যুবওক্রীড়াবিষয়কমন্ত্রক
এনওয়াইকেএস ও এনএসএস স্বেচ্ছাসেবকদের মাধ্যমে আত্মনির্ভর ভারতের বিষয়ে সচেতনা গড়ে তোলার আহ্বান জানালেন শ্রী কিরেন রিজিজু, এক রাজ্য এক খেলা নীতির মাধ্যমে অলিম্পিকে গৌরব অর্জনের প্রয়াসের প্রশংসা করল রাজ্যগুলি
Posted On:
14 JUL 2020 6:29PM by PIB Kolkata
নয়াদিল্লী, ১৪ জুলাই, ২০২০
কেন্দ্রীয় যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া মন্ত্রী শ্রী কিরেন রিজিজু আজ ১৮টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের যুব কল্যাণ ও ক্রীড়া দপ্তরের মন্ত্রী ও পদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠক করেন। দু-দিনের এই বৈঠকে আজ যেসব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের প্রতিনিধিরা যোগ দিয়েছিলেন তাঁরা কোভিড-১৯ পরবর্তী সময়ে খেলাধুলা শুরু করার বিষয়ে তাঁদের পরিকল্পনার কথা জানান । রাজ্যস্তরে নেহরু যুব কেন্দ্র সংগঠন (এনওইয়াকেএস) এবং ন্যাশনাল সার্ভিস স্কিম (এনএসএস)এর স্বেচ্ছাসেবকদের রাজ্যস্তরে বিভিন্ন কর্মসূচিতে আরও বেশি করে যোগদানের বিষয় নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।
বৈঠকে শ্রী রিজিজু জানান কোভিড-১৯ মহামারীর সময়ে অসামরিক প্রশাসনের সঙ্গে এনওয়াইকেএস এবং এনএসএস-এ স্বেচ্ছাসেবকরা খুব ভালো কাজ করেছেন। বর্তমানের ৭৫ লক্ষ স্বেচ্ছাসেবক এই কাজে যুক্ত। আনলক-২এ এই সংখ্যা বাড়িয়ে ১ কোটি করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ইতিমধ্যেই আত্মনির্ভর ভারতের ঘোষণা করেছেন। দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রকে উন্মুক্ত করা হচ্ছে- আমাদের স্বেচ্ছাসেবকদের কৃষক, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সহ সমাজের প্রত্যেকের কাছে এই প্রকল্পের সুবিধার বিষয়ে সচেতন করে তোলার কাজ হাতে নিতে হবে। মন্ত্রী সমস্ত রাজ্যগুলিকে স্বেচ্ছাসেবকদের এই সচেতনতা গড়ে তোলার কাজে লাগানোর প্রস্তাব দেন। এই স্বেচ্ছাসেবকরা জেলা প্রশাসনের আওতায় সরাসরি কাজ করবেন౼যেখানে কেন্দ্র খুব কম হস্তক্ষেপ করবে।
আজকের বৈঠকে তৃণমূল স্তরের খেলাধুলা এবং প্রতিটি রাজ্যে অলিম্পিকের জন্য প্রশিক্ষণ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। প্রতিটি রাজ্যে একটি করে খেলো ইন্ডিয়া স্টেট সেন্টার এক্সেলেন্স (কেআইএসসিই) গড়ে তোলা এবং এক রাজ্য এক খেলা নীতিটিকে রাজ্যগুলি সমর্থন জানিয়েছে। যেসব রাজ্য প্রথাগতভাবে কোন একটি নির্দিষ্ট খেলায় যথেষ্ট শক্তিশালী সেখানে সেই খেলাটি নিয়েই চর্চা করা হবে। কেআইএসসিই ওই নির্দিষ্ট খেলাটির জন্য ওই রাজ্যে নোডাল কেন্দ্র হিসেবে কাজ করবে౼ খেলোড়াররা সেখানে বিশ্বমানের প্রশিক্ষণ পাবেন, যাতে তাঁরা অলিম্পিকের মত প্রতিযোগিতায় ভালো ভাবে প্রতিদ্বন্দিতা করতে পারেন। রাজ্যগুলি প্রচলিত খেলার বাইরে অন্যান্য খেলাতেও খেলোড়ারদের প্রশিক্ষণ দিতে পারে কিন্তু একটি বা দুটি খেলার ওপরেই বেশি জোর দিতে হবে। রাজ্যগুলির প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন দেশে প্রতিটি জেলায় মোট ১ হাজার খেলো ইন্ডিয়া কেন্দ্র গড়ে তোলার ফলে আঞ্চলিক স্তরে মেধা খুঁজে পাওয়ার ক্ষেত্রে যথেষ্ট সুবিধা হচ্ছে। এরফলে দেশ জুড়ে খেলাধুলার একটি পরিবেশ তৈরি হচ্ছে। বিভিন্ন রাজ্য তৃণমূল স্তরে তাদের নানা সাফল্যের কথা বৈঠকে তুলে ধরে।
মন্ত্রী আরও জানিয়েছেন ফিট ইন্ডিয়া মুভমেন্টে রাজ্যগুলির অংশগ্রহণ যথেষ্ট উৎসাহব্যাঞ্জক। ইতিমধ্যেই আড়াই লক্ষ বিদ্যালয় ফিট ইন্ডিয়া স্কুল হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়েছে। শ্রী রিজিজু সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে অনুরোধ জানিয়েছেন, তারা যাতে নিজ নিজ রাজ্যের সমস্ত বিদ্যালয়কে ফিট ইন্ডিয়া স্কুল প্রকল্প নথিভুক্ত করায়, এরফলে দেশের তরুণ প্রজন্ম ফিটনেসের বিষয়ে উৎসাহী হবে।
মন্ত্রী সমস্ত রাজ্যের প্রতিনিধিদের সাথে আলোচনার পর জানান আজকের বৈঠক ফলপ্রসূ হয়েছে। বিভিন্ন রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মন্ত্রী ও আধিকারিকরা বেশ কিছু মূল্যবান মতামত জানিয়েছেন। কোভিড-১৯ পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা এবং খেলাধুলার প্রশিক্ষণ কিভাবে শুরু করা যায় বৈঠকে তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। শ্রী রিজিজু বলেন, বৈঠকের শেষে একটি সুসংহত পরিকল্পনা তৈরি করার বিষয়ে তিনি আশাবাদী।
অন্ধ্রপ্রদেশ, অসম, ছত্তিশগড়, গুজরাট, হরিয়ানা, হিমাচলপ্রদেশ, জম্মু-কাশ্মীর, কর্ণাটক, কেরালা, লাদাখ, মহারাষ্ট্র, ওড়িশা, পাঞ্জাব, রাজস্থান, তামিলনাড়ু, তেলেঙ্গানা, উত্তরাখন্ড ও পশ্চিমবঙ্গের প্রতিনিধিরা প্রথম দিনের বৈঠকে যোগ দেন। বাকি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আগামীকাল, ১৫ জুলাই এ ধরণের আর একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
CG/CB/NS
(Release ID: 1638615)