প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর

প্রধানমন্ত্রী আমেদাবাদে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ‘কেন্দ্র-রাজ্য বিজ্ঞান কনক্লেভের উদ্বোধন করেছেন


“একুশ শতকের ভারতে উন্নয়নের জন্য বিজ্ঞান হ’ল শক্তির মতো, যার প্রতিটি অঞ্চল ও রাজ্যের উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করার ক্ষমতা রয়েছে”

“চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের জন্য ভারতীয় বিজ্ঞানের সঙ্গে যুক্ত প্রত্যেকের ভূমিকা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ”

“নতুন ভারত জয় জওয়ান, জয় কিষাণ, জয় বিজ্ঞান ও জয় অনুসন্ধান’ মন্ত্রকে সঙ্গী করে এগিয়ে চলেছে”

“বিজ্ঞান হ’ল সমাধান, মূল্যায়ন ও উদ্ভাবনের অন্যতম ভিত্তি”

আমরা যখন আমাদের বিজ্ঞানীদের সাফল্য উদযাপন করি, তখন বিজ্ঞান আমাদের সমাজ ও সংস্কৃতির অংশ হয়ে ওঠে”

“সরকার বিজ্ঞান-ভিত্তিক উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করে চলেছে”

“আমাদের বিজ্ঞানীদের সঙ্গে সহযোগিতা করতে হবে ও বৈজ্ঞানিক কাজকর্মের জন্য অনুকূল ও আধুনিক পরিস্থিতি গড়ে তোলা সরকারের দায়িত্ব”

Posted On: 10 SEP 2022 11:57AM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২২

 

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আমেদাবাদে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ‘কেন্দ্র-রাজ্য বিজ্ঞান কনক্লেভ’ – এর উদ্বোধন করেছেন।

অনুষ্ঠানের ভাষণে প্রধানমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন, এই কনক্লেভের আয়োজন ‘সবকা প্রয়াস’ – এর এক সুস্পষ্ট উদাহরণ। তিনি বলেন, “একুশ শতকের ভারতে উন্নয়নের জন্য বিজ্ঞান হ’ল শক্তির মতো, যার প্রতিটি অঞ্চল ও রাজ্যের উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করার ক্ষমতা রয়েছে। বর্তমানে ভারত যখন চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের দিকে এগিয়ে চলেছে, তখন ভারতের  বিজ্ঞান এবং এই ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের ভূমিকা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। এই পরিস্থিতিতে জনগণের দায়িত্ব যথাযথভাবে নীতি-নির্ধারণ করা”।

প্রধানমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন, বিজ্ঞান হ’ল সমাধান, মূল্যায়ন ও উদ্ভাবনের ভিত্তি। এই উদ্যোগকে সঙ্গে নিয়েই নতুন ভারত ‘জয় জওয়ান, জয় কিষাণ, জয় বিজ্ঞান ও জয় অনুসন্ধান’ মন্ত্রে এগিয়ে চলেছে।

ইতিহাস থেকে আমরা যা শিখতে পারি, সেই প্রসঙ্গ উত্থাপন করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা যদি গত শতকের শুরুর দশকের কথা মনে করি, তা হলে আমরা দেখতে পাবো, বিশ্ব তখন মর্মান্তিক ধ্বংসলীলার সম্মুখীন ছিল। কিন্তু, বর্তমান শতকে পূর্ব বা পশ্চিম উভয় দিকেই বিজ্ঞানীরা তাঁদের আবিষ্কার নিয়ে ব্যস্ত। পশ্চিমী দেশগুলিতে আইনস্টাইন, ফেরমি, ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক, নীলস্‌ বোহর এবং তেসলা তাঁদের গবেষণার মাধ্যমে সারা বিশ্বে বিশেষ ছাপ ফেলেছেন। একই সময়ে ভারতও পিভি রমণ, আচার্য জগদীশ চন্দ্র বসু, সত্যেন্দ্রনাথ বসু, মেঘনাদ সাহা এবং এস চন্দ্রশেখরের মতো বিজ্ঞানীরা তাঁদের নতুন নতুন গবেষণা নিয়ে এগিয়ে আসেন। প্রধানমন্ত্রী পূর্ব ও পশ্চিমের দেশগুলির যে পার্থক্য রয়েছে, সেদিকে আলোকপাত করে বলেন, আমরা এতদিন আমাদের বিজ্ঞানীদের কাজকে যথাযথ মর্যাদা দিইনি। প্রধানমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন, আমরা যখন আমাদের বিজ্ঞানীদের সাফল্য উদযাপন করি, তখন সমাজ ও সংস্কৃতির অংশ হয়ে ওঠে। শ্রী মোদী সকলকে আমাদের দেশের বিজ্ঞানীদের সাফল্য উদযাপন করতে বলেন। তিনি বলেন, “দেশের এই সাফল্য উদযাপনের পর্যাপ্ত কারণ রয়েছে”। শ্রী মোদী করোনা টিকা আবিষ্কারে ভারতীয় বিজ্ঞানীদের ভূমিকার ভুয়সী প্রশংসা করেন।

প্রধানমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন, সরকার বিজ্ঞান-ভিত্তিক উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করে চলেছে। “২০১৪ সাল থেকে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে বিনিয়োগ যথেষ্ট বেড়েছে। সরকারের প্রচেষ্টার দরুন বিশ্ব উদ্ভাবন ইনডেক্সে ভারত বর্তমানে ৪৬তম স্থানে উঠে এসেছে। ২০১৫ সালে এই তালিকায় ভারতের স্থান ছিল ৮১”। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, দেশে বর্তমানে রেকর্ড সংখ্যক পেটেন্ট নথিভুক্ত হচ্ছে। স্টার্টআপ বাস্তুতন্ত্রে উল্লেখযোগ্য উন্নতির প্রসঙ্গও উত্থাপন করেন তিনি।

শ্রী মোদী বলেন, তরুণ প্রজন্মের ডিএনএ-তে বর্তমানে বিজ্ঞান প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন রয়েছে। আমাদের এই তরুণ প্রজন্মকে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করতে হবে। গবেষণা ও উদ্ভাবন ক্ষেত্রে নতুন ক্ষেত্রগুলির তালিকা তুলে ধরেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী মহাকাশ অভিযান, জাতীয় সুপার কম্প্যুটিং অভিযান, সেমিকন্ডাক্টর অভিযান, হাইড্রোজেন অভিযান এবং ড্রোন প্রযুক্তির প্রসঙ্গও তুলে ধরেন। তিনি বলেন, জাতীয় শিক্ষা নীতি মাতৃভাষায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষায় উৎসাহ দিচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, অমৃতকালে ভারতকে গবেষণা ও উদ্ভাবনের আন্তর্জাতিক কেন্দ্র হিসাবে গড়ে তুলতে সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে। তিনি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি নির্ভর গবেষণাগুলিকে স্থানীয় পর্যায়ে পৌঁছে দেওয়ার উপর জোর দেন। তিনি রাজ্যগুলিকে তাদের নিজ নিজ চাহিদা অনুযায়ী, বিজ্ঞান ও গবেষণাকে উৎসাহ দেওয়ার আহ্বান জানান। বিভিন্ন রাজ্যের উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকে উদ্ভাবন গবেষণাগারের সংখ্যা বৃদ্ধির উপরও জোর দিতে বলেন তিনি। বিজ্ঞানীদের সঙ্গে সরকারের তরফে আরও সহযোগিতা বৃদ্ধির প্রসঙ্গটিও তুলে ধরেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতীয় স্তরের বৈজ্ঞানিক প্রতিষ্ঠান ও গবেষণাগারগুলির সুফল গ্রহণ করতে হবে।  তৃণমূল স্তরে বিজ্ঞানকে পৌঁছে দেওয়ার উপরও জোর দেন তিনি।

ভাষণের শেষে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে বিজ্ঞানের উন্নয়নে নতুন দিশা দেখাবে এই ‘কেন্দ্র-রাজ্য বিজ্ঞান কনক্লেভ’ – এমনটাই তাঁর আশা। আগামী ২৫ বছরে নতুন ভারতের পরিচয় গড়ে তোলার জন্য লক্ষ্য স্থির করে কাজ করতে হবে। দেশ গঠনে রাজ্যগুলিকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি এই কনক্লেভে অংশগ্রহণকারীদের দেশের জন্য কাজ করার কথাও ব লেন।  

গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল, কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী ডাঃ জিতেন্দ্র সিং অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

প্রেক্ষাপট

দেশে উদ্ভাবন ও উদ্যোগকে ত্বরান্বিত করতে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী অবিরাম চেষ্টা চালাচ্ছেন। তারই ফলস্বরূপ এই প্রথমবার দেশে এই ধরনের কেন্দ্র-রাজ্য বিজ্ঞান কনক্লেভের আয়োজন করা হ’ল। আমেদাবাসের সায়েন্স সিটি-তে দু’দিনের এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।


PG/PM/SB



(Release ID: 1858593) Visitor Counter : 188