স্বাস্থ্যওপরিবারকল্যাণমন্ত্রক

উদযাপিত হল আন্তর্জাতিক নার্স দিবস


নার্স এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য কর্মীদের সহায়তা না পেলে আমরা এত বড়ো অতিমারীর মোকাবিলা করতে পারতাম না বলে জানালেন ড:হর্ষ বর্ধন

Posted On: 12 MAY 2020 3:13PM by PIB Kolkata

নতুন দিল্লি, ১২ই মে, ২০২০

 



আন্তর্জাতিক নার্স দিবস এবং ফ্লোরেন্স নাইটিংগেলের দ্বিশতবর্ষ জন্ম জয়ন্তী উপলক্ষ্যে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ড:হর্ষ বর্ধন আজ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এক অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।এই বছরটি আরও গুরুত্বপূর্ণ এই কারনে যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু), নার্স ও ধাত্রীদের বছর হিসাবে বছরটিকে ঘোষনা করেছে। লক্ষ লক্ষ নার্স অনলাইনে আজকের অনুষ্ঠানে যোগ দেন।


নার্সিংয়ের সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের কাজের প্রতি তাদের আত্মসমর্পিত প্রাণের প্রশংসা করে ড:হর্ষ বর্ধন তাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার অন্যতম স্তম্ভ হিসেবে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, "আপনাদের কাজের প্রতি গভীরতা এবং দায়িত্ববোধকে এক কথায় বর্ণনা করা যায় না"। তিনি সমগ্র সেবিকা সমাজের প্রতি বলেন, "দিন যতই কঠিন হোক না কেন অসুস্থ মানুষদের প্রতি আপনাদের করুণা, আত্মোৎসর্গ এবং নিরাময়ের স্পর্শ দিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার প্রচেষ্টার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ"। ড:হর্ষ বর্ধন এই অতিমারী সঙ্কটকালে গোটা সেবিকা সমাজ যে ভাবে অগ্রণী ভুমিকা পালন করে চলেছেন তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন যে সেবিকা এবং ধাত্রীদের সক্রিয় সহযোগিতা না পেলে এই কঠিন সময়ে যুদ্ধ জয় সম্ভব হতো না।


একই সঙ্গে ড:হর্ষ বর্ধন এই অতিমারীর বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে যে সমস্ত সেবিকারা প্রাণ বলিদান দিয়েছেন তাদের কথাও স্মরণ করেন।তিনি বলেন, "পুনের ষ্টাফ নার্স শ্রীমতী জ্যতি ভিথাল রক্সা, পুনের সহকারি মেট্রন শ্রীমতী অনিতা গভিন্দ রাও রাঠোর এবং ঝিলমিলের ই এস আই হাসপাতালের নার্সিং আধিকারিক শ্রীমতী মার্গারেটের আত্ম বলিদান ভোলার নয় ।তাদের পরিবারের প্রতি আমি সমবেদনা প্রকাশ করছি"। তিনি আরও বলেন "এই কঠিন লড়াইয়ে আমি আপনাদের পাশে আছি। সমস্ত রকম সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে এই লড়াই আমাদের জারি রাখতে হবে"।


ড:হর্ষ বর্ধন বলেন, সরকার এই অতিমারীর বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে নিয়ে যেতে বদ্ধপরিকর। প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে এই সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সরকারী দায়িত্ব পালন করা হচ্ছে। সংক্রমণের বিরুদ্ধে এই লড়াইয়ে সামনের সারির যোদ্ধাদের অর্থাৎ স্বাস্থ্য কর্মীদের যাতে কোনো রকম হিংসার মুখোমুখি না হতে হয় এবং তাদের সুরক্ষার জন্য সরকার একটি অধ্যাদেশ আনতে চলেছে। এই আইনে স্বাস্থ্য কর্মীদের ওপর হামলা হলে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা করা যাবে। সে ক্ষেত্রে তিন মাস থেকে পাঁচ বছর অবধি জেল হতে পারে পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা থেকে ২ লক্ষ টাকা অর্থ জরিমানারও সংস্থান রাখা হয়েছে। স্বাস্থ্য কর্মীদের আঘাত গুরুতর হলে জেল হতে পারে ৬ মাস থেকে ৭ বছর পর্যন্ত,জরিমানা ১ লক্ষ টাকা থেকে ৫ লক্ষ টাকা হতে পারে।প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ প্যাকেজের অধীনে কোভিড-19 সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সামিল প্রায় ২২.১২ লক্ষ সেবা কর্মীদের তিন মাসের জন্য ৫০ লক্ষ টাকার স্বাস্থ্যবীমার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর মধ্যে সম্প্রদায় স্বাস্থ্য কর্মীরাও রয়েছেন বলে তিনি জানান।


তিনি বলেন বর্তমান পরিস্থিতিতে সেবিকারা এই সংক্রমণের খুঁটিনাটি জানেন। তাই এই সংক্রমণ থেকে নিজেদের সুরক্ষার পাশাপাশি তাঁরা সমাজের সকলকেই পরামর্শ দিয়ে সাহায্য করতে পারেন। দিল্লির এইমস এবং ভারতীয় নার্সিং কাউন্সিল আয়োজিত বিভিন্ন ওয়েবনার থেকে সেবিকারা উপকৃত হতে পারেন বলে তিনি জানান।


স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের সচিব শ্রীমতী প্রীতি সুদান, বিশেষ সচিব অরুণ সিংঘল, যুগ্ম সচিব নিপুন ভিনায়ক, নতুন দিল্লির ইন্ডিয়ান নার্সিং কাউন্সিল সভাপতি শ্রী টি দিলীপ কুমার, সারা ভারত সরকারী নার্স ফেডারেশনের সম্পাদক শ্রীমতী অন্নি কুমার, ট্রেনড নার্স অ্যাসসিয়েসান অফ ইন্ডিয়ার সহ সভাপতি শ্রীমতী গীতা রানী,অল ইন্ডিয়া ফেডারেশন অফ এ এন এম এল এইচ ভির থেরেসা হাল্দানি, সোসাইটি অফ মিড ওয়াইফ অফ ইন্ডিয়ার দিল্লী চ্যাপ্টারের সভাপতি লেফটেনান্ট কর্নেল সরবজীৎ কৌর সহ দেশের বিভিন্ন নার্সিং ফেডারেশন এবং অ্যাসশোসিয়েসনের প্রতিনিধি এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের আধিকারিকরা আজকের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

 

 


CG/PPM


(Release ID: 1623408) Visitor Counter : 270