অর্থমন্ত্রক

অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০২১-২২


অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০২১-২২ : উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য

২০২১-২২এ প্রকৃতপক্ষে বৃদ্ধির আনুমানিক হার ৯.২ শতাংশ

২০২২-২৩এ জিডিপি-র আনুমানিক বিকাশ হার ৮.০-৮.৫ শতাংশ

মহামারী : সরবরাহ ক্ষেত্রে সরকারের সংস্কারমূলক পদক্ষেপ দীর্ঘস্থায়ী ভিত্তিতে সম্প্রসারণের লক্ষ্যে অর্থ ব্যবস্থাকে প্রস্তুত করে তুলছে

২০২১এ এপ্রিল-নভেম্বর সময়ে মূলধনী খাতে ব্যয় বেড়ে প্রায় ১৩.৫ শতাংশ (বার্ষিক ভিত্তিতে)

২০২১এর ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিদেশী মুদ্রা সঞ্চয়ের পরিমাণ ৬৩৩.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার

২০২২-২৩এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ম্যাক্রো অর্থ ব্যবস্থার সূচক অনুযায়ী অর্থনীতি ভালো জায়গায় রয়েছে

রাজস্ব খাতে ব্যাপক বৃদ্ধি

সামাজিক ক্ষেত্র : ২০২১-২২এ (বাজেট হিসেব অনুযায়ী) জিডিপি-র আনুপাতিক হারে সামাজিক পরিষেবার ক্ষেত্রে ব্যয় বেড়ে ৮.৬ শতাংশ ; ২০১৪-১৫তে ব্যয়ের পরিমাণ ৬.২ শতাংশ

অর্থ ব্যবস্থার পুনরুদ্ধারের সঙ্গে সঙ্গে কর্মসংস্থানের সূচকগুলি ২০২০-২১এর শেষ ত্রৈমাসিকে প্রাক-মহামারী পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে

পণ্যসামগ্রির রপ্তানী এবং আমদানিতে পুনরুজ্জীবন, প্রাক কোভিড সময়ে পরিসংখ্যান ছাপিয়েছে

২০২১এর ৩১ ডিসেম্বর পর্যন

Posted On: 31 JAN 2022 3:14PM by PIB Kolkata
নয়াদিল্লী,  ৩১ জানুয়ারি, ২০২২
 
কেন্দ্রীয় অর্থ তথা কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রী শ্রীমতী নির্মলা সীতারমন আজ সংসদে ২০২১-২২এর অর্থনৈতিক সমীক্ষা পেশ করেছেন। অর্থনৈতিক সমীক্ষার উল্লেখযোগ্য দিক নিম্নরূপ :
 
অর্থ ব্যবস্থার পরিস্থিতি :
Ø প্রথম আগাম হিসেব অনুযায়ী ২০২১-২২এ প্রকৃতপক্ষে ভারতীয় অর্থ ব্যবস্থায় আনুমানিক ৯.২ শতাংশ হারে অগ্রগতি হবে। ২০২০-২১এ অগ্রগতি ৭.৩ শতাংশ হ্রাস পেয়েছিল।
Ø ২০২২-২৩এ প্রকৃত অর্থে জিডিপি-র আনুমানিক বিকাশ হার ৮-৮.৫ শতাংশ
Ø অর্থ ব্যবস্থার পুনরুদ্ধারের সঙ্গে সঙ্গে আগামী বছর বেসরকারী ক্ষেত্রে বিনিয়োগ বাড়বে, যা অর্থ ব্যবস্থার পুনরুজ্জীবনে সহায়ক হবে
  • ২০২২-২৩এ বিশ্বব্যাঙ্ক এবং এশীয় উন্নয়ন ব্যাঙ্কের সর্বশেষ পূর্বাভাস অনুযায়ী জিডিপি-তে প্রকৃত বৃদ্ধির হার যথাক্রমে ৮.৭ শতাংশ এবং ৭.৫ শতাংশ
  • আর্ন্তজাতিক অর্থ ভান্ডারের সর্বশেষ বিশ্ব আর্থিক পূর্বাভাস অনুযায়ী ২০২১-২২ এবং ২০২২-২৩এ ভারতের জিডিপি-তে প্রকৃত বৃদ্ধির হার দাঁড়াবে ৯ শতাংশ। ২০২৩-২৪এ এই হার হবে ৭.১ শতাংশ, যা ভারতকে বিশ্বের দ্রুততম বিকাশশীল অর্থ ব্যবস্থায় পরিণত করবে।
  • ২০২১-২২এ মাথাপিছু খরচে হার বেড়ে দাঁড়াবে আনুমানিক ৭ শতাংশ। গ্রস ফিক্সড ক্যাপিটাল ফরমেশন বেড়ে দাঁড়াবে ১৫ শতাংশ। রপ্তানী হার বেড়ে হবে ১৬.৫ শতাংশ এবং আমদানি বেড়ে ২৯.৪ শতাংশ হবে।
  • ম্যাক্রো অর্থ ব্যবস্থার সূচক অনুযায়ী ২০২২-২৩এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ভারতীয় অর্থ ব্যবস্থা যথেষ্ট ভালো জায়গায় রয়েছে।
  • ২০২০-২১এ দেশব্যাপি লকডাউনের সময় যে প্রভাব পড়েছিল তার তুলনায় দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রভাব অর্থনীতিতে কম পড়েছে। অবশ্য স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে গভীর প্রভাব পড়েছে।
  • সমাজের দূর্বলতর শ্রেণী ও ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় এবং মূলধনী খাতে লক্ষ্যণীয় বৃদ্ধির জন্য ভারত সরকারের কার্যকর পদক্ষেপ দীর্ঘস্থায়ীভাবে অর্থ ব্যবস্থার অগ্রগতি এবং সরবরাহ শৃঙ্খলে সংস্কার মূলক উদ্যোগগুলিতে প্রতিফলিত হয়েছে।
আর্থিক অগ্রগতি :
 
Ø ২০২১এর এপ্রিল-নভেম্বর সময়ে কেন্দ্রীয় সরকারের রাজস্ব খাতে সংগ্রহ ২০২১-২২এর বাজেট হিসেবের প্রত্যাশিত ৯.৬ শতাংশ বৃদ্ধির তুলনায় বেড়ে ৬৭.২ শতাংশ হয়েছে।
Ø ২০২১এর এপ্রিল-নভেম্বর সময়ে কর রাজস্ব খাতে অগ্রগতি ৫০ শতাংশের বেশি। ২০১৯-২০র প্রাক মহামারীর তুলনায় লক্ষ্যণীয় অগ্রগতি।
Ø পরিকাঠামো নির্ভর ক্ষেত্রগুলিতে অগ্রাধিকার দিয়ে ২০২১এর এপ্রিল নভেম্বরে মূলধনী খাতে ব্যয়ে অগ্রগতির হার ১৩.৫ শতাংশ। ২০২১এর এপ্রিল-নভেম্বর সময়ে রাজস্ব সংগ্রহ খাতে ধারাবাহিক বৃদ্ধি এবং ধার্য ব্যয় নির্বাহ নীতির ফলে রাজস্ব ঘাটতি বাজেট হিসেবের ৪৬.২ শতাংশেই সীমিত রয়েছে।
Ø কোভিড-১৯ খাতে ঋণ সংগ্রহের পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ায় কেন্দ্রীয় সরকারের ঋণের পরিমাণ ২০১৯-২০তে জিডিপি-র ৪৯.১ শতাংশ থেকে বেড়ে ২০২০-২১এ জিডিপি-র ৫৯.৩ শতাংশ হয়েছে। তবে অর্থ ব্যবস্থার পুনরুদ্ধারের সঙ্গে সঙ্গে ঋণ সংগ্রহের প্রবণতা হ্রাস পাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
 
আন্তর্জাতিক ক্ষেত্র :
 
Ø ভারতের পণ্যসামগ্রী রপ্তানী ও আমদানিতে স্বাভাবিক ছন্দ ফিরে এসেছে। এরফলে চলতি অর্থবর্ষে এই দুটি ক্ষেত্রে অগ্রগতি প্রাক কোভিড সময়ের বৃ্দ্ধি ছাপিয়ে গেছে।
Ø পর্যটন থেকে রাজস্ব আয় নিম্নমুখী হলেও পরিষেবা ক্ষেত্রে মাসুল ও সংগ্রহ উভয়ই লক্ষ্যণীয় হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।
Ø ২০২১-২২এর প্রথমার্ধে মোট মূলধন প্রবাহের পরিমাণ ছিল ৬৫.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। বিদেশী লগ্নিতে বৃদ্ধি, বাণিজ্যিক কর্মকান্ডে ঋণ সংগ্রহ ব্যবস্থায় পুনরুজ্জীবন, ব্যাঙ্কগুলির মূলধন যথেষ্ট মজবুত এবং বিশেষ ক্ষেত্রে অতিরিক্ত আর্থিক সংস্থানের ফলেই এই অগ্রগতি।
Ø ২০২১এর সেপ্টেম্বর অন্তক ভারতের বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ বেড়ে ৫৯৩.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার যা গত অর্থবর্ষে ছিল ৫৫৬.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
Ø ২০২১-২২এর প্রথমার্ধে বৈদেশিক মুদ্রা তহবিল ভান্ডারের পরিমাণ ৬০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে ২০২১এর ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে দাঁড়িয়েছে ৬৩৩.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
Ø ২০২১এর নভেম্বর অন্তক চীন, জাপান ও সুইজারল্যান্ডের পর বিদেশী মুদ্রা তহবিল ভান্ডারের নিরিখে ভারত চতুর্থ বৃহত্তম।
 
আর্থিক ব্যবস্থাপনা তথা মধ্যস্থতা :
 
Ø ২০২১-২২এ রেপো রেট ৪ শতাংশেই রয়েছে
Ø নগদের যোগান বাড়াতে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক একাধিক কার্যকর ব্যবস্থা নিয়েছে
Ø বার্ষিক ভিত্তিতে ২০২১এর এপ্রিলে ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ সহায়তার পরিমাণ ৫.৩ শতাংশ থেকে ধীরে ধীরে বেড়ে ২০২১এর ডিসেম্বরে ৯.২ শতাংশ হয়েছে।
Ø স্বীকৃত বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলির গ্রস অগ্রিম অনুৎপাদক অনুপাত ২০১৭-১৮র শেষে ১১.২ শতাংশ থেকে কমে ২০২১এর সেপ্টেম্বরে ৬.৯ শতাংশ।
Ø আলোচ্য সময়ে এ ধরণের ব্যাঙ্কগুলির নেট অনুৎপাদক সম্পদ ৬ শতাংশ থেকে কমে ২.২ শতাংশ।
Ø স্বীকৃত বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলির মূলধন ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদের অনুপাত ২০১৩-১৪র ১৩ শতাংশ থেকে বেড়ে ২০২১এর সেপ্টেম্বর নাগাদ ১৬.৫৪ শতাংশ হয়েছে।
Ø ২০২১এর এপ্রিল-নভেম্বর সময়ে ৭৫টি ইনিসিয়াল পাবলিক অফারিং বা আইপিও থেকে তহবিল সংগ্রহের পরিমাণ ৮৯ হাজার ৬৬ কোটি টাকা যা গত দশকের যেকোন বছরের তুলনায় বেশি।
Ø ২০২১এর ১৮ অক্টোবর সেনসেক্সের সূচকাঙ্ক ৬১ হাজার ৭৬৬ এবং নিফটির সূচকাঙ্ক ১৮ হাজার ৪৭৭এ পৌঁছায়।
 
মূল্য ও মুদ্রাস্ফীতি :
 
Ø গড় সিপিআই-সংযুক্ত মুদ্রাস্ফীতির হার ২০২১-২২এর এপ্রিল-ডিসেম্বর সময়ে দাঁড়িয়েছে ৫.২ শতাংশ। ২০২০-২১এ আলোচ্য সময়ে এই হার ছিল ৬.৬ শতাংশ।
Ø খাদ্যপণ্যে মুদ্রাস্ফীতি হ্রাস পাওয়ায় খুচরো পণ্যে মুদ্রাস্ফীতি কমেছে।
Ø ২০২১-২২এর এপ্রিল-ডিসেম্বর সময়ে খাদ্যপণ্যের গড় মুদ্রাস্ফীতির হার কমে ২.৯ শতাংশ। গত বছরের ওই একই সময়ে এই হার ছিল ৯.১ শতাংশ।
Ø সরবরাহ শৃঙ্খলে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের দরুণ চলতি বছরে অধিকাংশ অত্যাবশ্যকীয় খাদ্য সামগ্রীর মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছিল।
Ø বিভিন্ন ধরণের ডালশস্য ও ভোজ্যতেলের মূল্যবৃদ্ধি রুখতে একাধিক কার্যকর পদক্ষেপ।
Ø অধিকাংশ রাজ্য মূল্য সংযুক্ত কর সংগ্রহে ছাড় দেওয়ায় এবং কেন্দ্রীয় উৎপাদন শুল্ক হ্রাস করায় পেট্রোল ও ডিজেলের দাম কমেছে।
Ø ২০২১-২২এর এপ্রিল-ডিসেম্বর সময়ে পাইকারি মূল্য সূচকের ওপর ভিত্তি করে মূদ্রাস্ফীতির হার বেড়ে ১২.৫ শতাংশ।
Ø পাইকারি মূল্য সূচকের বেস এফেক্ট পর্যায়ক্রমে শিথিল হওয়ায় সিপিআই-সি এবং ডাব্লুপিআই-এর মধ্যে ফারাক কম হওয়ার সম্ভাবনা।
 
দীর্ঘমেয়াদী ভিত্তিতে উন্নয়ন এবং জলবায়ু পরিবর্তন :
 
Ø নীতি আয়োগের এসডিজি ইন্ডিয়া ইনডেক্স এবং ড্যাশ বোর্ডে প্রাপ্ত নম্বরের নিরিখে ২০২০-২১এ অগ্রগতি হয়েছে ৬৬। ২০১৯-২০তে সূচকে অগ্রগতি হয়েছিল ৬০ এবং ২০১৮-১৯এ অগ্রগতি হয়েছিল ৫৭।
Ø ২০১৯-২০তে ৬৫-৯৯ নম্বর পাওয়া রাজ্যের সংখ্যা ১০ থেকে বেড়ে ২০২০-২১এ ২২ হয়েছে।
Ø ২০২১-২২এ নীতি আয়োগের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় জেলাভিত্তিক উন্নয়ন সূচকে ৬৪টি জেলা ফ্রন্ট রানার এবং ২৯টি জেলা পারফর্মার হয়ে উঠেছে।
Ø ২০১০-২০২০ পর্যন্ত সময়ে অরণ্য এলাকার পরিধি বৃদ্ধিতে ভারত ২০২০তে বিশ্বের তৃতীয় স্থানাধিকারি দেশ হয়ে উঠেছে।
Ø ভারতের মোট ভৌগলিক এলাকায় অরণ্য অঞ্চলের পরিধি ২০২০তে ২৪ শতাংশ, যা বিশ্বের মোট ভূ-ভাগের প্রায় ২ শতাংশ।
Ø ২০২২এর মধ্যে একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক বর্জনের লক্ষ্যে ২০২১এর আগস্ট মাসে প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সংশোধন আইন ২০২১ কার্যকর হয়েছে।
Ø প্লাস্টিক প্যাকেজিং-এর ক্ষেত্রে উৎপাদকদের বর্ধিত দায়দায়িত্ব সম্পর্কিত খসড়া, নিয়মনীতি প্রকাশিত হয়েছে।
Ø গঙ্গা নদী ও তার শাখা নদীর মূল ধারায় দূষণ সৃষ্টিকারী শিল্পসংস্থাগুলির আইনী বাধ্যবাধকতা মেনে চলার ক্ষেত্রে আগ্রগতি ২০১৭র ৩৯ শতাংশ থেকে বেড়ে ২০২০তে ৮১ শতাংশ হয়েছে।
Ø শিল্পসংস্থাগুলি থেকে নির্গত বর্জ্য লক্ষ্যণীয় হারে হ্রাস পেয়েছে। ২০১৭তে দৈনিক নির্গত বর্জ্যের পরিমাণ ৩৪৯.১৩ মিলিয়ন লিটার থেকে কমে ২০২০তে দৈনিক ২৮০.২০ মিলিয়ন লিটার হয়েছে।
Ø প্রধানমন্ত্রী ২০২১এর নভেম্বরে গ্লাসগোতে কপ২৬-এ জলবায়ু পরিবর্তনের মোকাবিলায় ভারতের দৃষ্টিভঙ্গীর কথা তুলে ধরেন। বাতাসে দূষণ সৃষ্টিকারী উপাদানের পরিমাণ কমিয়ে আনতে ২০৩০এর মধ্যে এক উচ্চাকাঙ্খী লক্ষ্যপূরণের কথা ঘোষণা করেন।
 
কৃষি ও খাদ্য ব্যবস্থাপনা :
 
Ø দেশে কৃষিক্ষেত্রে গত দু বছরে লক্ষ্যণীয় অগ্রগতি হয়েছে। গ্রসভ্যালু অ্যাডেড ক্ষেত্রে ২০২১-২২এ অগ্রগতির হার ১৮.৮ শতাংশ। ২০২০-২১এ অগ্রগতির হার ছিল ৩.৬ শতাংশ।
Ø ফসলে আরও বৈচিত্র্য নিয়ে আসতে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য ব্যবস্থা কার্যকর করা হচ্ছে।
Ø গবাদি পশুপালন, ডেয়ারী ও মৎস্য চাষ সহ সহযোগী কৃষি ক্ষেত্রগুলিতে ধারাবাহিক অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে।
Ø ২০১৯-২০ পর্যন্ত পূর্ববর্তী ৫ বছরে গবাদি পশুপালন ক্ষেত্রে সিএজিআর-এর নিরিখে অগ্রগতির হার ৮.১৫ শতাংশ। গবাদি পশুপালনের পাশাপাশি কৃষি কাজের সঙ্গে যুক্ত পরিবারগুলির গড় মাসিক আয় প্রায় ১৫ শতাংশ হারে বেড়েছে।
Ø ভারতে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ খাদ্যশস্য সরবরাহ কর্মসূচি রূপায়ণ করছে।
Ø প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনার মতো কর্মসূচির মাধ্যমে সরকার খাদ্য নিরাপত্তা ব্যবস্থার পরিধি আরও বাড়িয়েছে।
 
শিল্প ও পরিকাঠামো :
 
Ø ২০২১এর এপ্রিল-নভেম্বর পর্যন্ত সময়ে বার্ষিক ভিত্তিতে শিল্পোৎপাদন সূচক বেড়ে ১৭.৪ শতাংশ, যা ২০২০র এপ্রিল-নভেম্বর সময়ে ছিল (-)১৫.৩ শতাংশ।
Ø ২০০৯ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত সময়ে রেলের গড় বার্ষিক মূলধনী ব্যয়ের পরিমাণ ৪৫ হাজার ৯৮০ কোটি টাকা থেকে বেড়ে ২০২০-২১এ ১ লক্ষ ৫৫ হাজার ১১১ কোটি টাকা হয়েছে। ২০২১-২২এ মূলধনী ব্যয়ের পরিমাণ বাড়িয়ে ২ লক্ষ ১৫ হাজার ৫৮ কোটি টাকা হয়েছে যা ২০১৪র তুলনায় ৫ গুণ বেশি।
Ø ২০২০-২১এ দৈনিক ভিত্তিতে সড়ক নির্মাণের গতি ছিল ৩৬.৫ কিলোমিটার। ২০১৯-২০তে দৈনিক ভিত্তিতে সড়ক নির্মিত হয়েছে ২৮ কিলোমিটার। এরফলে ২০২০-২১এ সড়ক নির্মাণের গতি ৩০.৪ শতাংশ বেড়েছে।
Ø ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সমীক্ষা অনুযায়ী বৃহৎ কর্পোরেট সংস্থাগুলির লেনদেন থেকে মোট মুনাফা সর্বকালীন রেকর্ড ১০.৬ শতাংশে পৌঁছেছে।
Ø উৎপাদন সংযুক্ত উৎসাহভাতা কর্মসূচি শুরু হওয়ার ফলে পরিকাঠামো ক্ষেত্রের পাশাপাশি ডিজিটাল ব্যবস্থায় অভূতপূর্ব অগ্রগতি। এরফলে লেনদেন খাতে খরচ কমেছে, ব্যবসা-বাণিজ্যের অনুকূল পরিবেশ গড়ে উঠেছে। একইভাবে অর্থ ব্যবস্থার পুনরুদ্ধারে সহায়ক হয়ে উঠছে।
 
পরিষেবা :
 
Ø ২০২১-২২এ জুলাই-সেপ্টেম্বর ত্রৈমাসিকে পরিষেবা ক্ষেত্রে গ্রস ভ্যালু অ্যাডেড বা জিভিএ প্রাক-মহামারী সময়ের পরিসংখ্যানকে ছাড়িয়ে গেছে। অবশ্য বাণিজ্য, পরিবহণের মতো শ্রমনিবিড় ক্ষেত্রগুলিতে জিভিএ প্রাক-মহামারী সময়ের পরিসংখ্যানের নিচেই রয়েছে।
Ø ২০২১-২২এ পরিষেবা ক্ষেত্রে সামগ্রিক জিভিএ বেড়ে ৮.২ শতাংশ হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
Ø ২০২১এর এপ্রিল-ডিসেম্বর সময়ে রেলের পণ্য পরিবহণের পরিমাণ প্রাক-মহামারী সময়ের পরিসংখ্যানকে ছাপিয়ে গেছে। অন্যদিকে বিমানে ও বন্দরে পণ্য পরিবহণের পরিমাণ প্রাক-মহামারী সময়ের কাছাকাছি পৌঁছেছে। অভ্যন্তরীণ বিমান পরিবহণ ও রেলের যাত্রী পরিবহণ ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ থেকে কোভিডের প্রথম ঢেউয়ের তুলনায় দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রভাব বেশি বলে লক্ষ্য করা গেছে।
Ø ২০২১-২২এর প্রথমার্ধে পরিষেবা ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষ বিদেশী বিনিয়োগের পরিমাণ ১৬.৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি, যা দেশে মোট প্রত্যক্ষ বিদেশী বিনিয়োগের প্রায় ৫৪ শতাংশ।
Ø ২০২১-২২এ আইটি-বিপিএম পরিষেবা ক্ষেত্রে রাজস্বের পরিমাণ ১৯৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। আলোচ্য সময়ে এই ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ১ লক্ষ ৩৮ হাজার কর্মসংস্থান।
Ø টেলি-যোগাযোগ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ সরকারি সংস্কারের ফলে বেসরকারী ক্ষেত্রে অংশগ্রহণের সুযোগ বেড়েছে।
Ø ২০২০-২১এর জানুয়ারি-মার্চ ত্রৈমাসিকে পরিষেবা ক্ষেত্রে রপ্তানীর পরিমাণ প্রাক মহামারী সময়ের পরিসংখ্যানকে ছাপিয়ে গেছে। ২০২১-২২এর প্রথমার্ধে পরিষেবা ক্ষেত্রে রপ্তানী ২১.৬ শতাংশ বেড়েছে। সফ্টওয়্যার এবং আইটি পরিষেবা ক্ষেত্রে বিশ্বজনীন চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় এই অগ্রগতি।
Ø মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের পর ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম স্টার্টআপ উপযোগী গন্তব্য হয়ে উঠেছে। ২০১৬-১৭তে স্বীকৃত স্টার্টআপের সংখ্যা ৭৩৩ থেকে বেড়ে ২০২১-২২এ ১৪ হাজার ছাড়িয়েছে।
Ø ২০২১এ ইউনিকর্ন মর্যাদা প্রাপ্ত দেশীয় স্টার্টআপের সংখ্যা ৪৪। এরফলে দেশে মোট ইউনিকর্ন স্টার্টআপের সংখ্যা ৮৩, এর অধিকাংশই পরিষেবা ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত।
 
সামাজিক পরিকাঠামো ও কর্মসংস্থান :
 
Ø ২০২২এর ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত ১৫৭ কোটি ৯৪ লক্ষ কোভিড টিকার ডোজ দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে প্রথম ডোজ ৯১ কোটি ৩৯ লক্ষ এবং দ্বিতীয় ডোজ ৬৬ কোটি ৫ লক্ষ।
Ø অর্থ ব্যবস্থায় পুনরুদ্ধারের দরুণ কর্মসংস্থানের সূচক ২০২০-২১এর শেষ ত্রৈমাসিকের প্রাক-মহামারী সময়ের কাছাকাছি পৌঁছেছে।
Ø ২০২১এর মার্চ পর্যন্ত শ্রমিক শ্রেণীর মানুষের কাজের সুযোগ সম্পর্কিত ত্রৈমাসিক সমীক্ষা অনুযায়ী শহরাঞ্চলে কর্মসংস্থানের সুযোগের ক্ষেত্রে মহামারীর যে প্রভাব পরেছিল তা এখন প্রাক-মহামারী পর্যায়ে পৌঁছেছে।
Ø কর্মচারী ভবিষ্যনিধি তহবিল সংগঠনের পরিসংখ্যান অনুযায়ী কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় কর্মসংস্থানের চিরাচরিত ধারা অব্যাহত ছিল ; কোভিড মহামারীর প্রথম ঢেউয়ের সময় কর্মসংস্থানের সুযোগের ক্ষেত্রে কোভিডের প্রভাব কম পরেছিল।
Ø সামাজিক পরিষেবা (স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও অন্যান্য) পরিষেবা খাতে কেন্দ্র ও রাজ্যগুলির ব্যয়ের পরিমাণ জিডিপি-র আনুপাতিক হারে ২০১৪-১৫র ৬.২ শতাংশ থেকে বেড়ে ২০২১-২২এ ৮.৬ শতাংশ হয়েছে।
Ø পঞ্চম জাতীয় পরিবার স্বাস্থ্য সমীক্ষা অনুযায়ী ২০১৫-১৬তে মোট গর্ভধারণ হার ২.২ শতাংশ থেকে ২০১৯-২১এ কমে ২ হয়েছে।
Ø ২০১৫-১৬র তুলনায় ২০১৯-২১এ ৫ বছরের কম বয়সী শিশুমৃত্যু হার এবং প্রাতিষ্ঠানিক প্রসব বেড়েছে।
Ø জল জীবন মিশনের আওতায় ৮৩টি জেলায় প্রতিটি পরিবারে ‘হর ঘর জল’ পরিষেবা।
Ø মহামারীর সময় গ্রামাঞ্চলে অসংগঠিত ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত শ্রমিকদের কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিতে মহাত্মা গান্ধী জাতীয় গ্রামীণ কর্মসংস্থান সুনিশ্চিতকরণ কর্মসূচিতে অতিরিক্ত তহবিল যোগান।  
 
 
CG/BD /NS


(Release ID: 1793960) Visitor Counter : 3748