প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর
azadi ka amrit mahotsav

কানপুরের পরাউন্খ গ্রামে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ

Posted On: 03 JUN 2022 5:17PM by PIB Kolkata

নতুন দিল্লি, ৩ জুন, ২০২২

 

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী, রাষ্ট্রপতি শ্রী রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গে কানপুরের পরাউন্খ গ্রামে পাথরি মাতা মন্দিরে যান। এর পর তাঁরা ড. বি আর আম্বেদকর ভবন পরিদর্শন করেন। তার পর যান মিলন কেন্দ্রে। এটি রাষ্ট্রপতির পৈতৃক ভবন যেটি জনগণের ব্যবহারের জন্য দান করা হয়েছে এবং কমিউনিটি সেন্টার বা মিলন কেন্দ্রে পরিণত করা হয়েছে। দুই মাননীয় অতিথি পারাউন্খ গ্রামে একটি জনসভায় অংশ নেন। রাষ্ট্রপতি পত্নী শ্রীমতী সবিতা কোবিন্দ, উত্তর প্রদেশের রাজ্যপাল শ্রীমতী আনন্দি বেন প্যাটেল, উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী যোগী আদিত্যনাথ, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা, রাজ্যের মন্ত্রীরা, জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন অন্যদের সঙ্গে।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি এই গ্রামে আসতে পেরে খুশি। এই গ্রাম রাষ্ট্রপতির শৈশব এবং দেশের সর্বোচ্চ পদে আসীন হওয়ার সাক্ষী। তিনি এই সফরকালে রাষ্ট্রপতির স্মৃতিচারণার উল্লেখ করেন। রাষ্ট্রপতির জীবনের সফরের শক্তির প্রশংসা করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারতের আদর্শ গ্রামের শক্তি পরাউন্খ বলে তিনি মনে করেন। তিনি বলেন, যে এই গ্রাম এক ভারত, শ্রেষ্ঠ ভারতের সুন্দর উদাহরণ। পাথরি মাতা মন্দির ভক্তি এবং দেশভক্তি, দুটিরই প্রতিরূপ। রাষ্ট্রপতির বাবার ভাবনা এবং ধারণাকে তিনি শ্রদ্ধা করেন। তিনি তীর্থযাত্রীর মতো সারা দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে পাথর এবং অন্যান্য পবিত্র জিনিস যোগাড় করেছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন যে, পরাউন্খ গ্রামের মাটি থেকে রাষ্ট্রপতি যে “সংস্কার” পেয়েছেন, তার আজ সাক্ষী থাকছে বিশ্ব। রাষ্ট্রপতি যিনি সংবিধান এবং সংস্কারের প্রতিনিধি আজ তিনি প্রধানমন্ত্রীকে চমকে দিয়েছেন, প্রোটোকল ভেঙে হেলিপ্যাডে তাঁকে অভ্যর্থনা জানিয়ে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাষ্ট্রপতি তাঁকে বলেছেন, যে তিনি অতিথিকে বরণ করার সংস্কার পালন করছেন। রাষ্ট্রপতির সৌজন্যের জন্য প্রধানমন্ত্রী ধন্যবাদ জানান।

শ্রী মোদী উল্লেখ করেন যে, রাষ্ট্রপতি তাঁর পৈতৃক বাসভবনটি মিলন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার জন্য দান করেছেন। এখন সেটি পরামর্শ এবং প্রশিক্ষণ কেন্দ্র হিসেবে মহিলাদের সশক্তিকরণে নতুন শক্তি যোগাচ্ছে। একই রকম ভাবে ড. বি আর আম্বেদকর ভবন, বাবা সাহেব আম্বেদকরের আদর্শ প্রচার করছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন যে, পরাউন্খ গ্রামের মানুষের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আরো বেড়ে উঠবে এবং দেশের নিখুঁত গ্রামের আদর্শ হয়ে উঠবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে একজনের গ্রাম সে যেখানেই যাক না কেন তাকে  ত্যাগ করে না। প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে মহাত্মা গান্ধী ভারতের স্বাধীনতাকে দেখেছিলেন ভারতের গ্রামগুলির সঙ্গে সংযোগ করে। ভারতের গ্রাম মানে যেখানে থাকবে আধ্যাত্মিকতা, যেখানে থাকবে আদর্শ, ভারতের গ্রাম মানে যেখানে থাকবে প্রথা, আবার থাকবে প্রগতি। ভারতের গ্রাম মানে যেখানে থাকবে সংস্কৃতি, আবার থাকবে সমবায়। যেখানে ভালোবাসা থাকে, সেখানেই থাকে সাম্য। অমৃতকালের এই সময়ে এই সব গ্রামগুলিকে শক্তিশালী করা প্রয়োজন। এরা সামনে এগিয়ে চলেছে গ্রাম, কৃষক, দরিদ্র এবং পঞ্চায়েতী গণতন্ত্রের জন্য কাজ করার শপথ নিয়ে। তিনি বলেন, “ আমাদের গ্রামগুলি অত্যন্ত সম্ভাবনাময়, আছে শ্রমশক্তি এবং সর্বোচ্চ উৎসর্গ। সেই জন্য ভারতের গ্রামগুলির ক্ষমতায়ন আমাদের সরকারের অন্যতম শীর্ষ অগ্রাধিকার।”

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে গ্রামের কোটি কোটি মানুষ জনধন যোজনা, পিএমএওয়াই, উজ্জ্বলা এবং হর ঘর জলের মতো কর্মসূচির মাধ্যমে উপকৃত। তিনি বলেন, “দেশ অভূতপূর্ণ গতিতে দরিদ্র মানুষের কল্যাণে কাজ করে চলেছে।” এখন দেশ চেষ্টা করছে সব কর্মসূচির ১০০ শতাংশ সুবিধা ১০০ শতাংশ মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে। কর্মসূচিগুলির সর্বোচ্চ সদ্ব্যবহার বর্তমানে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারের তালিকায়। এতে কোনো বৈষম্য ছাড়াই সকলের ক্ষমতায়ন হবে।

ভারতীয় গণতন্ত্রের শক্তির উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মঞ্চে উপস্থিত রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, উত্তর প্রদেশের রাজ্যপাল এবং মুখ্যমন্ত্রী সকলেই এসেছেন গ্রাম অথবা ছোট শহর থেকে। আমাদের সংগ্রাম এবং দারিদ্র ও গ্রামজীবনের সঙ্গে প্রত্যক্ষ যোগাযোগ আমাদের সংস্কারকে শক্তিশালী করেছে। এটাই আমাদের গণতন্ত্রের শক্তি। তিনি বলেন, “ভারতে গ্রামের দরিদ্রতম মানুষও রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, রাজ্যপাল, মুখ্যমন্ত্রী ও উপমুখ্যমন্ত্রী হতে পারেন।”

গণতন্ত্রের শক্তি প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী পরিবারতান্ত্রিক রাজনীতির বিরুদ্ধে সতর্ক করে দেন। তিনি বলেন যে, পরিবারতান্ত্রিক রাজনীতি শুধুমাত্র রাজনীতিতেই নয়, সব ক্ষেত্রে প্রতিভাকে চেপে রাখে। নতুন প্রতিভাকে উঠতে দেয় না। তিনি বলেন, “ কোনো রাজনৈতিক দল বা কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে আমার কোনো ব্যক্তিগত বিদ্বেষ নেই। আমি চাই দেশে শক্তিশালী বিরোধী দল থাকুক এবং গণতন্ত্রের প্রতি উৎসর্গীকৃত রাজনৈতিক দল থাকুক। আমি চাই পরিবারতন্ত্রের ফাঁসে থাকা দলগুলি যেন নিজেদের ঐ ব্যাধি থেকে মুক্ত করে এবং রোগমুক্ত হয়, তখনই একমাত্র ভারতের গণতন্ত্র শক্তিশালী হবে এবং দেশের যুব সমাজ রাজনীতিতে যোগ দেবার সর্বোচ্চ সুযোগ পাবে।”

প্রধানমন্ত্রী গ্রামবাসীদের অনুরোধ করেন, গ্রামে অমৃত সরোবর নির্মাণে সাহায্য করার জন্য এবং প্রাকৃতিক চাষ করার জন্য। সব শেষে তিনি বলেন, আত্মনির্ভর ভারত গঠনে সবকা প্রয়াস একমাত্র পথ এবং আত্মনির্ভর ভারত করতে আত্মনির্ভর গ্রাম জরুরী।

ভারতের মাননীয় রাষ্ট্রপতিও জনসভায় ভাষণ দেন।

 

CG/AP/SFS


(Release ID: 1831146)