নির্বাচনকমিশন

ভোটার তালিকায় নাম তুলতে তরুণদের আরও সুবিধা

Posted On: 28 JUL 2022 12:08PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ২৮ জুলাই, ২০২২

১৭ ঊর্ধ্ব বয়স হলেই এবার থেকে ভোটার তালিকায় নাম তোলার জন্য আবেদন করা যাবে। প্রতি বছর পয়লা জানুয়ারিতে ১৮ বছর পূর্ণ হওয়া পর্যন্ত আর অপেক্ষা করতে হবে না। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার শ্রী রাজীব কুমার এবং নির্বাচন কমিশনার শ্রী অনুপ চন্দ্র পান্ডের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন সব রাজ্যের সিইও, ইআরও, এইআরও-দের নির্দেশ দিয়েছে, এমন প্রযুক্তিগত সমাধানের সাহায্য নেওয়ার, যাতে তরুণ-তরুণীরা অগ্রিম আবেদন করতে পারে শুধুমাত্র পয়লা জানুয়ারিই নয়, পয়লা এপ্রিল, পয়লা জুলাই, পয়লা অক্টোবরেও। এবার থেকে ভোটার তালিকা প্রতি ত্রৈমাসিকে আপডেট করা হবে এবং যোগ্য তরুণ-তরুণীরা পরবর্তী ত্রৈমাসিকে যখন তাদের বয়স ১৮ পূর্ণ হবে, তখন ভোটার তালিকায় নথিভুক্ত হতে পারবেন। নথিভুক্তির পর তাদের দেওয়া হবে এপিক বা সচিত্র পরিচয়পত্র। ২০২৩-এর চলতি ভোটার তালিকা পরিমার্জনের সময় ২০২৩-এর পয়লা এপ্রিল, পয়লা জুলাই, পয়লা অক্টোবর যাদের বয়স ১৮ পূর্ণ হচ্ছে, তারা খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশের সময় থেকে অগ্রিম আবেদন করতে পারবে।

নির্বাচন কমিশন ১৯৪৯ সালের জনপ্রতিনিধি আইনের ১৪বি ধারার আইনী সংশোধন অনুযায়ী এবং ১৯৬০ সালের ভোটার নথিভুক্তি বিধির পরিমার্জনের পর বিধানসভা ও লোকসভা কেন্দ্রের ভোটার তালিকা প্রস্তুত ও পরিমার্জনের জন্য প্রয়োজনীয় পরিবর্তন প্রক্রিয়া শুরু করেছে। মনে রাখতে হবে যে, নির্বাচন কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী, আইন ও বিচার মন্ত্রক সম্প্রতি জনপ্রতিনিধি আইনের সংশোধন করেছে তরুণদের জন্য পয়লা জানুয়ারি, পয়লা এপ্রিল, পয়লা জুলাই, পয়লা অক্টোবর - এই চারটি তারিখ যোগ্যতা পূরণের সুবিধা দেওয়ার জন্য। এর আগে যা শুধুমাত্র ছিল পয়লা জানুয়ারি।

চলতি রীতি অনুযায়ী, পয়লা জানুয়ারি-কে ধরে ভোটার তালিকা পরিমার্জন সাধারণত শুরু করা হয় প্রতি বছরের শেষের দিকে, যাতে পরবর্তী বছরের জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা যায়। এর অর্থ হ’ল – যে সমস্ত তরুণ-তরুণীর বয়স পয়লা জানুয়ারির পর ১৮ পূর্ণ হচ্ছে, তাদের অপেক্ষা করতে হ’ত পরবর্তী বছরের পরিমার্জনের সময় পর্যন্ত। এর ফলে, তারা এর মধ্যবর্তী কোনও নির্বাচনে অংশ নিতে পারতো না।

কমিশন নথিভুক্তির ফর্ম আগের তুলনায় অনেক সহজ করেছে। নতুন ফর্ম পাওয়া যাবে ২০২২ –এর পয়লা অগাস্ট থেকে। ২০২২-এর পয়লা অগাস্টের আগে প্রাপ্ত পুরনো ফর্মের সবধরনের আবেদন আগের মতোই বিবেচনা করা হবে। এর জন্য নতুন ফর্মে আবেদন করতে হবে না।

যে সমস্ত রাজ্যে নির্বাচন আছে, সেগুলি ব্যতীত অন্য সব রাজ্যকে পয়লা জানুয়ারি, ২০২৩-কে ধরে বার্ষিক পরিমার্জনের নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। পরিমার্জনের আগে যে সমস্ত কাজকর্ম তা করতে হবে কমিশনের চলতি ২০২৬’র ভোটার তালিকা ম্যানুয়াল এবং অন্যান্য বিধিনির্দেশ এবং ২০২০-র ভোটার কেন্দ্র সংক্রান্ত ম্যানুয়াল অনুযায়ী। পরিমার্জন এবং পরিমার্জনপূর্ব কাজকর্ম এমনভাবেই করতে হবে, যাতে প্রতি বছর ২৫ জানুয়ারি জাতীয় ভোটার দিবসের অনেক আগেই ভোটার তালিকা প্রকাশ করা যায় এবং নতুন ভোটার, বিশেষ করে ১৮-১৯ বছর বয়সী তরুণ ভোটদাতাদের মধ্যে এপিক বিতরণ করা যায় জাতীয় ভোটার দিবসে আনুষ্ঠানিকভাবে।

পরিমার্জনপূর্ব কাজকর্মের মধ্যে আছে, ভোটদান কেন্দ্রের পুনর্বিন্যাস; জনসংখ্যাগত ত্রুটি সংশোধন এবং পয়লা অক্টোবর, ২০২২-কে ধরে খসড়া তালিকার সংযোজন প্রস্তুতি। কমিশন সর্বতো প্রয়াস নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে, যাতে ভোটার তালিকায় জনসংখ্যাগত ও ছবিগত ত্রুটি এবং এপিক সংক্রান্ত ভুলভ্রান্তি ১০০ শতাংশই সংশোধন করা যায় চলতি পরিমার্জনপূর্ব কাজকর্মের সময়।

নভেম্বরে শুরু হবে পরিমার্জন প্রক্রিয়া। এর মধ্যে থাকবে খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশের পর প্রাপ্ত দাবি ও অভিযোগের নিষ্পত্তি। বিশেষ পরিমার্জনকালীন এক মাস সময়ে দাবি ও অভিযোগ জানানো যাবে। ২০২৩ সালের ৫ জানুয়ারি চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশিত হবে।

বার্ষিক পরিমার্জনের অঙ্গ হিসাবে যে সমস্ত ভোট কেন্দ্রে ১ হাজার ৫০০-রও বেশি ভোটার, সেগুলির পুনর্বিন্যাস করা হবে প্রদত্ত সূচী অনুযায়ী এবং ২০২০-র ভোট কেন্দ্র সংক্রান্ত ম্যানুয়ালের নির্দেশ মোতাবেক, খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশের আগে।

ভোটদাতাদের আধারের বিস্তারিত বিবরণ জানার জন্য নতুন ফর্মে ভোটার তালিকার সঙ্গে আধার নম্বর যুক্ত করার সংস্থান রাখা হয়েছে। নতুন ৬বি ফর্ম চালু করা হচ্ছে বর্তমান ভোটদাতাদের আধার নম্বর সংগ্রহের জন্য। তবে, কেউ যদি আধার নম্বর না জানান বা জানাতে না পারেন, তা হলেও তাঁর নাম অন্তর্ভুক্তির করার আবেদন বাতিল হবে না বা ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ যাবে না।

আরও বলা হয়েছে, আবেদনকারীর আধার নম্বর অন্তর্ভুক্ত করার সময় আধার আইন, ২০১৬’র ৩৭ নম্বর ধারার সংস্থান মেনে চলতে হবে। কোনও অবস্থাতেই এটি প্রকাশ করা হবে না। যদি কোনও ভোটদাতার তথ্য সাধারণে প্রকাশ করতে হয়, তা হলে আধারের বিবরণটি বাদ দিতে হবে বা ঢেকে দিতে হবে।

বর্তমান ভোটদাতাদের আধার নম্বর সংগ্রহের কাজ সময় বেঁধে শুরু হতে চলেছে চলতি বছরের পয়লা অগাস্ট থেকে। তবে, আধার নম্বর জানানো সম্পূর্ণ ঐচ্ছিক। এই কর্মসূচির উদ্দেশ্য, ভোটদাতাদের পরিচয় এবং ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তির সত্যতা যাচাই।

ভোটার তালিকায় একই নাম একাধিকবার যাতে না থাকে, তারও বিস্তারিত প্রক্রিয়া জানানো হয়েছে।

ভোটার তালিকা সঠিকভাবে তৈরি করার উদ্দেশ্যে নির্বাচন কমিশন বুথ লেভেল অফিসারদের দ্বারা ক্ষেত্র সমীক্ষার উপর জোর দিয়েছে। সুপার ভাইজার, ইআরও এবং এইআরও-র মতো বিভিন্ন স্তরে কাজের মাধ্যমে নির্ভরযোগ্যতা বৃদ্ধি করার কার্যকরি ব্যবস্থা আছে কমিশনের। দাবি ও অভিযোগের ক্ষেত্রে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে ইআরও-দের কাজকর্ম খতিয়ে দেখেন ডিইও, রোল অবজার্ভার এবং সিইও-রা। এর পাশাপাশি, নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকদেরও নিয়োগ করা হয় নজরদারি করার জন্য।

রাজনৈতিক দলগুলিকে আরও বেশি করে সংযুক্ত করার লক্ষ্যে কমিশন স্বীকৃত রাজনৈতিক দলগুলির বুথ লেভেল এজেন্টদের একসঙ্গে একাধিক আবেদনপত্র জমা দেওয়ার অনুমতি দিয়েছে কমিশন। তবে, একবারে বা একদিনে বিএলও-র কাছে ১০টির বেশি ফর্ম জমা দিতে পারবেন না বিএলএ-রা। যদি কোনও বিএলএ পুরো সময়ের মধ্যে ৩০টিরও বেশি আবেদনপত্র বা ফর্ম জমা দেন, তা হলে ইআরও বা এইআরও-রা নিজেরাই সেগুলি যাচাই করবেন। এছাড়াও, বিএলএ-দের ফর্মের তালিকার সঙ্গে জানাতে হবে যে তাঁরা নিজেরাই আবেদনপত্রগুলির খুঁটিনাটি পরীক্ষা করেছেন এবং সেগুলি ঠিক আছে বলেই তিনি মনে করেন।

PG/AP/SB



(Release ID: 1845810) Visitor Counter : 1707