স্বাস্থ্যওপরিবারকল্যাণমন্ত্রক

সৌদি আরবে জি-২০ স্বাস্থ্য মন্ত্রীদের বৈঠকে কোভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণে গৃহীত পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা

Posted On: 19 APR 2020 9:46PM by PIB Kolkata
নয়াদিল্লি, ১৯ এপ্রিল, ২০২০
 
 
 
 
কোভিড-১৯ সঙ্কট মোকাবিলায় পারস্পরিক সহযোগিতা এবং একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধা বজায় রাখার ওপর জোর দিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডঃ হর্ষ বর্ধন। সৌদি আরবে আয়োজিত জি-২০ গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির স্বাস্থ্য মন্ত্রীদের বৈঠকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যোগ দিয়ে ডঃ হর্ষ বর্ধন বলেন, ‘কোভিড-১৯ মোকাবিলায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য আমি আপনাদের ধন্যবাদ জানাতে চাই। তিনি আরও বলেন, বিশ্ব জুড়ে স্বাস্থ্য সঙ্কট আজ সারা দুনিয়া প্রত্যক্ষ করছে। এই পরিস্থিতিতে আমাদের উচিৎ, যেভাবে আমরা নিজেদের মধ্যে যোগসূত্র গড়ে তুলতে পারি, সেই সঙ্গে সমবেত প্রয়াস ও জ্ঞানের মাধ্যমে নিজেদের শক্তিকে আরও সুদৃঢ় করতে পারি’। অতীতে বহুবার বিশ্বের দেশগুলি সঙ্কট মোকাবিলায় জোটবদ্ধ হয়েছিল। এবারও কোভিড-১৯ মোকাবিলায় পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সহযোগিতার মনোভাব নিয়ে সারা বিশ্ব এগিয়ে আসবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। কোভিড-১৯ জনিত অভূতপূর্ব প্রভাবের কথা উল্লেখ করে ডঃ হর্ষ বর্ধন দেশগুলির মধ্যে সহযোগিতার আহ্বান জানান।
 
ভারতে কোভিড-১৯ এর বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে তিনি বলেন, দেশে লকডাউনের ২৫ দিন আজ পূর্ণ হয়েছে। এই লকডাউন আগামী তেসরা মে পর্যন্ত কার্যকর থাকছে। কোভিড-১৯ মোকাবিলায় ভারতের প্রয়াসগুলি কথা উল্লেখ করে ডঃ হর্ষ বর্ধন জানান, গত ১৭ই মার্চ দেশে কোভিড আক্রান্তের  হার  দ্বিগুন হতে সময় লেগেছিল ৩.৪ দিন,  এই হার ২৫শে মার্চ কমে দাঁড়ায় ৪.৪ দিনে। বর্তমানে এই হার আরও কমে দাঁড়িয়েছে ৭.২ দিনে। লকডাউন চলাকালীন সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার পাশাপাশি, একাধিক কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে এই সাফল্য অর্জিত হয়েছে।
 
কোভিড-১৯ অসুখ মোকাবিলায় ভারতের কৌশলগত পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে ডঃ হর্ষ বর্ধন জানান, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে মহামারী ঘোষণার অনেক আগেই ভারত আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য বিধির আওতায় একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করে। ২২শে মার্চ থেকে পদক্ষেপগুলি আরও জোরদার করার ফলে কোভিডে আক্রান্তের সংখ্যা হ্রাস পেতে থাকে। ২৫শে মার্চ লকডাউন ঘোষণার দিন থেকেই ভারত থেকে যাতায়াতকারী সমস্ত আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়।
 
কোভিড-১৯ মোকাবিলায় ভারতের সামর্থ্যের কথা উল্লেখ করে ডঃ হর্ষ বর্ধন জানান, ভারত অতীতেও সাফল্যের সঙ্গে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে আপৎকালীন পরিস্থিতিগুলি মোকাবিলা করেছে। জনস্বাস্থ্য ক্ষেত্রে আপৎকালীন পরিস্থিতি মোকাবিলায় ভারতের যথেষ্ট সামর্থ্য রয়েছে। কোভিডে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য পৃথক স্বাস্থ্য পরিষেবা ব্যবস্থার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। সমস্ত পরিষেবা ব্যবস্থা এমন সুপরিকল্পিত উপায়ে পরিচালনা করা হচ্ছে, যাতে উপসর্গগুলি দেখা  মাত্রই চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া যায়।
 
ভারতের পরম্পরাগত প্রথা ‘বসুধৈব কুটুম্বকম্’ অর্থাৎ সারা বিশ্বই এক পরিবার – এর কথা উল্লেখ করে ডঃ হর্ষ বর্ধন জানান, মহামারীর সূচনার সময় থেকেই ভারত অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছে এবং প্রতিবেশী দেশগুলিতে বিভিন্নভাবে সাহায্য করে আসছে। চীনের উহান থেকে ভারতের পাশাপাশি অন্যান্য দেশের নাগরিকদেরকেও উদ্ধার করে নিয়ে এসেছে। ফার্মাসিউটিক্যাল ক্ষেত্রে বিশ্বের অগ্রণী দেশ হিসাবে ভারত অন্যান্য দেশকে হাইড্রঅক্সিক্লোরোকুইনের মতো ওষুধ সরবরাহ করেছে। এছাড়াও, ভারত করোনার মোকাবিলায় উপযুক্ত ওষুধ ও টিকা উদ্ভাবনের জন্য অন্যান্য দেশের সঙ্গে অংশীদারিত্ব গড়ে তুলেছে। বৈঠকে ডঃ হর্ষ বর্ধন বিশ্ব স্বাস্থ্য সঙ্কটে ভারতের সহায়তার কথা পুনরায় উল্লেখ করে বলেন, কোভিড-১৯ এর প্রভাব মোকাবিলায় জি-২০ সদস্য দেশগুলির সঙ্গে একযোগে কাজ করতে ভারত আশাবাদী।
 
 
 
 
CG/BD/SB

(Release ID: 1616424) Visitor Counter : 263