প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর

বাণিজ্যিক খননের জন্য কয়লা খনি নিলামের ভার্চুয়াল উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ

Posted On: 18 JUN 2020 1:15PM by PIB Kolkata

নতুন দিল্লি, ১৮ জুন ২০২০

 

 

নমস্কার!

 

আমি দেশ এবং বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে  এই ভার্চুয়াল উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যুক্ত হওয়া সমস্ত অংশগ্রহণকারীদের স্বাগত জানাই। এই জাতীয় অনুষ্ঠানের পরিচালনা এবং আপনার অংশগ্রহণ,  এই সমস্যাকীর্ণ সময়ে একটি নতুন আশা জাগিয়ে তোলে এবং একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দেয়।

 

ভারত কেবল করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করবে না, যুদ্ধে জয়লাভ করবে এবং এগিয়ে যাবে। ভারত বসে বসে সংকট নিয়ে কাঁদবে না। সংকট যত বড়ই হোক না কেন, ভারত এটিকে একটি সুযোগে পরিণত করতে বদ্ধপরিকর। এই করোনাভাইরাস সংকট ভারতকে আত্মনির্ভর হওয়ার পাঠ দিয়েছে, অর্থাৎ স্বনির্ভরতা!

 

আত্মনির্ভর ভারত মানে ভারত আমদানির উপর নির্ভরতা কমাবে। আত্মনির্ভর ভারত মানে দেশ এখন পণ্য আমদানিতে ব্যয় করা কয়েক লক্ষ কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা বাঁচাবে। আত্মনির্ভর ভারত মানে ভারতকে আমদানি করার দরকার পড়বে না, সেজন্য দেশ ক্রমাগতভাবে দেশীয়ভাবে সম্পদ বিকাশ করবে। আত্মনির্ভর মানে আমরা এখন যে পণ্যগুলি আমদানি করি সেগুলির বৃহত্তম রফতানিকারী হয়ে উঠবো।

 

 বন্ধুরা, এটি অর্জন করার জন্য, আমাদের অবশ্যই প্রতিটি ক্ষেত্রে,  প্রত্যেক পণ্য এবং প্রতিটি পরিষেবাকে বিবেচনাধীন করতে হবে এবং সেই নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে ভারতকে স্বনির্ভর করতে সামগ্রিক ভাবনা নিয়ে কাজ করতে হবে। আজকের অনুষ্ঠানটি এই ভাবনারই একটি প্রকাশ এবং একটি শক্ত পদক্ষেপ।

 

ভারতকে জ্বালানি ক্ষেত্রে স্বাবলম্বী করতে আজ একটি বড় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। এই অনুষ্ঠানটি কেবলমাত্র একটি নির্দিষ্ট ক্ষেত্র অর্থাৎ কয়লা খনি সংক্রান্ত সংস্কার বাস্তবায়নকে চিহ্নিত করে না, এটি ১৩০ কোটি ভারতবাসীর আকাঙ্ক্ষা উপলব্ধি করার প্রতিশ্রুতিও তুলে ধরে।

এই অনুষ্ঠান আমাদের যুবকদের জন্য লক্ষ লক্ষ কর্মসংস্থানের সূচনা চিহ্নিত করে।

 

বন্ধুগণ,

 

স্বনির্ভর ভারতের সংকল্পটি উপলব্ধি করতে গত মাসে যখন আত্মনির্ভর ভারত অভিযান ঘোষণা করা হয়েছিল, তখন অনেকেই ভেবেছিলেন যে এটি একটি সাধারণ সরকারি প্রক্রিয়া।

 

কিন্তু ঘোষণার এক মাসের মধ্যেই, প্রতিটি সংস্কার,  তা কৃষিক্ষেত্রে হোক, ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগ হোক কিম্বা এখন কয়লা ও খনি ক্ষেত্র, এটিকে তৃণমূল স্তরে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

 

এটি বর্তমান সংকটকে একটি সুযোগে রূপান্তরিত করার ক্ষেত্রে ভারতের গুরুত্বপ্রদান এবং দায়বদ্ধতাকে স্পষ্ট করে। আজ আমরা কেবল বাণিজ্যিক কয়লা খনির নিলাম চালু করছি না, কয়লা ক্ষেত্রকে কয়েক দশকের লকডাউন থেকেও মুক্ত করছি।

 

কয়লা ক্ষেত্রে লকডাউনের কী প্রভাব পড়েছে, তা আপনারা আমার থেকে ভাল  করে জানেন।

 

এ বিষয়ে একবার ভাবুন। আমরা বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম কয়লা সম্পদে ধনী দেশ;  বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম উত্পাদক; অথচ  সে দেশ কয়লা রফতানি না করে নিজের প্রয়োজন মেটাতে কেনে! ফলে, ভারত এখন বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম কয়লা আমদানিকারক দেশে পরিণত হয়েছে!

 

প্রশ্নটি হল, আমরা যখন বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম উত্পাদক, তখন  আমরা কেন বিশ্বের বৃহত্তম রফতানিকারী হতে পারি না?

 

এই প্রশ্নটি সর্বদা আমার, আপনার এবং কোটি কোটি ভারতীয়দের মনে অহরহ জাগে।

 

বন্ধুগণ,

 

 কয়েক দশক ধরে আমাদের এই অবস্থা। দেশের কয়লা ক্ষেত্র স্বজন পোষণ এবং অপহরণকারীদের জালে জড়িয়ে পড়েছিল। এটিকে স্বচ্ছ প্রতিযোগিতার বাইরে রাখা হয়েছিল;  স্বচ্ছতা একটি বড় সমস্যা ছিল। নিলামের ন্যায্য প্রক্রিয়া সম্পর্কে ভুলে যান, কয়লা খনি বিতরণের ক্ষেত্রে বড় বড় কেলেঙ্কারী সম্পর্কে আপনারা প্রত্যেকেই অবগত। এই কারণে কয়লা খাতে বিনিয়োগের অভাব ছিল এবং এর দক্ষতাও কাঠগড়ায় ছিল। কয়লা এক রাজ্যে উত্তোলন করা হত এবং কয়েকশো কিলোমিটার দূরে অন্য একটি রাজ্যে প্রেরণ করা হত এবং উত্পাদনকারী রাজ্যটি কয়লার জন্য অপেক্ষা করত। গোটা প্রক্রিয়াটাই বেশ অগোছালো ছিল।

 

বন্ধুগণ, ২০১৪র পর থেকে এই পরিস্থিতি পরিবর্তন করতে অনেক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। আমরা কয়লা সংযোগ কার্যকর করেছি – যে বিষয়ে আগে কেউ ভাবতেও পারতেন না। এই ধরনের পদক্ষেপগুলি কয়লা ক্ষেত্রকে গতি দিয়েছে। সম্প্রতি, আমরা বহু সংস্কার এনেছি যা কয়েক দশক ধরে ভাবা হয়েছিল। এখন ভারত, প্রতিযোগিতা, মূলধন, অংশগ্রহণ এবং প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে কয়লা ও খনি ক্ষেত্রকে পুরোপুরি উন্মুক্ত করার জন্য একটি বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বেসরকারী খনির ক্ষেত্রে নতুন বিনিয়োগকারীদের যাতে অর্থের সমস্যা না হয় সেদিকে খেয়াল রাখা হয়েছে।

 

বন্ধুগণ, শক্তিশালী খনি এবং খনিজ ক্ষেত্র ছাড়া স্বাবলম্বন সম্ভব নয়; কারণ খনিজ ও খনন আমাদের অর্থনীতির দুটি গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ।

 

এই সংস্কারের পরে, এখন কয়লা উত্পাদন এবং গোটা কয়লা ক্ষেত্র স্বনির্ভর হয়ে উঠবে। এখন কয়লার বাজার উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে; সুতরাং, যে কোনও ক্ষেত্র তাঁদের প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী কিনতে পারে।

 

বন্ধুগণ, এই সংস্কারগুলি কেবল কয়লা ক্ষেত্রকে নয় অন্যান্য ক্ষেত্রকেও উপকৃত করবে। আমাদের কয়লা উত্পাদন যখন বাড়বে, তখন বিদ্যুৎ উত্পাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি ইস্পাত, অ্যালুমিনিয়াম, সার এবং সিমেন্ট ক্ষেত্রে উত্পাদন বৃদ্ধি এবং প্রক্রিয়াকরণেও ইতিবাচক প্রভাব অনুভূত হবে। সৌভাগ্যক্রমে  ভারতে কয়লা, লৌহ, বক্সাইট এবং অন্যান্য খনিজ সম্পদগুলির ভাণ্ডার একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত। সুতরাং খনিজ ক্ষেত্রে আনা সংস্কারগুলি কয়লা খনির সংস্কার থেকে শক্তি অর্জন করবে।

 

বন্ধুগণ,

 

বাণিজ্যিক কয়লা খনির জন্য আজকের নিলামের সূচনা সংশ্লিষ্ট সকলের জন্য একটি জয়ের আবহ গড়ে তুলেছে। শিল্পোদ্যোগগুলি, আপনি, আপনার ব্যবসা, আপনার  বিনিয়োগগুলি নতুন সম্পদ এবং বাজার পাবে। রাজ্য সরকারগুলি আরও বেশি রাজস্ব পাবে এবং দেশের বিশাল জনগোষ্ঠী কর্মসংস্থান পাবে। এর অর্থ, প্রতিটি ক্ষেত্রেই ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।

 

বন্ধুগণ,

 

কয়লা সংস্কার বাস্তবায়ন করার সময়, এটি নিশ্চিত করা হয়েছে যে পরিবেশ রক্ষায় ভারতের প্রতিশ্রুতি দুর্বল হবে না। কয়লা থেকে গ্যাস তৈরিতে আধুনিকতম প্রযুক্তি চালু করা যেতে পারে। এবং কয়লা থেকে গ্যাস উৎপাদনের ক্ষেত্রে পরিবেশ সুরক্ষা সুনিশ্চিত করা হবে। কয়লা থেকে উৎপন্ন গ্যাস প্নয় পরিবহন ও রান্নায় ব্যবহৃত হবে, পাশাপাশি ইউরিয়া এবং ইস্পাত উত্পাদন শিল্পোদ্যোগগুলিও লাভবান হবে। ২০৩০ সাল পর্যন্ত আমরা প্রায় ১০০ কোটি টন কয়লা থেকে গ্যাস উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা রেখেছি। আমাকে বলা হয়েছে যে এর জন্য চারটি প্রকল্প চিহ্নিত করা হয়েছে এবং প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা এই প্রক্রিয়ায় বিনিয়োগ করা হবে।

 

বন্ধুগণ,

 

এই কয়লা ক্ষেত্রে সংস্কারগুলি পূর্ব ও মধ্য ভারতকে, আমাদের জনজাতি অধ্যুষিত রাজ্যগুলিকে উন্নয়নের স্তম্ভ হিসাবে গড়ে তোলার একটি বড় মাধ্যম করে তুলবে। আমাদের দেশে কয়লা ও খনিজসম্পদ সম্পন্ন অঞ্চলগুলি অগ্রগতি এবং সমৃদ্ধির কাঙ্খিত পর্যায়ে পৌঁছাতে সক্ষম হয়নি। এই অঞ্চলগুলিতেই রয়েছে দেশের বিপুল সংখ্যক উচ্চাকাঙ্ক্ষী জেলাগুলি। এই জেলাগুলির মানুষ উন্নয়নের জন্য উচ্চাকাঙ্ক্ষী, কিন্তু উন্নয়নের ক্ষেত্রে পিছিয়ে রয়েছে।

 

আপনারা কল্পনা করতে পারেন যে দেশের ১৬টি উচ্চাকাঙ্ক্ষী জেলায় প্রভূত পরিমাণ কয়লার ভাণ্ডার রয়েছে; কিন্তু এই অঞ্চলগুলির অধিবাসীরা এর যথাযথ সুবিধা পায়নি। এই এলাকাগুলি থেকে আমাদের নবীন বন্ধুদের কর্মসংস্থানের জন্য দূরদুরান্তের শহরগুলিতে পাড়ি দিতে হয়।

 

বাণিজ্যিক খনির ক্ষেত্রে গৃহীত পদক্ষেপগুলি পূর্ব ও মধ্য ভারতের বিশাল জনগোষ্ঠীর জন্য তাদের বাড়ির কাছে কর্মসংস্থান এবং এই জাতীয় অনেক সমস্যা হ্রাসে অত্যন্ত সহায়ক হবে।

 

এই কয়লা ব্লকগুলির নিলাম আজ নিজে থেকেই এই ক্ষেত্রে লক্ষ লক্ষ কর্মসংস্থান তৈরি করবে। শুধু তাই নয়, কয়লা উত্তোলন থেকে শুরু করে পরিবহণের জন্য প্রয়োজনীয় পরিকাঠামোও কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করবে। সম্প্রতি, সরকার এ জাতীয় পরিকাঠামো তৈরিতে ৫০ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

 

বন্ধুগণ, কয়লা খাতে সংস্কার এবং বিনিয়োগ মানুষের জীবন বিশেষ করে আমাদের দরিদ্র ও উপজাতি ভাই-বোনদের জীবন সহজ করে তুলতে বড় ভূমিকা নেবে। কয়লা উৎপাদনের মাধ্যমে উত্পন্ন অতিরিক্ত আয় সেই এলাকায় জনকল্যাণমূলক প্রকল্পের জন্য ব্যবহৃত হবে। রাজ্যগুলিও জেলার খনিজ তহবিলের লভ্যাংশ পেতে থাকবে। এই তহবিলের একটি বড় অংশ কয়লা খনির আশেপাশের অঞ্চলের জনগণের জন্য প্রয়োজনীয় সুযোগ সুবিধা বিকাশে ব্যবহার করা হবে। আমরা দেশের খনিজ সম্পদ সমৃদ্ধ অঞ্চলের মানুষকে ধনী করার লক্ষ্যে কাজ করে চলেছি। আজ গৃহীত পদক্ষেপগুলি এই উদ্দেশ্যকে ব্যাপকভাবে সহায়তা করবে।

 

বন্ধুগণ,

 

এই নিলামটি এমন এক সময়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে যখন অর্থনৈতিক ক্রিয়াকলাপ দ্রুত স্বাভাবিকের দিকে ফিরে আসছে। জনগণের ক্রয়ক্ষমতা, চাহিদা ও খরচ দ্রুত প্রাক- কোভিড-১৯ সময়ের স্তরে পৌঁছে যাচ্ছে। নতুন সূচনার জন্য এর চেয়ে ভাল সময় আর হতে পারে না।

 

বিদ্যুত ব্যবহারের চাহিদা হোক কিম্বা পেট্রোলিয়াম পণ্যগুলির চাহিদা; মে মাসের শেষ সপ্তাহ এবং জুনের প্রথম সপ্তাহে দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে। এপ্রিলের তুলনায় প্রায় ২০০ শতাংশ লাফিয়ে ই-ওয়ে বিলের পেমেন্ট এর সাক্ষী। জুন মাসে চুঙ্গী কর সংগ্রহ ইতিমধ্যেই ফেব্রুয়ারির সংগ্রহের ৭০ শতাংশে পৌঁছেছে। এপ্রিলের তুলনায় রেলওয়ের পণ্য পরিবহনও মে মাসে ২৬ শতাংশ বেড়েছে। মোট ডিজিটাল খুচরা লেনদেন পরিমাণের পাশাপাশি মূল্য উভয়ই বাড়ছে।

 

বন্ধুগণ,

 

 গ্রামীণ অর্থনীতিও মাথা তুলে দাঁড়াতে শুরু করেছে। এ বছর খরিফের ফসলের পরিমাণ গত বছরের তুলনায় ১৩% বেশি। এ বছর গমের উৎপাদন এবং সংগ্রহও বেড়েছে। গত বছরের তুলনায় এবছরে এখন পর্যন্ত ১১% বেশি গম সংগ্রহ করা হয়েছে। তার মানে আরও বেশি অর্থ কৃষকদের পকেটে গেছে। এই সমস্ত সূচক আমাদের জানায় যে ভারতীয় অর্থনীতি আবার লাফিয়ে এগিয়ে যেতে প্রস্তুত।

 

বন্ধুগণ,

 

 ভারত আগেও বড়ো বড়ো সংকট থেকে বেরিয়ে এসেছে এবং এবার এই সঙ্কট থেকেও বেরিয়ে আসবে। আমরা ভারতবাসী যদি লক্ষ লক্ষ ভোক্তা হয়ে থাকি, পাশাপাশি আমাদের মধ্যেই লক্ষ লক্ষ উৎপাদকও রয়েছেন। সেজন্যে ভারতের সাফল্য এবং বৃদ্ধি সুনিশ্চিত; আমরা দ্রুত আত্মনির্ভর হয়ে ওঠার ক্ষমতা রাখি!

 

মনে রাখবেন, কয়েক সপ্তাহ আগে আমরা এন-৯৫ মাস্ক, করোনা রোগ নির্ণয় পরীক্ষার কিট, ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম ( পিপিই) এবং ভেন্টিলেটরের চাহিদা মেটাতে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আমদানি করতে হতো। এখন ভারত ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’র  মাধ্যমে তার নিজস্ব চাহিদা পূরণ করছে। এবং অতি শীঘ্রই আমরা এই চিকিত্সা সরঞ্জামগুলির এক গুরুত্বপূর্ণ রফতানিকারক দেশ হয়ে উঠব। আপনাদের অবশ্যই আত্মবিশ্বাস এবং মনোবল বজায় রাখতে হবে যে আমরা এটা করতে পারবো। আমরা নিশ্চিতভাবেই আত্মনির্ভর ভারত হয়ে উঠতে পারবো!

 

আমরা আত্মনির্ভর ভারত গড়ে তুলতে পারবো!

 

আপনারা ১৩০ কোটি ভারতবাসীর গড়ে তোলা আত্মনির্ভর ভারতের নির্মাণযাত্রায় প্রধান অংশীদার। আসুন আমরা ভারতকে এগিয়ে নিয়ে যাই, ভারতকে আত্মনির্ভর করে তুলি!

 

কয়লা ক্ষেত্রে এই উল্লেখযোগ্য সূচনার জন্য আবারও আপনারা সবাইকে অনেক অভিনন্দন।

 

জীবনে খুব কমই ঘটনা ঘটে যখন নিজেরা কিছু করার মাধ্যমে ইতিহাস পরিবর্তন করার সুযোগ হয়। আজ,  শিল্পজগত এবং ভারতের পরিষেবা ক্ষেত্রের সামনে অসংখ্য মানুষকে সুলভে নিরাময় করার মাধ্যমে ইতিহাসকে পরিবর্তন করার সুযোগ এসেছে। আমাদের অবশ্যই এই সুযোগটি ছেড়ে দেওয়া উচিত নয়। আসুন, আমরা  দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাই এবং ভারতকে একটি স্বনির্ভর দেশ হিসাবে গড়ে তুলি।

 

বন্ধুগণ, আজ আমি আপনাদের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পেয়েছি। যদিও এটি কয়লার বিষয়, তবে আমাদের অবশ্যই হীরার স্বপ্ন দেখতে হবে। আবারও, কয়লা ক্ষেত্রে এই উল্লেখযোগ্য সূচনার জন্য আপনাদের সকলকে আমার শুভেচ্ছা! আমি বিশেষ করে আমার মন্ত্রিসভার সহকর্মী প্রহ্লাদ জোশী জি এবং তাঁর পুরো দলকে এই লকডাউন পিরিয়ডকে কার্যকরভাবে ব্যবহার এবং পুরো বিভাগের সমস্ত তথ্য ও খুঁটিনাটি সূক্ষ্মতত্ত্ব অধ্যয়নের জন্য অভিনন্দন জানাতে চাই। আমি আজ প্রহ্লাদ জি, তাঁর সচিব এবং তাঁর টিমকে নতুন নতুন উপায় খুঁজে বের করার জন্য অভিনন্দন জানাতে চাই, এর মাধ্যমে তাঁরা জাতিকে সমৃদ্ধ ও উন্নয়নে সহযোগিতা করছেন এবং এক্ষেত্রে একটি অসাধারণ নেতৃত্ব দিচ্ছেন।

 

আপনারা কেউ কেউ হয়তো ভাবছেন, এটি একটি ছোট ঘটনা। কিন্তু আমি তা মনে করি না। প্রহ্লাদ জি, আমি দেখতে পাচ্ছি যে আপনি আজ স্বনির্ভর ভারতের জন্য একটি শক্ত ভিত্তি স্থাপন করছেন। এবং তাই আপনাকে এবং আপনার টিমের সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাই!

 

আমি আজ এখানে উপস্থিত শিল্পোদ্যোগীদের এবং এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত আমার সমস্ত বন্ধুদের আশ্বস্ত করতে চাই যে আমি আপনাদের সঙ্গে আছি। আপনারা দেশের কল্যাণে দুটি পদক্ষেপ নিলে,  আমি আপনার সঙ্গে পায়ে পা মিলিয়ে চারটি পদক্ষেপ নিতে রাজি আছি। আসুন, আপনারা এগিয়ে আসুন, আমরা যেন এই সুযোগটি হাতছাড়া না করি!

 

আবারও আপনাদের সকলকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা ! ধন্যবাদ !

 

 

 

CG/SB



(Release ID: 1632446) Visitor Counter : 641