স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী শ্রী অমিত শাহ-র দিকনির্দেশে ‘সাইবার নিরাপদ ভারত’ গড়ে তোলা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারগুলির মধ্যে একটি

গত সপ্তাহে ইন্ডিয়ান সাইবার ক্রাইম কো-অর্ডিনেশন সেন্টার তার ন্যাশনাল সাইবার ক্রাইম থ্রেট অ্যানালিটিক্স ইউনিট (এনসিটিএইউ)-এর মাধ্যমে বিনিয়োগ / আংশিক সময়ের চাকরি সংক্রান্ত জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত ১০০টিরও বেশি ওয়েবসাইট চিহ্নিত করেছে

বৈদ্যুতিন ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রক তথ্যপ্রযুক্তি আইন, ২০০০ মোতাবেক এই ওয়েবসাইটগুলিকে ব্লক করে দিয়েছে

এই ওয়েবসাইটগুলি বিদেশ থেকে ডিজিটাল বিজ্ঞাপন, চ্যাট মেসেঞ্জার এবং ভুয়ো / ভাড়া করা অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা হতো

এইসব জালিয়াতির টাকা কার্ড নেটওয়ার্ক, ক্রিপ্টো কারেন্সি, বিদেশি এটিএম ও আন্তর্জাতিক ফিনটেক কোম্পানিগুলির মাধ্যমে ভারতের বাইরে নিয়ে যাওয়া হতো

Posted On: 06 DEC 2023 10:12AM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ৬ ডিসেম্বর, ২০২৩

 

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী শ্রী অমিত শাহ-র দিকনির্দেশে ‘সাইবার নিরাপদ ভারত’ গড়ে তোলা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারগুলির মধ্যে একটি। 

সাইবার অপরাধ থেকে নাগরিকদের রক্ষা করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক বদ্ধপরিকর। জালিয়াতরা যেসব ফোন নম্বর ও সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেল ব্যবহার করছে, তার খোঁজ পেলে নাগরিকদের ন্যাশনাল সাইবার ক্রাইম রিপোর্টিং পোর্টাল http://(www.cybercrime.gov.in) -এ জানাতে অনুরোধ করা হচ্ছে। 

দেশে সুসমন্বিত ও সার্বিকভাবে সাইবার অপরাধের মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ইন্ডিয়ান সাইবার ক্রাইম কো-অর্ডিনেশন সেন্টার (I4C) গড়ে তুলেছে। এর ন্যাশনাল সাইবার ক্রাইম থ্রেট অ্যানালিটিক্স ইউনিট (এনসিটিএইউ) গত সপ্তাহে বিনিয়োগ / আংশিক সময়ের চাকরি সংক্রান্ত জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত ১০০টিরও বেশি ওয়েবসাইট চিহ্নিত করেছে। বৈদ্যুতিন ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রক তথ্যপ্রযুক্তি আইন, ২০০০ মোতাবেক এই ওয়েবসাইটগুলিকে ব্লক করে দিয়েছে। এই ওয়েবসাইটগুলি বিদেশ থেকে ডিজিটাল বিজ্ঞাপন, চ্যাট মেসেঞ্জার এবং ভুয়ো / ভাড়া করা অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা হত। এইসব জালিয়াতির টাকা কার্ড নেটওয়ার্ক, ক্রিপ্টো কারেন্সি, বিদেশি এটিএম ও আন্তর্জাতিক ফিনটেক কোম্পানিগুলির মাধ্যমে ভারতের বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ১৯৩০ হেল্পলাইনে এ সংক্রান্ত বহু অভিযোগ জমা পড়েছে। এই ধরনের অপরাধ একদিকে যেমন নাগরিকদের অর্থনৈতিক ঝুঁকি বাড়াচ্ছে, অন্যদিকে তেমনই দেশের তথ্য সুরক্ষার ক্ষেত্রেও উদ্বেগ সৃষ্টি করছে। জালিয়াতরা ধাপে ধাপে কিভাবে ফাঁদ পাতে তা নিচে বলা হল :

(১) ‘ঘরে বসে চাকরি’, ‘ঘরে বসে উপার্জন কিভাবে করবেন’ – এই ধরনের বাক্যবন্ধ ব্যবহার করে গুগল বা মেটার মতো প্ল্যাটফর্মে বিজ্ঞাপন দিয়ে দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করা হয়। বিভিন্ন ভাষায় এই বিজ্ঞাপন থাকে। বিদেশ থেকে যারা এই বিজ্ঞাপন দেয়, তাদের লক্ষ্য বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই হন অবসরপ্রাপ্ত মানুষজন, মহিলা এবং বেকার তরুণ-তরুণীরা। 

(২) এই বিজ্ঞাপনে ক্লিক করলেই একজন এজেন্ট হোয়াটসঅ্যাপ বা টেলিগ্রামে কর্মপ্রার্থীর সঙ্গে চ্যাট শুরু করে দেয়। তাঁকে কিছু ভিডিওতে লাইক করতে, সাবস্ক্রাইব করতে, ম্যাপ রেটিং করতে বলা হয়। 

(৩) এই কাজ শেষ হলে কর্মপ্রার্থীকে প্রাথমিকভাবে কিছু অর্থ কমিশন বাবদ দেওয়া হয়। তাঁকে বলা হয়, বড় অঙ্কের বিনিয়োগ করলে তিনি ভবিষ্যতে অনেক বেশি টাকা ফেরত পাবেন।

(৪) এইভাবে কর্মপ্রার্থীর আস্থা অর্জন করার পর তিনি যখন বড় অঙ্কের টাকা বিনিয়োগ করেন, তখন সেই টাকা তুলে নিয়ে জালিয়াতরা বেপাত্তা হয়ে যায়।

সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে যা করা উচিত তা হল :

(১) ইন্টারনেটে যেসব অনলাইন স্কিমে অস্বাভাবিক রকমের বেশি কমিশন দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে, সেগুলিতে বিনিয়োগ করার আগে ভালো করে খতিয়ে দেখুন। 

(২) কোনো অজানা ব্যক্তি হোয়াটসঅ্যাপ বা টেলিগ্রামে আপনার সঙ্গে যোগাযোগ করলে, ভালো করে যাচাই না করে কোনো আর্থিক লেনদেনে জড়াবেন না। 

(৩) ইউপিআই অ্যাপে অর্থ প্রাপকের নাম ভালো করে খতিয়ে দেখুন। সেটি ভুয়ো অ্যাকাউন্ট এবং স্কিমটি নকল হতে পারে। প্রাথমিকভাবে কমিশন পেলে কোথা থেকে সেই টাকা আসছে,  ভালো করে তার খোঁজ নিন। 

(৪) অপরিচিত অ্যাকাউন্টে আর্থিক লেনদেন করা থেকে বিরত থাকুন। ঐ অ্যাকাউন্টটি অর্থ পাচার, এমনকি জঙ্গীদের অর্থ যোগানের কাজেও যুক্ত থাকতে পারে। সেক্ষেত্রে পরে ঐ অ্যাকাউন্ট ব্লক করে দেওয়া হবে। নেওয়া হবে আইনি ব্যবস্থাও। 

  
PG/SD/DM



(Release ID: 1983367) Visitor Counter : 81