ্চলে বিভিন্ন ধরনের শস্য চাষে ন্যানো ডিএপি-র ব্যবহারে জোর দেওয়া হবে। 

PG/AC/NS…



(Release ID: 2001555) Visitor Counter : 72