প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর

আইআইটি গুয়াহাটির সমাবর্তনে ভাষণ দিলেন প্রধানমন্ত্রী


প্রধানমন্ত্রী আইআইটি গুয়াহাটিকে বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা ও ঝুঁকি হ্রাসের জন্য একটি কেন্দ্র গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন

২০২০র জাতীয় শিক্ষা নীতি ভারতকে আন্তর্জাতিক মানের অন্যতম শিক্ষার পীঠস্থানে পরিণত করবে : প্রধানমন্ত্রী

प्रविष्टि तिथि: 22 SEP 2020 2:31PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লী, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২০

 

 


প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আইআইটি গুয়াহাটির সমাবর্তনে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আজ বক্তব্য রেখেছেন। 


‘জ্ঞানং বিজ্ঞান সহিতং যজ্ঞনাত্বা মোক্ষসে শুভাত’- এই শ্লোক উদ্ধৃত করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বিজ্ঞান সহ সকল জ্ঞানের মূল উদ্দেশ্য বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করা।


আইআইটির মতো প্রতিষ্ঠানগুলি আজ যেভাবে উন্নতি করছে প্রধানমন্ত্রী তার জন্য গর্ব অনুভব করেন। তিনি বলেছেন, উদ্ভাবনের এই শক্তি আমাদের দেশকে ১ হাজার বছর ধরে সজীব করে রেখেছে।


প্রধানমন্ত্রী দেশের যুব সম্প্রদায়কে ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত ও যুগোপযোগী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, তাঁদের স্বপ্ন ও উচ্চাকাঙ্খা ভারতের ভবিষ্যৎ গঠন করবে। আইআইটি গুয়াহাটির এই লক্ষ্যে গৃহীত উদ্যোগগুলির বিষয়ে তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। 


দেশকে আত্মনির্ভর করে তোলার জন্য এই প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগের প্রশংসা করে শ্রী মোদী বলেছেন, মহামারীর এই সময়ে বিভিন্ন প্রতিকূলতা সত্ত্বেও প্রতিষ্ঠানটি শিক্ষাবর্ষ এবং গবেষণামূলক কাজ অক্ষুন্ন রেখেছে।


প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ২০২০র জাতীয় শিক্ষা নীতি একবিংশ শতাব্দীর চাহিদা অনুসারে তৈরি করা হয়েছে। এর ফলে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে ভারত বিশ্বে নেতৃত্বদান করতে পারবে। এই শিক্ষানীতি বহু বিষয়ে পড়াশোনা করার সুযোগ দিয়েছে, এর মাধ্যমে বিভিন্ন পাঠক্রম বাছাই করা যাবে। এছাড়াও যে কোন পাঠক্রমে যুক্ত হওয়ার এবং পাঠক্রম থেকে বের হওয়ার একাধিক সুযোগ থাকবে।


বিজ্ঞান-ই হোক কিংবা কলা বিভাগ যেকোন বিষয়ে গবেষণার জন্য তহবিলের ব্যবস্থা করতে জাতীয় শিক্ষা নীতি একটি ন্যাশনাল রিসার্চ ফাউন্ডেশনের প্রস্তাব করেছে।


প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, জাতীয় শিক্ষা নীতি ভারতে বিদেশী বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে ক্যাম্পাস তৈরি করার সুযোগ দিয়েছে। এরফলে ভারতীয় ছাত্রছাত্রীরা আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে পরিচিত হবে। এই শিক্ষানীতি ভারতকে বিশ্বের জ্ঞানচর্চার প্রধান পীঠস্থান হিসেবে গড়ে তুলবে। 


শ্রী মোদী বলেছেন, ভারতের অ্যাক্ট ইস্ট নীতির কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে উত্তর-পূর্বাঞ্চল। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সঙ্গে ভারতের যোগাযোগের প্রবেশদ্বার হল এই অঞ্চল। দক্ষিণ-পূর্বের দেশগুলির সঙ্গে সংস্কৃতি, বাণিজ্য, যোগাযোগ এবং দক্ষতার কারণে দীর্ঘদিনের সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। তিনি বলেছেন, শিক্ষা এক্ষেত্রে আরও একটি নতুন মাধ্যম হতে চলেছে এবং আইআইটি গুয়াহাটি তার মূল কেন্দ্র হতে পারে। এর মাধ্যমে উত্তরপূর্ব ভারত নতুন পরিচিতি পাবে এবং নতুন নতুন সুযোগ গড়ে উঠবে।


প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সরকার এই অঞ্চলের জন্য রেল, মহাসড়ক, বিমান বন্দর এবং জলপথের মতো পরিকাঠামোর উন্নয়নে গুরুত্ব দেওয়ায় উত্তরপূর্ব ভারতের জন্য নতুন নতুন সুযোগ তৈরি হয়েছে। 


এই সমাবর্তনে ৩০০ জন তরুণ গবেষক পিএইচডি পাওয়ায় প্রধানমন্ত্রী সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। দেশের উন্নতির জন্য তাঁরা যাতে আরও গবেষণা চালান, তিনি গবেষকদের সেই অনুরোধ জানিয়েছেন। এই অঞ্চলের উন্নয়নের সম্ভাবনাগুলির সঙ্গে গবেষণাকে কিভাবে যুক্ত করা যেতে পারে তা নিয়ে ভাবনা-চিন্তা করতে প্রধানমন্ত্রী ছাত্রছাত্রীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। 


এই অঞ্চলের বিপর্যয়ের মোকাবিলা করার জন্য আইআইটি গুয়াহাটিকে একটি বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা ও ঝুঁকি হ্রাস কেন্দ্র গড়ে তোলার জন্য তিনি পরামর্শ দিয়েছেন।
 

 


CG/CB/NS


(रिलीज़ आईडी: 1657779) आगंतुक पटल : 307
इस विज्ञप्ति को इन भाषाओं में पढ़ें: English , Urdu , Marathi , हिन्दी , Assamese , Manipuri , Punjabi , Gujarati , Odia , Tamil , Telugu , Kannada , Malayalam