PIB Headquarters

কোভিড-১৯ সংক্রান্ত পিআইবি’র প্রাত্যহিক সংবাদ

Posted On: 11 NOV 2020 5:52PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ১১ নভেম্বর,  ২০২০

 

ভারত করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে একাধিক অপ্রত্যাশিত সাফল্য পেয়েছে; সুস্পষ্টভাবে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৫ লক্ষের কম; মোট সুস্থতার সংখ্যা ৮০ লক্ষ ছাড়িয়েছে, মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা ১২ কোটির বেশি

বিশ্বব্যাপী মহামারীর বিরুদ্ধে সমবেত লড়াইয়ে ভারত একাধিক সাফল্যের মাইলফলক স্পর্শ করেছে। দেশে ১০৬ দিন পর প্রথমবার সুস্পষ্টভাবে আক্রান্তের সংখ্যা ৫ লক্ষের নিচে নেমে এসেছে। আজ সুস্পষ্টভাবে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪,৯৪,৬৫৭। গত ২৮ জুলাই এই সংখ্যা ৪,৯৬,৯৮৮। সুস্পষ্টভাবে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা লাগাতার কমতে থাকায় মোট আক্রান্তের মধ্যে এখন এই হার দাঁড়িয়েছে ৫.৭৩ শতাংশে। দেশে আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ কমতে থাকার একাধিক ইঙ্গিত মিলেছে। দৈনিক ভিত্তিতে আক্রান্তের সংখ্যা এবং মৃত্যুর সংখ্যা কমছে। বিশ্বে যখন একাধিক দেশে আক্রান্তের সংখ্যায় ক্রমাগত বৃদ্ধি হচ্ছে, ভারতে তখন তা নিয়মিত ভিত্তিতে কমছে। কেন্দ্রীয় সরকারের পাশাপাশি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির সমবেত, সুনির্দিষ্ট কৌশল এবং পর্যায়ক্রমে গৃহীত কার্যকর ব্যবস্থার মাধ্যমে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এই সাফল্য মিলেছে। অবশ্য, এই সাফল্যের পেছনে কোভিড-১৯ সেনানীদের বিশেষ করে, চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরলস সেবা রয়েছে। দেশে ২৭টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে সুস্পষ্টভাবে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ২০ হাজারের কম। কেবল আটটি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে সুস্পষ্টভাবে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ২০ হাজারের বেশি। মহারাষ্ট্র ও কেরল – এই দুটি রাজ্যে এখনও সুস্পষ্টভাবে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৫০ হাজারের বেশি। দেশে গত ২৪ ঘন্টায় ৪৪,২৮১ জন নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। অন্যদিকে, আরোগ্য লাভ করেছেন ৫০,৩২৬ জন। এই নিয়ে পরপর ৩৯ দিন দৈনিক আক্রান্তের তুলনায় সুস্থতার সংখ্যা বেশি। মোট সুস্থতার সংখ্যা এবং মোট সুস্পষ্টভাবে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যার মধ্যে ফারাক ক্রমাগত বাড়তে থাকার ফলেও আরোগ্য লাভের সংখ্যা ক্রমশ বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশে মোট সুস্থতার সংখ্যা ৮০ লক্ষের সীমা ছাড়িয়েছে। আজ এই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮০,১৩,৭৮৩। একইভাবে সুস্থতা এবং সুস্পষ্টভাবে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যার মধ্যে ফারাক আরও বেড়ে হয়েছে ৭৫,১৯,১২৬। দেশে সুস্থতার হার বেড়ে হয়েছে ৯২.৭৯ শতাংশ। আরও একটি মাইলফলক হিসেবে ভারতে মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা ১২ কোটি ছাড়িয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় ১১,৫৩,২৯৪টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। দেশে নমুনা পরীক্ষার পরিকাঠামোয় অপ্রত্যাশিত অগ্রগতির ফলে দৈনিক ভিত্তিতে আক্রান্তের সংখ্যা হ্রাস পাচ্ছে। দেশে দৈনিক ভিত্তিতে আক্রান্তের সংখ্যা ৫০ হাজারের কম। ১০টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে সদ্য আরোগ্য লাভকারীদের ৭৭ শতাংশই রয়েছেন। মহারাষ্ট্র থেকে একদিনেই সর্বাধিক ৬,৭১৮ জন আরোগ্য লাভ করেছেন। অন্যদিকে, কেরলে আরোগ্য লাভের সংখ্যা ৬,৬৯৮। দিল্লিতে এই সংখ্যা ৬,১৫৭। সদ্য আক্রান্তদের ৭৮ শতাংশই ১০টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল থেকে। দিল্লি থেকে একদিনেই সর্বাধিক ৭,৮৩০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। কেরল থেকে আক্রান্তের সংখ্যা ৬,০১০। দেশে গত ২৪ ঘন্টায় ১০টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল থেকে ৭৯ শতাংশের করোনাজনিত কারণে মৃত্যু হয়েছে। আলোচ্য সময়ে সারা দেশে করোনায় মারা গেছেন ৫১২ জন। করোনায় মৃত্যু হার আরও কমে হয়েছে ১.৪৮ শতাংশ, যা ক্রমশ নিম্নমুখী। মহারাষ্ট্র থেকেই একদিনে সর্বাধিক ১১০ জনের করোনায় মৃত্যুর খবর মিলেছে। দিল্লি থেকে মারা গেছেন ৮৩ জন এবং পশ্চিমবঙ্গ থেকে ৫৩ জন।

বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1671857  – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।

 

ডাঃ হর্ষবর্ধন ৭টি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, স্বাস্থ্য মন্ত্রী ও উচ্চ পদস্থ রাজ্য আধিকারিকদের সঙ্গে কোভিড-১৯ পরিস্থিতি তথা জনস্বাস্থ্যমূলক গৃহীত ব্যবস্থা পর্যালোচনা করেছেন

 

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডাঃ হর্ষবর্ধন আজ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ৭টি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, স্বাস্থ্য মন্ত্রী, প্রধান সচিব/অতিরিক্ত মুখ্যসচিবদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এই রাজ্যগুলি হ’ল – মহারাষ্ট্র, উত্তরাখন্ড, মণিপুর, মিজোরাম, ত্রিপুরা, মেঘালয় এবং গোয়া। এই রাজ্যগুলির কোভিড পরিস্থিতি পর্যালোচনার সময় ডাঃ হর্ষ বর্ধন বলেন, মহারাষ্ট্রে সুস্পষ্টভাবে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা হ্রাস পেলেও রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা তুলনামূলক বেশি এবং করোনাজনিত কারণে মৃত্যু হার ২.৬ শতাংশ। গোয়ার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে ডাঃ হর্ষবর্ধন বলেন, এই রাজ্যটিতে গত এক মাসেই মোট মৃত্যুর প্রায় ৪০ শতাংশের করোনাজনিত কারণে মৃত্যু হয়েছে। এদিকে মিজোরামের আইজলে আক্রান্তের সংখ্যা পুনরায় বাড়ছে বলে উল্লেখ করে ডাঃ হর্ষবর্ধন জানান, ত্রিপুরা ও মেঘালয়েও আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে বলে লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এই প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রীর জনআন্দোলনের গুরুত্ব বিশেষভাবে তুলে ধরেন। ডাঃ হর্ষবর্ধন বলেন, কোভিড আদর্শ আচরণই এখন সবচেয়ে কার্যকর সামাজিক উপশম। 

 

বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1671928  – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।

 

ব্রিকস্‌ দেশগুলির স্বাস্থ্য মন্ত্রীদের করোনার বিরুদ্ধে ভারতের লড়াইয়ের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেছেন ডাঃ হর্ষবর্ধন

 

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডাঃ হর্ষবর্ধন আজ ব্রিকস্‌ দেশগুলির স্বাস্থ্য মন্ত্রীদের সম্মেলনে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যোগ দেন। তিনি বলেন, কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে আমাদের অভিনব রণকৌশলের পেছনে রয়েছে সর্বজনীন, সুলভ, সুসামঞ্জস্যপূর্ণ এবং সহজেই স্বাস্থ্য পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার মতো উদ্যোগ। তিনি আরও জানান, ভারত এই মারণ ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে শুরু থেকেই অতিসক্রিয়, সুচিন্তিত ও ধারাবাহিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে, যাতে সন্দেহজনক ব্যক্তিদের দ্রুত নমুনা পরীক্ষা, প্রয়োজনে তাঁদের আইসোলেশন এবং সঠিক চিকিৎসা পরিষেবা পৌঁছে দিয়ে করোনা মহামারী প্রতিহত করা যায়। ভারত তার বিপুল জনসংখ্যার বিষয়টিকে বিবেচনায় রেখে প্রয়োজনীয় প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। 

 

বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1671948  – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।

 

প্রধানমন্ত্রী ১৩ নভেম্বর জামনগর এবং জয়পুরে দুটি অত্যাধুনিক আয়ুর্বেদিক প্রতিষ্ঠানের উদ্বোধন করবেন

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী পঞ্চম আয়ুর্বেদ দিবসে জামনগরে ইনস্টিটিউট অফ টিচিং অ্যান্ড রিসার্চ (আইটিআরএ) এবং জয়পুরের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ আয়ুর্বেদ (এনআইএ)-এর ১৩ই নভেম্বর ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধন করবেন। এই দুটি প্রতিষ্ঠান একবিংশ শতাব্দীতে আয়ুর্বেদের উন্নয়নে আন্তর্জাতিক স্তরে নেতৃত্বদান করবে। প্রেক্ষাপট : ধন্বন্তরি জয়ন্তীতে ২০১৬ সাল থেকে প্রতি বছর আয়ুর্বেদ দিবস উদযাপিত হচ্ছে। এ বছর ১৩ই নভেম্বর এই দিনটি পালন করা হবে। আয়ুর্বেদ দিবসের মাধ্যমে এই পেশার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন এবং সমাজে এর গুরুত্বের কথাই খালি বোঝানো হয় না, উৎসব উদযাপনের আবহেও এই দিনটি পালনের প্রয়োজনীয়তা বোঝানো হয়। আয়ুর্বেদের কোভিড-১৯ মহামারীর প্রেক্ষিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাকে এ বছরের আয়ুর্বেদ দিবসে মূল ভাবনা হিসেবে রাখা হয়েছে। আয়ুষ ব্যবস্থার বিপুল যে সম্ভাবনাকে এখনও স্বাস্থ্য পরিষেবা কাজে লাগানো হয়নি, সেগুলি ভারতের জনস্বাস্থ্যের বিভিন্ন সমস্যার মোকাবিলায় যথাযথ এবং ব্যয়সাশ্রয়ী পদ্ধতিতে কাজে লাগানোই সরকারের মূল উদ্দেশ্য। একইসঙ্গে, আয়ুষ শিক্ষার আধুনিকীকরণের ওপরেও জোর দেওয়া হচ্ছে। বিগত ৩-৪ বছর ধরে এর জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। জামনগরের আইটিআরএ-কে একটি জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান এবং জয়পুরের এনআইএ-কে একটি ডিমড ইউনিভার্সিটি হিসেবে গড়ে তোলার মধ্য দিয়ে দেশে আয়ুর্বেদের গুরুত্ব বোঝানো হচ্ছে। এর ফলে, আয়ুর্বেদ শিক্ষার আধুনিকীকরণ সুনিশ্চিত হবে এবং চিরায়ত চিকিৎসা ব্যবস্থারও মানোন্নয়ন ঘটানো হবে। এর মাধ্যমে আয়ুর্বেদ শিক্ষা, বিভিন্ন পাঠক্রম তৈরি জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক অনুসারে করা হবে যার ফলে, আধুনিক পদ্ধতিতে গবেষণার সুযোগ তৈরি হবে।

বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1671893  – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।

আত্মনির্ভর ভারতের লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা ১০টি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রের উৎপাদন ক্ষমতা ও রপ্তানি বাড়ানোর জন্য পিএলআই প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর পৌরোহিত্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে আত্মনির্ভর ভারতের জন্য দেশের ১০টি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে উৎপাদন ক্ষমতা ও রপ্তানি বাড়ানোর জন্য উৎপাদন-ভিত্তিক উৎসাহ ব্যবস্থা (প্রোডাকশন লিঙ্কড ইনসেনটিভ – পিএলআই) প্রকল্পকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। নীতি আয়োগ এবং ভারী শিল্প দপ্তর অ্যাডভান্সড কেমিস্ট্রি সেল ব্যাটারি তৈরিতে, বৈদ্যুতিন ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রক বৈদ্যুতিন ও প্রযুক্তিগত সামগ্রী তৈরিতে, ভারী শিল্প দপ্তর অটোমোবাইল এবং স্বয়ংক্রিয় যন্ত্রপাতি তৈরিতে, ফার্মাসিউটিক্যালস দপ্তর বিভিন্ন ওষুধ তৈরিতে, টেলিকম দপ্তর টেলিকম এবং নেটওয়ার্কিং-এর সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী উৎপাদনে, বস্ত্র মন্ত্রক এমএমএফ এবং কারিগরি ক্ষেত্রে ব্যবহৃত বস্ত্র সহ বিভিন্ন বস্ত্রসামগ্রী উৎপাদনে, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প মন্ত্রক খাদ্যদ্রব্য উৎপাদনে, নতুন ও পুনর্নবীকরণযোগ্য জ্বালানি মন্ত্রক উচ্চক্ষমতাশীল সৌর ফটোভোল্টিক মডিউল তৈরিতে, শিল্প ও অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য উৎসাহ দপ্তর শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র এবং এলইডি বাল্ব তৈরিতে, ইস্পাত মন্ত্রক বিশেষ ধরনের ইস্পাত তৈরিতে উৎসাহ দেবে। এর জন্য পাঁচ বছর সময়ে মোট ১,৪৫,৯৮০ কোটি টাকার সংস্থান রাখা হয়েছে। পিআইএল প্রকল্পগুলি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রক ও দপ্তরগুলি রূপায়িত করবে এবং এগুলি নির্ধারিত আর্থিক পরিমাণের মধ্যেই বাস্তবায়িত হবে। চূড়ান্ত প্রস্তাবগুলি আর্থিক ব্যয় সংক্রান্ত কমিটিকে জানাতে হবে এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা সেগুলিকে অনুমোদন করবে। যদি দেখা যায় একটি পিএলআই প্রকল্পের অর্থ বাঁচানো গেছে, তাহলে সেটি বিশেষ ক্ষমতাশীল সচিব গোষ্ঠী অনুমতি সাপেক্ষে অন্য ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারে। তবে, যে কোনও নতুন ক্ষেত্রের বিষয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার থেকে নতুন করে অনুমোদনের প্রয়োজন রয়েছে। উপরে উল্লিখিত ১০টি মূল ক্ষেত্রে এই পিএলআই প্রকল্পগুলি ভারতীয় উৎপাদকদের আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণে যোগ্য করে তুলতে পারবে। এ ছাড়াও এই ক্ষেত্রগুলিতে বিনিয়োগ আকর্ষণ করা, অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করা, রপ্তানি বাড়ানো এবং আন্তর্জাতিক স্তরে সরবরাহ শৃঙ্খলে যুক্ত হওয়া নিশ্চিত করা হবে। অ্যাডভান্সড কেমিস্ট্রি সেল (এসিসি) ব্যাটারির একবিংশ শতাব্দীতে যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে। বৈদ্যুতিন বিভিন্ন সামগ্রী, বৈদ্যুতিক যানবাহন এবং পুনর্নবীকরণযোগ্য জ্বালানির ক্ষেত্রে এই ব্যাটারি ব্যবহার করা হয়। এসিসি ব্যাটারির জন্য পিএলআই প্রকল্পটি দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলিকে দেশে উৎপাদন কেন্দ্র গড়ে তুলতে উৎসাহ যোগাবে। ২০২৫ সালের মধ্যে ভারতে ১ লক্ষ কোটি মার্কিন ডলারের সমতুল ডিজিটাল অর্থনীতি গড়ে তোলার পরিকল্পনা করা হয়েছে। সরকার এর জন্য ডেটা লোকালাইজেশন, ইন্টারনেটের ব্যবহার, স্মার্ট সিটি এবং ডিজিটাল ইন্ডিয়ার মতো নানা উদ্যোগ নিয়েছে। এর ফলে, বৈদ্যুতিন সামগ্রীর চাহিদা বৃদ্ধি পাবে। এই পিএলআই প্রকল্পে ভারতে বৈদ্যুতিন সামগ্রী উৎপাদনও এর ফলে বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1671912  – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।

পরিকাঠামো ক্ষেত্রে সম্ভাব্য তহবিল ঘাটতি মেটাতে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বকে আর্থিক সহায়তা দিতে সংশ্লিষ্ট কর্মসূচিটি চালিয়ে যাওয়ার এবং তাতে প্রয়োজনীয় পুনর্গঠনের প্রস্তাবে মন্ত্রিসভার অনুমোদন

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর পৌরহিত্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার অর্থনৈতিক বিষয়ক সংক্রান্ত কমিটি ২০২৪-২৫ পর্যন্ত পরিকাঠামো ক্ষেত্রে সম্ভাব্য তহবিল ঘাটতি মেটাতে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বকে আর্থিক সহায়তা দিতে সংশ্লিষ্ট কর্মসূচিটি চালিয়ে যাওয়ার ও তাতে প্রয়োজনীয় পুনর্গঠনের একটি প্রস্তাব আজ অনুমোদিত হয়েছে। এই কর্মসূচিটি ২০২৪-২৫ পর্যন্ত রূপায়ণের জন্য সরকারের ৮ হাজার ১০০ কোটি টাকা খরচ ধরা হয়েছে। পুনর্গঠিত এই কর্মসূচিটিতে দুটি সাব-স্কিম রয়েছে, যেখানে সামাজিক পরিকাঠামো ক্ষেত্রে বেসরকারি অংশগ্রহণকে আরও সুবিন্যস্ত করার ওপর অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। প্রথম সাব-স্কিম : এই কর্মসূচিটি বিভিন্ন সামাজিক ক্ষেত্র, যেমন – বর্জ্য জল পরিশোধন, জল সরবরাহ, কঠিন বর্জ্য পরিচালনা, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা ক্ষেত্রের পরিকাঠামোর বিষয়ের সঙ্গে যুক্ত। অধিকাংশ সময়েই সামাজিক ক্ষেত্রের এই পরিকাঠামোগত উদ্যোগগুলিতে সহজে ব্যাঙ্ক ঋণ সহায়তা মেলে না এবং মূলধন খরচ মেটানোর ক্ষেত্রেও আয়ের উৎস খুবই দুর্বল। এই কারণে সামাজিক ক্ষেত্রের পরিকাঠামোর সঙ্গে যুক্ত প্রকল্পগুলিকে প্রথম সাব-স্কিমের আওতায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যাতে এই উদ্যোগগুলি রূপায়ণ খাতে মোট খরচের ১০০ শতাংশই পুনরুদ্ধার করা যায়। কেন্দ্রীয় সরকার এজন্য মোট প্রকল্প খাতে খরচের ৩০ শতাংশ সম্ভাব্য তহবিল ঘাটতি মেটাতে এবং রাজ্য সরকার বা সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রীয় মন্ত্রক অথবা বিধিবদ্ধ সংস্থাগুলি মোট প্রকল্প খাতে খরচের অতিরিক্ত ৩০ শতাংশ অর্থ সহায়তা দিয়ে থাকে। দ্বিতীয় সাব-স্কিম : এই কর্মসূচিতে পরীক্ষামূলকভাবে যে সমস্ত সামাজিক ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়, তাতে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়ে থাকে। স্বাস্থ্য ও শিক্ষা ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত কর্মসূচিগুলিকে এজন্য চিহ্নিত করা যেতে পারে। এ ধরনের কর্মসূচি রূপায়ণ খাতে মোট খরচের ৫০ শতাংশ পর্যন্ত আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়। এমনকি, কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্য সরকারগুলি একত্রে এ ধরনের প্রকল্পের ৮০ শতাংশ পর্যন্ত মূলধনী ব্যয় মিটিয়ে থাকে। এছাড়াও, প্রকল্প রূপায়ণের পর থেকে প্রথম ৫ বছর তার সুষ্ঠু পরিচালনা ও রক্ষণা-বেক্ষণ খাতে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত অর্থ সহায়তার সংস্থান রয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার প্রকল্প খাতে মোট খরচের সর্বোচ্চ ৪০ শতাংশ ব্যয় বহন করে। এছাড়াও, সংশ্লিষ্ট কর্মসূচিটি পুরোদমে চালু না হওয়া পর্যন্ত প্রথম ৫ বছর পরিচালনার জন্য সর্বাধিক আরও ২৫ শতাংশ আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়ে থাকে। 

 

বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1671910  – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।

সাংহাই সহযোগিতা সংগঠন পরিষদের রাষ্ট্রপ্রধানদের ২০তম সম্মেলন

সাংহাই সহযোগিতা সংগঠন পরিষদের রাষ্ট্রপ্রধানদের ২০তম সম্মেলন ১০ই নভেম্বর ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হয়েছে। রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি মিঃ ভ্লাদিমির পুতিন এই সম্মেলনে পৌরহিত্য করছেন। প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ভারতীয় প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিয়েছেন। ভারত এবং পাকিস্তানের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব সেদেশের প্রধানমন্ত্রীরা দিলেও সাংহাই সংযোগিতা সংগঠনের (এসসিও) বাকি সদস্য রাষ্ট্রগুলির প্রতিনিধিদের নেতৃত্ব দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট দেশের রাষ্ট্রপতিরা। এই সম্মেলনে এসসিও সচিবালয়ের মহাসচিব, এসসিও অঞ্চলের জঙ্গী বিরোধী গোষ্ঠীর এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর, এই গোষ্ঠীর চার পর্যবেক্ষক রাষ্ট্র- আফগানিস্তান, বেলারুশ, ইরান ও মঙ্গোলিয়ার রাষ্ট্রপতিরাও এই সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন। ভার্চুয়ালি এসসিও-র শীর্ষ বৈঠক এই প্রথম অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২০১৭ সালে ভারত এই গোষ্ঠীর পূর্ণ সদস্য হওয়ার পর তৃতীয় এ ধরণের বৈঠকে যোগ দিয়েছে। কোভিড-১৯ মহামারীর ফলে উদ্ভুত চ্যালেঞ্জ এবং সমস্যার মধ্যেও এ ধরণের বৈঠকের আয়োজন করায় প্রধানমন্ত্রী, রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি মিঃ পুতিন সহ এসসিও নেতৃবৃন্দকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে মহামারীর পরবর্তী সময়ে সামাজিক ও আর্থিক ক্ষেত্রে বিশ্বজুড়ে যে সংকট দেখা দিয়েছে তার থেকে বেরিয়ে আসার জন্য সংস্কারমুখী বহুস্তরীয় ব্যবস্থার বাধ্যবাধকতার দিকটি উল্লেখ করেছেন। রাষ্ট্রসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য হিসেবে ভারত ২০২১এর পয়লা জানুয়ারি থেকে তার কাজ শুরু করবে। এই সময়ে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে প্রশাসনিক বিষয়ে বহুস্তরীয় ব্যবস্থার সংস্কারের ওপর যে পরিবর্তনগুলি আনা প্রয়োজন সেদিকে গুরুত্ব দেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী আঞ্চলিক শান্তি, নিরাপত্তা, সমৃদ্ধি, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া, অবৈধ অস্ত্র ও ওষুধের চোরাচালান এবং অর্থ তছরুপের ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রে ভারতের দৃঢ় অঙ্গীকার আবারও জানিয়েছেন। তিনি তাঁর ভাষণে উল্লেখ করেছেন রাষ্ট্রসংঘের শান্তিরক্ষা বাহিনীর প্রায় ৫০টি মিশনে ভারতীয় সাহসী সৈন্যরা অংশগ্রহণ করেছেন। মহামারীর এই সময়ে ভারতীয় ওষুধ কোম্পানীগুলি ১৫০টির বেশি রাষ্ট্রে অত্যাবশ্যক ওষুধ সরবরাহ করেছে।

বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1671756  – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।

 

কোভিড মহামারীর সময় প্রশংসনীয় কাজের জন্য শ্রী গাঙ্গোয়ার মুখ্য শ্রম কমিশনার, ইপিএফও এবং ইএসআইসি-র আধিকারিক এবং আঞ্চলিক কার্যলয়গুলিকে অভিনন্দন জানিয়েছেন

কেন্দ্রীয় শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রক আজ কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রশংসনীয় কাজের স্বীকৃতি-স্বরূপ মুখ্য শ্রম কমিশনারের কার্যালয়, কর্মচারী ভবিষ্যনিধি কর্মচারী সংগঠন এবং কর্মচারী রাজ্য বিমা নিগমের আধিকারিকদের সম্মান জানাতে এক বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এই উপলক্ষে বিভাগীয় প্রতিমন্ত্রী শ্রী সন্তোষ কুমার গাঙ্গোয়ার আধিকারিক তথা আঞ্চলিক কার্যালয়গুলির কাজকর্ম সম্পাদনে উচ্চ পেশাদারিত্ব তথা আন্তরিকতার স্বীকৃতি-স্বরূপ শংসাপত্র প্রদান করেন। শ্রী গাঙ্গোয়ার বলেন, শ্রমিক শ্রেণী ও শিল্প সংস্থাগুলির স্বার্থে তাঁর মন্ত্রক একাধিক ঐতিহাসিক পদক্ষেপ নিয়েছে। ইএসআইসি-র ২৩টি হাসপাতালকে কোভিড-১৯ হাসপাতাল হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে বলে উল্লেখ করে শ্রী গাঙ্গোয়ার জানান, এই হাসপাতালগুলিতে ২ হাজার ৬০০-র মতো আইসোলেশন বেড, ৫৫০টিরও বেশি আইসিইউ বেড এবং ২১৩টিরও বেশি ভেন্টিলেটরের সুবিধা রয়েছে। এছাড়াও, ইপিএফও কোভিড-১৯ এর সময় ৪৭ লক্ষেরও বেশি কোভিড দাবি-দাওয়া সম্পর্কিত ১২ হাজার কোটি টাকার প্রাপ্য অর্থ মিটিয়েছে। 

বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1671901  – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।

 

সরকার পেনশন-প্রাপকদের আত্মনির্ভর করে তুলতে সাহায্য করছে : ডঃ জিতেন্দ্র সিং

কেন্দ্রীয় কর্মচারী, গণঅভিযোগ ও পেনশন বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ডঃ জিতেন্দ্র সিং বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর সুদক্ষ নেতৃত্বে পেনশন ও পেনশন-প্রাপক কল্যাণ দপ্তর ডিজিটাল পদ্ধতিতে জীবন শংসাপত্র সংগ্রহ ও জমা করার সুবিধা প্রদান করে পেনশন-প্রাপকদের আত্মনির্ভর করে তোলার চেষ্টা করছে। আগে কোভিড-১৯ মহামারীর দরুণ পেনশন-প্রাপকদের জীবন শংসাপত্র জমা করার ক্ষেত্রে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে। এই প্রেক্ষিতে সরকার পেনশন-প্রাপকদের সুবিধার্থে জীবন শংসাপত্র জমা করার সময়সীমা পয়লা নভেম্বর থেকে বাড়িয়ে আগামী ৩১শে ডিসেম্বর পর্যন্ত করেছে। কোভিড মহামারী সময়কালে আত্মচিন্তন ও ধ্যানের শক্তি শীর্ষক ব্রহ্মকুমারী সিস্টার শিবানী আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় অংশ নিয়ে ডঃ জিতেন্দ্র সিং আরও বলেন, কোভিড মহামারীর প্রেক্ষিতে প্রবীণ নাগরিক হিসাবে পেনশন-প্রাপকরাই সবচেয়ে বেশি অসুরক্ষিত। তাই, এদের জন্য সাহায্য ও করুণার প্রয়োজন, যাতে তাঁদের মানসিক চাপ দূর করে শারীরিক দিক থেকেও সুস্থ সবল রাখা যায়। ব্রহ্মকুমারী সিস্টার শিবানীর অভিনব প্রয়াসের প্রশংসা করে ডঃ সিং আরও বলেন, সমাজকে দেওয়ার মতো অনেক কিছুই প্রবীণ নাগরিকদের কাছে রয়েছে। তাই, তাঁদের মূল্যবান অভিজ্ঞতা ও জ্ঞান সমাজে পরিবর্তন নিয়ে আসতে পারে। এজন্যই তাঁদেরকে শারীরিক ও মানসিক দিক থেকে সুস্থ-সবল রাখা আমাদের কর্তব্য। 

বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1671733  – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।

 

ভারতীয় রেল তার স্বাস্থ্য পরিষেবা কেন্দ্রগুলিতে হসপিটাল ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম (এইচএমআইএস) রূপায়ণে রেলটেল সংস্থাকে যুক্ত করেছে

ভারতীয় রেল তার স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিতে ভুয়ো রোগীর চিকিৎসা এড়াতে এবং সমগ্র চিকিৎসা পরিষেবা ব্যবস্থাকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য একক কৌশলগত কাঠামো হিসাবে হসপিটাল ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম বা এইচএমআইএস রূপায়ণের জন্য রেলটেল সংস্থাকে দায়িত্ব দিয়েছে। এইচএমআইএস হ’ল এমন এক সুসংবদ্ধ চিকিৎসা সংক্রান্ত তথ্য বিনিময় ব্যবস্থা, যার সাহায্যে রেলেরর অধীন ১২৫টি স্বাস্থ্য কেন্দ্র এবং ৬৫০টি রোগ-নির্ণয় কেন্দ্রে প্রশাসনিক ব্যবস্থা তথা রোগীদের স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদান সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করা সম্ভব হবে। রেলের হাসপাতাল এবং রোগ-নির্ণয় কেন্দ্রগুলিতে এই আধুনিক ব্যবস্থা রূপায়ণের জন্য রেলটেল এবং রেল মন্ত্রকের মধ্যে সমঝোতাপত্র স্বাক্ষরিত হয়েছে। হসপিটাল ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম সংক্রান্ত সফটওয়্যারটি একটি কেন্দ্রীয় পরিচালনা ব্যবস্থার মাধ্যমে কার্যকর করা হবে। এই উপলক্ষে ভারতীয় রেল বোর্ডের চেয়ারম্যান শ্রী ভি কে যাদব বলেন, রেল সব ক্ষেত্রেই ডিজিটাইজেশনের মধ্যে অগ্রসর হচ্ছে এবং সবক্ষেত্রেই পরিবর্তন নিয়ে আসার কাজ চলছে। তিনি জানান, হসপিটাল ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম প্ল্যাটফর্মটির সঙ্গে এক অভিনব চিকিৎসা সংক্রান্ত পরিচিতি যাচাই ব্যবস্থার যোগসূত্র গড়ে তোলা হবে, যাতে সহজে রেলের হাসপাতাল বা রোগ-নির্ণয় কেন্দ্রগুলিতে বৈধ রোগীদের চিহ্নিতকরণের কাজ সহজ হবে।

বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1671711  – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।

 

 

 

 

 

 

 

পিআইবি’র আঞ্চলিক কার্যালয় থেকে প্রাপ্ত তথ্য 

 

• আসাম : রাজ্যে গত ২৪ ঘন্টায় আরও ২৭১ জনের করোনায় সংক্রমিত হওয়ার খবর মিলেছে। রাজ্যে করোনায় আক্রান্তের হার ১.০৭ শতাংশ।

 

• মহারাষ্ট্র : রাজ্যে মঙ্গলবার আরও ৩ হাজার ৭৯১ জনের সংক্রমিত হওয়ার খবর মেলায় আক্রান্তের সংখ্যা ১৭ লক্ষ ছাড়িয়েছে। অধিক সংখ্যায় আরোগ্য লাভের ফলে সুস্পষ্টভাবে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১ লক্ষেরও নীচে নেমে এসেছে। 

 

• গুজরাট : রাজ্য সরকার আগামী ২৩শে নভেম্বর থেকে স্কুল-কলেজগুলি খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আজ গান্ধীনগরে মুখ্যমন্ত্রীর পৌরহিত্যে রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়। 

 

• রাজস্থান : রাজ্যে মঙ্গলবার আরও ১ হাজার ৯০২ জনের করোনায় সংক্রমিত হওয়ার খবর মিলেছে। স্বাস্থ্য দপ্তরের বুলেটিন অনুযায়ী, রাজ্যে করোনাজনিত কারণে মৃত্যু হয়েছে ২ হাজার ৮ জনের। সুস্পষ্টভাবে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১৬ হাজার ৭২৫।

 

• মধ্যপ্রদেশ : রাজ্যে মঙ্গলবার আরও ৯০০ জনের করোনায় সংক্রমিত হওয়ার খবর মেলায় আক্রান্তের সংখ্যা ১ লক্ষ ৭৯ হাজার ছাড়িয়েছে। করোনাজনিত কারণে মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজার ৪২ জনের। 

 

• ছত্তিশগড় : রাজ্যে কোভিড-১৯ এ মঙ্গলবার আরও ১ হাজার ৬৭৯ জনের সংক্রমিত হওয়ার খবর মেলায় আক্রান্তের সংখ্যা ২ লক্ষ ৪ হাজার ছাড়িয়েছে। সুস্থ হয়েছেন ১ লক্ষ ৮০ হাজারেরও বেশি। এখনও পর্যন্ত করোনাজনিত কারণে মৃত্যু হয়েছে ২ হাজার ৪৮২ জনের। 

 

• কেরল : রাজ্য মন্ত্রিসভা আজ কেরল পঞ্চায়েতি রাজ আইন এবং মিউনিসিপালিটি আইন সংশোধনে একটি প্রস্তাব পাশ করেছে। তবে, রাজ্য সরকার কলেজগুলি খোলার ব্যাপারে এখনও কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি। কোভিড বিশেষজ্ঞ কমিটি এবং রাজ্য বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমতি পাওয়ার পর কলেজগুলি খোলার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হবে।

 

• তামিলনাডু : বিবেকানন্দ রক, থিরুভাল্লুভার মূর্তি পর্যটকদের জন্য পুনরায় খুলে দেওয়া হবে। এদিকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী আজ জানিয়েছেন, সংক্রমিত ব্যক্তিদের রাজ্যে প্রবেশের ক্ষেত্রে কড়া নজরদারি চালানো হবে। 

 

• কর্ণাটক : রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে আজ কর্ণাটক হাইকোর্টে লকডাউনের সময় খাদ্য সুরক্ষা আইন অনুযায়ী, ছাত্রছাত্রীদের খাদ্য সরবরাহ না করা সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো হয়েছে। এদিকে রাজ্য সরকারের কাছে পয়লা ডিসেম্বর থেকে বিদ্যালয়গুলি পুনরায় খোলার ব্যাপারে প্রস্তাব জমা পড়েছে। 

 

• অন্ধ্রপ্রদেশ : আইআইটি তিরুপতি পুনর্ব্যবহারযোগ্য এন-৯৫ সমতুল মাস্ক যৌথভাবে উৎপাদনের জন্য অমরা রাজা গ্রুপের সঙ্গে অংশীদারিত্ব গড়ে তুলেছে। এইদিকে প্রকাশম জেলায় বিদ্যালয়গুলিতে করোনা সংক্রমণের ঘটনা অব্যাহত রয়েছে।এদিকে রাজ্যে জেড পি উচ্চ বিদ্যালয়ের আরও ৯ জন পড়ুয়া করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এদের সকলকেই হোম আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। 

 

• তেলেঙ্গানা : রাজ্যে গত ২৪ ঘন্টায় আরও ১ হাজার ১৯৬ জনের সংক্রমিত হওয়ার খবর মেলায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ২ লক্ষ ৫৩ হাজার ছাড়িয়েছে। সুস্থ হয়েছেন ২ লক্ষ ৩৪ হাজারেরও বেশি। সুস্পষ্টভাবে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১৮ হাজার ২৭। রাজ্যে করোনাজনিত কারণে মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ৩৯০ জনের। 

***

 

CG/BD/SB



(Release ID: 1672105) Visitor Counter : 139