অর্থমন্ত্রক

বিদ্যুৎ ক্ষেত্রের সংস্কারে গতি আনতে রাজ্যগুলিকে আর্থিক উৎসাহদান কেন্দ্রের

১২টি রাজ্যকে দেওয়া হল ৬৬,৪১৩ কোটি টাকা

২০২৩-২৪ আর্থিক বছরে বিদ্যুৎ ক্ষেত্রের সংস্কারের জন্য আর্থিক উৎসাহদান বাবদ ১,৪৩,৩৩২ কোটি টাকার সংস্থান

Posted On: 28 JUN 2023 12:03PM by PIB Kolkata

নতুন দিল্লি, ২৮ জুন, ২০২৩

 

বিদ্যুৎ ক্ষেত্রের সংস্কারে রাজ্যগুলিকে উৎসাহিত করতে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের ব্যয় বিভাগ অতিরিক্ত ঋণ গ্রহণের অনুমোদনের মাধ্যমে আর্থিক উৎসাহদানের ব্যবস্থা করেছে। এর লক্ষ্য হল বিদ্যুৎ ক্ষেত্রের দক্ষতা ও উৎকর্ষ বাড়াতে রাজ্যগুলিকে প্রয়োজনীয় উৎসাহ ও সহায়তা দেওয়া।

 

২০২১-২২ সালের সাধারণ বাজেটে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী এই উদ্যোগের ঘোষণা করেছিলেন। এর আওতায় রাজ্যগুলিকে ২০২১-২২ থেকে ২০২৪-২৫ – এই চার বছরের জন্য তাদের মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের (গ্রস স্টেট ডোমেস্টিক প্রোডাক্ট - জিএসডিপি) ০.৫ শতাংশ পর্যন্ত অতিরিক্ত ঋণ গ্রহণের অনুমতি দেওয়া হবে। বিদ্যুৎ ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট সংস্কারের রূপায়ণ হলে এই অতিরিক্ত অর্থ সাহায্য পাওয়া যাবে।

 

এই উদ্যোগ রাজ্য সরকারগুলিকে সংস্কার প্রক্রিয়া শুরু করতে উৎসাহিত করেছে। বিভিন্ন রাজ্য ইতোমধ্যেই কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ মন্ত্রকে তাদের গৃহীত সংস্কার ও সাফল্যের বিশদ বিবরণ জমা দিয়েছে।

 

কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ মন্ত্রকের সুপারিশের ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক ২০২১-২২ এবং ২০২২-২৩ সালে ১২টি রাজ্য সরকারকে তাদের গৃহীত সংস্কারের অনুমোদন দিয়েছে। গত দুটি আর্থিক বছরে অতিরিক্ত ঋণ গ্রহণবাবদ এই রাজ্যগুলি ৬৬,৪১৩ কোটি টাকার আর্থিক সম্পদ লাভ করেছে।

 

কোন রাজ্যকে কতটা অতিরিক্ত ঋণ গ্রহণের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে তা নীচের সারণীতে দেখানো হল –

ক্রমিক সংখ্যা

রাজ্যের নাম

২০২১-২২ ও ২০২২-২৩-এ অতিরিক্ত ঋণ গ্রহণের অনুমোদনের মোট পরিমাণ (কোটি টাকায়)

অন্ধ্রপ্রদেশ

৯,৭৫৪

অসম

৪,৩৫৯

হিমাচল প্রদেশ

২৫১

কেরল

৮,৩২৩

মণিপুর

১৮০

মেঘালয়

১৯২

ওড়িশা

২,৭২৫

রাজস্থান

১১,৩০৮

সিকিম

৩৬১

১০

তামিলনাড়ু

৭,০৫৪

১১

উত্তরপ্রদেশ

৬,৮২৩

১২

পশ্চিমবঙ্গ

১৫,২৬৩

 

মোট

৬৬,৪১৩

 

২০২৩-২৪ সালে বিদ্যুৎ ক্ষেত্রে সংস্কারের জন্য উৎসাহদান বাবদ ১,৪৩,৩৩২ কোটি টাকার সংস্থান রাখা হয়েছে। যেসব রাজ্য ২০২১-২২ এবং ২০২২-২৩ সালে সংস্কার প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে পারবে না, তারা সংস্কার প্রক্রিয়া চালু রাখলে চলতি আর্থিক বছর অর্থাৎ ২০২৩-২৪ সালেও এই উদ্যোগের সুবিধা নিতে পারবে।

 

এই উদ্যোগের প্রধান লক্ষ্য হল বিদ্যুৎ ক্ষেত্রের অর্থনৈতিক ও কার্যকর দক্ষতা বাড়ানো এবং মাশুলযুক্ত বিদ্যুতের ব্যবহার বৃদ্ধি।

 

এই আর্থিক সহায়তা পেতে হলে রাজ্যগুলিকে বাধ্যতামূলক কিছু সংস্কার প্রক্রিয়া গ্রহণ করতে হবে এবং তাতে সুনির্দিষ্ট ফলাফল অর্জন করতে হবে। যেসব ক্ষেত্রে সংস্কার প্রয়োজন সেগুলি হল –

  • রাজ্য সরকার দ্বারা রাষ্ট্রায়ত্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ সংস্থাগুলির ক্ষতির দায়বদ্ধতা চিহ্নিত করা।
  • নির্ভরশীল সংস্থাগুলির ব্যয়ভার বহন, রাষ্ট্রায়ত্ত বিদ্যুৎ সংস্থাগুলির প্রতি সরকারের দায়, অন্যদের প্রতি রাষ্ট্রায়ত্ত বিদ্যুৎ সংস্থাগুলির দায় সহ বিদ্যুৎ ক্ষেত্রের আর্থিক বিবরণ প্রকাশে স্বচ্ছতা।
  • সঠিক সময়ে আর্থিক ও বিদ্যুৎ সংক্রান্ত হিসেব প্রকাশ এবং তার সময় মতো নিরীক্ষা।
  • আইনী ও অন্যান্য বিধিনিয়ম মেনে চলা।
  • কৃষি সংযোগ সহ মোট বিদ্যুৎ ব্যবহারের কত শতাংশ মিটারযুক্ত, তা নিরূপণ।
  • গ্রাহকদের সরাসরি সুবিধা হস্তান্তরের মাধ্যমে ভর্তুকি প্রদান।
  • মোট কারিগরি ও বাণিজ্যিক ক্ষতি হ্রাসের লক্ষ্য অর্জন।
  • গড় বন্টন খরচ এবং গড় প্রাপ্ত মাশুলের মধ্যকার ফারাক হ্রাসের লক্ষ্য অর্জন।
  • শ্রেণীভিত্তিক ভর্তুকির পরিমাণ হ্রাস।
  • সরকারি দপ্তর ও স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বিদ্যুৎ বিল প্রদান নিশ্চিত করা।
  • সরকারি দপ্তরগুলিতে প্রিপেড মিটার বসানো।
  • উদ্ভাবনী প্রযুক্তির প্রয়োগ।

 

এছাড়া বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থাগুলির বেসরকারিকরণের উদ্যোগ নেওয়া হলে রাজ্যগুলি বোনাস পাবে।

 

রাজ্যগুলির কাজের মূল্যায়ন এবং অতিরিক্ত ঋণের অনুমোদনের জন্য তাদের যোগ্যতার বিচারে সমন্বায়কের দায়িত্ব পালন করছে বিদ্যুৎ মন্ত্রক।

 

 

CG/SD/SKD/



(Release ID: 1935980) Visitor Counter : 153