প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর

ফিকির ৯৩তম বার্ষিক সাধারণ বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধনী ভাষণ দিয়েছেন


একটি শক্তিশালী ও সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী সরকার সংশ্লিষ্ট সকলকে তাদের সম্ভাবনা উপলব্ধি করতে সাহায্য করে : প্রধানমন্ত্রী

আমাদের শিল্প সংস্থাগুলির সেতুর প্রয়োজন, প্রাচীর নয় : প্রধানমন্ত্রী

সরকার নীতি ও ইচ্ছার মাধ্যমে কৃষকদের কল্যাণের জন্য সম্পূর্ণ অঙ্গীকারবদ্ধ :প্রধানমন্ত্রী

শিল্প সংস্থার প্রধানদের উদ্দেশে গ্রাম ও ছোট শহরে বিনিয়োগের আহ্বান

Posted On: 12 DEC 2020 1:39PM by PIB Kolkata
নয়াদিল্লী, ১২ ডিসেম্বর, ২০২০
 
প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ ফিকির ৯৩তম বার্ষিক সাধারণ সভায় এবং বার্ষিক সম্মেলনে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে স্বাগত ভাষণ দিয়েছেন। ভারতীয় বেসরকারী সংস্থাগুলি দেশের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি আন্তর্জাতিক স্তরে ব্র্যান্ড ইন্ডিয়াকে গড়ে তোলার ক্ষমতা অর্জন করায় প্রধানমন্ত্রী তাদের প্রশংসা করেছেন। প্রতিটি নাগরিকের আত্মনির্ভর ভারতের প্রতি অঙ্গীকার দেশের প্রতি বিশ্বাসের উদাহরণ বলে শ্রী মোদী উল্লেখ করেছেন। 
 
তিনি বলেছেন, একজন আত্মপ্রত্যয়ী মানুষ কখনই জীবন এবং প্রশাসনের নিরিখে অন্যকে জায়গা করে দিতে দ্বিধা করবেন না। বিপুল জনসমর্থনে গঠিত একটি সরকারের সেই প্রত্যয় এবং নিষ্ঠা রয়েছে। একটি সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী সরকার সবসময়ই চাইবে অন্যদের জন্য বিভিন্ন বাধাকে দূর করতে এবং সমাজ ও জাতির জন্য কিছু অবদান রাখতে। এই ধরণের সরকার কখনই নিয়ন্ত্রণ ও উদ্যোগের ওপর কর্তৃত্ব করতে চাইবে না। এই প্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন এমন একটি সময় ছিল যখন সরকার সব ক্ষেত্রে প্রভাব বিস্তার করতো। আর এই মানসিকতার জন্য অর্থনীতি ধ্বংসের দিকে এগিয়ে গেছে। একটি দূরদৃষ্টি সম্পন্ন ও সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী সরকার সংশ্লিষ্ট সকলকে তাদের সম্ভাবনা উপলব্ধি করতে উৎসাহ দেবে। শ্রী মোদী বলেছেন, গত ৬ বছর ধরে সরকার সব পক্ষকে উৎসাহিত করছে। উৎপাদন থেকে অতিক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগ, কৃষি থেকে পরিকাঠামো, প্রযুক্তি নির্ভর শিল্প থেকে কর কাঠামো এবং রিয়েল এস্টেট থেকে নিয়মকানুন শিথিল করা- সব ক্ষেত্রেই সংস্কার আজ অনুভব করা যাচ্ছে।  
 
প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত সকলকে বলেছেন, আমাদের শিল্প জগতের সেতুর প্রয়োজন, প্রাচীর নয়। অর্থনীতির বিভিন্ন ক্ষেত্রে যে পাঁচিলগুলি বিভাজন সৃষ্টি করেছে সেগুলিকে সরিয়ে সকলের জন্য, বিশেষ করে কৃষকদের জন্য সুযোগ করে দিতে হবে। প্রযুক্তি ক্ষেত্রে, হিমঘর এবং কৃষিক্ষেত্রে বিনিয়োগ কৃষকদের সুবিধা করে দেবে। কৃষি, পরিষেবা, উৎপাদন এবং সামাজিক ক্ষেত্রে বিনিয়োগের পরিবেশ গড়ে তোলার জন্য প্রধানমন্ত্রী সংশ্লিষ্ট সকলের উদ্দেশে আহ্বান জানিয়েছেন। ফিকির মতো সংগঠনগুলি এরজন্য সেতুর ভূমিকা পালন করতে পারে এবং উৎসাহ গড়ে তুলতে পারে। স্থানীয় স্তরে সরবরাহ শৃঙ্খলকে শক্তিশালী করে কিভাবে আন্তর্জাতিক সরবরাহ শৃঙ্খলে ভারত তার ভূমিকা বাড়াতে পারে সে বিষয়ে আমাদের একযোগে কাজ করা উচিত। ভারতের বাজারের ও জনশক্তির একযোগে কাজ করার ক্ষমতা রয়েছে বলে প্রধানমন্ত্রী মন্তব্য করেছেন।   
 
শ্রী মোদী , জেএএম (জনধন, আধার ও মোবাইল)౼এই ত্রিশক্তির মাধ্যমে আর্থিক ক্ষেত্রে যুক্ত হওয়ার সাফল্যের উদাহরণ দিয়েছেন। পরিকল্পনা মাফিক সুসংহতভাবে এই সরকার যে সংস্কার হাতে নিয়েছে জেএএম তার সবথেকে ভালো উদাহরণ। আজ বিশ্বের সবথেকে বৃহৎ উদ্যোগ হল সরাসরি সুবিধাভোগীদের কাছে অর্থ প্রদান ব্যবস্থা (ডাইরেক্ট বেনিফিট ট্রান্সফার) প্রশংসিত হয়েছে। মহামারীর সময়েও মাত্র একটি ক্লিকে কোটি কোটি টাকা লেনদেন করা গেছে।  
 
কৃষকদের সাহায্যের জন্য কৃষি ক্ষেত্রে বিভিন্ন উদ্যোগের কথা প্রধানমন্ত্রী বলেছেন। ‘নীতি ও উদ্যোগের মাধ্যমে সরকার কৃষক কল্যাণে অঙ্গীকারবদ্ধ। কৃষি ক্ষেত্রে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির ফলে সরকার কৃষকদের জন্য তাদের উৎপাদিত ফসল যাতে কৃষি বাজারের বাইরে বিক্রি করা যায় এবং বৈদ্যুতিন প্রক্রিয়ায় উৎপাদিত সামগ্রী বিক্রি করার সুযোগ ও কৃষি বাজারগুলির আধুনিকীকরণের বিষয়গুলি উল্লেখ করেছেন।’  
 
শ্রী মোদী বলেছেন, এই উদ্যোগগুলির ফলে কৃষক আরও সমৃদ্ধ হবেন এবং কৃষকের সমৃদ্ধির মধ্যে দিয়ে দেশ সমৃদ্ধ হবে।  
 
প্রধানমন্ত্রী কৃষি ক্ষেত্রে বেসরকারী বিনিয়োগের বিষয়টি উল্লেখ করে বলেছেন, এক্ষেত্রে আরও বিনিয়োগের প্রয়োজন। সরবরাহ শৃঙ্খল, হিমঘর, সার ইত্যাদি ক্ষেত্রে বেসরকারী সংস্থাগুলির উৎসাহ এবং বিনিয়োগ দুয়েরই প্রয়োজন। কৃষি ভিত্তিক গ্রামীণ শিল্পে যথেষ্ট সম্ভাবনা আছে। আর এর জন্য সহযোগী নীতি গ্রহণ করা হয়েছে।  
 
গ্রাম, আধা গ্রাম এবং দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্তরের শহরগুলিতে ইতিবাচক পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী প্রবীণ ব্যবসায়ী এবং শিল্প সংস্থার কর্ণধারদের এই ক্ষেত্রে সুযোগগুলি গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন গ্রামাঞ্চলে এখন শহরের থেকে বেশি মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। ভারতের নতুন উদ্যোগ বা স্টার্টআপ সংস্থাগুলির অর্ধেকের বেশি দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্তরের শহরে গড়ে উঠছে। সর্বসাধারণের জন্য ওয়াইফাই হটস্পটের বিষয়ে পিএম-ওয়ানি প্রকল্প অনুমোদনের কথা তিনি উল্লেখ করেছেন। তিনি গ্রামাঞ্চলে যোগাযোগ ব্যবস্থায় শিল্পোদ্যোগীদের অংশীদারিত্বের আহ্বান জানিয়েছেন। ‘একবিংশ শতাব্দীতে এটি নিশ্চিত যে,  ভারতের উন্নয়নের চালিকাশক্তি হল গ্রাম ও ছোট শহর। আপনাদের মতো শিল্পোদ্যোগীদের গ্রাম ও ছোট শহরে বিনিয়োগ করার সুযোগ হারানো উচিত নয়। আপনাদের বিনিয়োগের মাধ্যমে গ্রামাঞ্চলে এবং কৃষিক্ষেত্রে আমাদের ভাই-বোনেদের জন্য নতুন দরজা খুলে যাবে।’  
 
প্রধানমন্ত্রী শিল্পসংস্থা ও শিল্পোদ্যোগীদের কোভিডের সময়কালে পরিস্থিতির মোকাবিলার জন্য তাদের অবদানের প্রশংসা করেছেন। দেশ মহামারীর সময়ে নাগরিকদের জীবন রক্ষাকেই অগ্রাধিকার দিয়েছে এবং তার সুফলও পাওয়া গেছে। এই পরিস্থিতির প্রাথমিকভাবে যে হারে খারাপ হয়েছিল সেই একই হারে এখন উন্নতি হচ্ছে বলে শ্রী মোদী মন্তব্য করেছেন।    
 
স্বাধীনতা সংগ্রামে ফিকির ভূমিকার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এই সংগঠনের শতবার্ষিকী পালনের বেশি দেরি নেই। তিনি এই সংগঠনের সদস্যদের দেশ গড়ার কাজে আরও উদ্যোগী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। 
 
***
 
 
 
CG/CB/NS


(Release ID: 1680273) Visitor Counter : 191