প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর
azadi ka amrit mahotsav

পোর্ট ব্লেয়ারের বীর সাভারকার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সংযুক্ত টার্মিনাল ভবনের উদ্বোধন উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর ভিডিও বার্তা

Posted On: 18 JUL 2023 1:47PM by PIB Kolkata

নতুন দিল্লি, ১৮ জুলাই, ২০২৩

নমস্কার!

আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের উপরাজ্যপাল শ্রী ডি কে যোশী, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় আমার সহকর্মী শ্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, শ্রী ভি কে সিং, সংসদে আমার সহকর্মীরা, অন্য বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এবং আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে আমার ভাই ও বোনেরা! 

আজকের এই অনুষ্ঠানটি যদিও পোর্ট ব্লেয়ারে হচ্ছে, কিন্তু সারা দেশের চোখ রয়েছে এর উপর। বীর সাভারকার বিমানবন্দরের আধুনিকীকরণ ও সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য দীর্ঘদিন ধরেই আন্দামান ও নিকোবরের মানুষজন দাবি জানিয়ে আসছিলেন। এখানকার আগের সাংসদ প্রতি সপ্তাহেই এই বিষয়ে কথা বলতে আমার কাছে আসতেন। আজ নিশ্চয় তিনি খুব খুশী হবেন। আমি স্ক্রিনে আমার সব পুরনো বন্ধুকে দেখতে পারছি। আজ শারীরিকভাবে ওখানে উপস্থিত হয়ে এই উদযাপনে অংশগ্রহণ করতে পারলে আমার খুব ভালো লাগতো। সময়ের অভাবে তা হয়নি। কিন্তু আমি আপনাদের প্রত্যেকের চোখেমুখে যে আনন্দ দেখতে পাচ্ছি, তার থেকেই ওখানকার আনন্দঘন পরিবেশ অনুভব করতে আমার কোনো অসুবিধা হচ্ছে না। 

বন্ধুরা, 

সারা দেশ থেকে যাঁরা আন্দামানে ঘুরতে যান, তাঁদেরও ইচ্ছে ছিল সেখানকার বিমানবন্দরের সক্ষমতা বাড়ুক। বর্তমান টার্মিনালটি দিনে ৪ হাজার পর্যটকের চাপ সহ্য করতে পারে। এই নতুন টার্মিনাল তৈরি হওয়ায় এবার থেকে প্রতিদিন ১১ হাজার পর্যটক এই বিমানবন্দর ব্যবহার করতে পারবেন। নতুন ব্যবস্থায় ১০টি বিমান একই সঙ্গে এই বিমানবন্দরে রাখা যাবে। এর ফলে এখান থেকে নতুন উড়ান চালুর পথও খুলে গেলো। আরও বেশি উড়ান চালু হওয়ায় এবং আরও বেশি সংখ্যক পর্যটক সরাসরি এখানে আসতে পারায়, আরও বেশি কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। পোর্ট ব্লেয়ারের এই নতুন টার্মিনাল ভবনে যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্য অনেক বেশি। এখানে ব্যবসা সহায়ক পরিবেশ রয়েছে, যোগাযোগ ব্যবস্থাও উন্নততর, এজন্য আমি দেশের মানুষ এবং পোর্ট ব্লেয়ারের বন্ধুদের অভিনন্দন জানাই। 

বন্ধুরা,

দীর্ঘদিন ধরেই ভারতে উন্নয়নের পরিধি কেবলমাত্র কয়েকটি বড় শহরে অথবা কয়েকটি অঞ্চলে সীমাবদ্ধ ছিল। কয়েকটি দলের স্বার্থপর রাজনীতির জন্য উন্নয়নের সুফল দেশের দূর দূরান্তে পৌঁছয়নি। যে প্রকল্পগুলি ব্যক্তিগতভাবে তাদের এবং তাদের পরিবারের উপকারে আসবে, এই দলগুলি কেবলমাত্র সেইসব প্রকল্পকেই অগ্রাধিকার দিতো। এর ফলে আমাদের আদিবাসী এলাকা ও দ্বীপগুলি উন্নয়নের সুফল থেকে বঞ্চিতই থেকে গেছে। 

পূর্ববর্তী সরকারগুলির করা এইসব ভুল গত ৯ বছরে আমরা সম্পূর্ণ সংবেদনশীলতার সঙ্গে সংশোধন করেছি। পাশাপাশি গড়ে তুলেছি উন্নয়নের নতুন পদ্ধতি। ভারতে এখন উন্নয়নের এক নতুন মডেল তৈরি হয়েছে। এই মডেল অন্তর্ভুক্তিকরণের, সবাইকে সঙ্গে নেওয়ার, যাকে বলা হয় ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ’। আমি যখন ‘সবকা বিকাশ’-এর কথা বলি, তখন তার অর্থ অত্যন্ত ব্যাপক। ‘সবকা বিকাশ’ মানে প্রতিটি মানুষ, প্রতিটি শ্রেণী, প্রতিটি এলাকার উন্নয়ন। ‘সবকা বিকাশ’ মানে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রের উন্নয়ন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ ব্যবস্থা অর্থাৎ সমস্ত দিক দিয়ে সার্বিক উন্নয়ন।

বন্ধুরা,

এই ভাবনাচিন্তার আলোকেই গত ৯ বছরে আন্দামান - নিকোবরে এক নতুন উন্নয়ন গাথা লেখা হয়েছে। আমাদের আগের সরকারের আমলে ৯ বছরে আন্দামান ও নিকোবরের জন্য বাজেট বরাদ্দ ছিল ২৩ হাজার কোটি টাকা। আমাদের সরকারের ৯ বছরে বাজেট বরাদ্দ হয়ে হয়েছে প্রায় ৪৮ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ আমাদের সরকার আন্দামান - নিকোবরের উন্নয়নে বিগত সরকারের তুলনায় দ্বিগুণ বেশি অর্থ খরচ করেছে। 

বিগত সরকারের আমলে ৯ বছরে আন্দামান – নিকোবরের ২৮ হাজার বাড়িতে জলের সংযোগ দেওয়া হয়েছিল, আমাদের সরকারের আমলে প্রায় ৫০ হাজার বাড়িতে জলসংযোগ পৌঁছে গেছে। অর্থাৎ প্রতিটি বাড়িতে জলের সংযোগ দেওয়ার কাজে আমাদের সরকার বিগত সরকারের তুলনায় দ্বিগুণ তৎপরতার সঙ্গে কাজ করছে।

আজ প্রায় প্রতিটি মানুষেরই নিজের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট রয়েছে। প্রতিটি দরিদ্র মানুষ ‘এক দেশ, এক রেশন কার্ড’-এর সুবিধা ভোগ করছেন। বিগত সরকারের আমলে আন্দামান – নিকোবরে একটিও মেডিকেল কলেজ ছিল না। আমাদের সরকার পোর্ট ব্লেয়ারে মেডিকেল কলেজ গড়ে তুলেছে। 

বিগত সরকারের আমলে আন্দামান – নিকোবরে ইন্টারনেট পরিষেবা সম্পূর্ণভাবে উপগ্রহের উপর নির্ভরশীল ছিল। আমাদের সরকার সমুদ্রের তলা দিয়ে কিলোমিটারের পর কিলোমিটার সাবমেরিন অপটিক্যাল ফাইবার কেবল্ বিছিয়ে এই সমস্যার সমাধান করেছে।

বন্ধুরা,

আন্দামান – নিকোবরে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধার এই উন্নতি এখানকার পর্যটন ক্ষেত্রকেও বিকশিত হতে সাহায্য করছে। মোবাইল সংযোগ যখন বাড়ে, তখন পর্যটকের সংখ্যাও বৃদ্ধি পায়। স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর উন্নয়ন হলে পর্যটকরা আরও বেশি করে সেখানে যেতে ভরসা পান। বিমানবন্দরের সুযোগ সুবিধার উন্নতি হলে পর্যটকরা সেই জায়গায় যেতে পছন্দ করেন। রাস্তাঘাট ভালো হলে পর্যটকরা সেই এলাকায় আরও বেশি সময় কাটান। সেই জন্যই ২০১৪ সালের তুলনায় বর্তমানে আন্দামান – নিকোবরে পর্যটকের সংখ্যা দ্বিগুণ বেড়েছে। 

স্নোরকেলিং, স্কুবা ড্রাইভিং, সি-ক্রুজ –এর মতো অ্যাডভেঞ্চারের জন্য আসা পর্যটকের সংখ্যাও ক্রমশ বাড়ছে। আমার আন্দামান – নিকোবরের ভাই বোনেরা, আপনারা জেনে রাখুন, এটা সবে শুরু। ভবিষ্যতে পর্যটকের সংখ্যা আরও বহুগুণ বাড়বে। এর জেরে ওখানে কর্মসংস্থান ও স্বনিযুক্তির নতুন নতুন সুযোগ সৃষ্টি হবে। 

বন্ধুরা, 

আজকের আন্দামান – নিকোবর ‘বিরাসত ভি অউর বিকাশ ভি’ অর্থাৎ ঐতিহ্যের পাশাপাশি উন্নয়ন, এই মন্ত্রের এক জ্বলন্ত নিদর্শন হয়ে উঠেছে। আপনারা জানেন, লালকেল্লায় ত্রিবর্ণরঞ্জিত জাতীয় পতাকা ওড়ার বহু আগে আন্দামান – নিকোবরে তেরঙ্গা উত্তোলন করা হয়েছিল। কিন্তু তা সত্ত্বেও এখনও এখানে দাসত্বের বহু চিহ্ন ছড়িয়ে রয়েছে। 

নেতাজী সুভাষ আন্দামানের যে জায়গায় ত্রিবর্ণরঞ্জিত পতাকা উত্তোলন করেছিলেন, ২০১৮ সালে সেই একই জায়গায় তেরঙ্গা উত্তোলনের সৌভাগ্য আমার হয়েছিল। আমাদের সরকার নেতাজীর নামে রস আইল্যান্ডের নামকরণ করেছে। আমাদের সরকার হ্যাভলক দ্বীপের নাম রেখেছে স্বরাজ দ্বীপ, নীল দ্বীপের নাম রেখেছে শহীদ দ্বীপ। দেশের জন্য শৌর্য্য প্রদর্শন করে যাঁরা পরমবীর চক্র পেয়েছেন, তাঁদের নামে আমরা ২১টি দ্বীপের নাম রেখেছি। আজ আন্দামান – নিকোবরের এই দ্বীপগুলি সারা দেশের যুবসমাজের কাছে প্রেরণার এক নতুন উৎস হয়ে উঠেছে। 

বন্ধুরা, 

স্বাধীনতার পর ৭৫ বছর কেটে গেছে। আমি দায়িত্বের সঙ্গে বলছি, এই সময়ের মধ্যে ভারত অনেক উচ্চতায় পৌঁছতে পারতো। আমাদের ভারতীয়দের মধ্যে সম্ভাবনার কোনো অভাব কখনও ছিল না। কিন্তু দুর্নীতিগ্রস্ত ও পরিবারতান্ত্রিক দলগুলি চিরকাল দেশের সাধারণ মানুষের এই সামর্থের প্রতি অবিচার করে এসেছে। আজ দেশের মানুষ ২০২৪ সালের নির্বাচনে আমাদের সরকারকেই ফের ক্ষমতায় আনার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন। এটা বুঝতে পেরে ভারতের এই দুর্দশার জন্য যারা দায়ী, তেমন কিছু মানুষ তাদের নোংরা খেলা আবার শুরু করেছে। তাদের দিকে তাকিয়ে আমার আওয়াধি ভাষার একটি কবিতার লাইন মনে পড়ছে, যার অর্থ হল – 
“সত্য একরকম, বলছেন আরেকরকম, পণ্য একরকম, তার উপর লেবেল সাঁটা আরেকরকম”
২০২৪ সালের নির্বাচনের জন্য একজোট হওয়া ২৬টি রাজনৈতিক দলকে দেখে ঠিক এটাই মনে হয়। এটাই ওদের কাজের ধরণ। ওদের ক্ষেত্রে দুটি বিষয় নিশ্চিত। প্রথমত, ওরা জাতপাতের বিষ ছড়াবে আর দ্বিতীয়ত, সীমাহীন দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেবে। এইসব লোকেরা এখন বেঙ্গালুরুতে জড়ো হয়েছে। 

একসময় একটা ভারি জনপ্রিয় গান ছিল, আমার তার পুরোটা মনে নেই, খানিক খানিক মনে আছে – মানুষ একই মুখে নানারকম মুখোশ পরে। এদের নানারকম মুখ রয়েছে। এরা যখন ক্যামেরার সামনে একই ফ্রেমের মধ্যে আসেন, তখন এদের দেখে দেশের লোকের প্রথমেই মনে হয় – কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি। সেই জন্যই দেশের মানুষ এদের জমায়েতকে দুর্নীতির নিখুঁত সম্মেলন আখ্যা দিয়েছে। এরা একরকম বলছেন, কিন্তু সত্যটা আরেকরকম। তাঁদের পণ্য একরকম, তার গায়ে লেবেল সাঁটা আরেকরকম। তাঁদের পণ্য হল ২০ লক্ষ কোটি টাকার কেলেঙ্কারির নিশ্চয়তা। 

বন্ধুরা, 

এদের বৈঠকের আরেকটি বৈশিষ্ট্য রয়েছে। কোটি কোটি টাকার কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত কেউ জামিনে ছাড়া পেলে তাকে সম্মানের চোখে দেখা হয়। যদি গোটা পরিবারটাই জামিনে ছাড়া পেয়ে ঘুরে বেড়ায়, তখন তাদের সম্মান আরও বেড়ে যায়। কোনো দলের মন্ত্রী দুর্নীতির মামলায় জেলে গেলে তাকে অতিরিক্ত নম্বর দেওয়া হয়, বিশেষ আমন্ত্রিত হিসেবে সম্মান প্রদর্শন করা হয়। কেউ যদি কোনো একটি সম্প্রদায়কে অপমান করে আদালতের সাজা ভোগ করেন, তাহলে তার আতিথ্য বেড়ে যায়। কেউ যখন কোটি কোটি টাকার কেলেঙ্কারিতে আদালতে দোষী সাব্যস্ত হন, তখন তিনি এই বৈঠকের জন্য আরও বেশি করে যোগ্য হয়ে ওঠেন। লোকেরা তার কাছে দিশানির্দেশ চাইতে যায়। দুর্নীতিকে কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে প্রবল সখ্য ও ভালোবাসা রয়েছে। সেইজন্যই ২০ লক্ষ কোটি টাকার দুর্নীতির নিশ্চয়তা যারা দেন, তারা খুব ভালোবেসে একে অপরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করছেন। 

বন্ধুরা, 

দুর্নীতিতে যাঁরা জড়িত, তাঁরা সকলেই পরিবারতন্ত্রের কট্টর সমর্থক – পরিবার যা বলে, তা সবই ঠিক। গণতন্ত্রে বিশ্বাস করা হয় - জনগণের দ্বারা, জনগণের মাধ্যমে, জনগণের জন্য। কিন্তু যাঁরা পরিবারতন্ত্রে বিশ্বাসী তাঁদের কাছে সবকিছুই - পরিবারের দ্বারা, পরিবারের মাধ্যমে, পরিবারের জন্য। এদের মন্ত্র হল – “পরিবারই প্রথম, দেশ তুচ্ছ”। এটাই তাঁদের অনুপ্রেরণা। 

এরা দেশের গণতন্ত্র এবং সংবিধানকে পণবন্দী করে রাখেন। তাঁদের দেখলে আমার মনে হয় - ঘৃণা আছে, কেলেঙ্কারি আছে, তোষণ আছে, কুটিলতা আছে। দশকের পর দশক ধরে আমাদের দেশ এই পরিবারতান্ত্রিক ব্যবস্থার খপ্পরে ছিল। 

বন্ধুরা,

এরা দেশের গরিব মানুষের সন্তানের উন্নতি নিয়ে ভাবেন না, নিজেদের সন্তান, নিজেদের ভাই-ভাইপোই তাদের কাছে সবকিছু। আজ আমাদের দেশে স্টার্টআপ-এর সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। তরুণ প্রজন্ম, পেটেন্ট ও ট্রেডমার্কের অধিকার পাচ্ছে। তারা বিশ্বের ক্রীড়া জগতকে শাসন করছে। আমাদের মেয়েরা অসম্ভবকে সম্ভব করছে। 

এই যুবশক্তি আমাদের দেশে আগেও ছিল, কিন্তু এই পরিবারতান্ত্রিক দলগুলি কখনো যুবসমাজের শক্তিকে বিকশিত হতে দেয়নি। তাদের একটাই আদর্শ ও কর্মসূচি ছিল – পরিবারকে রক্ষা করো আর পরিবারের জন্য দুর্নীতি চালিয়ে যাও। তাদের অভিন্ন কর্মসূচি হল, নিজেদের কুশাসনকে চাপা দিতে এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ থামাতে দেশের উন্নয়নকে স্তব্ধ করা। 

আপনারা দেখবেন, এরা যেসব বড় বড় কেলেঙ্কারি ও অপরাধ করেছেন, তা নিয়ে কখনো কিছু বলেন না। কোনো এক রাজ্যে তাদের কুশাসন যখন প্রকাশ পেয়ে যায়, তখন সঙ্গে সঙ্গে অন্য রাজ্যে একই গোষ্ঠীভুক্তরা তাদের সমর্থনে এগিয়ে আসেন। কিন্তু যদি কোথাও বন্যা নিয়ে দুর্নীতি হয়, কিংবা কাউকে অপহরণ করা হয়, তখন এরা সবাই নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেন। 

আপনারা দেখেছেন, মাত্র কয়েকদিন আগেই পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচন হয়েছে। সেখানে প্রকাশ্যে হিংসা হয়েছে, বেপরোয়া রক্তপাত হয়েছে। অথচ এনিয়েও তাদের মধ্যে কেউ কোনো কথা বলছেন না। কংগ্রেস ও বাম দলগুলির কর্মীরা নিজেদের প্রাণ বাঁচাতে ব্যস্ত। অথচ এই দুটি দলের নেতারা স্বার্থপরের মতো কর্মীদের একলা ফেলে চলে এসেছেন। 

রাজস্থানে যখন মেয়েদের অত্যাচার করা হয় বা পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়, তখন তারা চোখ বন্ধ করে থাকেন। যারা পরিবর্তনের কথা বলে, তারা যখন কোটি কোটি টাকার মদ কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়ে, তখন এই পরিবারের সদস্যরাই তাদের বাঁচাবার চেষ্টা করেন। ব্যাপক দুর্নীতি তাদের চোখে পড়ে না। 

যখন দেশের কোনো এজেন্সি এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে যায়, তখন প্রতিবারই এরা বলে ওঠেন – ‘কিছুই তো হয়নি, সব কিছুই চক্রান্ত, আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে’। আপনি যদি তামিলনাড়ুর দিকে তাকান, দেখবেন দুর্নীতি ও কেলেঙ্কারির বিভিন্ন ঘটনা প্রকাশ্যে আসছে। কিন্তু এই দলগুলি ইতোমধ্যেই নিজেদের নির্দোষ বলে ঘোষণা করে দিয়েছে। ভাই ও বোনেরা! এদের থেকে সাবধানে থাকবেন।

বন্ধুরা, 

এদের এই চক্রান্তের মধ্যেই আমাদের দেশের উন্নয়নের লক্ষ্যে নিজেদের পুনর্নিয়োজিত করতে হবে। দ্বীপ এবং ভূমি আবদ্ধ ছোট দেশগুলি নজিরবিহীন উন্নতি করছে - বিশ্বে আজ এমন বহু নিদর্শন রয়েছে। এই দেশগুলি যখন উন্নয়নের পথ বেছে নিয়েছিল, তখন এদেরও বহু চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়েছিল। 

সবকিছু খুব সরল নয়, কিন্তু এই দেশগুলি দেখিয়েছে যে, উন্নয়ন যখন শুরু হয়, তখন তা সব ধরণের সমাধানের পথও খুলে দেয়। আন্দামান – নিকোবরে যে উন্নয়ন চলছে, আমি নিশ্চিত যে সমগ্র অঞ্চলেই তা আরও গতি লাভ করবে। বীর সাভারকার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নতুন টার্মিনাল ভবনের মাধ্যমে যোগাযোগ ব্যবস্থার যে উন্নতি হল, তা সবার উপকারে লাগবে বলে আমি আশাবাদী।

এই অনুষ্ঠানে এত মানুষ এসেছেন, আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ। আমি এখান থেকেই আপনাদের আনন্দ ও উৎসাহ অনুভব করতে পারছি। 

এমন উপলক্ষ্যকে কেন্দ্র করে দেশ নিশ্চয়ই নতুন বিশ্বাস ও নতুন সংকল্পের পথে দৃঢ় পদক্ষেপে এগিয়ে চলবে। আন্দামান – নিকোবরও তাতে সামিল হবে বলে আমি আশা করি। আপনাদের সবাইকে আমার শুভেচ্ছা, আন্তরিক ধন্যবাদ!

CG/SD/SKD/


(Release ID: 1940743) Visitor Counter : 165