অর্থমন্ত্রক
azadi ka amrit mahotsav

মহামারী পরিস্থিতিতে সামাজিক পরিষেবা ক্ষেত্র গুলিতে সরকারের ব্যয় উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে

Posted On: 31 JAN 2022 3:04PM by PIB Kolkata

নতুন দিল্লি, ৩১ জানুয়ারি, ২০২২

 

২০২১-২২ সালের অর্থনৈতিক সমীক্ষা অনুসারে, মহামারী চলাকালীন সামাজিক পরিষেবাগুলিতে সরকারী ব্যয় উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।  কেন্দ্রীয় অর্থ ও কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রী শ্রীমতী নির্মলা সীতারামন আজ সংসদে ২০২১-২২  সালের আর্থিক সমীক্ষা পেশ করেছেন। এই সমীক্ষায় দেখা গেছে ২০২০-২১ সালের তুলনায়  ২০২১-২২ সালে সামাজিক পরিষেবা ক্ষেত্র ব্যয় বরাদ্দের পরিমাণ ৯.৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

সামাজিক ক্ষেত্রে ব্যয়:

অর্থনৈতিক সমীক্ষায় বলা হয়েছে যে কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারগুলিকে ২০২১-২২ সালে (বাজেট অনুমান) সামাজিক পরিষেবা ক্ষেত্রে ব্যয় করার জন্য মোট ৭১.৬১ লক্ষ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল।  আগের বছরের তুলনায় সংশোধিত ব্যয় বাজেটের পরিমাণ বেড়ে ৫৪ হাজার কোটি  টাকা করা হয়েছে। গত পাঁচ বছরে মোট সরকারি ব্যয়ের মধ্যে সামাজিক পরিষেবার অংশ ছিল প্রায় ২৫ শতাংশ, কিন্ত ২০২১-২২ সালে এটি দাঁড়িয়েছে ২৬.৬ শতাংশে।

অর্থনৈতিক সমীক্ষায় আরও বলা হয়েছে যে স্বাস্থ্য খাতে ব্যয় ২০১৯-২০ সালে ২.৭৩ লক্ষ কোটি থেকে  বেড়ে ২০২১-২২ সালে (বাজেট অনুমান) ৪.৭২ লক্ষ কোটি টাকা হয়েছে।  সমীক্ষায় বলা হয়েছে, একই সময়ে শিক্ষা খাতে ২০ শতাংশ বৃদ্ধি হয়েছে।

শিক্ষা:

প্রাক-মহামারী বছরের ২০১৯-২০ এর একটি মূল্যায়ন থেকে পাওয়া তথ্য থেকে দেখা যায় যে প্রাথমিক এবং উচ্চ প্রাথমিক বাদে ২০১৮-১৯ এবং ২০১৯-২০ সালের মধ্যে স্বীকৃত স্কুল এবং কলেজের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে।  জল জীবন মিশনের অধীনে স্কুলে পানীয় জল এবং স্যানিটেশন, স্বচ্ছ ভারত মিশন এবং সমগ্র শিক্ষা যোজনার অধীনে অগ্রাধিকার ভিত্তিক স্কুলগুলিতে প্রয়োজনীয় সংস্থান এবং সম্পদ তৈরি করা করেছে।  জল জীবন মিশনের আওতায় ২০২২ সালের ১৯ জানুয়ারি পর্যন্ত ৮,৩৯,৪৪৩টি স্কুলে কলের জল সরবরাহ করা হয়েছে৷  

অর্থনৈতিক সমীক্ষায় বলা হয়েছে যে ২০১৯-২০ সালে প্রাথমিক, উচ্চ প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক স্তরে বিদ্যালয়  ছুটের হার কমেছে।  এমনকি অর্থনৈতিক সমীক্ষায় এও বলা হয়েছে যে, গ্রস এনরোলমেন্ট রেশিও (জিইআর) এবং লিঙ্গ সমতাও ২০১৯-২০ সালে উন্নত হয়েছে।  ২০১৯-২০ সালে, ২৬.৪৫কোটি শিশু স্কুলে ভর্তি হয়েছে।   উচ্চ শিক্ষায় সামগ্রিক তালিকাভুক্তির অনুপাত ২০১৯-২০ সালে ২৭.১ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, যা ২০১৮-১৯ সালের ২৬.৩ শতাংশের চেয়ে সামান্য বেশি।  অর্থনৈতিক সমীক্ষায় বলা হয়েছে যে সরকার উচ্চ শিক্ষার ইকো-সিস্টেমে বিপ্লব ঘটাতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে জাতীয় শিক্ষানবিশ প্রশিক্ষণ প্রকল্প, একাডেমিক ব্যাঙ্ক অফ ক্রেডিট, ই-পিজি পাঠশালা, উন্নয়ন ভারত অভিযান এবং দুর্বল শ্রেণীর উন্নয়ন অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।

অর্থনৈতিক সমীক্ষা বলা হয়েছে যে মহামারী শিক্ষা ব্যবস্থার উপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলেছে। ভারতের স্কুল ও কলেজের লক্ষ লক্ষ শিক্ষার্থীদের প্রভাবিত করেছে।  সমীক্ষায় বলা হয়েছে যে বারবার লকডাউনের কারণে শিক্ষা ক্ষেত্রে প্রভাব পড়েছে। এএসইআর-এর প্রতিবেদন আরও দেখানো  হয়েছে যে মহামারী চলাকালীন সমস্ত বয়সের শিশুরা বেসরকারি স্কুল থেকে গ্রামীণ এলাকায় সরকারি স্কুলে চলে গেছে।  এই পরিবর্তনের সম্ভাব্য কারণগুলির মধ্যে রয়েছে স্বল্প খরচের বেসরকারি স্কুল বন্ধ, অভিভাবকদের আর্থিক অসুবিধা, সরকারি স্কুলে বিনামূল্যের সুবিধা এবং গ্রামে ফিরে আসা পরিবার ইত্যাদি। ২০২০ সালের জুলাই মাসে, সরকার পরিযায়ী শ্রমিকদের সন্তানদের মূল স্রোতে নিয়ে আসার জন্য একটি নির্দেশিকা জারি করে, তাদের পরিচয় ব্যতীত অন্য কোনও নথি দাবি না করে সহজেই স্কুলে ভর্তির অনুমতি দেওয়া হয়।
যদিও স্মার্টফোনের ব্যবহার ২০১৮ সালে ৩৬.৫ শতাংশের তুলনায় ২০২১ সালে ৬৭.৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

অর্থনৈতিক সমীক্ষায় বলা হয়েছে যে মহামারী পরিস্থিতিতে  বেসরকারি ক্ষেত্রে পড়ার বিষয়ে উদ্বেগ মোকাবিলা করা এবং শিক্ষা ব্যবস্থার উপর মহামারীর বিরূপ প্রভাব প্রশমিত করার জন্য সরকার পদক্ষেপ নিয়েছে।  সরকার ঘরে ঘরে পাঠ্য বই বিতরণ করেছে, টিভি এবং রেডিওর মাধ্যমে অনলাইন শিক্ষাদানের ব্যবস্থা ও ডিজিটাল সামগ্রী, ট্রাইয়ের ইন্টারেক্টিভ চ্যাটবটের মাধ্যমে কার্যক্রম, ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ এডুকেশন রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং ভিত্তিক শিক্ষাদানের জন্য বিকল্প একাডেমিক ক্যালেন্ডার জারি করা হয়েছে।  পর্যালোচনায় বলা হয়েছে যে কোভিড মহামারী চলাকালীন শিক্ষার্থীদের জন্য অন্যান্য বড় উদ্যোগগুলির মধ্যে পিএম ই-বিদ্যা, ন্যাশনাল ডিজিটাল এডুকেশন আর্কিটেকচার, নিপুন ভারত মিশন ইত্যাদি চালু করা হয়েছে।

 

CG/SS/SKD/


(Release ID: 1794092) Visitor Counter : 475