প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর

ত্রিপুরার পিএমএওয়াই-জি প্রকল্পের সুবিধাভোগীদের প্রথম কিস্তির অর্থ বিতরণ উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের মূল পাঠ

Posted On: 14 NOV 2021 5:00PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লী,  ১৪  নভেম্বর, ২০২১

 

নমস্কার ! খুলুমাখা ! জয় মা ত্রিপুরাসুন্দরী !

এই অনুষ্ঠানে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী শ্রীমান বিপ্লব দেবজি, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় আমার সহকর্মী শ্রী গিরিরাজ সিংজি এবং শ্রীমতি প্রতিমা ভৌমিকজি, ত্রিপুরার উপ-মুখ্যমন্ত্রী শ্রী জিষ্ণু দেববর্মাজি, সমস্ত সাংসদ, বিধায়ক ও স্থানীয় প্রশাসনের সদস্যবৃন্দ, পঞ্চায়তের সদস্যরা এবং ত্রিপুরায় আমার উৎসাহী, পরিশ্রমী, আদরের ভাই-বোনেরা ও আমার তরুণ বন্ধুরা।

ত্রিপুরার বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলার সময় আমার বিশ্বাস আরও বেড়ে যায়। যাদের সঙ্গেই আমি কথা বলি আমার খুব ভালো লাগে। উন্নয়নের এই স্বাদ,  নিজের বাড়ি এবং মর্যাদাপূর্ণ জীবন ত্রিপুরা ও সমস্ত উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে নতুন এক উচ্চতায় নিয়ে গেছে। আগামীদিনে ত্রিপুরার উন্নয়ন যে নতুন মাত্রা পাবে তা আমরা সকলেই বুঝতে পারছি।

বন্ধুগণ,

আমাদের জীবনে যখন বড় পরিবর্তন আসে, বড় সাফল্য অর্জিত হয়, স্বাভাবিকভাবেই আমরা আরও উৎসাহিত হই, আরও আশার সঞ্চার হয়। কিন্তু দীর্ঘদিনের প্রতীক্ষা এবং অন্ধকারের মধ্য থেকে যদি সাফল্য এবং আশার নতুন আলো বেরিয়ে আসে তখন সেই আলোর ঔজ্জ্বল্য বহুগুন বৃদ্ধি পায়। বিপ্লব দেবজির সঙ্গে যখন থেকে আমরা একসঙ্গে কাজ করার সুযোগ পেয়েছি তখন থেকেই এই উজ্জ্বলতা ক্রমশ বাড়ছে। আজ আমাদের ত্রিপুরা এবং সমস্ত উত্তর-পূর্বাঞ্চল বিপুল পরিবর্তন প্রত্যক্ষ করছে।   

আজ প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পে প্রথম কিস্তির অর্থ ত্রিপুরার স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে সাহায্য করবে। যাঁরা প্রথম কিস্তির টাকা পেলেন সেই দেড় লক্ষ পরিবারের সদস্য সহ সমস্ত ত্রিপুরাবাসীকে আমি আন্তরিক অভিনন্দন জানাই। আমি মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবজি এবং তাঁর সরকারকেও অভিনন্দন জানাই। খুব কম সময়ে তাঁরা সরকারি সংস্কৃতিকে সম্পূর্ণ পরিবর্তন করেছেন। যে সংস্কৃতি ত্রিপুরার উন্নয়নে বাধার সৃষ্টি করতো তাকে দূর করা হয়েছে। এখন ত্রিপুরাকে দরিদ্র বানিয়ে রাখা, মানুষকে প্রয়োজনীয় সুবিধাগুলি থেকে দূরে রাখার চিন্তার র কোনো ঠাঁই নেই।

এখন রাজ্যে ডাবল ইঞ্চিন সরকার পুরো উদ্যম এবং নিষ্ঠা সহকারে উন্নয়নের কাজ করছে। এখন আগরতলা এবং দিল্লী একসঙ্গে বসে ত্রিপুরার উন্নয়নের পরিকল্পনা করে এবং তা বাস্তবায়নে কঠোর পরিশ্রম করে। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় ত্রিপুরার গ্রামে ৫০ হাজার পরিবার বিগত চার বছরে পাকা বাড়ি পেয়েছেন। ১ লক্ষ ৬০ হাজার নতুন বাড়ি বানানোর প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছে। আজ প্রায় দেড় লক্ষ পরিবার প্রথম কিস্তির টাকা পেয়েছেন। আর সেটাও মাত্র একটি বোতাম টিপেই হয়েছে।

ত্রিপুরার মানসিকতা এবং কাজের গতি করোনা বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আমরা দেখেছি। ৪৫ বছরের উপরে যাদের বয়স তাদের সকলকে টিকা দিয়ে ত্রিপুরা রেকর্ড তৈরি করেছে। আর এখন ১৮ বছরের উপরে সকলের টিকাকরণ সম্পূর্ণ করার দিকে রাজ্য এগিয়ে চলেছে।

বন্ধুগণ,

আগে দেশের উত্তর এবং পশ্চিম থেকে আমাদের নদীগুলি পূর্ব দিকে আসতো। কিন্তু বিকাশের ধারা এখানে পৌঁছানোর আগেই স্তিমিত হয়ে পড়ত। দেশের সার্বিক বিকাশ বিচ্ছিন্নভাবে দেখা হতো, একটি রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গীর  মাধ্যমে সবাই তা দেখতেন। আর তার ফলে আমাদের উত্তর-পূর্বাঞ্চল অবহেলিত হয়েছিল। কিন্তু আজ সারা দেশের উন্নয়ন এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারতের ভাবনায় হচ্ছে। উন্নয়নকে এখন দেশের একতা ও অখন্ডতার সমর্থক বলে মনে করা হয়।

আগে দিল্লীতে দরজা বন্ধ করে নীতি প্রণয়ন করা হতো। আর সেই নীতি উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জন্য যথাযথ হতোনা। এর ফলে উত্তর-পূর্বাঞ্চল বিচ্ছিন্ন হয়ে থাকতো। কিন্তু বিগত ৭ বছর ধরে দেশ এক নতুন ভাবনায় এগিয়ে চলেছে। এখন দিল্লীর হিসেবে নয়, রাজ্যগুলির চাহিদা অনুযায়ী নীতি তৈরি করা হয়।

প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার কথায় ভাবুন। পাকা বাড়ির জন্য কিছু নিয়ম ত্রিপুরার লক্ষ লক্ষ পরিবারের কাছে বাধার সৃষ্টি করেছিল। কিন্তু সরকার ত্রিপুরার ভৌগলিক অবস্থানের কথা বুঝতে পেরেছে। তার ওপর ভিত্তি করে নিয়ম পাল্টানো হয়েছে এবং নতুন নিয়ম তৈরি করা হয়েছে। ফল হিসেবে হাজার হাজার পরিবার এই প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন। বিকাশের জন্য এই সংবেদনশীলতার প্রয়োজন রয়েছে। শুধু তাই নয় আমরা এই নতুন বাড়িগুলির  বসবাসযোগ্য করে তোলার বিষয়ে ভাবনা-চিন্তার সময় পরিবেশের কথাও মনে  রেখেছি। আমরা বাড়িগুলির আয়তন বাড়িয়েছি এবং নতুন নতুন সুবিধা যুক্ত করেছি।

বন্ধুগণ,

আমি বিভিন্ন সময়ে পিএম আবাস যোজনার ক্ষমতা সম্পর্কে দেশকে বলেছি। আর যে স্থানে ত্রিপুরাসুন্দরীর বিশেষ আশির্বাদ রয়েছে সেখানে তো এই কথাগুলি আবারও বলবো। সাবেক চিন্তা-ভাবনার কারণে যুগ যুগ ধরে মহিলাদের নামে কোনো বাড়ি বা সম্পত্তি হতোনা। পিএম আবাস যোজনায় এই বিষয়টি নিয়ে ভাবা হয়েছে। এই প্রকল্প থেকে নির্মিত বাড়িগুলির মালিকানা সবচেয়ে বেশি পেয়ে থাকেন আমাদের বোন, বাড়ির মেয়ে এবং মায়েরা । তাঁরা আইনীভাবে এগুলির মালিক। এছাড়াও গ্যাস, বিদ্যুৎ এবং জলের সংযোগও আমাদের মা-বোনেদের জীবনে নতুন সুযোগ তৈরি হয়েছে, পিএম আবাস যোজনায় তাঁরা এগুলি সবই পাচ্ছেন।

বন্ধুগণ,

আত্মবিশ্বাসে ভরপুর মহিলাদের ভারতের উন্নয়নে বিপুল অবদান রয়েছে। মহিলাদের স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলি নারীশক্তির প্রতীক। জনধন অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর বোনেরা ব্যাঙ্কিং পরিষেবার সুযোগ পান। গ্যারান্টি ছাড়া তাদের ঋণ দেওয়ার পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে। আগে যেখানে তাঁরা গ্যারান্টি ছাড়া ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ পেতেন, বর্তমানে সেই অর্থের পরিমাণ দ্বিগুণ করা হয়েছে।

আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে ত্রিপুরা সরকার মহিলাদের ক্ষমতায়ণের জন্য কাজ করছে। এই সরকারের আগে যে সরকার ছিল... অর্থাৎ আমি বলতে চাইছি বিপ্লব দেবজি ক্ষমতায় আসার আগে যে সরকার ছিল... সেই সময় ত্রিপুরায় মাত্র ৪ হাজারটি স্বনির্ভর গোষ্ঠী ছিল। ২০১৮ সালে ডাবল ইঞ্জিন সরকার ক্ষমতায় আসার পর রাজ্যে মহিলাদের স্বনির্ভর গোষ্ঠীর ২৬ হাজার নতুন দল তৈরি হয়েছে। এইসব স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা কৃষিজ পণ্য উৎপাদন করছেন, বাঁশ ও হস্তশিল্পের কাজের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। ত্রিপুরা সরকার তাঁদের আর্থিক সাহায্য করছে এবং প্রতি মুহুর্তে ক্ষমতায়ণের জন্য কাজ করে চলেছে।  

বন্ধুগণ,

কিভাবে কম সময়ে বিপুল পরিবর্তন আনা সম্ভব এবং নতুন একটি ব্যবস্থা গড়ে তোলা যায় ত্রিপুরা সেটি করে দেখানোয় আমি রাজ্যকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। আগে কমিশন না দিয়ে, দুর্নীতির আশ্রয় না নিয়ে কোনো কিছুই হতোনা। কিন্তু আজ প্রত্যক্ষ হস্তান্তর প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সরকারি প্রকল্পের অর্থ সরাসরি আপনাদের অ্যাকাউন্টে চলে যাচ্ছে। এর আগে প্রতিটি কাজ করার জন্য সাধারণ মানুষকে সরকারি দপ্তরে বার বার যেতে হতো। কিন্তু এখন সরকার আপনাদের কাছে সব ধরণের পরিষেবা নিয়ে হাজির হচ্ছে। 

আগে সরকারি কর্মচারীরা সঠিক সময়ে বেতন পাওয়া নিয়ে চিন্তার মধ্যে থাকতেন। কিন্তু এখন তারা সপ্তম পে-কমিশনের সুবিধাগুলি পাচ্ছেন। আগে কৃষকরা কিভাবে তাদের ফসল বিক্রি করবেন তা নিয়ে চিন্তায় থাকতেন। আর এখন, এই প্রথমবার ত্রিপুরায় কৃষকদের কাছ থেকে ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে ফসল সংগ্রহ করা হচ্ছে। সেই একই ত্রিপুরা, একই মানুষ এবং একই সম্ভাবনা౼ কিন্তু আগে বনধের সংস্কৃতির জন্য শিল্পসংস্থাগুলি এখানে আসতে ভয় পেতো। আর আজ ত্রিপুরা থেকে রপ্তানীর পরিমাণ বেড়েছে ৫ গুণ।

বন্ধুগণ,

ত্রিপুরায় ডাবল ইঞ্জিন সরকারের সবথেকে বেশি সুবিধা পেয়েছেন দরিদ্র, পিছিয়ে পরা মানুষরা, বিশেষত আমাদের আদিবাসী ভাই ও বোনেরা। আমাদের উত্তর-পূর্বাঞ্চল দেশের মধ্যে সবথেকে পুরনো এবং সমৃদ্ধশালী আদিবাসী সংস্কৃতির কেন্দ্র। স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে আমাদের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের আদিবাসী স্বাধীনতা সংগ্রামীরা দেশের জন্য তাঁদের প্রাণ বিসর্জন দিয়েছেন। এই ঐতিহ্যকে সম্মান জানানোর জন্য, এই পরম্পরা এগিয়ে নিয়ে যেতে দেশ নিরলসভাবে কাজ করছে।

স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসবের সময়কালে দেশ আর একটি বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে।  ভগবান বীরসা মুন্ডার জন্মদিন- ১৫ নভেম্বর এখন থেকে জনজাতীয় গৌরব দিবস হিসেবে উদযাপন করা হবে। অর্থাৎ আগামীকাল দেশজুড়ে জনজাতীয় গৌরব দিবস উদযাপিত হবে এবং প্রতি বছরই হবে। এর অর্থ এই নয় যে শুধুমাত্র একটি দিনেই আমরা আদিবাসী সংস্কৃতিকে শ্রদ্ধা জানাবো, বরং এর মধ্য দিয়ে আমরা সমাজে সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য সচেষ্ট হবো। আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামে ১৫ আগস্টের যেমন বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে, আমাদের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ঐতিহ্যে ২৬ জানুয়ারির যেমন বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে, আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যে রাম নবমীর যেমন গুরুত্ব আছে, কৃষ্ণ অষ্টমীর যেমন আমাদের জীবনে গুরুত্ব আছে, দোশরা আগস্ট মহাত্মা গান্ধীর জন্মদিন অহিংস দিবস হিসেবে পালিত হয়, ৩১ অক্টোবর সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের জন্মদিন দেশের ঐক্যের সঙ্গে সম্পৃক্ত, একইভাবে ১৫ নভেম্বরকে সমান উৎসাহ উদ্দীপনায় জনজাতীয় গৌরব দিবস হিসেবে পালন করা হবে। দেশে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধিতে আদিবাসী সম্প্রদায়ের অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। 

বন্ধুগণ,

স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসবে, দেশের এই মহোৎসবে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সংস্কৃতির ছোঁয়া না লাগলে তা কখনও সম্পূর্ণ হবেনা। তাই ২০৪৭ সালে দেশ যখন স্বাধীনতার শতবর্ষ উদযাপন করবে সেইসময় দেশের উন্নয়নে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বিপুল অবদান থাকবে।  

আজ প্রতি দিকে, প্রতি ক্ষেত্রে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের উন্নয়ন ত্বরান্বিত হচ্ছে। এখানকার প্রকৃতি এবং পর্যটনের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে, দক্ষিণ এশিয়ার সঙ্গে ভারতকে যুক্ত করার রাস্তা এখানেই রয়েছে, এখানে প্রচুর ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্ভাবনা আছে, যখন অত্যাধুনিক পরিকাঠামো ও উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে উঠবে তখনই এই সম্ভাবনাগুলিকে কাজে লাগানো যাবে।

বিগত দশকে এই লক্ষ্যপূরণে যে ঘাটতি ছিল আজ দ্রুত গতিতে তা পূরণ করা হচ্ছে। আজ উত্তর-পূর্বাঞ্চলে রেল যোগাযোগ গড়ে উঠছে, নতুন রেললাইন বসছে।  একইভাবে আগে যে অঞ্চলগুলির দুর্গম প্রত্যন্ত অঞ্চল বলে বিবেচনা করা হতো আজ সেখানে নতুন নতুন হাইওয়ে তৈরি হচ্ছে, চওড়া চওড়া রাস্তা বানানো হচ্ছে, সেতু বানানো হচ্ছে। এখানে ত্রিপুরাতেও নতুন রেললাইনের জন্য, নতুন জাতীয় মহাসড়কের জন্য প্রচুর কাজ হয়েছে। এই আধুনিক পরিকাঠামো উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে এবং তার নতুন পরিচিতি গড়ে হবে। আমি নিশ্চিত যে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জন্য আমাদের এই সংকল্প অদূর ভবিষ্যতে বিভিন্ন পরিবর্তন নিয়ে আসবে এবং দেশ এক নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে।

আরও একবার এতো বড় গুরুত্বপূর্ণ কাজ, ছোট্ট একটি রাজ্যতে যেভাবে হচ্ছে তার জন্য  আমি গর্ববোধ করি, আনন্দ পাই। সকল সুবিধাভোগীকে, ত্রিপুরার সব নাগরিককে, উত্তর-পূর্বাঞ্চলের আমার প্রিয় ভাই-বোনেদের আরও একবার অনেক অনেক শুভকামনা জানাই। আপনাদের সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাই।

অনেক অনেক ধন্যবাদ !

(প্রধানমন্ত্রীর মূল ভাষণটি হিন্দিতে দিয়েছেন)

 

CG/CB/NS



(Release ID: 1775715) Visitor Counter : 241