শিল্পওবাণিজ্যমন্ত্রক

রাজ্য / কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির ২০২০ সালের ব্যবসায়িক সংস্কার অ্যাকশন প্ল্যান-এর ফলাফল ঘোষিত

Posted On: 30 JUN 2022 1:27PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ৩০ জুন, ২০২২

কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী শ্রীমতী নির্মলা সীতারমন আজ নতুন দিল্লিতে পঞ্চম সংস্করণের ব্যবসায়িক সংস্কার অ্যাকশন প্ল্যান (বিআরএপি), ২০২০-র অধীনে রাজ্য / কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির ফলাফলের তালিকা প্রকাশ করেছেন। অনুষ্ঠানে শিল্প ও বাণিজ্য, ক্রেতা সুরক্ষা, খাদ্য ও গণবন্টন এবং বস্ত্রমন্ত্রী শ্রী পীযূষ গোয়েল, ডিপিআইআইটি-র সচিব শ্রী অনুরাগ জৈন এবং বিভিন্ন রাজ্য / কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন।

এই তালিকায় অন্ধ্রপ্রদেশ, গুজরাট, হরিয়ানা, কর্ণাটক, পাঞ্জাব, তামিলনাড়ু এবং তেলেঙ্গানা সর্বোচ্চ মান অর্জনকারী বা টপ অ্যাচিভার্স-এর স্বীকৃতি পেয়েছে। হিমাচল প্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, ওড়িশা, উত্তরাখণ্ড এবং উত্তরপ্রদেশ এসেছে অ্যাচিভার্স-এর তালিকায়। আসাম, ছত্তিশগড়, গোয়া, ঝাড়খণ্ড, কেরালা, রাজস্থান এবং পশ্চিমবঙ্গের জুটেছে অ্যাসপায়ারার্স বা উচ্চাকাঙ্ক্ষীর তকমা। আন্দামান-নিকোবর, বিহার, চণ্ডীগড়, দমন এবং দিউ, দাদরা ও নগর হাভেলি, দিল্লি, জম্মু-কাশ্মীর, মণিপুর, মেঘালয়, নাগাল্যান্ড, পুদুচেরী এবং ত্রিপুরাকে স্থান দেওয়া হয়েছে এমার্জিং বিজনেস ইকো-সিস্টেম-এর তালিকায়।

অনুষ্ঠানে শ্রীমতী সীতারমন বলেন, ১৯৯১-এর তুলনায় বর্তমানে, সংস্কারের চরিত্র পরিবর্তিত হয়ে গেছে। ১৯৯১-এর সংস্কার আমাদের বাস্তবায়িত করতে বলা হয়েছিল। অন্যদিকে, বর্তমানে এরকম কোনও বাধ্যবাধকতা নেই। এখন লক্ষ্য হচ্ছে জীবনযাত্রায় আরও উন্নতি কি করে ঘটানো যায়। বিজনেস রিফর্মস অ্যাকশন প্ল্যান-এ পরিমাপনের ক্ষেত্রে এতগুলি বছর ধরে যে পরিবর্তন আনা হয়েছে অর্থমন্ত্রী তার প্রশংসা করেন।

শ্রী পীযূষ গোয়েল অনুষ্ঠানে বলেন, এই পরিমাপন বর্তমানে ১০০ শতাংশ ফিডব্যাক নির্ভর। এর উদ্দেশ্য হচ্ছে ব্যবসা করার ক্ষেত্রে বিভিন্ন রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল পরস্পরের সঙ্গে অভিজ্ঞতার আদান-প্রদান করে নিজ নিজ রাজ্যের ব্যবসায়িক আবহাওয়ার উন্নতি ঘটাবে। এর ফলে, বিশ্বজুড়ে বিনিয়োগের জন্য ভারত সর্বাধিক আকর্ষণীয় দেশ হিসেবে পরিগণিত হবে।

শ্রী গোয়েল বলেন, “২০১৪-য় প্রধানমন্ত্রীর ‘ইজ অফ ডুয়িং বিজনেস’-এর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিল একদিকে যেমন আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে আমাদের সম্মান বৃদ্ধি, তেমনই এই পরিবর্তনের পথে তিনি রাজ্য / কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল সহ সবাইকে সামিল করতে চেয়েছিলেন যাতে পরিবর্তনটি জনমানসে প্রতিভাত হয় এবং আমাদের জীবনযাত্রা সহজ করে তোলে।”

তিনি আরও বলেন, “২০১৪-য় শুরু হওয়া এই পদ্ধতি আস্তে আস্তে ফলদান করছে। ‘ইজ অফ ডুয়িং বিজনেস’ কয়েকটি অঞ্চল, শহর বা নির্দিষ্ট কিছু ব্যবসার ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধ নেই। সারা দেশে প্রতিযোগিতা এবং সহযোগিতার এই মানসিকতা ছড়িয়ে পড়ছে।”

সচিব শ্রী অনুরাগ জৈন জানান, বিভিন্ন রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির মধ্যে তফাত এতই সামান্য যে তাদের প্রথম-দ্বিতীয় স্থানাধিকারী হিসেবে ঘোষণা না করে বিভিন্ন ভাগে স্থান দেওয়াই যুক্তিযুক্ত।

বিআরএপি, ২০২০-তে ১৫টি ব্যবসায় ৩০১টি সংস্কারের কথা বলা আছে। এর মধ্যে আছে – সুলভ তথ্য, ‘এক জানালা’ ব্যবস্থা, শ্রমিক, পরিবেশ, সম্পত্তি ও জমি হস্তান্তর ব্যবস্থা ইত্যাদি। এই পদ্ধতিতে ১১৮টি নতুন সংস্কার সংযোজিত হয়েছে। ট্রেড লাইসেন্স, স্বাস্থ্য, সিনেমা হল, আতিথেয়তা, অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা, টেলিকম, সিনেমার শ্যুটিং এবং পর্যটনের মতো নতুন নয়টি ক্ষেত্রে ৭২টি অ্যাকশন পয়েন্ট চালু করা হয়েছে।

বিআরএপি বাস্তবায়নের মাধ্যমে রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির মধ্যে এক স্বাস্থ্যকর প্রতিযোগিতা তৈরি করে দেশের ব্যবসায়িক বাতাবরণের উন্নতি ও বিনিয়োগকারীদের বিশ্বাস বাড়ানোই হল মূল লক্ষ্য। পূর্ববর্তী বছরগুলির নিয়মের পরিবর্তন ঘটিয়ে এ বছরে রাজ্য / কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে চারটি মূল ভাগে (ক্যাটেগরি) বিভক্ত করা হয়েছিল। এর উদ্দেশ্য, রাজ্য / কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে প্রথম-দ্বিতীয় স্থানাধিকারী হিসেবে না দেখিয়ে যাতে তারা পরস্পরের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিতে পারে তার সুবিধা করে দেওয়া। এর ফলে, কোনও একটি রাজ্যের গৃহীত সুব্যবস্থার সুফল দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়তে পারবে।

ডিপিআইআইটি ২০১৪ থেকে বিআরএপি-র অধীনে বিভিন্ন সংস্কারের ক্ষেত্রে রাজ্য / কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির ভূমিকা এবং ফলাফলের সমীক্ষা করছে। এখনও পর্যন্ত ২০১৫, ২০১৬, ২০১৭-১৮ এবং ২০১৯-এর রাজ্য / কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির ফলাফল ঘোষিত হয়েছে।


PG/SC/DM



(Release ID: 1838243) Visitor Counter : 382