স্বাস্থ্যওপরিবারকল্যাণমন্ত্রক

বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে কোভিড-১৯ মোকাবিলায় যে সাহায্য পাওয়া গেছে কেন্দ্র তা দ্রুত এবং কার্যকরীভাবে রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে সরবরাহ ও বরাদ্দ করেছে

Posted On: 07 MAY 2021 11:14AM by PIB Kolkata

নতুন দিল্লি,  ০৭ মে, ২০২১

 

কোভিড-১৯ অতিমারীর দ্বিতীয় ঢেউ-এর জেরে উদ্ভূত পরিস্থিতির মোকাবিলায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ভারতকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। এই কোভিড মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় সামগ্রী সরবরাহ করছে। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পাওয়া এই সাহায্য কেন্দ্র দ্রুত ও কার্যকরীভাবে রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে সরবরাহ এবং বরাদ্দ করছে। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। এর উদ্দেশ্যই হল রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে শক্তিশালী করে তোলা এবং বিভিন্ন ব্যবস্থার মাধ্যমে সকল সহায়তা প্রদান করা।

দেশব্যাপী কোভিড-১৯ টিকাকরণ প্রক্রিয়ার তৃতীয় পর্যায়ের অঙ্গ হিসেবে এপর্যন্ত মোট ১৬.৪৯ কোটি এরও বেশি কোভিড টিকার ডোজ প্রদান করা হয়েছে। 

৩০টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ১৮ থেকে ৪৪ বছর বয়সী ১১ লক্ষ ৮০ হাজার ৭৯৮ জন  সুবিধাভোগীকে কোভিড টিকার ডোজ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে ৩৩০, অন্ধ্রপ্রদেশে ১৬, আসামে ২২০, বিহারে ২৮৪, চণ্ডীগড়ে ২, ছত্তিশগড়ে ১ হাজার ২৬, দিল্লিতে ১ লক্ষ ৮৩ হাজার ৬৭৯, গোয়ায় ৭৪১, গুজরাটে ২ লক্ষ ২৪ হাজার ১০৯, হরিয়ানায় ১ লক্ষ ৬৯ হাজার ৪০৯, হিমাচল প্রদেশে ১৪, জম্মু ও কাশ্মীরে ২১ হাজার ২৪৯, ঝাড়খণ্ডে ৭৭, কর্ণাটকে ৭ হাজার ৬৮, কেরালায় ২২, লাদাখে ৮৬, মধ্যপ্রদেশে ৯ হাজার ৮২৩, মহারাষ্ট্রে ২ লক্ষ ১৫ হাজার ২৭৪, মেঘালয়ে ২, নাগাল্যান্ডে ২, ওড়িশায় ২৮ হাজার ৩২৭, পুদুচেরিতে ১, পাঞ্জাবে ২ হাজার ১৮৭, রাজস্থানে ২ লক্ষ ১৮ হাজার ৭৯৫, তামিলনাড়ুতে ৮ হাজার ৪১৯, তেলেঙ্গানায় ৪৪০, ত্রিপুরায় ২, উত্তরপ্রদেশে ৮৬ হাজার ৪২০, উত্তরাখণ্ডে ১৭ এবং পশ্চিমবঙ্গে ২ হাজার ৭৫৭ জনকে এই টিকা দেওয়া হয়েছে।

আজ সকাল ৭টা পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী ২৪ লক্ষ ১১ হাজার ৩০০টি টিকাকরণ পর্বের মাধ্যমে মোট ১৬ কোটি ৪৯ লক্ষ ৭৩ হাজার ৫৮ জনকে টিকার ডোজ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৯৫ লক্ষ ১ হাজার ৬৪৩ জন স্বাস্থ্য কর্মীকে প্রথম ডোজ, ৬৩ লক্ষ ৯২ হাজার ২৪৮ জন স্বাস্থ্য কর্মীকে দ্বিতীয় ডোজ, ১ কোটি ৩৭ লক্ষ ৬৪ হাজার ৩৬৩ জন প্রথম সারির কর্মীকে প্রথম ডোজ এবং ৭৫ লক্ষ ৩৯ হাজার ৭ জন প্রথম সারির কর্মীকে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে। ১৮ থেকে ৪৫ বছর বয়সী ১১ লক্ষ ৮০ হাজার ৭৯৮ জন সুবিধাভোগীকে প্রথম ডোজ এবং ৬০ বছরের বেশি বয়সী ৫ কোটি ৩৩ লক্ষ ২৮ হাজার ১১২ জন সুবিধাভোগীকে প্রথম ডোজ ও ১ কোটি ৩৫ লক্ষ ৯১ হাজার ৫৯৪ জন সুবিধাভোগীকে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ৪৫ থেকে ৬০ বছর বয়সী ৫ কোটি ৪৩ লক্ষ ১২ হাজার ৯০৮ জন সুবিধাভোগীকে প্রথম ডোজ এবং ৫৩ লক্ষ ৬২ হাজার ৩৮৫ জন সুবিধাভোগীকে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে।

১০টি রাজ্যে টিকাকরণের হার ৬৬.৮৪ শতাংশ।

২৪ ঘণ্টায় ২৩ লক্ষেরও বেশি মানুষকে টিকা দেওয়া হয়েছে।

টিকাকরণ অভিযানের ১১১ তম দিনে ২৩ লক্ষ ৭০ হাজার ২৯৮ জনকে টিকা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১৮ হাজার ৯৩৮টি টিকাকরণ পর্বের মাধ্যমে ১০ লক্ষ ৬০ হাজার ৬৪ জন সুবিধাভোগীকে প্রথম ডোজ এবং ১৩ লক্ষ ১০ হাজার ২৩৪ জন সুবিধাভোগীকে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে।

ভারতে এপর্যন্ত আরোগ্য লাভ করেছেন ১ কোটি ৭৬ লক্ষ ১২ হাজার ৩৫১ জন। দেশে সুস্থতার হার ৮১.৯৫ শতাংশ।

২৪ ঘণ্টায় ৩ লক্ষ ৩১ হাজার ৫০৭ জন সুস্থ হয়েছেন। 

১০টি রাজ্যে সুস্থতার হার ৭২.৪৭ শতাংশ। 

২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৪ লক্ষ ১৪ হাজার ১৮৮ জন। 

মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশ, দিল্লি, কর্ণাটক, কেরালা, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ, তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ এবং রাজস্থান – এই ১০টি রাজ্যে নতুন করে সংক্রমণের হার ৭১.৮১ শতাংশ।

মহারাষ্ট্রে একদিনে ৬২ হাজার ১৯৪ জন আক্রান্ত হয়েছেন। কর্ণাটকে ৪৯ হাজার ৫৮ এবং কেরালায় ৪২ হাজার ৪৬৪ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন। 

ভারতে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৩৬ লক্ষ ৪৫ হাজার ১৬৪-তে পৌঁছেছে। বর্তমানে দেশে পজিটিভ কেসের হার ১৬.৯৬ শতাংশ।

দেশে মৃত্যুর হার ১.০৯ শতাংশ। 

২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজার ৯১৫ জনের। এর মধ্যে মহারাষ্ট্রে ৮৫৩ এবং উত্তরপ্রদেশে ৩৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে।

দমন ও দিউ, দাদরা ও নগরহাভেলি, অরুণাচলপ্রদেশ, লাদাখ এবং মিজোরাম এই রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে কোনো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।

 

SC/SS/SKD/



(Release ID: 1716754) Visitor Counter : 237