স্বাস্থ্যওপরিবারকল্যাণমন্ত্রক

আগামীকাল জাতীয় টিকাকরণ দিবসে, সব রাজ্য/ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ১২-১৪ বছর বয়সীদের কোভিড-১৯ টিকাকরণ শুরু হচ্ছে


১২-১৪ বছর বয়সীরা সরকারি কোভিড টিকাকরণ কেন্দ্রে বিনামূল্যে কোভিডের টিকা পাবেন

কেবলমাত্র ১২ বছরের বেশি বয়সীরাই যাতে এই টিকা পান রাজ্য/ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে তা সুনিশ্চিত করতে হবে

পর্যাপ্ত সংখ্যক টিকা মজুত রয়েছে; ষাটোর্ধ্বরাও যাতে টিকা পান সেজন্য সক্রিয়ভাবে উদ্যোগ নিতে হবে

Posted On: 15 MAR 2022 1:28PM by PIB Kolkata

নতুন দিল্লি, ১৫ মার্চ, ২০২২

 

আগামীকাল (১৬ই মার্চ, ২০২২) জাতীয় টিকাকরণ দিবসে সব সরকারি টিকাকেন্দ্রে ১২-১৪ বছর বয়সীদের বিনামূল্যে কোভিড-১৯ টিকাকরণ শুরু হবে। এদের সবাইকে হায়দ্রাবাদের বায়োলজিক্যাল ই. লিমিটেডের তৈরি কোভিড-১৯ টিকা দেওয়া হবে। সরাসরি টিকাদান কেন্দ্রে গিয়ে অথবা অনলাইন রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে (১৬ই মার্চ, ২০২২ সকাল ৯টা থেকে) টিকার জন্য নাম নথিভুক্ত করা যাবে। সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সিং-এর মাধ্যমে বৈঠকের পর কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব শ্রী রাজেশ ভূষণ আজ এই খবর জানিয়েছেন। 

কেন্দ্রীয় সরকার ১২-১৩ এবং ১৩-১৪ বছর বয়সীদের (যারা ২০০৮, ২০০৯ এবং ২০১০ সালে জন্মগ্রহণ করেছে অর্থাৎ যাদের বয়স ১২ বছরের বেশি) ১৬ই মার্চ, ২০২২ থেকে টিকা দেওয়ার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তা অনুসরণ করেই আজকের এই ঘোষণা। এছাড়া ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তিরাও আগামীকাল থেকে টিকার সতর্কতামূলক ডোজ নিতে পারবেন। এজন্য কোমর্বিডিটি বা জটিল রোগে ভোগার যে শর্ত আগে ছিল, তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয় ডোজের টিকা নেওয়ার ৯ মাস (৩৬ সপ্তাহ) পরে সতর্কতামূলক ডোজ নেওয়া যাবে। আগের দুটি ডোজে যে টিকা দেওয়া হয়েছিল, সতর্কতামূলক ডোজেও তাই দেওয়া হবে। এসংক্রান্ত বিশদ নির্দেশিকা কেন্দ্র ও রাজ্যশাসিত অঞ্চলগুলিতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। 

১২ বছরের বেশি বয়সীরাই যাতে এই দফায় টিকা পায় তা সুনিশ্চিত করতে রাজ্যগুলিকে বলা হয়েছে। ১২ বছরের কম বয়সী কেউ নাম নথিভুক্ত করলেও তাকে টিকা দেওয়া হবে না। ১২-১৪ বছর বয়সীদের টিকার ক্ষেত্রে কোনো মিশ্রণ বা ককটেল থেরাপি চলবে না। এব্যাপারে টিকাদানকারি দলগুলিকে বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া দরকার। ১২-১৪ বছর বয়সীদের টিকাদানের জন্য আলাদা টিকাকরণ কেন্দ্র এবং আলাদা সময় নির্দিষ্ট করতে রাজ্যগুলিকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। 

১২-১৪ বছর বয়সীরা (যারা ২০০৮, ২০০৯ এবং ২০১০ সালে জন্মগ্রহণ করেছে) সরকারি টিকাদান কেন্দ্রে করবিভ্যাক্স টিকা পাবে। দুটি ডোজের মধ্যে ২৮ দিনের ব্যবধান থাকবে। ১৪-১৮ বছর বয়সীরা সরকারি এবং বেসরকারি টিকাদান কেন্দ্র থেকে কোভ্যাক্সিন পাবে। 

রাজ্য/ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে জানানো হয়েছে যে, বর্তমানে কোউইন প্ল্যাটফর্মে জন্ম সালের ভিত্তিতে টিকাগ্রহণকারীর বয়স নির্ধারণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। কিন্তু টিকাগ্রহণকারীর বয়স যাচাইয়ের দায়িত্ব (১২ বছর) আপাতত কয়েকদিন টিকাদানকারীকেই নিতে হবে, কারণ কো-উইন পোর্টালে জন্ম তারিখ নথিভুক্ত করার ব্যবস্থা এখনও সম্পূর্ণ হয়নি। একবার এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে কো-উইন পোর্টাল নিজে থেকেই বয়স যাচাই করতে পারবে। যারা নির্দিষ্ট বয়সসীমায় পৌঁছয়নি তাদের নাম নথিভুক্তই করা যাবে না। 

দেখা গেছে, যাদের আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি, তাঁদের টিকাকরণের হার বেশ মন্থর। সেইজন্য ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তিরা যাতে কোভিড টিকার দুটি ডোজই নেন, তা সুনিশ্চিত করতে রাজ্যগুলিকে বিশেষ উদ্যোগ নিতে বলা হয়েছে। এই কাজ কেমন চলছে তা দেখতে জেলা ও মহকুমা স্তরে নিয়মিত পর্যালোচনা বৈঠক করা দরকার। 

সেই সঙ্গে কোভিড টিকার অপচয় যাতে না হয়, রাজ্যগুলিকে তা সুনিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। আগেকার নির্দেশিকা অনুযায়ী টিকার যেসব ডোজের মেয়াদ ফুরিয়ে আসছে রাজ্যগুলি সেইসব ডোজ বদলে নিতে পারে। অপচয় রুখতে এক জেলার সঙ্গে অন্য জেলার টিকা বদলাবদলির স্বাধীনতাও রাজ্যগুলিকে দেওয়া হয়েছে। 

আজকের ভার্চুয়াল বৈঠকে স্বাস্থ্য সচিব এবং জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের অধিকর্তাদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের অতিরিক্ত সচিব ডাঃ মনোহর আগ্নানি ও অন্য পদস্থ আধিকারিকরা এবং রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন। 

 

CG/SD/SKD/



(Release ID: 1806189) Visitor Counter : 242