প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর

কোভিড ১৯-এর পরিস্থিতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর আলোচনা দেশ প্রথম ঢেউয়ের চূড়ান্ত অবস্থা অতিক্রম করেছে এবং সংক্রমণ আগের থেকেও দ্রুত হারে হচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী আমাদের ভালো অভিজ্ঞতা, সম্পদ রয়েছে, আর এখন টিকাও আছে : প্রধানমন্ত্রী ‘টেস্ট, ট্র্যাক, ট্রিট’-এর ওপর গুরুত্ব দিয়ে যথাযথ কোভিড আচরণবিধি ও ব্যবস্থাপনার ওপর জোর দিতে হবে : প্রধানমন্ত্রী

কোভিড একঘেয়েমি’-র জন্য আমাদের উদ্যোগে কোনো ঘাটতি থাকলে চলবে না : প্রধানমন্ত্রী

যেসব জেলার প্রতি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে, সেখানে ৪৫ ঊর্ধ্ব সকলের টিকাকরণ করতে হবে : প্রধানমন্ত্রী

জ্যোতিবা ফুলে ও বাবা সাহেব আম্বেদকারের জন্মদিনের মধ্যে টিকা উৎসবের আহ্বান (১১-১৪-ই এপ্রিল)

Posted On: 08 APR 2021 9:36PM by PIB Kolkata

নতুন দিল্লি, ০৮ এপ্রিল, ২০২১

 

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন ।   
বৈঠকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কোভিডের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সরকার কী কী উদ্যোগ নিয়েছে, সেসম্পর্কে জানিয়েছেন । তিনি দেশে টিকাকরণ অভিযানের অগ্রগতি সম্পর্কে বিশদে জানান । কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব দেশে কোভিড পরিস্থিতির বিষয়ে বিস্তারিত ভাবে তথ্য তুলে ধরেছেন । বর্তমানে যেসব রাজ্যে সংক্রমণ বেশি হচ্ছে, সেখানে নমুনা পরীক্ষা বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে । স্বাস্থ্য সচিব দেশে টিকা উৎপাদন ও সরবরাহের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানিয়েছেন ।   
মুখ্যমন্ত্রীরা এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে সঙ্গবদ্ধ লড়াইয়ে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান । তাঁরা নিজ নিজ রাজ্যে কোভিড পরিস্থিতির বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন । যথাযথ সময়ে টিকাকরণ অভিযান শুরু করার ফলে লক্ষ লক্ষ মানুষের প্রাণ বাঁচানো গেছে । বৈঠকে টিকা নেওয়ার ক্ষেত্রে অনিহা ও টিকা নষ্ট করার বিষয়গুলি নিয়েও আলোচনা হয়েছে ।  
প্রধানমন্ত্রী বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীদের কাছে কয়েকটি বিষয়ে স্পষ্ট করে জানিয়েছেন । প্রথমত দেশ প্রথম ঢেউয়ের সর্বোচ্চ অবস্থা অতিক্রম করেছে । বর্তমানে সংক্রমণ আগের থেকেও দ্রুত হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে । দ্বিতীয়ত মহারাষ্ট্র, ছত্তিশগড়, পাঞ্জাব, মধ্যপ্রদেশ ও গুজরাটের মতো বিভিন্ন রাজ্য প্রথম সংক্রমণ ঢেউয়ের শীর্ষস্থান অতিক্রম করেছে । আরও অনেক রাজ্য এই একই দিকে অগ্রসর হচ্ছে । এটি অত্যন্ত উদ্বেগজনক বলে প্রধানমন্ত্রী মন্তব্য করেছেন । তৃতীয়ত বর্তমানে মানুষ পরিস্থিতিকে  খুব হাল্কা করে দেখছে । কোনো কোনো রাজ্যের প্রশাসনের ক্ষেত্রেও একই মনোভাব দেখা যাচ্ছে । সংক্রমণের হার দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়ায় সঙ্কটময় পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে ।  
যদিও প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এইসব সঙ্কট সত্ত্বেও আমাদের অনেক ভালো অভিজ্ঞতা ও সম্পদ আছে । আর টিকাও রয়েছে । কঠোর পরিশ্রমী চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা এই পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিচ্ছেন ।      
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘আমরা ‘টেস্ট, ট্র্যাক, ট্রিট’-এর ওপর গুরুত্ব দিচ্ছি । এছাড়াও যথাযথ কোভিড আচরণবিধি ও ব্যবস্থাপনার ওপরও জোর দেওয়া হচ্ছে । প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এই ভাইরাসের ধারক হিসেবে মানুষকে প্রয়োজন । আর তাই নমুনা পরীক্ষা করা এবং সংক্রমিতের সংস্পর্শে কারা এসেছেন তাদের চিহ্নিত করা অত্যন্ত জরুরি’। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, নমুনা পরীক্ষা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ সমাজে কেউ সংক্রমিত হলে তাকে শণাক্ত করা যাবে, না হলে তাঁর মাধ্যমে  এই সংক্রমণ আরও ছড়িয়ে পরতে  পারে ।  এ কারণে দৈনিক নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ানো প্রয়োজন । এর ফলে সংক্রমিতের হার ৫ শতাংশ বা তার নীচে নামিয়ে আনা সম্ভব হবে । এর সঙ্গে কন্টেনমেন্ট এলাকায় নমুনা পরীক্ষার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে । আরটি-পিসিআর পরীক্ষা ৭০ শতাংশ করা অত্যন্ত জরুরি । আর তাই   নমুনা পরীক্ষার পরিকাঠামো গড়ে তুলতে হবে ।   
একজন সংক্রমিতের এই ভাইরাস চতুর্দিকে ছড়িয়ে দেওয়ার সম্ভাবনা থাকে । যথাযথ কোভিড প্রতিরোধ ব্যবস্থাপনা, সংক্রমিতের সংস্পর্শে যারা যারা এসেছেন তাদের চিহ্নিত করা এবং চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা অত্যন্ত জরুরি । প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সংক্রমিতদের সংস্পর্শে আসা কমপক্ষে ৩০ জনকে চিহ্নিত করে  তাদের নমুনা পরীক্ষা করতে হবে এবং এক্ষেত্রে টেস্ট, ট্র্যাক ও ট্রিট-এর মাধ্যমে ৭২ ঘন্টার মধ্যে কোয়ারেন্টাইনে পাঠাতে হবে । একই সঙ্গে কন্টেনমেন্ট এলাকার সীমা স্পষ্ট করে জানাতে হবে । শ্রী মোদী বলেছেন, কোভিডের কারণে একঘেয়েমি থেকে বাঁচার জন্য কোনো শৈথিল্যের অবকাশ নেই । তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রককে কন্টেনমেন্ট এলাকায় মান্য আচারণবিধি যথাযথ ভাবে মেনে চলা হচ্ছে কিনা, সেবিষয়ে নজর রাখতে বলেছেন । প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, মৃত্যু সংক্রান্ত সর্বাঙ্গীণ  তথ্য পাওয়া জরুরি । তিনি প্রতি মঙ্গলবার ও শুক্রবার দিল্লির এইমস্ আয়োজিত ওয়েবিনারে রাজ্যগুলিকে অংশ নিতে অনুরোধ জানিয়েছেন । 
যেসব জেলাকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে, সেখানে ৪৫ ঊর্ধ্ব সকলে যাতে টিকা নেন, সে ব্যবস্থা করতে হবে । জ্যোতিবা ফুলের জন্মদিন ১১-ই এপ্রিল থেকে বাবা সাহেব আম্বেদকারের জন্মদিন ১৪-ই এপ্রিল পর্যন্ত টিকা উৎসব পালন করার জন্য প্রধানমন্ত্রী আহ্বান জানিয়েছেন । যুব সম্প্রদায়কে আবেদন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ৪৫ বছরের ওপরে সবাই যাতে টিকা পান, তার জন্য তাদের সাহায্য করতে হবে ।  
প্রধানমন্ত্রী যে কোন রকমের শৈথিল্যের বিষয়ে সতর্ক করেছেন । তিনি বলেছেন, টিকা নেওয়া সত্ত্বেও আমাদের মনে রাখতে হবে যথাযথ সতর্কতা থেকে সরে আসলে চলবে না । যথাযথ প্রতিরোধ বজায় রাখা অত্যন্ত জরুরি । এই প্রসঙ্গে তাঁর মন্ত্র ‘দাওয়াইভি-কড়াইভি’র (ওষুধও নিতে হবে, কঠোর ভাবে সব নিয়মও পালন করতে হবে)  কথা উল্লেখ করে শ্রী মোদী বলেছেন,   সচেতনতার জন্য যথাযথ কোভিড আচরণবিধি মেনে চলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । 

 

CG/CB/RAB/



(Release ID: 1710656) Visitor Counter : 232