প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর

প্রধানমন্ত্রী শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরজির ২১১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে পশ্চিমবঙ্গের শ্রীধাম ঠাকুরনগরের ঠাকুরবাড়িতে অনুষ্ঠিত ২০২২ সালের মতুয়া ধর্ম মহামেলায় বক্তব্য রেখেছেন


“যখন আমরা দেখি সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে আমাদের বোন ও মেয়েরা ছেলেদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দেশ গড়ার কাজে যুক্ত হয়েছেন, তখন মনে হয় আমরা সঠিক পথেই শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরজির মতো মহান ব্যক্তিত্বদের যথাযথভাবে সম্মান জানাচ্ছি”

“যখন সরকার সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাসের ভাবনার উপর সরকারী প্রকল্পগুলিকে মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়, যখন সব কা প্রয়াস রাষ্ট্রের উন্নয়নের শক্তিতে পরিণত হয়, তখন আমরা একটি সর্বজনীন সমাজ গড়ার কাজে এগিয়ে যাই।”

“আমাদের সংবিধান আমাদের অনেক অধিকার দিয়েছে। যখন আমরা সৎ ভাবে আমাদের কর্তব্য পালন করি, তখনই এই অধিকারগুলি রক্ষিত হয়”

“কেউ যদি কোথাও হেনস্থার শিকার হন, তাহলে অবশ্যই আপনি তার প্রতিবাদ করুন। এটি সমাজ এবং রাষ্ট্রের প্রতি আমাদের কর্তব্য”

“ যদি কেউ রাজনৈতিক বিরোধের কারণে কাউকে হিংসার মাধ্যমে ভয় দেখায় ও হুমকি দেয়, তাহলে তা অন্যের অধিকার হননের সামিল। তাই সমাজের কোথাও হিংসা, অরাজক মানসিকতা নজরে আসলে তার বিরোধিতা করা আমাদের কর্তব্য”

Posted On: 29 MAR 2022 10:01PM by PIB Kolkata
নতুন দিল্লি, ২৯শে মার্চ, ২০২২
 
প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরজির ২১১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে পশ্চিমবঙ্গের  শ্রীধাম ঠাকুরনগরের ঠাকুরবাড়িতে অনুষ্ঠিত ২০২২ সালের মতুয়া ধর্ম মহামেলায় বক্তব্য রেখেছেন। 
 
প্রধানমন্ত্রী এই প্রসঙ্গে ২০২১ এর মার্চ মাসে বাংলাদেশের ওরাকান্দি ঠাকুরবাড়িতে তাঁর শ্রদ্ধা প্রদর্শন এবং ২০১৯ এর ফেব্রুয়ারীতে ঠাকুরনগর ভ্রমন করার সৌভাগ্যের কথা উল্লেখ করেন। 
 
প্রধানমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন, মতুয়া ধর্ম মহামেলা উপলক্ষ্যে মতুয়াদের ঐতিহ্যকে শ্রদ্ধা জানানোর সুযোগ পাওয়া যায়। এই ঐতিহ্যের ভিত শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরজি গড়ে ছিলেন এবং তাকে গুরুচাঁদ ঠাকুরজি ও বড়মা লালন করেছেন। প্রধানমন্ত্রী এই মহান ঐতিহ্যকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য তাঁর মন্ত্রী পরিষদের সহকর্মী শ্রী শান্তনু ঠাকুরকে কৃতিত্ব দেন।
     
শ্রী মোদী বলেন, মহামেলা এক ভারত, শ্রেষ্ঠ ভারতের নিদর্শন। তিনি আরো বলেন, আমাদের সভ্যতা ও সংস্কৃতি তার প্রবাহমান বৈশিষ্টের জন্য মহান, যার নিজেকে ক্ষমতাশালী করে তোলার স্বাভাবিক এক প্রবৃত্তি রয়েছে। মতুয়া সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দের সমাজ সেবার বিষয়টি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নতুন ভারত আজ স্বচ্ছতা, স্বাস্থ্য পরিষেবা এবং দেশের মেয়েদের আত্মপ্রত্যয়ের শক্তি যোগাচ্ছে। “যখন আমরা দেখি সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে আমাদের বোন ও মেয়েরা ছেলেদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দেশ গড়ার কাজে যুক্ত হয়েছেন, তখন মনে হয় আমরা সঠিক পথেই শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরজির মতো মহান ব্যক্তিত্বদের যথাযথভাবে সম্মান জানাচ্ছি।” 
 
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “যখন সরকার সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাসের ভাবনার উপর সরকারী প্রকল্পগুলিকে মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়, যখন সব কা প্রয়াস রাষ্ট্রের উন্নয়নের শক্তিতে পরিণত হয়, তখন আমরা একটি সর্বজনীন সমাজ গড়ার কাজে এগিয়ে যাই।” শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরজির আধ্যাত্মিক ভালোবাসার সঙ্গে কর্তব্য পালনের উপরও গুরুত্ব দিতেন। প্রধানমন্ত্রীর এই প্রসঙ্গটি উল্লেখ করে নাগরিকদের দায়িত্ব পালনের গুরুত্বের কথা উল্লেখ করেন। “আমাদের সংবিধান আমাদের অনেক অধিকার দিয়েছে। যখন আমরা সৎ ভাবে আমাদের কর্তব্য পালন করি, তখনই এই অধিকারগুলি রক্ষিত হয়।”
 
শ্রী মোদী সমাজের প্রতিটি স্তর থেকে দুর্নীতি দূর করার জন্য সচেতনতা গড়ে তুলতে মতুয়া সম্প্রদায়ের উদ্দেশ্যে আহ্বান জানান। তিনি বলেন, “কেউ যদি কোথাও হেনস্থার শিকার হন, তাহলে অবশ্যই আপনি তার প্রতিবাদ করুন। এটি সমাজ এবং রাষ্ট্রের প্রতি আমাদের কর্তব্য।” তিনি আরো বলেন, “যদি কেউ রাজনৈতিক বিরোধের কারণে কাউকে হিংসার মাধ্যমে ভয় ও হুমকি দেয়, তাহলে তা অন্যের অধিকার হননের সামিল। তাই সমাজের কোথাও  হিংসা, অরাজক মানসিকতা নজরে আসলে তার বিরোধিতা করা আমাদের কর্তব্য।” 
 
প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে স্বচ্ছতা, স্থানীয় পণ্যের জন্য সোচ্চার হওয়া অর্থাৎ ভোকাল ফর লোকাল এবং দেশ প্রথম এই মন্ত্রের কথা আবারও উল্লেখ করেন।  
 
CG/CB/SFS


(Release ID: 1811220) Visitor Counter : 147