প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর

অর্থ মন্ত্রক এবং কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রকের আইকনিক সপ্তাহ উদযাপনের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী


প্রধানমন্ত্রী সরকারি কর্মসূচিগুলির জন্য ঋণ সংযুক্ত জাতীয় স্তরে জন সমর্থ পোর্টালের সূচনা করেছেন

“এটি আমাদের স্বাধীনতা যোদ্ধাদের স্বপ্নকে নতুন শক্তিতে উদ্বুদ্ধ করার এবং নতুন অঙ্গীকারে নিজেদেরকে উৎসর্গ করার মুহুর্ত”

“ক্রমবর্ধমান সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ দেশের উন্নয়নে গতি নিয়ে এসেছে এবং দরিদ্রদের ক্ষমতায়ণ করেছে”

“বঞ্চনার মানসিকতা থেকে বেরিয়ে এসে বড় স্বপ্ন দেখার বিষয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে নতুন আত্মবিশ্বাস প্রত্যক্ষ করছি আমরা”

“একবিংশ শতাব্দীর ভারত সাধারণ জনকেন্দ্রিক শাসন ব্যবস্থার দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে এগিয়ে চলেছে”

“যখন আমরা সরলীকরণ, সংস্কার এবং স্বাচ্ছন্দ্যের শক্তি নিয়ে অগ্রসর হই, তখন আমরা সুযোগ সুবিধার একটি নতুন মাত্রা অর্জন করি”

“বিশ্ব একটি সক্ষম, গেম চেঞ্জিং, সৃজনশীল, উদ্ভাবনী, ইকো ব্যবস্থাপনা হিসেবে আশা ও আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে আমাদের দিকে তাকিয়ে রয়েছে”

“আমরা সাধারণ ভারতীয়দের জ্ঞানের ওপর আস্থা রেখেছি। আমরা সাধারণ মানুষকে বিকাশ সাধনে বুদ্ধিমান অংশগ্রহণকারী হিসেবে উৎসাহিত করেছি”

Posted On: 06 JUN 2022 12:09PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লী,  ৬  জুন, ২০২২

 

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ অর্থ ও কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রকের আইকনিক সপ্তাহ উদযাপনের উদ্বোধন করেছেন। এই সপ্তাহটি ৬-১১’ই জুন পর্যন্ত ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসব’ (একেএএম)-এর অঙ্গ হিসেবে পালন করা হচ্ছে। তিনি সরকারি প্রকল্পগুলির ঋণ সংযুক্তিকরণের জন্য একটি জাতীয় ‘জন সমর্থ পোর্টাল’এর সূচনা করেছেন। এদিন তিনি একটি ডিজিটাল প্রদর্শনীরও উদ্বোধন করেন। গত ৮ বছরে এই দুই মন্ত্রকের যাত্রাপথের চিত্র তুলে ধরা হবে সেখানে। প্রধানমন্ত্রী ১টাকা,২টাকা,৫টাকা,১০টাকা,২০ টাকার সিরিজের একটি বিশেষ মুদ্রা প্রকাশ করেছেন। এই মুদ্রাগুলিতে একেএএম-এর লোগোর মূল ভাবনা থাকবে এবং দৃষ্টিহীন দিব্যাঙ্গ ব্যক্তিরা সহজেই এটি চিনতে পারবেন।

সমাবেশের ভাষণে প্রধানমন্ত্রী জানান, অনেকেই স্বাধীনতার জন্য দীর্ঘ সংগ্রামে অংশ নিয়েছেন, এই আন্দোলনে ভিন্ন মাত্রা যোগ করেছেন এবং এর শক্তি বাড়িয়েছেন। কেউ সত্যাগ্রহের পথ অবলম্বন করেছেন, কেউ অস্ত্রের পথ, কেউ বিশ্বাস ও আধ্যাত্মিকতার পথ বেছে নিয়েছেন, কেউ স্বাধীনতার শিখাকে প্রজ্বলিত রাখতে বুদ্ধিদীপ্তভাবে সাহায্য করেছেন, আজ সেই দিন যখন আমরা তাদের সকলের প্রাপ্তি স্বীকার করি।

আজ যখন আমরা স্বাধীনতার ৭৫ বছর উদযাপন করছি তখন প্রধানমন্ত্রী দৃঢ়ভাবে জানান, প্রতিটি দেশবাসীর কর্তব্য নিজ নিজ ক্ষেত্রে দেশের উন্নয়নে বিশেষ অবদান রাখা। তিনি বলেন, এটি হল আমাদের স্বাধীনতা যোদ্ধাদের স্বপ্নকে নতুন শক্তিতে উদ্বুদ্ধ এবং নতুন অঙ্গীকারে নিজেদেরকে উৎসর্গ করার মুহুর্ত।

প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন যে, ভারত গত ৮ বছরে বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজ করছে। এই সময় দেশে যে সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি পেয়েছে, তা দেশের উন্নয়নে গতি যুগিয়েছে এবং দেশের দরিদ্রতম মানুষের ক্ষমতায়ণ হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বচ্ছ ভারত অভিযান দরিদ্রদের মর্যাদার সঙ্গে বাঁচার সুযোগ করে দিয়েছে। পাকা ঘর, বিদ্যুৎ, রান্নার গ্যাস, জল এবং বিনামূল্যে চিকিৎসার মতো সুবিধা দরিদ্রদের সম্মান বৃদ্ধি করেছে এবং উন্নত সুযোগ-সুবিধা বাড়িয়েছে। করোনার সময় বিনামূল্যে রেশন প্রকল্প ৮০ কোটিরও বেশি দেশবাসীকে ক্ষুধার ভয় থেকে মুক্তি দিয়েছে। তিনি বলেন, “আমরা সাধারণ মানুষের মধ্যে বঞ্চনার মানসিকতা থেকে বেরিয়ে এসে বড় স্বপ্ন দেখার বিষয়টি প্রত্যক্ষ করিয়েছি।”

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশ অতীতে সরকার কেন্দ্রিক শাসন ব্যবস্থার খেসারত বহন করেছে। কিন্তু আজ একবিংশ শতাব্দীর ভারত সাধারণ মানুষ কেন্দ্রিক শাসন পদ্ধতিতে এগিয়ে চলেছে। তিনি বলেন, আগে প্রকল্পগুলির সুবিধা পাওয়ার জন্য সরকারের কাছে যাওয়া সাধারণ মানুষের দায়িত্ব ছিল। এখন প্রশাসনিক ব্যবস্থাকে সাধারণ মানুষের কাছে নিয়ে যাওয়া এবং বিভিন্ন মন্ত্রক ও ওয়েবসাইটের ঘুরপাক থেকে তাদের মুক্ত করার ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। সরকারি প্রকল্পগুলির জন্য ঋণ সংযুক্তিকরণের জাতীয় জন সমর্থ পোর্টাল চালু করা এক্ষেত্রে একটি বড় পদক্ষেপ। এই পোর্টাল ছাত্র, কৃষক, ব্যবসায়ী, এমএসএমই উদ্যোক্তাদের জীবনকে উন্নত করবে এবং তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়নে সাহায্য করবে।

শ্রী মোদী বলেন, যেকোন সংস্কারের লক্ষ্য স্পষ্ট হলে এবং তা বাস্তবায়নে আন্তরিকতা থাকলে ভালো ফল নিশ্চিত করা যায়। প্রধানমন্ত্রী জানান, গত ৮ বছরে দেশে যে সংস্কার সাধন হয়েছে তার কেন্দ্রবিন্দুতে আমাদের তরুণদের রাখা হয়েছে। এটি তাদের সম্ভাবনাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করবে। তিনি বলেন, “আমাদের যুবারা সহজেই তাদের পছন্দের সংস্থা খুলতে পারেন, তারা সহজেই তাদের উদ্যোগ শুরু করতে পারে এবং তারা সহজেই তা চালাতে পারে। তাই ১ হাজার ৫০০টিরও বেশি আইন বাতিল করা হয়েছে এবং কোম্পানী আইনের বেশ কিছু বিধিকে অপরাধমুক্ত করা হয়েছে, যাতে ভারতীয় সংস্থাগুলি শুধুই এগিয়ে নয়,বরং সাফল্যের নতুন শিখরে পৌঁছাতে পারে তা নিশ্চিত করা হয়েছে।”

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সংস্কার সাধনের ক্ষেত্রে সরকার সরলীকরণের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে। এখন কেন্দ্র ও রাজ্যের একাধিক করের জায়গায় জিএসটি চালু করা হয়েছে। এই সরলীকরণের ফলও দেখেছে দেশ। এখন প্রতি মাসে জিএসটি সংগ্রহ ১ লক্ষ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। তিনি জানান, জিইএম পোর্টাল সরকারি ক্রেতাদের জন্য নতুন সহজ পদ্ধতি নিয়ে এসেছে এবং সরকারের কাছে বিক্রি করার প্রক্রিয়া সহজ করেছে। পোর্টালের জন্য কেনাকাটার পরিমাণ ১ লক্ষ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। তিনি আরও বলেন, এই পোর্টাল ব্যবসার ক্ষেত্রকে সহজ করে তুলেছে। বিনিয়োগের সুযোগ সম্পর্কে তথ্যের জন্য ইনভেস্ট ইন্ডিয়া পোর্টাল, আনুষ্ঠানিকভাবে ব্যবসা চালু করার জন্য এক জানলা ছাড়পত্র পোর্টাল সম্পর্কেও কথা তুলে ধরেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই ধারাবাহিকতার অঙ্গ হিসেবে এ ধরণের জনসমর্থ পোর্টাল দেশের যুব ও স্টার্টআপ ইকো ব্যবস্থাপনাকে সাহায্য করবে।’

শ্রী মোদী জানান, “আজ যখন আমরা সংস্কার, সরলীকরণ এবং স্বাচ্ছন্দ্যের শক্তি নিয়ে অগ্রসর হই তখন আমরা সুবিধার একটি নতুন ক্ষেত্র অর্জন করি।  আমরা গত ৮ বছরে দেখিয়েছি যে,ভারত যদি সম্মিলিতভাবে কিছু করার সিদ্ধান্ত নেয় তবে বিশ্বের জন্য একটি নতুন আশা জেগে ওঠে। আজ বিশ্ব আমাদেরকে শুধু একটি বৃহৎ উপভোক্তা বাজার হিসেবে নয় বরং একটি সক্ষম, গেম চেঞ্জিং, সৃজনশীল, উদ্ভাবনী ইকো ব্যবস্থাপনা হিসেবে আশা করে এবং আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে দেখে।”

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের একটি বড় অংশ আশা করে যে ভারত সমস্যার সমাধান করবে। এটি সম্ভব হয়েছে, কারণ গত ৮ বছরে আমরা সাধারণ ভারতীয়ের জ্ঞানের ওপর আস্থা রেখেছি। তিনি বলেন, “আমরা সাধারণ মানুষকে বিকাশ সাধনে বুদ্ধিমান অংশগ্রহণকারী হিসেবে উৎসাহিত করেছি। আমরা সর্বদা দেখেছি যে,সুশাসনের জন্য যে প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয় তাতে কেবল সাধারণ মানুষ অংশগ্রহণই করেন না, বরং প্রশংসাও করেন।” প্রধানমন্ত্রী ইউপিআই-এর ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনের কথা উল্লেখ করেছেন।


CG/SS/NS



(Release ID: 1831616) Visitor Counter : 161