স্বাস্থ্যওপরিবারকল্যাণমন্ত্রক

কোভিড–১৯ এর সর্বশেষ তথ্য

Posted On: 21 APR 2020 5:47PM by PIB Kolkata

নতুন দিল্লি, ২১ এপ্রিল, ২০২০

 

 

দেশে কোভিড-১৯ মহামারীর মোকাবিলায় কেন্দ্র এবং বিভিন্ন রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। উচ্চপর্যায়ে এগুলি নিয়ে প্রতিনিয়ত পর্যালোচনা করা হচ্ছে।

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ড. হর্ষ বর্ধন, সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের স্বাস্থ্য দপ্তরকে এক চিঠিতে জানিয়েছেন, থ্যালাসেমিয়া, অ্যানিমিয়া এবং হিমোফিলিয়া রোগীদের জন্য ব্লাড ব্যাঙ্কে রক্তের যোগান যেন অব্যহত থাকে তার ব্যবস্থা করতে হবে। তিনি ই-রক্তকোষ পোর্টালটির মাধ্যমে প্রতিটি ব্লাড গ্রুপের রক্ত কতটা রয়েছে, সেবিষয়ে নজরদারীর পরামর্শ দেন। কোভিড – ১৯ এর মোকাবিলায় সংঘবদ্ধভাবে সবাইকে এগিয়ে আসার জন্য ভারতীয় রেডক্রসও ২৪ ঘন্টার রক্তের যোগান সংক্রান্ত একটি হেল্প নম্বার চালু করেছে। এই হেল্পলাইন নম্বরগুলি হল – 011-23359379, 9319982104 এবং 9319982105।

কোভিড যোদ্ধাদের ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং এক্ষেত্রে মানব সম্পদের চাহিদা মেটানোর জন্য চতুর্থ ক্ষমতাশালী গোষ্ঠী একটি ড্যাশবোর্ড তৈরি করেছে। যেখানে ২০টি বিভিন্ন ক্ষেত্রের কর্মী – আধিকারিকদের তথ্য রয়েছে। বর্তমানে এই ড্যাশবোর্ডে রাজ্য এবং জেলাভিত্তিক  ১ কোটি ২৪ লক্ষ কর্মীর তথ্য দেওয়া রয়েছে।

কোভিড – ১৯ এর সংক্রমিতদের চিকিৎসার জন্য অনলাইনে যে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা আছে, সেখানে ১৪টি পাঠ্যক্রমের ৫৩টি মডিউলের জন্য ১১৩টি ভিডিও এবং ২৯টি নথি রয়েছে।   

এপর্যন্ত ১৫টি রাজ্য এবং দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ১৪,৯৯৫ জন আয়ুষ চিকিৎসক কাজ করছেন। ১৬টি রাজ্য এবং ৩টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ৬৮টি জেলায় ৩৪৯২জন এনসিসি ক্যাডেট এবং ৫৫৩ জন এনসিসি কর্মী কাজ করছেন। ৪৭,০০০ ক্যাডেট প্রশিক্ষণ নেওয়ার জন্য নাম নথিভুক্ত করেছেন। পাশাপাশি সৈনিক বোর্ড, ১,৮০,০০০ জন প্রাক্তণ সৈনিককে কাজে লাগানোর জন্য প্রস্তুত রেখেছে। ৪০,০০০ হাজার ভারতীয় রেডক্রসের স্বেচ্ছাসেবক, দেশের ৫৫০টি জেলায় কোভিড – ১৯ মহামারী প্রতিরোধে কাজ করছেন। ২৭ লক্ষ এনওয়াইকেএস এবং এনএসএস স্বেচ্ছাসেবক এই কাজে সব রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে নিযুক্ত হয়েছেন।

বিভিন্ন হাসপাতালে সংক্রমিত রোগীদের সংস্পর্শে এসে কয়েকজন স্বাস্থ্যকর্মী এবং অন্য রোগে আক্রান্ত রোগীদের কোভিড – ১৯ এ সংক্রমিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক, একারণে একটি নির্দেশ জারি করেছে। এই ধরণের ঘটনার নজরদারীর দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট হাসপাতালগুলির সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ কমিটির। স্বাস্থ্যকর্মীদের সংক্রমণ রক্ষায় এই কমিটিকে সক্রিয় হতে হবে বলে মন্ত্রক জানিয়েছে।  

বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ (দ্য কাউন্সিল অফ সাইন্টিফিক এন্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ – সিএসআইআর) এর নতুন একটি ফ্লাগশিপ প্রকল্প নিউ মিলেনিয়াম ইন্ডিয়ান টেকনোলজি লিডারশিপ ইনিশিয়েটিভ (এনএমআইটিএলআই)- এর মাধ্যমে গ্রাম-নেগেটিভ সেপসিস রোগীদের বাঁচানোর জন্য ক্যাডিলা ফার্মাসিটিক্যালস লিমিটেড কে ২০০৭ সাল থেকে ওষুধ তৈরির কাজে সাহায্য করছে। সিএসআইআর-এর নজরদারী কমিটি এই ওষুধের প্রয়োগের বিষয়ে পুরো তদারকি চালাচ্ছে। সঙ্কটজনক এই অসুখে আক্রান্ত রোগীদের ওপর  ওষুধটি প্রয়োগ করে দেখা গেছে, অর্ধেকের বেশি রোগী সুস্থ হয়ে গেছেন। তাঁদের যে সমস্ত অঙ্গ – প্রতঙ্গগুলি কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছিল, সেগুলি দ্রুত সক্রিয় হয়েছে।  এই ওষুধটিকে এখন বাজারজাত করার অনুমতিও পাওয়া গেছে। গ্রাম-নেগেটিভ সেপসিসের মতই যে সব কোভিড–১৯ এ আক্রান্ত রোগীদের প্রাণ সংশয়ের অবস্থা দেখা দেয়, তাঁদের ওপর সিএসআইআর, এই নতুন ওষুধটি প্রয়োগ করতে উদ্যোগী হয়েছে। দ্য ড্রাগ কন্টোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া (ডিসিজিআই) এই ওষুধ প্রয়োগের ক্ষেত্রে অনুমতি দিয়েছে। দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে খুব শীঘ্রই এটি প্রয়োগ করা হবে।  

জৈবপ্রযুক্তি দপ্তর ও জৈব প্রযুক্তি শিল্প গবেষণা  সহায়ক পরিষদ কোভিড-১৯ এর বিষয়ে গবেষণার জন্য ইচ্ছুক সংস্থগুলির কাছ থেকে প্রস্তাব আহ্বান করেছিল। ৩০ মার্চের মধ্যে ৫০০টি আবেদনপত্র দপ্তরের কাছে জমা পড়েছে। এর মধ্যে শিক্ষাবিদ ও শিল্প সংস্থা- সকলেই রয়েছে। এই আবেদন প্ত্রগুলি পরীক্ষা করে ১৬টি সংস্থাকে বাছাই করা হয়েছে। এই সব সংস্থাগুলি যন্ত্র, টীকা, থেরাপি সংক্রান্ত নানা গবেষণামূলক কাজে অর্থ সাহায্য পাবে। 

৪টি জেলা, পুড়ুচেরীর মাহে, কর্ণাটকের কোডাগু, উত্তরাখন্ডের পাউড়িগাড়োয়াল এবং রাজস্থানের প্রতাপগড়ে গত ২৮ দিনে নতুন করে কোনো সংক্রমণের খবর পাওয়া যায় নি। ২৩ টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ৬১টি জেলায় গত ১৪ দিনে কেউ নতুন করে সংক্রমিত হন নি। এই তালিকায় মহারাষ্ট্রের লাতুর, ওসমানাবাদ, হিঙ্গলি এবং ওয়াসিম জেলার নাম অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।

শেষ পাওয়া খবরে দেশে আক্রান্তের সংখ্যা ১৮,৬০১ জন।  মারা গেছেন ৫৯০ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ৩২৫২ জন অর্থাৎ মোট আক্রান্তের ১৭.৪৮ শতাংশ সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।

কোভিড-১৯ এর বিষয়ে বস্তুনিষ্ঠ তথ্যের জন্য এবং এই মহামারী প্রতিরোধের বিষয়ে যে সব নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে তা জানতেhttps://www.mohfw.gov.in/ লিঙ্কটি ক্লিক করুন।

কোভিড-১৯ এর বিষয়ে কোন জিজ্ঞাস্য থাকলে technicalquery.covid19@gov.in অথবা  ncov2019@gov.in - এই দুটি  ই-মেলে যোগাযোগ করা যাবে। এছাড়াও +৯১-১১-২৩৯৭ -৮০৪৬  অথবা নিঃশুল্ক নম্বর ১০৭৫ এ ফোন করা যাবে। বিভিন্ন রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে কোভিড–১৯ সংক্রান্ত হেল্প লাইন নম্বরগুলির তালিকা চাইলে নীচের লিঙ্কে ক্লিক করুন।

https://www.mohfw.gov.in/pdf/coronvavirushelplinenumber.pdf

 

 

 

CG/CB/SFS



(Release ID: 1616916) Visitor Counter : 250