প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর

করোনার টীকা, ওষুধ, সংক্রমণ শনাক্তকরণ ও পরীক্ষা – নিরীক্ষার ওপর গঠিত টাস্কফোর্সের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর পৌরহিত্য

Posted On: 05 MAY 2020 11:00PM by PIB Kolkata

নতুন দিল্লি, ৫ মে, ২০২০

 

 


প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ ভারতের টীকা ও ওষুধ উদ্ভাবন এবং সংক্রমণ ও পরীক্ষা নিরীক্ষা সহ বিভিন্ন উদ্যোগের সর্বশেষ পরিস্থিতির বিস্তারিত পর্যালোচনা করেছেন। ভারতের যে সমস্ত সংস্থা টীকা তৈরি করে, তাদের গুণমান, উৎপাদন ক্ষমতা এবং আন্তর্জাতিক স্তরে উপস্থিতি আজ সমাদৃত। টীকার উদ্ভাবনের গবেষণা সম্পর্কে এই বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। দেশের শিক্ষাবিদ এবং নতুন উদ্যোগ (স্টার্ট-আপ) সংস্থাগুলি একাজে পথপ্রদর্শকের ভূমিকা পালন করছে। করোনার টীকা উদ্ভাবনের জন্য ৩০টির বেশি সংস্থায় টীকা নিয়ে কাজ চলছে। এর মধ্যে কয়েকটি টীকা পরীক্ষা নিরীক্ষার পর্যায়ে রয়েছে। 
একইভাবে ওষুধ আবিষ্কারের  ক্ষেত্রে ৩ রকমের পন্থা নেওয়া হয়েছে। প্রথমত, কিছু ওষুধ করোনা সংক্রমিতদের ওপর প্রয়োগ করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এধরণের ৪টি ওষুধ নিয়ে চিকিৎসকরা কাজ করছেন। দ্বিতীয় পন্থাটি হল, নতুন ওষুধ আবিষ্কার করা এবং গবেষণাগারগুলিতে উপাদানগুলির বিন্যাসে পরিবর্তন ঘটিয়ে তা কিভাবে কার্যকর করা যাবে, সেই নিয়ে পরীক্ষা চালিয়ে যাওয়া। তৃতীয় উদ্যোগটি হল যে সমস্ত উদ্ভিদের নির্যাসের ভাইরাস প্রতিরোধী ক্ষমতা রয়েছে, সেগুলি নিয়ে কাজ করা। 


সংক্রমণ শনাক্তকরণ এবং পরীক্ষা নিরীক্ষার বিষয়ে আরটি–পিসিআর এবং অ্যান্টিবডি শনাক্তকরণের মাধ্যমে বিভিন্ন গবেষণাগার এবং স্টার্ট-আপ সংস্থাগুলি নতুন নতুন পরীক্ষা নিয়ে কাজ করছে। দেশের সমস্ত গবেষণাগারগুলিকে যুক্ত করার ফলে এই ধরণের পরীক্ষার কাজে গতি এসেছে। বৈঠকে ভারতীয় স্টার্ট-আপ এবং শিল্পোদ্যোগীরা জানিয়েছেন, বিদেশ থেকে বিক্রিয়ক আনার ক্ষেত্রে বেশ সমস্যা দেখা দিচ্ছে। এক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদী পরীক্ষা – নিরীক্ষার ওপর বেশি জোর দেওয়া হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী, পর্যালোচনা করে বলেন, দেশে এখন শিক্ষাবিদ, শিল্পসংস্থা এবং সরকারী উদ্যোগে একযোগে অভূতপূর্ব কাজ চলছে। এই প্রক্রিয়াকে দক্ষভাবে পরিচালনা করতে হবে। যে সমন্বয় এবং দ্রুততার সঙ্গে পুরো কাজ হচ্ছে,প্রধানমন্ত্রী তা স্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর হিসেবে গড়ে তুলতে চান। তিনি বলেন, সঙ্কটের এই সময়ে যেভাবে  কাজ করা হচ্ছে, বিজ্ঞানের গবেষণায় ভবিষ্যতে এই ধারাটি বজায় রাখতে হবে।


কম্পিউটার সায়েন্স, রসায়ন বিদ্যা এবং জৈবপ্রযুক্তির বৈজ্ঞানিকরা যেভাবে নতুন ওষুধ  আবিষ্কারের  কাজে একজোট হয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী, তার প্রশংসা করেন। কম্পিউটার সায়েন্সের মাধ্যমে গবেষণাগারগুলির বিন্যাস এবং পরীক্ষা নিরীক্ষার মধ্যে যোগ স্থাপন করে, তিনি এই বিষয়ে একটি হ্যাকাথন আয়োজন করার পরামর্শ দেন। হ্যাকাথনে যারা সফল হবেন, বিভিন স্টার্ট-আপ সংস্থা, সেগুলি নিয়ে কাজ করবে। 


মূল বিষয় থেকে বিজ্ঞানের প্রয়োগের ধারা নিয়ে যেভাবে ভারতীয় বিজ্ঞানী এবং শিল্পসংস্থাগুলি কাজ করছে, প্রধানমন্ত্রী, তাতে উচ্ছ্বসিত হন। এই ধরণের  সাফল্য, মৌলিকতা এবং উদ্দেশ্য সাধনের উদ্যোগ ভবিষ্যতেও আমাদের বজায় রাখতে হবে। তাহলেই বিজ্ঞানে আমরা কাউকে অনুসরণ না করে বিশ্বসেরা হয়ে উঠবো। 

 

 


CG/CB/SFS



(Release ID: 1621365) Visitor Counter : 213