স্বাস্থ্যওপরিবারকল্যাণমন্ত্রক

কোভিড-১৯ এর মোকাবিলায় উত্তরপ্রদেশ, ওডিশা এবং পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে পর্যালোচনা করলেন ডঃ হর্ষ বর্ধন

Posted On: 07 MAY 2020 5:39PM by PIB Kolkata

নতুন দিল্লি, ৭ মে, ২০২০

 

 


কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ড. হর্ষ বর্ধন, আজ উত্তরপ্রদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী শ্রী জয়প্রতাপ সিং এবং ওডিশার স্বাস্থ্যমন্ত্রী শ্রী নবকিশোর দাসের সঙ্গে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেন। এই বৈঠকে দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী, শ্রী অশ্বিনী কুমার চৌবে ছাড়াও কেন্দ্র ও উত্তরপ্রদেশ, ওডিশা এবং পশ্চিমবঙ্গের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা কোভিড – ১৯ পরিস্থিতি নিয়ে পর্যালোচনা  করেন। দেশজুড়ে এই মহামারীর মোকাবিলায় সমস্ত রাজ্যের ভূমিকায় ড. হর্ষ বর্ধন প্রশংসা করেন। 


দেশে ৭ই মে পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৫২,৯৫২ জন। গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৫৬১ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ১৫,২৬৬ জন। গত ২৪ ঘন্টায় সুস্থ হয়েছেন ১০৮৪ জন। এপর্যন্ত দেশে এই ভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে ১৭৮৩ জন মারা গেছেন। ভারতে মৃত্যুর হার ৩.৩ শতাংশ। সুস্থ হয়ে ওঠার হার ২৮.৮৩ শতাংশ। মন্ত্রী জানান, যাঁদের এখন চিকিৎসা চলছে, তাঁদের মধ্যে আইসিইউ-তে ৪.৮ শতাংশ, ভেন্টিলেটরে ১.১. শতাংশ, এবং অক্সিজেনের সহায়তায় ৩.৩ শতাংশ রোগী রয়েছেন। প্রতিদিন ৩২৭টি সরকারী পরীক্ষাগারে এবং ১১৮টি বেসরকারী পরীক্ষাগারে ৯৫,০০০ নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। এপর্যন্ত মোট ১৩,৫৭,৪৪২টি নমুনার পরীক্ষা করা হয়েছে। 


ড. বর্ধন জানিয়েছেন, গত ৭ দিনে ১৮০টি জেলায়, ৭ – ১৩ দিনে ১৮০টি জেলায়, ১৪ – ২০ দিনে ১৬৪টি জেলায় ২১ – ২৮ দিনে ১৩৬টি জেলায় নতুন কোনো সংক্রমণের খবর নেই। আন্দামান ও নিকোবর, অরুনাচল প্রদেশ, ছত্তিশগড়, গোয়া, ঝাড়খন্ড, হিমাচল প্রদেশ, জম্মু-কাশ্মীর, কেরালা, লাদাখ, মণিপুর, মেঘালয় ও মিজোরামে গত ২৪ ঘন্টায় নতুন কোনো সংক্রমণের খবর নেই। দমন ও দিউ, সিকিম, নাগাল্যান্ড এবং লাক্ষাদ্বীপে আজ পর্যন্ত কেউ সংক্রমিত হন নি। দেশে ১৩০টি হটস্পট জেলা, ২৮৪টি নন-হটস্পট জেলা এবং ৩১৯টি সংক্রমিত হয় নি, এরকম জেলা রয়েছে। মন্ত্রী জানান, দেশে বর্তমানে ১,৩২,২১৯টি আইসোলেশন বেড ও ১৭,৮৪০টি আইসিইউ বেড সম্বলিত কোভিডের জন্য নির্দিষ্ট ৮২১টি হাসপাতাল রয়েছে। ১৮৯৮টি কোভিড স্বাস্থ্যকেন্দ্র আছে। আর ৭৫৬৯টি কোয়ারান্টাইন সেন্টার আছে। 


ড. হর্ষ বর্ধন আরো জানান, রাজ্য, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ও বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠানে ২৯ লক্ষ ৬০০০ ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম এবং ৬২ লক্ষ ৭৭,০০০ এন৯৫ মাস্ক বন্টন করা হয়েছে। 


কোভিড – ১৯ এর ফলে সংক্রমিতদের মৃত্যুর হার যাতে কম হয়, মন্ত্রী তার জন্য সব রাজ্যগুলিকে কড়া নজরদারী ব্যবস্থা বজায় রাখতে বলেন। সিভিয়ার অ্যাকিউট রেসপিরেটরি ইনফেক্সান (সারি) এবং ইনফ্লুয়েঞ্জার মতন অসুখের ক্ষেত্রে সকলকে সতর্ক থাকার তিনি পরামর্শ দেন। স্বাস্থ্যকর্মীরা যাতে সংক্রমিত না হন, সে বিষয়ে মন্ত্রী যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের ওপর জোর দেন।
দেশের অনেক রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিকরা পৌঁছানোর পর তাদের জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে নমুনা পরীক্ষা, কোয়ারান্টাইন এবং সংক্রমিতদের যথাযথ চিকিৎসা দেবার ওপর তিনি জোর দেন। কোভিড – ১৯ ছাড়া অন্যান্য অসুখের ক্ষেত্রে রোগীরা যাতে  যথাযথ পরিষেবা পান, সেবিষয়ে মন্ত্রী, সতর্ক থাকতে বলেন। রাজ্যগুলিকে জানানো হয়েছে, কোভিড আক্রান্ত নন, এমন রোগীদের কোনো অভিযোগ থাকলে  1075 এবং 102 – এই হেল্প লাইন নম্বরের মাধ্যমে তাঁরা ফোন করে তা জানাতে পারেন। এই বৈঠকে উত্তরপ্রদেশ এবং ওডিশার বিভিন্ন জেলার জেলাশাসকরা ছাড়াও কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব শ্রীমতী প্রীতি সুদান, ওডিশা ও উত্তরপ্রদেশের স্বাস্থ্য দপ্তরের প্রধান সচিব এবং পশ্চিমবঙ্গের জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের নির্দেশক ড. সৌমিত্র মোহন উপস্থিত ছিলেন। 

 

 


CG/CB/SFS


(Release ID: 1621984) Visitor Counter : 234