প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর

প্রধানমন্ত্রী ২২শে ফেব্রুয়ারি আসাম ও পশ্চিমবঙ্গ সফর করবেন


প্রধানমন্ত্রী আসামে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি তেল ও গ্যাস প্রকল্প জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করবেন এবং ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করবেন

প্রধানমন্ত্রী পশ্চিমবঙ্গে একগুচ্ছ রেল প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন

Posted On: 20 FEB 2021 1:51PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লী, ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২১

            প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ২২শে ফেব্রুয়ারি আসাম ও পশ্চিমবঙ্গ সফর করবেন। আসামের ধেমাজির শিলাপাথরে সকাল ১১.৩০ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তেল ও গ্যাস প্রকল্প উৎসর্গ করবেন। তিনি এই অনুষ্ঠানে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করবেন। শ্রী মোদী বিকেল ৪.৩০ মিনিটে পশ্চিমবঙ্গের হুগলীতে একগুচ্ছ রেল প্রকল্প জাতির প্রতি উৎসর্গ উদ্বোধন করবেন।

        আসামে প্রধানমন্ত্রী -

        প্রধানমন্ত্রী ইন্ডিয়ান অয়েলের বনগাইগাঁও শোধনাগারে ইন্ডম্যাক্স ইউনিট, ডিব্রুগড়ের মধুবনে অয়েল ইন্ডিয়া লিমিটেডের সেকেন্ডারি ট্যাঙ্ক ফার্ম এবং তিনশুকিয়ার মাকুমে হেবেদা গ্রামে একটি গ্যাস কম্প্রেসার স্টেশন জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করবেন। এছাড়াও ধেমাজি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের উদ্বোধন এবং সুয়ালকুচি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। এই প্রকল্পগুলি জ্বালানী ক্ষেত্রে নিরাপত্তা ও সমৃদ্ধির নতুন যুগের সূচনা করবে,  স্থানীয় যুব সম্প্রদায়ের জন্য উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করবে। পূর্ব ভারতে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী ‘পূর্বোদয়’ ভাবনার সঙ্গে সাযুজ্য রেখে এই প্রকল্পগুলি বাস্তবায়িত করা হয়েছে। আসামের রাজ্যপাল ও মুখ্যমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস মন্ত্রী এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন।  

        ইন্ডিয়ান অয়েলের বনগাইগাঁও শোধনাগারে ইন্ডম্যাক্স ইউনিটটি সংস্থার গবেষণা ও উন্নয়ন শাখা সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে তৈরি করেছে। এখান থেকে উন্নত মানের রান্নার গ্যাস ও উচ্চমানের অক্টেন গ্যাসোলিন উৎপন্ন হবে। এই ইউনিটটি শোধনাগারের বার্ষিক উৎপাদন ক্ষমতা ২.৩৫ মিলিয়ন মেট্রিক টন থেকে বাড়িয়ে ২.৭ মিলিয়ন মেট্রিক টন করবে। এই ইউনিট কাজ শুরু করলে রান্নার গ্যাস উৎপাদন ক্ষমতা ৫০ হাজার মেট্রিক টন থেকে বেড়ে ২৫৭ হাজার মেট্রিক টন এবং পেট্রল ২১০ হাজার মেট্রিক টন থেকে বেড়ে ৫৩১ হাজার মেট্রিক টন উৎপন্ন করবে।   

        অয়েল ইন্ডিয়া লিমিটেডের সেকেন্ডারি ট্যাঙ্ক ফার্মটি ৪০ হাজার কিলোলিটার অপরিশোধিত তেল নিরাপদে সঞ্চয় করে রাখতে পারবে। এছাড়াও এই ফার্ম থেকে আর্দ্র, অপরিশোধিত তেল পরিশ্রুত করার মধ্য দিয়ে জলকে আলাদা করবে। ৪৯০ কোটি টাকার এই প্রকল্পটিতে অপরিশোধিত তেল থেকে জলকে মুক্ত করবে। এর উৎপাদন ক্ষমতা দৈনিক ১০ হাজার কিলোলিটার।

        তিনশুকিয়ার মাকুমে গ্যাস কম্প্রেসার স্টেশনে দেশের অপরিশোধিত তেল উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়ে বার্ষিক ১৬ হাজার ৫০০ মেট্রিক টনে পৌঁছাবে। এটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১৩২ কোটি টাকা। এই স্টেশনে ৩টি লো-প্রেসার বুস্টার কম্প্রেসার এবং ৩টি হাই প্রেসার লিফ্টার কম্প্রেসার রয়েছে।    

        ২৭৬ বিঘা জমির ওপর ৪৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ধেমাজি ইঞ্জিয়িয়ারিং কলেজ গড়ে উঠেছে। এটি রাজ্যের সপ্তম সরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ। এই কলেজে সিভিল, মেকানিক্যাল ও কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে বি.টেক করা যাবে। এই কলেজের উদ্বোধন ছাড়াও সুয়ালকুচি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হবে। ১১৬ বিঘা জমির ওপর ৫৫ কোটি টাকা ব্যয়ে এই কলেজ নির্মাণ করা হবে।

        পশ্চিমবঙ্গে প্রধানমন্ত্রী

        প্রধানমন্ত্রী নোয়াপাড়া থেকে দক্ষিণেশ্বর পর্যন্ত মেট্রো রেলের বর্ধিত শাখা উদ্বোধন করবেন। তিনি এই শাখার মধ্যে প্রথম রেল চলাচলেরও সূচনা করবেন। সম্পূর্ণ কেন্দ্রের অর্থানুকূল্যে ৪৬৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪.১ কিলোমিটার দীর্ঘ এই রেলপথ তৈরি করা হয়েছে। এর ফলে শহরাঞ্চলে যানজট কমবে এবং যান চলাচলের ক্ষেত্রে সুবিধা হবে। এই বর্ধিত অংশে ট্রেন চলাচল করলে কলকাতার দুটি বিখ্যাত কালী মন্দির কালীঘাট এবং দক্ষিণেশ্বরের মধ্যে লক্ষ লক্ষ পর্যটক ও ভক্ত সরাসরি যেতে পারবেন। বরাহনগর এবং দক্ষিণেশ্বর নামে এই দুটি রেল স্টেশনের অত্যাধুনিক যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। স্টেশনগুলিকে ম্যুরাল, ছবি, ভাস্কর্য এবং বিভিন্ন মূর্তি সহযোগে সাজানো হয়েছে।  

        প্রধানমন্ত্রী খড়গপুর-আদিত্যপুরের মধ্যে ১৩২ কিলোমিটার দীর্ঘ দক্ষিণ-পূর্ব রেলের তৃতীয় লাইন প্রকল্পের মধ্যে কলাইকুন্ডা ও ঝাড়গ্রামের ৩০ কিলোমিটার রেল পথের উদ্বোধন করবেন। এটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১ হাজার ৩১২ কোটি টাকা। কলাইকুন্ডা এবং ঝাড়গ্রামের মধ্যে ৪টি স্টেশনে নতুন ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়া ৬টি ফুট ওভারব্রীজ, ১১টি নতুন প্ল্যাটফর্ম নির্মাণ ছাড়াও পরিকাঠামোর উন্নয়ন ঘটানো হয়েছে। এর ফলে হাওড়া-মুম্বাই শাখায় যাত্রীবাহী ও পণ্যবাহী ট্রেন চলাচল আরও বাধাহীনভাবে করা যাবে ।

        প্রধানমন্ত্রী আজিমগঞ্জ থেকে খাগড়াঘাট রোড পর্যন্ত রেলের দ্বিতীয় লাইন জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করবেন। পূর্ব রেলের হাওড়া-ব্যান্ডেল-আজিমগঞ্জ শাখার অন্তর্গত এই অংশটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ২৪০ কোটি টাকা।  

        প্রধানমন্ত্রী হাওড়া-বর্ধমান কর্ড লাইনে ডানকুনি এবং বারুইপাড়ার মধ্যে ১১.২৮ কিলোমিটার দীর্ঘ চতুর্থ লাইন এবং হাওড়া-বর্ধমান মেন লাইনে রসুলপুর ও মগরার মধ্যে ৪২.৪২ কিলোমিটার দীর্ঘ তৃতীয় লাইন জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করবেন। এই দুটি রেল লাইন কলকাতার প্রবেশের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। রসুলপুর ও মগরার মধ্যে তৃতীয় লাইন নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৭৫৯ কোটি টাকা, ডানকুনি ও বারুইপাড়ার মধ্যে চতুর্থ লাইন বসাতে ব্যয় হয়েছে ১৯৫ কোটি টাকা।  

        এই প্রকল্পগুলি ট্রেনের বাধাহীনভাবে পরিচালনা, যাত্রার সময় কমানো এবং সুরক্ষা বৃদ্ধি করবে। এছাড়াও সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের সার্বিক আর্থিক উন্নয়নে সহায়ক হবে।

***

 

 

CG/CB/NS


(Release ID: 1699675) Visitor Counter : 229