PIB Headquarters

কোভিড-১৯ সংক্রান্ত পিআইবি’র প্রাত্যহিক সংবাদ

Posted On: 02 NOV 2020 5:52PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ০২ নভেম্বর, ২০২০



৭৫ লক্ষেরও বেশি মানুষের আরোগ্যলাভের ফলে বিশ্ব ক্রমতালিকায় ভারতের অগ্রণী স্থান অব্যাহত রয়েছে; দেশে গত ২ মাসে সুস্পষ্টভাবে করোনায় আক্রান্তের হার তিন গুণেরও বেশি কমেছে; ভারতে ১১ কোটির বেশি নমুনা পরীক্ষার মাইল ফলক অর্জিত
সর্বাধিক সংখ্যায় আরোগ্যলাভের দিক থেকে বিশ্বে ভারতের অগ্রণী স্থান অক্ষুণ্ণ রয়েছে। দেশে আজ পর্যন্ত মোট সুস্থতার সংখ্যা ৭৫ লক্ষ ৪৪ হাজার ৭৯৮। দেশে গত ২৪ ঘন্টায় আরোগ্যলাভ করেছেন ৫৩ হাজার ২৮৫ জন। সুস্পষ্টভাবে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ কমছে। দেশে এখনও পর্যন্ত এই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ লক্ষ ৬১ হাজার ৯০৮। মোট আক্রান্তের তুলনায় কেবল সুস্পষ্টভাবে করোনায় হার ৬.৮৩ শতাংশ। কেবল দুই মাসের মধ্যে সুস্পষ্টভাবে করোনায় আক্রান্তের হার তিন গুণেরও বেশি কমেছে। গত তেসরা সেপ্টেম্বর এই হার ছিল ২১.১৬ শতাংশ। ভারতে গত জানুয়ারি থেকে কোভিড-১৯-এ আক্রান্তের সংখ্যা অপ্রত্যাশিতভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। একই সঙ্গে আগাম রোগ চিহ্নিতকরণ এবং উপযুক্ত চিকিৎসা পরিষেবা প্রদানের জন্য নমুনা পরীক্ষাগারের পরিকাঠামোয় প্রসার ঘটানো হয়েছে। আজ পর্যন্ত দেশে মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা ১১ কোটি ৭ লক্ষ ৪৩ হাজার ১০৩। ভারতের নমুনা পরীক্ষা ক্ষেত্রের সক্ষমতা জানুয়ারির গোড়ায় যা ছিল তার তুলনায় এখন কয়েক গুণ বেড়েছে। সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে দেশে নমুনা পরীক্ষাগারের সংখ্যা ২,০৩৭। দেশে সুস্থতার সংখ্যা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাওয়ায় জাতীয় স্তরে আরোগ্যলাভের হার আরও বেড়ে হয়েছে ৯১.৬৮ শতাংশ। সদ্য আরোগ্যলাভকারীদের মধ্যে ৭৮ শতাংশই ১০টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল থেকে। কেরালা ও কর্ণাটক থেকে সর্বাধিক ৮,০০০-এর বেশি করোনা রোগী আরোগ্যলাভ করেছেন। দিল্লি ও পশ্চিমবঙ্গ থেকে আরোগ্যলাভ করেছেন ৪,০০০ জনের বেশি করে। দেশে গত ২৪ ঘন্টায় আরও ৪৫,৩২১ জন নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে ৮০ শতাংশই আক্রান্ত হয়েছেন ১০টি রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল থেকে। কেরালা থেকে সর্বাধিক ৭,০২৫ জন আরোগ্যলাভ করেছেন। দিল্লি ও মহারাষ্ট্র থেকে একদিনেই আরোগ্যলাভের সংখ্যা ৫,০০০-এর বেশি। দেশে গত ২৪ ঘন্টায় আরও ৪৯৬ জনের করোনাজনিত কারণে মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে ৮২ শতাংশই মারা গেছেন ১০টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল থেকে। সর্বাধিক ১১৩ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে মহারাষ্ট্র থেকে এবং পশ্চিমবঙ্গে মারা গেছেন ৫৯ জন।
বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1669420  – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।

জাতীয় রাজধানী অঞ্চল দিল্লিতে কোভিড-১৯ পরিস্থিতি পর্যালোচনায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব শ্রী অজয় ভাল্লা আজ দিল্লিতে কোভিড-১৯ পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেছেন। বৈঠকে নীতি আয়োগের সদস্য ডঃ ভি কে পল, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ সচিব, ভারতীয় চিকিৎসা গবেষণা পর্ষদের মহানির্দেশক ও দিল্লি সরকারের মুখ্য সচিব সহ উচ্চ পদস্থ আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে দিল্লির কোভিড-১৯ পরিস্থিতি সম্পর্কে সর্বশেষ বিবরণী পেশ করা হয়। আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমাগত বাড়তে থাকায় দিল্লি প্রশাসন নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বৃদ্ধি, আক্রান্তদের খুঁজে বের করা ও উপযুক্ত চিকিৎসা পরিষেবা প্রদানের ওপর জোর দিচ্ছে। চলতি উৎসব মরশুমের ফলে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এছাড়াও, হাসপাতালগুলিতে পর্যাপ্ত সংখ্যায় শয্যা রয়েছে। আইসিইউ এবং ভেন্টিলেটরের সংখ্যাও পর্যাপ্ত বলে বৈঠকে জানানো হয়েছে। নিরাপদ কোভিড আচরণ সম্পর্কে দিল্লিবাসীদের সচেতন করে তুলতে বিভিন্ন এলাকা ও বাজারগুলিতে প্রচারাভিযান জোরদার করা হয়েছে।
বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1669475  – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।

কৌশলগত নীতি ইউনিট : আয়ুষ ক্ষেত্রকে ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত করতে আয়ুষ মন্ত্রকের নেওয়া একটি পদক্ষেপ
আয়ুষ ক্ষেত্রের পরিকল্পনামাফিক এবং পদ্ধতিগত অগ্রগতিতে সবরকম সাহায্য করতে আয়ুষ মন্ত্রক এবং মেসার্স ইনভেস্ট ইন্ডিয়া  যৌথ উদ্যোগে একটি কৌশলগত নীতি ইউনিট গড়ে তুলবে। এই উদ্যোগের নামকরণ করা হয়েছে স্ট্র্যাটেজিক পলিসি অ্যান্ড ফ্যাসিলিটেশন ব্যুরো। মন্ত্রকের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের মধ্যে আয়ুষ ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত সংশ্লিষ্ট সবপক্ষের সঙ্গে ভবিষ্যৎ নীতি পরিকল্পনা স্থির করতে এই পদক্ষেপ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে চলেছে। স্ট্র্যাটেজিক পলিসি অ্যান্ড ফ্যাসিলিটেশন ব্যুরো (এসপিএফবি) স্থাপন একটি ভবিষ্যতমুখী পরিকল্পনা, যা আয়ুষ ব্যবস্থাকে ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত করে তুলবে। এই ব্যুরো মন্ত্রককে কৌশলগত ও সুচিন্তিত উদ্যোগ গ্রহণে সাহায্য করবে। এর ফলে, আয়ুষ ক্ষেত্রের পূর্ণ সম্ভাবনাকে বাস্তবায়িত করার পথ আরও সুগম হবে। সেই সঙ্গে, এই ক্ষেত্রের ধারাবাহিক অগ্রগতি ঘটবে এবং বিনিয়োগের অনুকূল বাতাবারণ গড়ে উঠবে। যে সময় কোভিড-১৯ মহামারী সারা বিশ্ব জুড়ে মানুষের স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে বড় প্রভাব ফেলেছে, ঠিক তখন আয়ুষ ক্ষেত্রের বিকাশে এ ধরনের একটি উদ্যোগ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে চলেছে। স্বাভাবিকভাবেই আয়ুষ ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের সহায়তায় এ ধরনের কৌশলগত ইউনিটটি বড় ভূমিকা নেবে। স্ট্র্যাটিজিক পলিসি অ্যান্ড ফ্যাসিলিটেশন ব্যুরো গড়ে তোলার উদ্যোগে অংশীদার হিসাবে মেসার্স ইনভেস্ট ইন্ডিয়া মন্ত্রককে এই ব্যুরোর কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নে সাহায্য করবে এবং ব্যুরোর স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদী উদ্দেশ্য স্থির করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। আয়ুষ মন্ত্রকের পরিকল্পনা রূপায়ণ ও তার সম্পাদনের ক্ষেত্রে ইনভেস্ট ইন্ডিয়া প্রশিক্ষিত ও বিশেষজ্ঞ কর্মীদের কাজে লাগাবে।
বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1669290  – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।


আয়ুষ ক্ষেত্রে কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে জন আন্দোলন গতি পাচ্ছে
কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে জনআন্দোলনে হাজার হাজার আয়ুষ ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত পেশাদার ব্যক্তির যোগদানের ফলে পরম্পরাগত চিকিৎসা পদ্ধতিতে আরও গতি সঞ্চারিত হয়েছে। আয়ুষ রোগ নির্ণয় কেন্দ্র, হাসপাতাল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, রোগী পরিষেবা কেন্দ্র ও অন্যান্য ইউনিটগুলিতে এই আন্দোলন পুরোদমে এগিয়ে চলেছে। এমনকি, আয়ুষ ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত পেশাদার ব্যক্তিরা সাধারণ মানুষের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ গড়ে তুলে তৃণমূল স্তরে আন্দোলনকে সফল করে তুলতে বড় ভূমিকা নিয়েছেন। এই আন্দোলনের মাধ্যমে সচেতনতা অভিযানের সময় সাধারণ মানুষকে আচার-আচরণগত পরিবর্তন নিয়ে আসার জন্য উৎসাহিত করা হচ্ছে। আয়ুষ মন্ত্রকের ৫ দিনের এক পর্যালোচনায় দেখা গেছে, আয়ুষ ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত সংশ্লিষ্ট সকলের কোভিড আদর্শ আচরণ সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে সচেতন করে তোলার জন্য প্রায় ১ কোটি ১০ লক্ষ মানুষের কাছে পৌঁছে গিয়েছেন। এছাড়াও, ডিজিটাল মাধ্যমে কোভিড আদর্শ আচরণ সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করে তোলা হচ্ছে।  চলতি উৎসবের মরশুমে জনস্বাস্থ্য ক্ষেত্রে বড় চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিতে পারে। কারণ, মানুষ উৎসব মরশুমের সময় সুরক্ষা কবচ ছেড়ে অনেক সময় অনুষ্ঠানে সামিল হতে বিভিন্ন জায়গায় যাতায়াত করে থাকেন। এর ফলে, মহামারী সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে। তাই, আয়ুষ ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত পেশাদারদের সঠিক হস্তক্ষেপের ফলে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার প্রবণতা প্রতিহত করা সম্ভব।
বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1669122  – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।


প্রধানমন্ত্রী ইন্টিগ্রেটেড ফাউন্ডেশেন কোর্স “আরম্ভ”-এর দ্বিতীয় পর্বে ভারতীয় সিভিল সার্ভিসের শিক্ষানবীশ আধিকারিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন
প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ গুজরাটের কেভাডিয়া থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মুসৌরির এলবিএসএনএএ প্রতিষ্ঠানে ভারতীয় সিভিল সার্ভিসের শিক্ষানবীশ আধিকারিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। “আরম্ভ” ইন্টিগ্রেটেড ফাউন্ডেশনের অঙ্গ হিসেবে  এই মতবিনিময় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ২০১৯ সালে প্রথম বার এধরণের মতবিনিময় আয়োজন করা হয়।  শিক্ষানবীশ আধিকারিকদের বিভিন্ন বিষয়ে উপস্থাপনা দেখার পর প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের আদর্শ অনুসরণ করার জন্য শিক্ষানবীশ আধিকারিকদের আহ্বান জানান। সর্দার প্যাটেল বলেছিলেন, দেশের নাগরিকদের সেবা করাই একজন সরকারী চাকুরীজীবীর সব থেকে বড় কর্তব্য। জাতীয় স্বার্থে এবং দেশের অখন্ডতা ও সংহতিকে মজবুত করার লক্ষ্যে তরুণ আধিকারিকদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য শ্রী মোদী আহ্বান জানান। তিনি বলেন, সিভিল সার্ভেন্টরা যে সমস্ত সিদ্ধান্ত নেবেন, তা যেন সর্বদাই সাধারণ মানুষের স্বার্থবাহী হয়। সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে তারা যে অঞ্চলে বা দপ্তরে কর্মরত তা যেন প্রাধান্য না পায়। প্রধানমন্ত্রী দেশের “ইস্পাত কাঠামো” ব্যবস্থার ওপর আরো গুরুত্ব দিয়ে বলেন, এই ব্যবস্থা কেবল দৈনন্দিন কাজকর্ম পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত নয়, বরং দেশের অগ্রগতি স্বার্থে কাজ করে যাওয়া। তিনি আরো বলেন, জটিল পরিস্থিতিতে দেশের স্বার্থে কাজ করে যাওয়াই সব থেকে জরুরী হয়ে ওঠে। শ্রী মোদী প্রশিক্ষণ এবং দক্ষতার মানোন্নয়নের গুরুত্বের কথা উল্লেখ করে বলেন, নতুন উদ্দেশ্য পূরণে, নতুন প্রয়াস গ্রহণে এবং নতুন পন্থা-পদ্ধতি খুঁজে বের করতে প্রশিক্ষণের বড় ভূমিকা রয়েছে।
বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1669037  – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।


'আরম্ভ ২০২০' অনুষ্ঠানে সিভিল সার্ভিসেস-এর প্রবেশনারদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর মতবিনিময়
বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1669116  – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।

প্রধানমন্ত্রী আমেদাবাদে কেভাডিয়া এবং সবরমতী রিভারফ্রন্টের মধ্যে সি-প্লেনের যাতায়াত পরিষেবার সূচনা করেছেন
প্রধানমন্ত্রী কেভাডিয়ায় জল বিমানবন্দর এবং আমেদাবাদে সবরমতী রিভারফ্রন্টের সঙ্গে কেভাডিয়ার একতার মূর্তি পর্যন্ত সংযোগকারী সি-প্লেন পরিষেবার সূচনা  করেছেন। শ্রী মোদী আমেদাবাদের সবরমতী রিভারফ্রন্টে জল বিমানবন্দর এবং সবরমতী রিভারফ্রন্ট থেকে কেভাডিয়া পর্যন্ত সি-প্লেন পরিষেবারও উদ্বোধন করেছেন। এটি হল শেষ মাইল পর্যন্ত সংযোগের অঙ্গ হিসেবে একগুচ্ছ জল বিমানবন্দরের অন্যতম। সি-প্লেন, ভূমিতে নামতে পারে এবং জল থেকে উড়তে পারে। ফলে যে সমস্ত জায়গায় ল্যান্ডিং স্ট্রিপ বা রানওয়ে নেই সেখানে সুবিধা হবে। এর ফলে যে সমস্ত এলাকা ভূপ্রকৃতির জন্য সমস্যার সম্মুখীন তাদের  সাহায্য করবে এবং ভারতের দুর্গমতম এলাকাকে মূল স্রোতের বিমান পরিষেবায় অন্তর্ভুক্ত করবে। এর জন্য বিমানবন্দর ও রানওয়ে গড়তে বেশি খরচ লাগবে না। এই ছোট ছোট পাকাপোক্ত পাখনা লাগানো এয়ারপ্লেনগুলি লেক, ব্যাকওয়াটার, ড্যামের মতো জলা জায়গা,  নুড়ি এবং ঘাসের ওপর  নামতে পারে। ফলে বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে যাওয়াও সহজ হবে।
বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1669048  – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।


প্রধানমন্ত্রী গুজরাটে আরোগ্য বন, আরোগ্য কুটীর, একতা মল এবং চিলড্রেন নিউট্রিশন পার্কের উদ্বোধন করলেন
প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী গুজরাটে কেভাডিয়ার সুসংহত উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় একাধিক প্রকল্পের সূচনা করেছেন। এই উপলক্ষে শ্রী মোদী আরোগ্য বন ও আরোগ্য কুটীরের উদ্বোধন করেন। এছাড়াও তিনি সেখানে একতা মল এবং চিলড্রেন নিউট্রিশন পার্ক বা শিশুদের পুষ্টি সম্পর্কে সচেতন করে তোলার একটি উদ্যানের সূচনা করেন। আরোগ্য বন ও আরোগ্য কুটীর - আরোগ্য বন ১৭ একর এলাকা জুড়ে গড়ে তোলা হয়েছে যেখানে ৩৮০টি প্রজাতির ৫ লক্ষেরও বেশি গাছ রয়েছে। আরোগ্য কুটীর হল পরম্পরাগত চিকিৎসা পরিষেবার একটি কেন্দ্র যার নামকরণ করা হয়েছে শান্তিগিরি কল্যাণ কেন্দ্র হিসেবে। এই আরোগ্য পরিষেবা কেন্দ্র থেকে আয়ুর্বেদ, সিদ্ধা, যোগ ও পঞ্চকর্ম-ভিত্তিক স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়া হবে।  একতা মল - এই মল-এ সারা ভারতের বিভিন্ন ধরনের হস্তশিল্প ও কারুশিল্পের সামগ্রী প্রদর্শিত হয়েছে, যা প্রকৃতপক্ষেই বৈচিত্র্যের মধ্যে একতার প্রতীক। এই মলটি ৩৫ হাজার বর্গফুট এলাকা জুড়ে গড়ে তোলা হয়েছে যেখানে ২০টি এম্পোরিয়াম বা প্রদর্শনী বা বিক্রয় কেন্দ্র রয়েছে। এই বিক্রয় কেন্দ্রগুলি দেশের প্রত্যেকটি রাজ্যের স্বতন্ত্রতা বহন করছে। কেবল ১১০ দিনের মধ্যেই এই মলটি গড়ে তোলা হয়েছে।
বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1668807  – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।


প্রধানমন্ত্রী সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল জুলজিক্যাল পার্কের উদ্বোধন করেছেন
প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী কেভাদিয়ায় আজ সর্দার প্যাটেল জুলজিক্যাল পার্ক (চিড়িয়াখানা) এবং জিওডেসিক পক্ষীনিবাস পরিদর্শনের জন্য  গম্বুজের উদ্বোধন করেছেন। তিনি কেভাদিয়ায় সুসংহত উন্নয়নের আওতায় ১৭টি প্রকল্প জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করেন এবং ৪টি নতুন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তার স্থাপন করেন। প্রকল্পগুলির মধ্যে রয়েছে নেভিগেশন চ্যানেল, নিউগোরা সেতু, সরকারি কর্মীদের জন্য আবাসন, গরুড়েশ্বর বাঁধ, বাস বে টার্মিনাস, একতা নার্সারি, খালওয়ানি ইকো ট্যুরিজম এবং ট্রাইবাল হোম স্টে। এদিন তিনি স্ট্যাচু অফ্ ইউনিটির কাছে একতা ক্রুজ পরিষেবার সূচনাও করেন। জঙ্গল সাফারি এবং জিওডেসিক পক্ষীনিবাস পরিদর্শনকারী গম্বুজ - প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে “বিভিন্ন ধরণের পাখি দেখার রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতার জন্য দেশের উচ্চতম পক্ষীনিবাস পরিদর্শনের জন্য গম্বুজটি সকলের কাছে একটি দুর্দান্ত সুযোগ এনে দেবে। কেভাদিয়ায় আসুন এবং এই পক্ষীনিবাসটি পরিদর্শন করুন, যা জঙ্গল সাফারির একটি অংশ। এখান থেকে শিক্ষা নেওয়ার দুর্দান্ত অভিজ্ঞতা হবে।” এই রাজ্যের জঙ্গল সাফারিতে ৩৭৫ একর এলাকা জুড়ে একটি অত্যাধুনিক জুলজিক্যাল পার্ক রয়েছে, যা সমুদ্র তল থেকে ২৯ থেকে ১৮০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত। এখানে ১,১০০ প্রজাতির পাখি এবং প্রাণী রয়েছে। ৫ লক্ষ উদ্ভিদও রয়েছে এখানে। এখনও পর্যন্ত এটি দ্রুত নির্মিত জঙ্গল সাফারি। এই জুলজিক্যাল পার্কে দুটি পক্ষীনিবাস রয়েছে। একটি পক্ষীনিবাসী দেশীয় পাখি, অন্যটিতে বিদেশী পাখি রয়েছে। এই পক্ষীনিবাস পরিদর্শনের জন্য পৃথিবীর বৃহত্তম জিওডেসিক গম্বুজ নির্মিত হয়েছে। এখানে আগত ভ্রমণকারীরা বিভিন্ন ধরণের অভিজ্ঞতা পাবেন। ম্যাকাও, কাকাতোয়া, খরগোস, গিনিপিক ইত্যাদি প্রাণীদের বিচরণ থেকে ভ্রমণার্থীরা অনন্য অভিজ্ঞতা ও অনুভূতি সঞ্চয় করতে পারবেন।
বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1668884  – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।

সরকার মানুষের কল্যাণে নীতি-প্রণয়ন করছে কিন্তু নীতিগুলির কার্যকর রূপায়ণ অত্যন্ত জরুরি : উপ-রাষ্ট্রপতি
উপ-রাষ্ট্রপতি শ্রী এম ভেঙ্কাইয়া নাইডু শনিবার সাধারণ মানুষের চাহিদা অনুযায়ী, বিভিন্ন কর্মসূচির রূপায়ণ ও তার পরিষেবা প্রদান ব্যবস্থাকে আরও সুবিন্যস্ত করার ওপর জোর দিয়েছেন। ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অফ পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের ৬৬তম বার্ষিক সাধারণ সভায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে পৌরহিত্য করে উপ-রাষ্ট্রপতি বিভিন্ন ধরনের পরিষেবা ও ন্যায়-বিচার প্রদানের ক্ষেত্রে পরিবর্তন নিয়ে আসার পক্ষে জোরালো সওয়াল করে বলেন, সাধারণ মানুষের চাহিদার বিষয়টিকে বিবেচনায় রেখেই প্রশাসনিক কাঠামোতে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। বর্তমান ভারত এই পরিবর্তনের সাক্ষী হতে গভীর আগ্রহে চেয়ে রয়েছে। শ্রী নাইডু আরও বলেন, সুপ্রশাসন একেবারে তৃণমূল স্তর পর্যন্ত বজায় থাকা জরুরি। কোভিড-১৯ মহামারী প্রসঙ্গে উপ-রাষ্ট্রপতি বলেন, ভারত কৌশলী পন্থা অবলম্বন করে এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই চালাচ্ছে এবং মহামারী দমনে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। ভারতের সক্রিয় ও সুকৌশলী প্রয়াসের জন্য রাষ্ট্রসংঘ ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রশংসা জানিয়েছে।
বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1669135  – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।

আপৎকালীন ঋণ সহায়তা নিশ্চয়তা কর্মসূচীর মেয়াদ আরও একমাস বাড়ালো সরকার
কেন্দ্রীয় সরকার আপৎকালীন ঋণ সহায়তা নিশ্চয়তা কর্মসূচীর মেয়াদ আরও একমাস বাড়িয়ে আগামী ৩০শে নভেম্বর পর্যন্ত বা এই কর্মসূচীর আওতায় ৩ লক্ষ কোটি টাকা মঞ্জুর না হওয়া সময় পর্যন্ত বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অর্থনীতির বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজকর্ম পুনরায় শুরু হওয়া এবং চলতি উৎসব মরশুমে চাহিদা বৃদ্ধির বিষয়টিকে বিবেচনায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কর্মসূচীর মেয়াদ বৃদ্ধির সিদ্ধান্তের ফলে এখনও পর্যন্ত যে সমস্ত ঋণ গ্রহীতা কর্মসূচীর সুবিধে নিতে পারেন নি তাঁরাও লাভবান হবেন। আত্মনির্ভর ভারত প্যাকেজের অঙ্গ হিসেবে আপৎকালীন ঋণ সহায়তা নিশ্চয়তা কর্মসূচীর কথা ঘোষণা করা হয়েছিল। এই কর্মসূচীর মাধ্যমে সরকারের পক্ষ থেকে সম্পূর্ণ সুরক্ষিত এবং বন্ধকীমুক্ত অতিরিক্ত ঋণ সহায়তা দেওয়া হয়ে থাকে। অতিক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগ, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান, বেক্তিবিশেষ এবং মুদ্রা যোজনার ঋণ গ্রহীতারা এই কর্মসূচীর সুবিধা নিতে পারেন। অবশ্য গত ২৯শে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত যেসমস্ত ঋণ গ্রহীতার ৫০ কোটি টাকা পর্যন্ত বকেয়া রয়েছে তার ভিত্তিতে ২০ শতাংশ হারে ঋণ দেওয়া হয়। যেসমস্ত ঋণ গ্রহীতার গত ২৯শে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৫০ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে এবং বার্ষিক লেনদেনের পরিমাণ ২৫০ কোটি টাকা তারা সকলেই এই কর্মসূচীর আওতায় ঋণ গ্রহণে যোগ্য। কর্মসূচীর আওতায় সুদের সর্বোচ্চ হার ব্যাঙ্ক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলির ক্ষেত্রে ৯.২৫ শতাংশ এবং ব্যাঙ্ক বহির্ভুত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলির ক্ষেত্রে ১৪ শতাংশ। ঋণ পরিশোধের মেয়াদ চার বছর। অবশ্য অতিরিক্ত মাশুল মিটিয়ে পরিশোধ করার মেয়াদ আরও এক বছর পর্যন্ত বাড়ানো যেতে পারে।
বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1669449  – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।


যুগান্তকারী উদ্যোগ, ই-ইনভয়েস-এর ৩১শে অক্টোবর একমাস পূর্তি হল
যুগান্তকারী উদ্যোগ,  ই-ইনভয়েস-এর ৩১শে অক্টোবর একমাস পূর্তি হল। এই উদ্যোগের ফলে ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে নতুন যুগের সূচনা হয়েছে। এনআইসি সূত্রে জানা গেছে এই ব্যবস্থা চালু হওয়ার প্রথম মাসে ৪৯৫ লক্ষের বেশি ই-ইনভয়েস এনআইসি-র পোর্টালে ২৭ হাজার ৪০০ জন করদাতা জমা দিয়েছেন। ই-ইনভয়েস ব্যবস্থা জিএসটি-র ক্ষেত্রে সুবিধাজনক হবে। যেসব বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের বার্ষিক লেনদেন ৫০০ কোটি টাকার ওপরে তারা পয়লা অক্টোবর থেকে এই ব্যবস্থার সুবিধা পাচ্ছে।  এর ফলে ভারতে সহজে ব্যবসা করার ক্ষেত্রেও সুবিধা হবে। জিএসটি-র অভিন্ন পোর্টাল http://gst.gov.in/-এ কর দাতাদের জিএসটিআর১-এর রিটার্নের ক্ষেত্রে ইনভয়েস নিবন্ধীকরণ পোর্টাল থেকে প্রাপ্ত তথ্য চলে আসবে, এরফলে জিএসটি জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা দুর হবে।  পয়লা অক্টোবর ৮ লক্ষ ৪০ হাজার ই-ইনভয়েস জমা পরেছিল। ৩১শে অক্টোবর এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৩৫ লক্ষ। এরফলে অক্টোবর মাসে ই-ওয়ে বিল তৈরি হয়েছে ৬৪১টি। গত আড়াই বছরে ই-ওয়ে বিল ব্যবস্থা শুরু হওয়ার পর এই পরিমাণ সর্বোচ্চ। করদাতারা জানিয়েছেন এই ব্যবস্থাটিতে তাদের সুবিধা হয়েছে। কারণ এখানে আইআরএন পেতে কোনো সমস্যা হচ্ছে না। এছাড়াও এনআইসি হেল্প ডেস্ক থেকে করদাতাদের এক্ষেত্রে সাহায্য করা হচ্ছে।
বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1669430  – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।


ড. জিতেন্দ্র সিং : প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে এবং স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রার খোঁজে বিশ্বব্যাপী যোগা, আয়ুর্বেদ এবং নেচারোপ্যাথির প্রতি আকর্ষণ বাড়িয়েছে কোভিড
উত্তর - পূর্বাঞ্চল উন্নয়ন মন্ত্রকের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত, পিএমও কর্মীবর্গ, জনঅভিযোগ, অবসরভাতা, পারমাণবিক শক্তি এবং মহাকাশ প্রতিমন্ত্রী ড. জিতেন্দ্র সিং বলেছেন যে, সারা বিশ্বে শরীরের প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে এবং স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রার খোঁজে যোগা, আয়ুর্বেদ এবং নেচারোপ্যাথির প্রতি আগ্রহ বাড়িয়েছে কোভিড। অ্যাসোচ্যাম আয়োজিত ভার্চুয়াল বিশ্ব আয়ুষ মেলার উদ্বোধনী ভাষণে তিনি বলেন, গত ৪ – ৫ মাসে পশ্চিম বিশ্ব বিকল্প চিকিৎসা ব্যবস্থা খুঁজতে ভারতের দিকে মুখ ফিরিয়েছে। ড. জিতেন্দ্র সিং বলেন যে, নতুন ভারত স্বাস্থ্য পরিষেবায় আত্মনির্ভর হবে এবং চিরাচরিত চিকিৎসা ব্যবস্থার মাধ্যমে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থার খোঁজ দেবে বিশ্বকে। তিনি বলেন, কোভিড বুঝিয়েছে সুসংহত স্বাস্থ্য পরিষেবার গুণগুলির প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে এবং এখন প্রয়োজন একে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সহ বিশ্বের চিকিৎসা ব্যবস্থার অঙ্গ করে তোলা । ড. জিতেন্দ্র সিং বলেন, যখন থেকে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী, তিনি দেশীয় চিকিৎসা পদ্ধতির গুণগুলিকে তুলে ধরেছেন। তিনি বলেন, মোদী যিনি রাষ্ট্রসংঘে আন্তর্জাতিক যোগা দিবস পালনে  সর্বসম্মতিক্রমে প্রস্তাব আনিয়েছেন, যার ফলে যোগ বাস্তবিক সারা বিশ্বের প্রতিটি ঘরে পৌঁছে গেছে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী মোদীই আরো একবার আয়ুষ নামে পৃথক মন্ত্রক গড়েছেন দেশীয় চিকিৎসা পদ্ধতির গুরুত্ব বিবেচনা করে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, যে হিমালয়, পার্বত্য অঞ্চল এবং ভারতের উত্তর – পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলিতে মূল্যবান ঔষধি গাছগাছড়া আছে, তিনি সকলকে তার ব্যবহার করতে এবং বিশ্বস্তরে পৌঁছে দিতে আবেদন জানান।
বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1668871  – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।


চিকিৎসা শিক্ষা ক্ষেত্রে সংস্কারের লক্ষ্যে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ
চিকিৎসা শিক্ষা ব্যবস্থাকে আরও সহজলভ্য করে তোলার লক্ষ্যে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসাবে জাতীয় চিকিৎসা কমিশন (এনএমসি) আজ তার প্রথম গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারমূলক পদক্ষেপের কথা ঘোষণা করেছে। এই সংস্কারের বিষয়বস্তু স্থির হয়েছে বার্ষিক এমবিবিএস স্তরে ভর্তির ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে ন্যূনতম শর্তাবলী ২০২০। কমিশনের এই বিজ্ঞপ্তি জারির সঙ্গে সঙ্গে ১৯৯৯ সালের মেডিকেল কলেজগুলির ক্ষেত্রে ন্যূনতম আদর্শ শর্তাবলী বাতিল হ’ল। কমিশনের নতুন নীতি-নির্দেশিকা প্রস্তাবিত নতুন মেডিকেল কলেজগুলির পাশাপাশি, বর্তমানে চালু সমস্ত মেডিকেল কলেজ, যেখানে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস স্তরে ছাত্র সংখ্যা বৃদ্ধির প্রস্তাব রয়েছে, সেগুলির ক্ষেত্রেও সমানভাবে প্রযোজ্য হবে। ছাত্র ভর্তির প্রক্রিয়া চলাকালীন সময় চালু সমস্ত মেডিকেল কলেজ বর্তমান বিজ্ঞপ্তির পূর্বে জারি হওয়া নিয়ম-নীতি অনুযায়ী পরিচালিত হবে। চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানগুলির প্রয়োজনীয় কাজকর্ম নির্বাহের বিষয়গুলিকে বিবেচনায় রেখে চিকিৎসা শিক্ষা ক্ষেত্রে সংস্কারের লক্ষ্যে নতুন মান প্রবর্তন করা হয়েছে। এর ফলে, চিকিৎসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে প্রাপ্ত সম্পদের সর্বাধিক সদ্ব্যবহার সম্ভব হবে এবং আধুনিক চিকিৎসা প্রযুক্তির প্রয়োগ আরও বাড়বে। এর ফলে, সম্পদের অপ্রতুলতার সময় চিকিৎসা শিক্ষা ব্যবস্থার গুণমানে কোনও প্রভাব পড়বে না। জাতীয় চিকিৎসা কমিশনের আজ জারি হওয়া বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, যে সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের কথা বলা হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে – একটি মেডিকেল কলেজ ও তার স্বীকৃত শিক্ষণ হাসপাতাল স্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় জমির পরিমাণের বিষয়টি বাতিল করা হয়েছে; প্রশিক্ষণাধীন ছাত্রছাত্রীদের জন্য সুসজ্জিত স্কিল ল্যাবরেটরি স্থাপন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এ সম্পর্কে স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে, চিকিৎসা শিক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের প্রশিক্ষণের জন্য একটি চিকিৎসা শিক্ষা ইউনিট থাকা আবশ্যক। এছাড়াও, গ্রন্থাগার, বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা শিক্ষার পুস্তক ও জার্নাল রাখার পৃথক ব্যবস্থা করতে হবে। এমনকি, চিকিৎসা শিক্ষার ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে মানসিক চাপ কমাতে ছাত্রছাত্রীদের জন্য কাউন্সেলিং-এর ব্যবস্থা করাও জরুরি বলে সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে।
বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1669118  – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।


এ বছর অক্টোবর মাসে জিএসটি বাবদ মোট রাজস্ব সংগ্রহের পরিমাণ ১ লক্ষ ৫ হাজার ১৫৫ কোটি টাকা
চলতি বছরের অক্টোবর মাসে জিএসটি বাবদ রাজস্ব সংগ্রহের পরিমাণ ১ লক্ষ ৫ হাজার ১৫৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে সিজিএসটি বাবদ ১৯ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা, এসজিএসটি বাবদ ২৫ হাজার ৪১১ কোটি টাকা, আইজিএসটি বাবদ ৫২ হাজার ৫৪০ কোটি টাকা (পণ্য সামগ্রীর আমদানি থেকে সংগৃহীত ২৩ হাজার ৩৭৫ কোটি টাকা সহ) এবং সেস বাবদ ৮ হাজার ১১ কোটি টাকা (পণ্য সামগ্রীর আমদানি থেকে সংগৃহীত ৯৩২ কোটি টাকা সহ) সংগ্রহ হয়েছে। গত ৩১শে অক্টোবর পর্যন্ত জিএসটিআর-৩বি রিটার্ন দাখিলের সংখ্যা ৮০ লক্ষ। কেন্দ্রীয় সরকার সিজিএসটি বাবদ ২৫ হাজার ৯১ কোটি টাকা, এসজিএসটি বাবদ ২৫ হাজার ৪২৭ কোটি টাকার বকেয়া মিটিয়েছে। এর ফলে, অক্টোবর মাসে নিয়মিত প্রাপ্য বকেয়া মেটানোর পর কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারগুলির মোট রাজস্ব সংগ্রহের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে সিজিএসটি বাবদ ৪৪ হাজার ২৮৫ কোটি টাকা এবং এসজিএসটি বাবদ ৪৪ হাজার ৮৩৯ কোটি টাকা। চলতি বছরের অক্টোবর মাসে জিএসটি বাবদ সংগৃহীত রাজস্বের পরিমাণ গত বছরের ঐ একই মাসের তুলনায় ১০ শতাংশ বেশি। একইভাবে, এ বছরের অক্টোবর মাসে পণ্য সামগ্রী আমদানি থেকে রাজস্ব সংগ্রহের পরিমাণ গত বছরের একই মাসের তুলনায় ৯ শতাংশ বেড়েছে। এমনকি, অভ্যন্তরীণ লেনদেন থেকে (পরিষেবা আমদানি সহ) রাজস্ব সংগ্রহের পরিমাণ গত বছরের ঐ একই মাসের তুলনায় এ বছর আলোচ্য মাসে ১১ শতাংশ বেড়েছে।
বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1669239  – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।

 


পিআইবি’র আঞ্চলিক কার্যালয় থেকে প্রাপ্ত তথ্য

• মহারাষ্ট্র : মুম্বাইবাসীদের জন্য আজ থেকে ২৪৪টি জায়গায় নিখরচায় কোভিড-১৯ নমুনা পরীক্ষায় সুবিধা মিলছে। দৈনিক সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষার সুবিধা মিলবে। এদিকে রাজ্যে রবিবার আরও ৫ হাজার ৬৩৩ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর ফলে, সুস্পষ্টভাবে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১ লক্ষ ২৫ হাজারে পৌঁছেছে।

• গুজরাট : রাজ্যে রবিবার প্রায় ৯০০ জন নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। গত কয়েক দিনে আক্রান্তের সংখ্যা ধীরে ধীরে কমার ইঙ্গিত মিলছে। এদিকে রাজ্যে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১ লক্ষ ৭৩ হাজার ছাড়িয়েছে। করোনাজনিত কারণে মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজার ৭২৪ জনের।

• রাজস্থান : রাজ্য সরকার কোভিড মহামারীজনিত চলতি সঙ্কটের প্রেক্ষিতে উৎসব মরশুমে আতসবাজী বিক্রি নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রাজ্যের বিদ্যালয় ও কলেজগুলি আগামী ১৬ই নভেম্বর পর্যন্ত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এদিকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী করোনা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেছেন।

• মধ্যপ্রদেশ : রাজ্যে গত এক মাস দৈনিক-ভিত্তিতে আক্রান্তের তুলনায় সুস্থতার সংখ্যা লাগাতার বাড়তে থাকায় কোভিড-১৯ এ সুস্থতার হার ১১ শতাংশের বেশি বেড়েছে। রাজ্যে রবিবার আরও ৭৩৫ জন নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।

• গোয়া : রাজ্যের বৃহত্তম সঙ্গীত ও নৃত্যানুষ্ঠান সানবার্গ এ বছর প্রথামাফিক অনুষ্ঠিত হলেও অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা কেবল ২০ শতাংশে সীমাবদ্ধ রাখা হবে। বড়দিনে পর উত্তর গোয়ায় আগামী ২৭-২৯শে ডিসেম্বর পর্যন্ত এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে।

• কেরল : রাজ্য নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে হাইকোর্টকে জানানো হয়েছে কোভিড-১৯ বিধি কঠোরভাবে অনুসরণ করে স্থানীয় স্বশাসিত সংস্থাগুলি নির্বাচন আয়োজনে তারা প্রস্তুত রয়েছে। রাজ্যে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়া সত্ত্বেও রাজ্য সরকার বিদ্যালয়গুলি আংশিক খোলার ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করছে। এদিকে রাজ্যে রবিবার রেকর্ড সংখ্যক ৭ হাজার ২৫ জন নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। আজ কোচিতে আরও ১ জনের মৃত্যু হওয়ায় রাজ্যে করোনাজনিত কারণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১ হাজার ৫১৩ হয়েছে।

• তামিলনাডু : রাজ্যের কৃষি মন্ত্রী শনিবার রাতে চেন্নাইয়ে এক বেসরকারি হাসপাতালে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত শারীরিক অসুস্থতার দরুণ প্রয়াত হয়েছেন। তাঁকে থাঞ্জাভুর তাঁর গ্রামে বাড়ির কাছেই সমাহিত করা হয়েছে। এদিকে রাজ্যে রবিবার আরটি-পিসিআর পদ্ধতি অনুযায়ী নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা ১ কোটির মাইলফলক ছাড়িয়েছে। রাজ্য সরকার প্রতিবেশী পন্ডিচেরীর সঙ্গে বাস পরিষেবা চালু করতে সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে।

• কর্ণাটক : রাজ্যে পরপর ১৮ দিন আক্রান্তের সংখ্যার তুলনায় আরোগ্য লাভের হার বাড়ছে। গত মাসের শেষ ১০ দিনে রাজ্যে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা কমে প্রায় অর্ধেক হয়েছে। এমনকি, মহীষূর জেলায় গত ১৫ দিনে সুস্পষ্টভাবে করোনায় আক্রান্তের হার ৭৫ শতাংশের বেশি কমেছে। এদিকে বিদ্যালয়গুলি পুনরায় খোলার ব্যাপারে আগামীকাল জেলা প্রশাসনের সঙ্গে পূর্ত দপ্তরের বৈঠক হতে চলেছে।

• অন্ধ্রপ্রদেশ : বিদ্যালয়গুলি খোলার ব্যাপারে কেন্দ্রীয় সরকারের নীতি-নির্দেশিকা অনুসরণ করে রাজ্য সরকারি বিদ্যালয়গুলিতে কোভিড সতর্কতামূলক বিধি অনুসরণ করে নবম ও দশম শ্রেণীর ক্লাস পুনরায় শুরু হয়েছে। তবে, বিদ্যালয়গুলি অর্ধ-দিবস খোলা থাকবে এবং একদিন অন্তর-অন্তর নবম ও দশম শ্রেণীর ক্লাস নেওয়া হবে। রাজ্য সরকারি স্কুলগুলি চালু হলেও কর্পোরেট ও বেসরকারি স্কুলগুলি এখনও শুরু হয়নি।

• তেলেঙ্গানা : রাজ্যে গত ২৪ ঘন্টায় আরও ৯২২ জন নতুন করে সংক্রমিত হওয়ায় এবং ৭ জনের মৃত্যুর খবর মেলায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ২ লক্ষ ৪০ হাজার ছাড়িয়েছে। করোনাজনিত কারণে মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ২৪৮ জনের। এদিকে ৭ মাস পর অন্ধ্রপ্রদেশ ও তেলেঙ্গানা আন্তঃরাজ্য বাস পরিষেবা চালু করতে সম্মত হয়েছে।

• আসাম : রাজ্যে আরও ১৬৬ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্তের হার ১.৪৩ শতাংশ। মোট আক্রান্তের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৯৫.২৮ শতাংশ এবং সুস্পষ্টভাবে করোনায় আক্রান্তের হার ৪.২৬ শতাংশ।

• মিজোরাম : আসামের সঙ্গে রাজ্য সীমান্ত দিয়ে যাতায়াত ৫ দিন বন্ধ রয়েছে। আসাম সরকারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, মিজোরামের ভূখন্ডে বাঙ্কারের মতো কাঠামো গড়ে তোলা হয়েছে।

• নাগাল্যান্ড : রাজ্যে আরও ২৮ জনের সংক্রমিত হওয়ার খবর মেলায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৯ হাজার ৭৫ হয়েছে।

• সিকিম : রাজ্যে করোনাজনিত কারণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭৩ হয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা ৩ হাজার ৯৫৮।

 



CG/BD/SB



(Release ID: 1669623) Visitor Counter : 271